ভুলছি না...উঠছি না...
ঊর্দি ভুলবে, ভাঙা আলো ভুলবে
আমি ভুলব না।
...
ভাবনা
বরং মনকে বলি শরীরের হাত ধরো।
...
ভাত
ভাতের হাঁড়ি।
ভাতের হাঁড়ির দিকে চেয়ে
হাতা।
...
ভাগ্য
কার টানে আসে প্রজাপতি, মধু না পাঁপড়ি?
...
ভুল পথ
বুঝলাম ভুল রাস্তায় চলেছি।
ভুল
পাচ্ছে না।
চোখ আছে, চোখে চশমা আছে,
হাত আছে, হাতে টর্চ আছে,
ভিজে হৃদয়
ধুলো ঝাড়লাম।
হাঁচতে হাঁচতে চোখ লাল হল
সর্দিই হল প্রায়।
...
ভুল
ভদ্রমহিলা বার তিন কথাটা আওড়ালেন।
বলেছিলাম,"বিস্কুটে কি ভয়?
একটা বিস্কুট খেলে কি বা হয়?"
না, ওনার বাড়ি বিস্কুটের অভাব নেই,
অভাব একটাই,
এই কথাটা বলার লোক নেই।
...
ভাণ
তাচ্ছিল্যে আড়চোখে তাকাতেই পারো, তাকাও
হাসির সাথে শ্লেষ বিদ্ধও করতেই পারো, করো।
...
ভেন্টিলেশান
আমি ভেন্টিলেশানের সামনে বসে,
তোকে নিয়ে যাব।
ডাক্তার বলেছে তোর মস্তিস্ক নাকি মৃত
শুধু হৃৎপিন্ড চলছে।
...
ভয়ংকর
আগুন জ্বেলে খোঁজ অন্ধকার।
নিজের বিশ্বাসগুলোর সাথেই নও বিশ্বস্ত।
মুখের চেয়ে ভরসা রাখো মুখোশে।
তবু কি অহংকার তোমার!
অপ্রিয় কথা বলতেই পার অনায়াসে।
...
ভুল চেষ্টা
না কি পারল না? জানি না।
সবার আগে যেতে চেয়ে হল একা।
তবু থামার কোনো কারণ খুঁজে পেল না।
...
ভয় হতে তব অভয় মাঝে
আমি
-------
ভাল ও খারাপ
এমনটা অনেকবার হয়েছে। কোনো একজনকে খুব খারাপ ভেবে তাকে আমার বাগানে খুব চোখে চোখে রেখেছি। যেই না চোখের আড়াল করেছি, অমনি সে হয়তো গাছের একটা ডাল মট করে ভেঙে দিয়ে পালাল। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো সুযোগ পেলেই সব গাছগুলো উপড়ে ফেলবে বা বাগানে গরু ঢুকিয়ে সব নষ্ট করবে। তা না, শুধু একটা ডাল!
ভারত আর ইন্ডিয়া
ব্যাঙ্গালোর থেকে ফেরার পথে এখন। স্লিপার ক্লাস। ছোটবেলায় বাবার রেলের চাকরীর কারণে যেখানেই বেড়াতে যেতে হত, AC 2/3 তে যেতে হত। খুব রাগ লাগত। কারণ একটাই, রাত্রে জানলা দিয়ে কিছু দেখা যেত না। মনে আছে, আমি বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কাটা হলেই দেখতাম সেদিনটা পূর্ণিমা কিনা। আরে তবু কিছু তো দেখা যাবে!
ভিজে হাতে না
ভেজা হাতে ছবি আঁকো কেন?
রঙগুলো সব ছড়িয়ে যায়!
দেখো সূর্য্যের গায়ে পড়েছে কালো রঙের ছিটে
বাচ্চাটার হাসিতে পড়েছে লাল রঙের দাগ
ওই যে গাছ এঁকেছো-
ওর সবুজ পাতায় হলুদ রঙের ছাপ
ছি ছি
মোছো তাড়াতাড়ি!
নতুন করে আঁকো
ভিজে হাতে না
হাত শুকিয়ে নাও আগে
ভুল ভাঙা
তুমি এভাবে কেন আসো
দরজা জানলা ভেঙে, ছাদ ফুটো করে?
ভূমিকম্পের বুকও তোমায় দেখে কাঁপে
তোমায় বেঁধে রাখার দড়ি খুঁজেছি
এদেশ ওদেশ মন্দিরে গীর্জায় মসজিদে
মতে মতান্তরে
ভুল পথে
যৌথ পরিবারে কোনো বড় মানুষ যখন কোনো অবিবেচক বা আলপটকা মন্তব্য করে ফেলেন, অমনি অন্যান্য বিবেচক মানুষেরা সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে বিষয়টাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাতে পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। এ অভিজ্ঞতা কম বেশি সব মানুষেরই থাকবে যাঁরা যৌথ পরিবারে মানুষ।
ভরসা
সন্ন্যাসী একটা বড় তালা মঠের দরজায় আটকালেন
দু'বার টেনে দেখলেন, আশ্বস্ত হলেন
তিনি ভগবানে বিশ্বাস করেন
মানুষের দেবত্বে বিশ্বাস করেন
তালাতে ভরসা রাখেন
ভুল কথা
একটা মাছ জলে ডুবে মরেছিল
একটা মাকড়সা জালে আটকে মরেছিল
একটা মৌমাছি মৌচাকে আটকে মরেছিল
ভুল কথা
একটা মানুষ সংসারে আটকে মরেছিল
ঠিক কথা
ভেংচী
যার কাছে ভালবাসা চেয়েছিল মানুষটা
সে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিল
যার কাছে একটা চুম্বন আর একটা গোলাপ চেয়েছিল
সে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছিল
এখন আর 'ধন্যবাদ' আর 'কৃতজ্ঞতা' শব্দদুটো সহ্য করতে পারে না লোকটা
শব্দদুটো বড্ড ভেঙ্গায় তাকে
ভিতরে এসেছি
বেঁধে রাখব তো বলিনি
বাঁধা পড়েছি
তোমায় চাইতে এসেছিলাম
নিজেকে নৈবেদ্য করে বেঁচেছি
তুমি পাশের পাড়ায় থাকো
নাকি সুদূর হিমালয়ে
একে তাকে প্রশ্ন করেছি
আমার দরজার কাছে
তোমার চরণচিহ্ন দেখে
এক দৌড়ে ভিতরে এসেছি
ভুলিও না
পথ বদলাতে পারো
গতি বদলাতে পারো
দিশা বদলিও না
রামের শ্যামের যুক্তি দিয়ে
নিজেকে ভুলিও না
সামনে যেতে পারো
পিছনে সরতে পারো
চলা থামিও না
ছন্দ ভেঙে নতুন ছন্দ খুঁজো
গান হারিয়ে না
ভাঙা ঘুম
মা, যে দিন স্বপ্নে তুমি আসো
মনে হয় সে ঘুম হোক দীর্ঘজীবি
ভাঙা ঘুমকে জোড়া লাগাতে
আপ্রাণ করি চেষ্টা
বিছানায় নিজের সাথে করি যুদ্ধ-
যদি আরেকটু থাকতে পাই তোমার সাথে থাকতে।
হয় কই?
পাখির ডাক, হাল্কা রোদ, নানান কাজ-
আমার অলস বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে,
ক্লান্ত আমি ওদের বলি, উঠছি।
ভারমুক্তি
বুক ভরে ওঠে ঋণের ভারে
সকাল সন্ধ্যে রাত্রি দিন
ভাবি, এ বোঝা বুঝি নামবে নারে।
...
ভোর হওয়ার আগে
আমার মাঝরাতেই ভোর হল
যেই তোমার কিছু কথা মনে এলো
ভ্রমের ভ্রম
১
---
বটুকবাবুর সাধ হল মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল খাবেন। যেই না সাধ হওয়া অমনি তিনি সব্জী বাজারে হাজির। লাউ, কুমড়ো, উচ্ছে, পটল কিনে, বাড়িতে পৌঁছিয়েই গিন্নীকে হাঁক ছেড়ে বললেন, খুব ভাল করে ঘ্যাঁট রাঁধো দিকিনি।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে
আজ প্রেমোৎসব উদযাপনের দিন। যে প্রেক্ষাপটেই হোক না কেন। এর বিরোধিতা করার কোনো কারণ আমার মনে আসে না। কেউ কেউ বলেন প্রেমের আবার উদযাপন দিবস হয় নাকি? সে তো সারা বছরের রোজদিনই। খুব ঠিক কথা। তা একদিন একটু বেশি করে উদযাপিত হলে ক্ষতি কি? রোজ খাই বলে কি আর নেমন্তন্ন বাড়ি যাই নে? নাকি রোজ বাড়ির ঠাকুরকে নকুলদানা দীপ ধূপ দিই বলে বড় দূর্গোৎসবে, কি অন্য ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিই নে?
ভিতর - বাইরে
শরীরটা আমার বাইরের জিনিস, আর চিন্তাটা আমার ভিতরের – এমন একটা ভাগ আমাদের বোধে স্বতঃই এসে থাকে। আমার হাঁটাচলা, কথাবলা ইত্যাদি নানান অঙ্গভঙ্গী আমার এই বাইরের জিনিসটার সাথে – আমার শরীর। ভিতরের আমি কখনো তার থেকে আলাদা আবার কখনো একযোগে। এই বাইরে ভিতরের মাঝে এমন একটা জায়গা আছে, যাকে বলা যেতে পারে NO MAN’S LAND.
ভেলভেট পোকা
হলুদ ঘাসগুলো সারাগায়ে ধুলো মেখে
ভূমিসূতা
ভ্রমর
আমি তোমায় পেয়েছি
মুঠোতে নয়, তোমাতে ডুবে
এখন না পারো হারাতে তুমি
না পারি আমি
আমায় হারালো ওরা
আমি হারালাম ওদের
ওদের ছিল সংশয়
ওরা বলেছিল-
নেই মধু, এ শুধু ফুলের রঙীন, মিথ্যা সাজসজ্জা। যেও না!
ভাইফোঁটা
ফেসবুকে জুড়ে আছো যত দিদি বোন
কপালটা পেতে আছি, মন দিয়ে শোন
পড়ুক না পড়ুক কাঁটা যমের দুয়ারে
আমার কপালে তোর আঙুল ছোঁয়ারে
ভাই বল, দাদা বল, যা খুশী তা বল
প্রাণের প্রার্থনা এই, সুখে পথ চল
ভাব দরিয়া
যার আগু পিছু ভাবা আছে
তার কি প্রেমে মন মজেছে?
সে তো মহাজনীর কারবারী ভাই
ভাবের ঘরে সিঁদ চালায়
যে জন হিসাব কিতাব ভুলতে পারে
সে ভাবের হাওয়া চিনতে পারে
এক ঠাঁয়েতেই বসে বসে
ভাব দরিয়ায় নাও চালায়
ভেজা ভেজা মন
ভেজা ভেজা মন
শোন বারণ
ভুলে থাক সব কঠিন পণ
ভেজা ভেজা মন
শোন শাসন
মুছে ফেল চোখ, কাট বাঁধন
ভিক্ষা
সেদিন ভিক্ষা নিতে
হাতে লেগেছিল হাত
পাগল সেদিন থেকে
ভিক্ষা নিতে
মন না দেয় সাথ