Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

পাল্টাও

আমার ঠোঁটের কাছে ঠোঁট এনে ফিরে গেলে
বললে, মাজনটা পাল্টাও।
...

প্রতিবাদী

একজন লোক প্রতিবাদ করত।
খুব প্রতিবাদ করত
কারণ, প্রতিবাদ করার দরকার ছিল।
তারপর সে আরো প্রতিবাদ করল,
কারণ তাতেই তার শান্তি এখন।
...

পরিচয়

"কেমন আছেন?"
"ভালো আছি।"

এই দুটো সংলাপে ভর করেই ওনাকে
আমি আজ প্রায় দশ বছর হল চিনি।
...

প্রান্ত-বাসী

তোমার মত মুখ আমি অনেক দেখেছি ছোটবেলা থেকে,
রাস্তায়, মন্দিরের সামনে, জানলায়, কলের লাইনে - সব মনে নেই,
মুখটা মনে আছে।
...

পথে-রথে

আজ ভিতরে না
বাইরে এসো।
তিনি পথে আজ।
তুমিও পথেই নামো
...

পাগলিনী

   আমরা বন্ধুরা পুরী থেকে ফিরছি। রাত আটটার ডাউন পুরী হাওড়া এক্সপ্রেস। বেশ কিছুটা আগেই স্টেশানে পৌঁছে গেছি। ট্রেন দেওয়াই ছিল প্ল্যাটফর্মে। কামরায় উঠতেই আমরা অবাক। আমাদের সিটে বসে একজন বাইশ তেইশ বছরের মেয়ে, শতচ্ছিন্ন পোশাক, উশকোখুশকো চুল। আচরণে বুঝলাম মানসিক ভারসাম্যহীন। কি করি, অস্বস্তি লাগতে শুরু করল।
...

পূর্ণতার পূর্বে

হাতের আগুনে না, মনের আগুনে পুড়ল
জ্বলে উঠল সব।
আকাশে তাকালো
ভাবল কোটি সূর্য্য জ্বলে উঠবে
জ্বলল না।
মাটিতে তাকাল
...

প্রভু ও ভক্ত

তুমি বললে, দুঃখ আছে।
আমি বললাম, জানি।
তুমি বললে, মুক্তিও আছে।
আমি বললাম, হয় তো।
তুমি বললে, যাবে?
...

পারি না


আমার ঘুমের আশে পাশে টহল দিচ্ছে
কিছু সশস্ত্র প্রহরী
স্বপ্নগুলোতে কারফিউ জারি।
আমার ভাবনাগুলোর চারপাশে টহল দিচ্ছে কিছু সশস্ত্র প্রহরী
খবরের কাগজে ওদের পায়ের ছাপ।
ভাষার সাথে সত্যের ভুল বোঝাবুঝি-
সত্যগুলো মিয়ানো পাঁপড়ের মত বানাতে চায় ওরা
আমি সেঁক দিয়ে রাখি মননের উত্তাপে
মিয়ানো সত্যে গা গুলায় আমার এখনও।
জল ছিটিয়ে গোলাপ তাজা রাখি না-

পয়লা বৈশাখ


এই প্রথম পয়লা বৈশাখ কাটালাম বাংলার বাইরে। বাংলা গান ছাড়া। আমি এখনো জানি না এটা বাংলার কোন সাল পড়ল। কাজের জগতে যেহেতু তার দরকার নেই, তাই দিনের খাতাতেও তার হিসাব নেই। থাক, নাই বা জানলাম। 

আমার জীবনে বাংলা দেওয়াল পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার তিনটে দিনেই ইংরাজী ক্যালেন্ডারকে সরিয়ে দাঁড়ায়। পয়লা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ আর বাইশে শ্রাবণ। 

পৃথিবী


প্রতিটা মানুষ তার একটা নিজের পৃথিবী নিয়ে ফেরে। তাতে তার নিজস্ব নদী, পাহাড়, বন, সমুদ্র সব আছে। তার হাতে লাগানো বাগান আছে, তার হাতে তৈরী ঘর আছে। সে পৃথিবীতেও তার বাইরের পৃথিবীর মতই ঋতু পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মের তাপ যেমন লাগে, বসন্তে ফুলও তেমন ফোটে। বর্ষা যেমন প্লাবন আনে, শীত তেমন কুয়াশাতেও ঢাকে।

প্রতিশ্রুতি


কিছুক্ষণ আগে যেন আমি তোমারই কথা ভাবছিলাম
পরিচিত বিকালগুলো শুকনো বারান্দা বেয়ে গুটি গুটি করে
খালি পায়ে হেঁটে গেছে খানিক আগে
আমার অন্যমনস্কতায় উঁকি দিয়ে, ভিজে হাতের ছাপ রেখে।
সারা দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদের তাপে পোড়া বুনো ঝোপের গন্ধ
পড়ন্ত রোদের আলোয়, গরম বাতাসে স্মৃতির ঝাঁপিতে রাখছে হাত।
সামনের পাতাহীন শুকনো বাঁশগাছটার মাথায় দোয়েলটা আজও বসেছে

প্রকাশ


গভীর রাতে আমার বুকের ভিতর থেকে দুজন বেরিয়ে আসল।

পরিত্যক্ত

তোমাকে বাগানে বেড়াতে নিয়ে গেছি দুবেলা
তোমার দু-হাত ধরে, আমি নিজে।

ভুলে গেছ।

তোমার মনে আছে শুধু সে কদিনের কথাই
যে কদিন তোমার মন খারাপ ছিল,
তোমার খোলা বাতাসের দরকার ছিল
যে দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি

কিন্তু দেখো, আমার তোমাকে দরকার ছিল
রোজ, দুবেলাই-
বাগানে, খোলা বাতাসে

পরিস্থিতি ও আমরা


যে, কোনো পরিস্থিতিতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না, সে নির্বোধ।

যে, সব পরিস্থিতিতেই দারুনভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, সে অত্যন্ত চালাক।

পারো যদি

তুমি সরে দাঁড়াও
তোমার শরীরে এমন কিছু নেই
যা হৃদয় গুহায় আলো জ্বালাতে পারে
তাই অকারণে নগ্ন হয়ে এসো না

পারো যদি একটা আবেগ জ্বালো চোখে
সত্যি হোক তা
আমার হৃদয় গুহা থেকে আদিম প্রাণ
উড়ে আসুক ওই আলোর দিকে চেয়ে
বসুক নিভৃতে তোমার বুকে
শরীর থাকুক সংযত
প্রাণের উৎসে প্রেমকে করে ধারণ
শুদ্ধ হোক তা

পলাশ ও জাল

ছিন্ন পরিত্যক্ত মাকড়সার জাল। কুয়াশা ঘেরা বসন্তের সকালে সে চোখ মেলে চেয়ে দেখে, তার পাশে ফুটেছে পলাশ। কি তার রূপ, কি তার রঙ! ছিন্ন জাল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ পলাশের দিকে। সম্মোহিত তার দৃষ্টি। হঠাৎ ভ্রমরের গুঞ্জনে তার ঘোর ভাঙল। ভ্রমর এসেছে পলাশের ঘুম ভাঙাতে। 

প্রভু

পুকুরের চার ঘাট বাঁধালে
ওয়াটার পানি অ্যাকুয়া জলে
বললে ওরে বিভেদ কোথায়?
বেড়াগুলো সব ভাঙ দেখি আয়
তাঁর ইতি কেউ করতে পারে?
সব মতই যায় তাঁরই দ্বারে
'আমার' বলে যেই ঢেকেছিস
জগৎ আঁধার সেই করেছিস
'তুমি' 'তোমার' বলতে শেখ
দু'হাত তুলে নাচতে শেখ
অহং ম'লে ঘুচে জঞ্জাল
পুঁথি শাস্ত্র ঘোর মায়াজাল
ওসব ছেড়ে ডাকতে শেখ

প্রার্থনা

দরজা আমার এদিক থেকে
শক্ত করে আঁটা
তুমি যদি ওদিক থেকে খোলো
বেরোতে পাই তোমার টানে
আসা যাওয়ার পথ খুলে যায়
মোহ আমায় বাঁধতে না পায়
যদি তোমার বাঁশি বাজে
আমার প্রাণে

প্রার্থনা - ৩০ শে জানুয়ারী

আমায় যেভাবেই হোক
মানুষের পাশে থাকতে দাও
হাত ধরার হাত দাও
না বলতে পারা চোখের কোণে আটকে থাকা
কথাগুলো বুঝিয়ে দাও
আমার চোখে ওদের চোখের জলগুলো লুকিয়ে এনে ভরে দাও
আমার বুকে ওদের বুক থেকে কাঁটাগুলো তুলে গেঁথে দাও
কোনো কাজে না লাগি যদি
আমার সারা শরীরে ধুলোবালি আবর্জনা
ভরে দাও পাপোষের মত
তবু আমায় মানুষের পাশে থাকতে দাও!

প্রার্থনা

কল্পনাগুলো শুদ্ধ হোক
যেন সে সাদা ডানায় নীলাকাশে ওড়ে

ইচ্ছাগুলো নির্মল হোক
যেন স্বচ্ছ ধারায় ঝরণার মত ঝরে

চিন্তাগুলো মার্জিত হোক
যেন সে হৃদয়গুহায় প্রদীপ জ্বেলে রাখে

ভালাবাসাগুলো এক হোক
যেন সে না বেঁধে ভালবাসতে শেখে

পাথেয়


যার মাথা রাখবার একটা কাঁধ আছে
সে ভাল আছে
যার হাসি দেখবার একটা মুখ আছে
সে বেঁচে আছে
যার ঘুম থেকে উঠবার আনন্দ আছে
সে সুখে আছে
যার দৃষ্টি ডোবানো দুটো চোখ আছে
সে মজে আছে
যার প্রণাম করবার দুখানা পা আছে
তার সব আছে


[শুভ নববর্ষ। অনেক শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা রইল সবার জন্য। সাথে থাকি, সাথে চলি - এইটুকুই প্রার্থনা।]

পেন্ডুলাম

একটা ব্যাথা পেন্ডুলামের মত বুকের এ মাথা ও মাথা দুলছে
দুলেই চলেছে  দুলেই চলেছে   দুলেই চলেছে
...

পালা বদল

সারাটা গাছ জুড়ে বিবর্ণ পাতা
ব্যর্থ সূর্য্যের আলো খুঁজে ফিরছে নতুন সবুজ রঙ
...

প্রমাদ

একটা ঝড় অনেক্ষণ ধরে
দরজার কাছে ঘুরঘুর করছে
আমি দেখেও না দেখার ভাণ করে আছি
...

প্রতীক্ষা

"কেতু তো পাগল করে দিচ্ছে, বুঝলেন মিত্তির মশায়। এবার পুজোয় ওর সাথে ব্যাঙ্গালোরেই থাকতে হবে। সে শুনবেই না। আচ্ছা বলেন এই বাহাত্তর বছর বয়সে শরীরে এত ধকল সয়। তাছাড়া গিন্নীরও তো যা শরীরের অবস্থা!"
...

পাকড়াশীবাবুর দূরবীন

এবার ব্যাপারটা আর ভালো লাগছে না পাকড়াশীবাবুর। মিলিটারীতে কাজ করতেন। রিট্যায়ার করার পর থেকেই তাঁর এই একটাই শখ, সন্ধ্যেবেলা চায়ের ফ্লাক্সে চা নিয়ে, ছাদে উঠে দূরবীনে নানান গ্রহ-নক্ষত্র পরিদর্শন করা।
...

প্রতিস্পর্ধা

যতদিন বেঁচে ছিলে, কাছে যাই নি
ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে থাকতাম দূরে
যদিও জানতাম, তুমি অনেক বড়
মানতে পারিনি।
...

পথ

বলাইবাবু টিকিট কাউন্টারে বসে। তা প্রায় ২০ বছর হল। বিভিন্ন স্টেশানের নাম শুনতে শুনতে তাঁর প্রায় সবগুলোই মুখস্থ। প্রতিটা স্টেশানের একটা একটা ছবি আঁকা আছে তাঁর মনে। তিনি যান নি কোথাও যদিও। লোকেদের এই যাওয়া আসাটা দেখতেই তাঁর বেশি ভাল লাগে।
...

প্রশ্ন

যতই নিজেকে ধোপদুরস্ত ফিটফাট
স্মার্ট, তাক লাগানো
...

পৃথিবী

সময়কে বুকের ভিতর দাঁড় করিয়ে
মহাকাশের উঠোনে নিজে দাঁড়ালাম।
...

পাশাপাশি

আমরা মুখোমুখি বসলে
আমার উত্তর, তোর দক্ষিণ হবে
বা আমার পূব তো তোর পশ্চিম।
...

পরবাস

আমার মত দেখতে, অথচ আমি নই
এমন একজন
ছায়ায়, আব-ছায়ায় আমার সাথে ঘোরে।

সে বাইরে যখন আসে, তখন আমার 'আমি' উধাও-
ফিরে দেখি
...

প্রকৃতি

প্রকৃতির চেয়ে নীরব শ্রোতা আর কে আছে?
তার যত কাছে যাবে
সে তত গভীরে নিয়ে যাবে তোমায়।
...

প্রেম ঘুঁটে গরু

(সে দুইত দুধ তার পোষা গরুর। বিক্রী করে চলত জীবন যাপন। হঠাৎ যৌবন খেল গোত্তা এক খরিদ্দারের বাড়ির জানলায়। দুধের হিসাব হল জলের চেয়েও তরল। খাটাল হল বৃন্দাবন। তারপর? সেই কথাই তো লিখছি)


তোমার বাড়ির দেওয়ালে ভালোবাসার ঘুঁটে দেব
সারা দেওয়াল জুড়ে। এক রত্তি ফাঁক রাখব না, দেখে নিও।

এত ঘুঁটে নিয়ে কি করবে?