"একটা বিস্কুট খেলে কি বা হয়?"
ভদ্রমহিলা বার তিন কথাটা আওড়ালেন।
বলেছিলাম,"বিস্কুটে কি ভয়?
একটা বিস্কুট খেলে কি বা হয়?"
না, ওনার বাড়ি বিস্কুটের অভাব নেই,
অভাব একটাই,
এই কথাটা বলার লোক নেই।
যাই পিছিয়ে অনেক কাল আগে,
কিছুটা বলি গদ্যে
কিছুটা লিখি পদ্যে।
স্বামীর রোজগারে চলে সংসার খুঁড়িয়ে,
তায় দুই মেধাবী সন্তান, পড়তে চায় আরো।
স্বামী বললেন, আমি তো আর পারি না
দেখো তুমি যদি পারো।
স্ত্রী নামলেন কাজে।
এ পাড়া ও পাড়া ঘুরে হলেন শাড়ির ফেরিওয়ালা।
সংসারে আসল টাকা - পড়ার টাকা।
মেধাবী দুই ছেলে আর মেয়ে
তরতর করে চলল এগিয়ে।
সময় গেল।
ওনার চুলে ধরল পাক।
হাড় মাংস হল অবাধ্য।
দিন গেল,
স্বামী গেলেন স্বগ্গে
অনেক রোগে ভুগে।
দুই ছেলে-মেয়েই আজ অনেক বড়,
এতটাই যে মা পেলেন না নাগাল।
বার কয়েক ঠেকে
একটা শব্দ গেলেন শিখে - স্টেটাস।
নাতি-নাতনি সবই আছে তার
দু:খ কিসের?
চেনে তো তারা দিদা বলে
আর কি দরকার?
এখন একাই থাকেন,
এ পাশ ও পাশ সবই ফাঁকা তার।
বাড়ির কোণে শেওলা জমে, মনের কোণে ঝুল।
ভাবেন বসে এ ঘর ও ঘর,
কোথায় হল ভুল?