Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

সরিষার মধ্যে ভুত

 দুষ্ট মাছ ধরা পড়িবে, জাল বিছানো হইল। জালে ধরা পড়িতে লাগিল, খাবি খাইতে লাগিল শুধু চুনোপুটি। রাজা বলিলেন, বড় মাছ কই?
    পাত্র-মিত্র-সভাসদ আদি সবাই কহিল, তাই তো, বড়মাছ কই?
   মন্ত্রী কহিল, আসিবে।
     পাত্র-মিত্র-সভাসদ সক্কলে কহিল সমস্বরে -
  আসিবে, আসিবে, আসিবে

সময়

তারপর?
তারপর কি রৌদ্রোজ্বল পথে হেঁটে চলে যাবে দূরে?
নাকি নদী সাঁতরে যাবে ওপারে ওই ঘন জঙ্গলে?

সরে দাঁড়াও

অবশেষে না হয় শূন্য আঙিনা হবে
   শূন্য আঙিনাও কাড়বে?

সিঁদুর

তোমার সিঁথিতে যে লালদাগ
     ওটা বেড়া না বাগানের সীমারেখা?
তবে আমার মাথায় নেই কেন?

স্পর্ধা!

মুড়ি বিক্রী করতে আসেন
    পঁয়তাল্লিশ ঊর্দ্ধ, চশমা চোখে ছিপছিপে মহিলাটি

সব খবর

...এমনকি আমার বাবার জন্মও বাংলাদেশে। জন্ম থেকে বাবা,জেঠু, ঠাকুমা, ঠাকুর্দা আরো আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সে দেশের কথা শুনে শুনে বড় হওয়া। ঠাকুমার চোখ উপচে জল পড়াতে সে দেশের মাটির গন্ধ পাওয়া।
...

সত্যযুগ

ওহে নিশ্চুপানন্দ সন্ন্যাসীর দল
ওহে কোটিপতি জগদগুরু, সদগুরু, মন্ত্রগুরুর দল
  ভারতে নাকি সত্যযুগ এসেছে...কই হে তোমরা...

স্নিগ্ধ ঝড়

ঝড়ের বাতাস বোলগুলোকে গাছ থেকে ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে
ধুলোয় ধুলোয় উড়িয়ে দিয়ে গেল
...

স্বাধীনতা

আমরা কি সত্যিই তবে স্বাধীনতাকে ভয় করি? চূড়ান্ত ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা যতই ভাবি না কেন, অবশেষে তা কি একটা দুঃস্বপ্ন, আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়? ব্যক্তিগত অসীম স্বাধীনতার কথা, আলোচনা, প্রতীক, লড়াই - সব ভালো লাগে, মনের মধ্যে আলোড়ন তোলে, উত্তেজনা আনে। কিন্তু সেই অপরিমিত স্বাধীনতাই যেন অবশেষে একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। 
...

সক্রেটিসের জন্ম

মানুষ বাঁচে তিনটে রহস্যময়তায় --- অসীম আকাশ, অনন্ত সময় আর তার রহস্যময় অন্তঃকরণে। এই তিনটেকেই সে অল্পবিস্তর জানে।
...

সময় হল কি?

প্রতিবার কাউকে না কাউকে বিদায় জানিয়ে 
    একলা ফিরে যাই 
নিঃশব্দ আকাশ আর নিঃশব্দ মাটির 
            মাঝখানে 
...

সময়

শুধু তুমিই নও
আমিও নই আমার নাগালের মধ্যে সব সময়
আমার মত করে আমার কাছে যে থাকে
...

সর্বমঙ্গলময়

একটা ছবি বেশ কয়েকবার দেখছি ফেসবুকে। ছবিটা শেয়ার করলাম না। একটা শিশু বন্দুকের নলের সামনে, ট্রিগার চেপার অপেক্ষায়। তারপর নাকি ট্রিগার দাবানো হয়েছিল।
        ভীষণ দুর্বলচিত্ত মানুষ তো, এরকম কিছু হলে, দেখলেই একজন সর্বমঙ্গলময়, করুণাময় ঈশ্বরকে খুঁজি। যে সব কিছু ঠিক করে দেবে। দুষ্টুলোকগুলোকে ভ্যানিশ করে দেবে।
...

সেলুন

কোলে চুলগুলো কেটে কেটে পড়ছে। সাদা চাদরে চুলের থোকা। তারা তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলছে - কোলে নাও। 
        চশমা পরা নেই, তাই চুলগুলোর মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। সেলুনের ছেলেটা প্রতিবারই চশমাটা খুলে নেয়। চশমা খুললে আর চোখে দেখতে পান না। আওয়াজ শুনতে পান।
...

সুটকেশ

অনেক রাতে ট্রেন। প্রদ্যুত যখন হাওড়া স্টেশানে এলো তখন পৌনে এগারোটা। এখনও এক ঘন্টা বাকি। প্রদ্যুত বিশাখাপত্তনম যাবে। অফিসের কাজ। এসি ২ -তে লোয়ার বার্থ। প্রদ্যুত ডিনার সাথেই এনেছিল। স্টেশানেই খেয়ে নিল। ট্রেন দেয়নি এখনও প্ল্যাটফর্মে। মোবাইলটা অন্ করে ওটাস অ্যাপটা অন্ করতেই বোর্ডে চেন্নাই মেলের প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দিল।
...

সময়ের মুঠো

সময়ের মুঠোয় ভাঁজ করা একটা চিঠি পেয়েছিলাম
    চিঠির ভাঁজ বরাবর জমেছিল কিছু বালি
তাদের উড়িয়ে দিয়ে
       চিঠিটা আবার নতুন করে পড়তে বসলাম
...

সূর্যোদয়

সূর্যোদয় কারোর অপেক্ষা করে না
তবু সূর্যোদয়ের অপেক্ষা আমার আমরণ
...

সমাজ

মানুষ যা যা কিছুকে অত্যন্ত করে চায়, তার প্রধানতম হল সমাজ। সে নিজেকে দেখতে চায় সমাজের আয়নাতেই। সমাজ তার অস্তিত্ব। তার পায়ের তলার মাটি। ব্যক্তি আর সমাজের মধ্যে যে দ্বন্দ্বটা আমরা দেখি, সেটার মূলে আসলে গঠিত, জীবিত সমাজ বনাম আমার কল্পিত, ধী-দৃষ্ট সমাজ। ব্যক্তি বলে যা আমরা বুঝি, তা একটা মৌলিক অস্তিত্ব তো কিছুতেই নয়। না হলে অভিব্যক্তি কথাটা অর্থহীন হত। দীর্ঘকালের ধারাবাহিক এক প্রক্রিয়ার ক্ষণিক বুদবুদ এই ব্যক্তিসত্তা। এমনকি জীবনবিজ্ঞানের কথা অনুযায়ী গর্ভস্থ একটা ভ্রূণকেও তার প্রাচীন গতিপথের ধাপগুলিকে একবার করে স্মরণ করতে করতে আসতে হয় – ব্যক্তিজনি জাতিজনিকে স্মরণ করে – বিজ্ঞানী হেকেল মহাশয়ের অসামান্য পর্যবেক্ষণ।
...

সুবর্ণ

ছেলেটা মেয়েজাতটাকে ভালোবাসতে পারতো না, তাই শ্রদ্ধা করত প্রাণের সমস্ত শক্তি দিয়ে। কারণ যাকেই না শ্রদ্ধা করি তা-ই বিরুদ্ধ শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েজাতের মত এত বড় একটা শক্তিকে বিরুদ্ধসত্তা বানিয়ে লড়তে চাইলে মনের শান্তি বিঘ্নিত হয়। তাই সুবর্ণ মেয়েদের শ্রদ্ধা করত। সে নিজেও কারণটা স্পষ্ট বুঝত না যদিও। কিন্তু সে খেয়াল করত মেয়েদের নারীরূপটা সে মেনে নিতে পারে না। সেটা যেন পাশ্চাত্য সভ্যতার একটা বিকাররূপ তার কাছে। মেয়ে মানে মা। মেয়ে মানে একটা আশ্রয়। এমনকি ভারতীয় মেয়েদের পর্ণও দেখলে অসহ্য লাগত সুবর্ণ'র। ওরকম হয় না ভারতীয় মেয়েরা।

সবই তো আছে

সবই তো আছে। নেতা আছে, নীতি আছে, ধর্ম আছে, ধর্মস্থান আছে, গুরু আছে, শিষ্য আছে। তবু কি যেন নেই। কার যেন একটা অভাব। কত পাণ্ডিত্য আছে। কত গবেষণা আছে। কত বড় বড় প্রতিষ্ঠান, কত চিন্তাবিদ আছেনই তো। তবু কি যেন নেই, কি যেন নেই। 
        সুভাষচন্দ্রের ভাষণ দিতে গিয়ে কণ্ঠ অবরুদ্ধ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেছে। মোহনদাস গান্ধী নুন বানাতে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সাড়া দিয়েছে – ইতিহাস সাক্ষী। সুভাষ বা গান্ধী কেউই তাদের মতাদর্শ অনুসরণ করলে চাকরি দেবেন এমন কথা দেননি। তবু মানুষ গেছে। মেরেছে। মরেছে।

সেদিন বেসিনে মুখ ধুচ্ছি

সেদিন বেসিনে মুখ ধুচ্ছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম বেসিনের সাদা রঙের উপর আরেকটা উজ্জ্বল সাদা আলো। বুঝলাম বেসিনের উপর যে ছোট্ট জানলা সেই দিয়ে চাঁদের আলো এসে পড়েছে। এ যেন হঠাৎ করে বাড়তি একটা পাওয়া। মন চমৎকৃত হল। খুব দূরের অধরা কিছু আজ যে তার নাগালের মধ্যে, সে যে কি পুলকিত হল, তা বলার নয়।

সংশয়

সন্ধ্যায় পসার সাজায়ে বসিয়াছে 
   ব্যবসায়ীকূল পথপাশে 
      মনোহারী নয়নাভিরাম সাজে
তীব্র তীক্ষ্ণ উত্তরের বাতাস নখদন্ত মেলি
   ফিরিতেছে পথেঘাটে আপন শিকার লাগি,
      ক্ষণিক অসতর্কতায় আছাড়ি পড়িছে দেহে
                    হিম-দংশন, কোনো ক্ষমা নাহি

সন্ন্যাসী

সন্ন্যাসী ঘাটে এসে দেখলো, ঘাটে একটাই নৌকো বাঁধা। কারা দুজন যেন মুখোমুখি বসে। কুয়াশায় অস্পষ্ট চারদিক। গভীর সংশয়ের মত শীত। সে নৌকার আরো কাছে এলো। নৌকায় ঈশ্বর আর এক যুবতী মুখোমুখি বসে।
...

সমান্তরাল

কত যুগ হল
   পাশাপাশি
       সমান্তরালে হাঁটছি

  মাঝামাঝি যে প্রাচীর, সেও -
       সমান্তরালে হাঁটছে

সকাল দরজায় দাঁড়িয়ে

মন্থনময়ী মধ্যনিশা
বিষ শুষে নিল চোখের পাতা,
অমৃতলোভী সকাল রইল দরজায় দাঁড়িয়ে

সম্পর্ক

সম্পর্ক অবিনশ্বর
   মোড় ফিরিয়ে রূপ বদল
           এখন তখন
তবু শূন্য হয়ে যেতে দেখিনি
             হয়ও না

স্পন্দন

বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। পুরোহিত সন্ধ্যারতি শেষ করে দরজায় হেলান দিয়ে বসল। কেউ নেই মন্দিরে আজ। এত বৃষ্টি সেই বিকাল থেকে, কে আসবে?
পঞ্চপ্রদীপের মাঝের কর্পূরটা নিভে গেছে। বাদল বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে জ্বলন্ত বাকি চারটে শিখা। পুরোহিত অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে সেই দিকে। দেবতাও। যেন এখনি নিভে যাবে।

সত্য

দার্শনিক, সন্ন্যাসী খুঁজে চলেছেন সত্যের সংজ্ঞা

দার্শনিক লিখলেন বই
সন্ন্যাসী গড়লেন মঠ

সত্য ঘুড়ি উড়িয়ে চলল মহাকাশে

লাটাই নিতে চাইলেন সন্ন্যাসী
           নিতে চাইলেন দার্শনিক

সুরাসুর

যথারীতি এ বছরও মা দুগ্গা গট-আপ কেস করে, একটা আই ওয়াশ করে বেরিয়ে গেলেন। একখেন অসুরও মারা গেল না। বিশেষ করে কাল রাতে বেপাড়ায় নবমীর নিশির মদো নৃত্যের হুল্লোড় কথাটা প্রমাণ করেই ছাড়লে। এই সুরার মত অসুর সংসারে খুব কম আছে। কত মানুষকে অমানুষ, অমানুষ থেকে মহিষাসুর হতে দেখলাম তার ইয়ত্তা নেই।

সরি, ভুলে গিয়েছিলাম

ছাদের ধারে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলাম
    একাই ছিলাম। রাত কটা হবে তখন?
        সাড়ে বারোটার কাছাকাছি
    দূরে কিছু কুকুর জটলা করে ডাকছে
           কয়েকটা বাড়িতে আলো জ্বলছে

সত্য পরিচয়


===
জানলা দরজা বানাতে গেলে
  আগে দেওয়াল বানাতে হয়

বোকার হদ্দ তুমি!

জানলাকে বলো - আকাশ
দরজাকে বলো - মুক্তি


===
চিড় ধরা দেওয়াল থেকে বাঁচায়
    আকাশ, খোলা মাঠ, নদীর জল

সেদিনের একটুকরো ছেঁড়া গপ্পো

স্যুটকেশ গোছানো বাকি
সব কিছু খাটের উপর বার করে রাখা
     তবু গোছানো হয়নি।

স্নান করতে ঢুকল। জলটা তেমন ঠাণ্ডা নয় যেন আজ।
চশমা চোখে নেই, তবু বুঝতে পারছে বাথরুমের ছাদের দেওয়ালের কোনে একটা বড় মাকড়সা।
   ঝড় হয়েছে কাল সন্ধ্যেতে, ঢুকে পড়েছে।

সেরকম ভয় করল না। একবার ভাবল ডাকে, তারপর ভাবল, থাক ঘুমাক। ট্রেনে তো ঘুম হয় না।

সমস্যার সমস্যা

আদৌ কোনটা সমস্যা আর কোনটা সমস্যা না, সেটা বোঝাই একটা জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনটা তৈরি করা হয়েছে আর কোনটা নিজে থেকেই একটা সমস্যার রূপ নিয়েছে সেটা বড্ড গোলমেলে ব্যাপার। যেমন রোহিঙ্গা সমস্যাটা কিছুটা তৈরি করা আর বাকিটা ঐতিহাসিক জটিলতা। জল ঘোলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল যতটা উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার তা হয়ে উঠছে না। এ ওকে, সে তাকে দোষারোপ, চাপসৃষ্টি ইত্যাদিতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এমনকি যথেষ্ট পরিমাণ

স্নিগ্ধ বিশ্বাস

গুরু বললেন, "ঈশ্বরলাভ করতে কাম ত্যাগ করো"

শিষ্যের কামঘরে পড়ল তালা। তিলে তিলে জমে উঠছে বিষ। বাইরে ধূপধুনো চন্দনের গন্ধ। আরতির কাঁসরের আওয়াজ, পঞ্চপ্রদীপের শিখার তাপ। দিনে দিনে তালাতে পড়ল জং।

স্পষ্ট

স্পষ্ট তাকিয়েছিলাম
স্পষ্ট তাকালে তুমিও

স্পষ্ট কথা বললাম
স্পষ্ট কথাগুলো তোমারও

রেস্টুরেন্টের খাওয়ার বিল
সংশয় নেই, স্পষ্ট হিসাব
মিটিয়ে উঠলাম
উঠে দাঁড়ালে তুমিও

তাড়া আছে
তাড়া তো আছে তোমারও

তবু কেন যেন বেয়াড়া কষ্ট
বুক তো চিরছে তোমারও