Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

যে শুধুই নীল

আমায় বিশ্বাস কোরো না,
জানি না সে বিশ্বাস আমি
    রাখতে পারব কি না।
...

যা চাইবি

যা চাইবি, মনটাকে বড় করে চা,
নয় তো দেখবি,
যত বড় জিনিসই পাস,
হবে তুচ্ছ তোর ছোট মনের কাছে এসে।
...

যার জন্য

সারা বিশ্বে একজনই আছে
যার বুকে মাথা রাখলে ঘুম আসে
                  সে তুমি
সারাদিন ঘুরে ঘুরে, ক্লান্ত হয়ে
যার জন্য ফিরে কলিং বেলের সুইচে হাত রাখি
                   সে তুমি

যাবি?

তোকে চোখে দেখার আগে
হতাম যদি অন্ধ
কিম্বা উদাস বৈরাগী?

এমন দশা হত কি ছাই?

এখন চোখ পুড়েছে, বুক পুড়েছে
কোন নদীতে নাও ভাসি?

নাও ভাসি, নাও ভাসি
তুই যদি যাস-
         যাই বৃন্দাবন
না হলে হই
         কাশীবাসি।

যেদিন আমি ক্ষেপব

যেদিন আমি ক্ষেপব-
সেদিন টগরকে বলব, লাল গোলাপ
তোমায় তাই মানতে হবে
                    মানতেই হবে
বাড়ির উঠানের জবা গাছকে বলব-
"হে পারিজাত বৃক্ষ, দাও একটি পারিজাত পুষ্প
আমার হস্তে, গাঁথিব তাহার খোঁপাতে!"
তুমি জবা গাঁথবে খোঁপাতে

যখন

তোমায় সবচেয়ে সুন্দর দেখায় তখন
যখন তোমার চোখে তোমায় দেখা যায়

তোমার মুখের কথা সত্যি হয় তখন
যখন প্রতিটা শব্দে তোমায় ছোঁয়া যায়

তোমায় সবচেয়ে ভালোবাসি তখন
যখন তোমার ভিতরে আমায় দেখা যায়

যেখানে বেঁচে থাকার পুঁজি খুঁজি


প্রতিদিনের মত সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছি। ফাঁকা একটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি এমন সময় দুজন ভদ্রমহিলার কথোপকথনের খন্ডাংশ কানে এসে পৌঁছাল -
     "ভাই, যে কোনো পরিস্থিতিতেই মানুষ নিজের চলার রাস্তাটুকু করেই নেয়। তা সে যেমনই হোক। সংসারে কোনো অবস্থাতেই মানুষ নিজের চলাকে থামাতে পারে না।"

যদি সেটা মাতৃভাষা হয়

একটা ভাষাই এ জন্মে জন্মান্তর ঘটাতে পারে
যদি সেটা মাতৃভাষা হয়

একটা ভাষাই মায়ের আঁচল
বিশ্ব আঙিনায় আনতে পারে
যদি সেটা মাতৃভাষা হয়

একটা ভাষাই আমার সাথে আমার বুকে নামতে পারে
যদি সেটা মাতৃভাষা হয়

একটা ভাষাই চিন্তামণির সব জ্যোতিতে রাঙতে পারে
যদি সেটা মাতৃভাষা হয়

যে মানুষটা


যে মানুষটা দেবতা হতে গিয়েছিল
ওই যে ওইখানে, পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

যে মানুষটা শয়তানী শিখতে গিয়েছিল
সে অন্ধকারে পথ হারিয়েছে, হারিয়ে গেছে

যে মানুষটা ভোরবেলায় লাঙল হাতে বেরিয়েছিল
ফিরে এসেছে, একঝুড়ি শস্য মাথায় করে এনেছে

ওই যে বাচ্চাটা দাওয়ায় বসে মুড়ি খাচ্ছে
উঠানে ছড়িয়ে কাকগুলোকে ডাকছে
ও মানুষের বাচ্চা
দেবতারও না, শয়তানেরও না

যাচ্ছেতাই

আয়নার সামনে দাঁড়ালে দেখি তোকে
তোর সামনে দাঁড়ালে দেখি নিজেকে
...

যে অসময়ে গেল

তোমার কাজের কোনো অর্থ বুঝি না
কেন কারোর যাওয়ার এতই তাড়া
       জানি না
...

যে চলতে চায়

যে চলতে চায়
সে ঘন জঙ্গলেও পায় পথ
যে চলতে চায় না
সে রাজপথেও দেখে খন্দ
...

যদিদং হৃদয়ং মম

তাঁর বয়স হবে পঁচাত্তরের ওপর। আমার সাথে কথা বলতে আসতেন যে সূত্রে সে প্রয়োজন ফুরিয়েছিল অনেকদিন। তবু আসতেন। কথা বলতে ভালবাসতেন। উনি ছিলেন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। বাংলাদেশের থেকে এ দেশে এসে বহু লড়াই করে, দুটো ছেলে আর মেয়েকে মানুষ করেন। তারা সবাই এখন প্রতিষ্ঠিত মোটামুটি।ওনার স্ত্রী গত হয়েছেন প্রায় ১২ বছর হল।
...

যুক্তির পারে

জীবনের প্রতিটা কোণ যুক্তিতে আলোকিত থাকবে মানুষ এতটা অভিযোজিত হয়ে উঠতে পারেনি। যদি বলি সে শুধু যুক্তির দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সে চেষ্টাই সে সারাজীবন করে যাবে, তবে তাকে ভয়ংকর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। কারণ যুক্তির আলোর এত জোর নেই যে, সে জীবনের সব বাঁক, খানা-খন্দগুলোতে তার হাত ধরে চলবে, তাকে সঠিক পথ দেখাবে।
...

যাবি?

ভাবছি বেরোই
একা না তোকেও নেব, চল।

কোথাও যায় যে রাস্তা
সে রাস্তায় হাঁটব না।
...

যাওয়া

চলিলাম কিছুদিন নেটলোক ত্যাগী
জঙ্গলে ফিরিব গিয়া হইয়ে বিবাগী
যদি বাঘে নাহি খায়
প্রাণ নিয়ে ফেরা যায়
কথা হবে পুনঃ তবে
নেটলোকে দেখা হবে
ভালো থেকো সুখে থেকো
প্রভুপদে মতি রেখো

আর যদি নাহি ফিরি
বলো সবে হরি হরি
প্রেতলোকে দেখা হবে
কত ছড়া গান হবে
ফেসবুক নাই পাই
হরিগুণ গান গাই
এবে তবে আসি ভাই
শুভেচ্ছা জানায়ে যাই

যদি শান্তি চাও

যদি শান্তি চাও, দোষ দেখো না – বহুশ্রুত মা সারদার উক্তি বা উপদেশ। কিন্তু... - একটা 'কিন্তু' তবু খচখচ করে। সেটা কি করে সম্ভব? তবে কি উনি মৃত্যুশয্যায় একটা গোলমেলে কথা বলে গেলেন? তা কি করে হয়?


    এ কথাটা বহুবার ভেবেছি। ভুল না ধরলে শুধরাব কি করে? যার যেটা ভুল সেটা তাকে বলব না? সে তো আরো বিপথে যাবে? এরকম নানান তর্ক যুক্তি মাথার মধ্যে ঘোরে।

যতটা জল ভরা

জল তরঙ্গের আওয়াজ শুনেছ?

যতটা জল ভরা
তার ওপর হয় সুরের হেরফের

তোমার বুকে কতটা জল ভরা?

যাত্রা

ডানা ঝাপটালো ওরা
    উড়ে গেলো

নোঙর খুলল সে
    ভেসে গেলো

ধূষর আকাশে লাগল
ওদের পাখার হাওয়ার কাঁপন

বিষণ্ণ নদীতে লাগল

দাঁড়ের আঘাতের চাঞ্চল্য


(ছবিঃ পল্লব কুন্ডু)

যদি

যদি শুদ্ধতা চাও
   অপারক আমি

যবনিকা

তোমার সাথে বোঝাপড়া তো আছেই
    আজ না হয় কাল
মাটিতে পা রাখা, আলোতে চোখ মেলা

যদি সাড়া দাও

কাজল তো আগেও দেখেছি
এর ওর তার চোখে। নিরীহ কালো বাঁকা দাগ।
সে কাজল এমন খুনী হয়?
        আগে জানতাম না জানো
তোমার চোখে দেখার আগে

যাও

ধর্ম, শাস্ত্র, নীতি - তোমরা দূরে যাও
   আমার লাগছে
আমার গলায় তোমাদের দশ আঙুলের দাগ
আমার দম আটকাচ্ছে, যাও -

তোমাদের নরকে আমার ঠিকানা লিখে রেখো
আমি যাব, আনন্দের সাথে যাব, স্বেচ্ছায় যাব
কোনো অভিযোগ থাকবে না আমার

যদি তুমি


যদি তুমি জানতে পারো, তুমি ভগবান
জেনো, তুমি একা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি শয়তান
জেনো, তুমি বোকা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি কিছু নও
জেনো, তুমি বেঁচে যাবে

যাই


সব ছড়ানো থাকবে
আমি চলে যাব
      চলে যাব

আমার পায়ের ছাপ
উড়িয়ে নেবে হাওয়া
       ধূলো উড়িয়ে চলে যাব
   ঝড় থামিয়ে চলে যাব

যেখানে সেখানে

মাথা যদি শ্রদ্ধায় আপনি নীচু হয়, সে ভাল। তেমন শ্রদ্ধার স্থান সংসারে কদাচিৎ মেলে। কিন্তু যদি সে অভ্যাসের বশে যেখানে সেখানে নীচু হয়ে পড়ে, তবে সে মাথায় জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। 

যাবার আগে


যাবার আগে
   আলোটা নিভিয়ে
দরজাটা ভেজিয়ে যেও
         যেন তুমি আসোনি কখনো

আমি মনকে ভুলিয়ে
     পাপোশটা ঝেড়ে আসব
মুছে আসব চটির দাগ
         এটা আমার রোজকার অভ্যেস

যা দরকার ছিল


অনেকটা পথ হেঁচড়ে হেঁচড়ে চলার পর 
সে বুঝল

আসলে তার দরকার ছিল
একটা চাবুক
আর একটা গোলাপ।

যেখানে


বাবা ছেলেকে বললেন
"ভগবানের কাছে সঁপে দে এবার নিজেকে, ঠিক হ"

ছেলে বাবাকে বলল,
"খোকাদার কাছ এসো, কেস সাল্টে যাবে"
(খোকাদা পাড়ার মস্তান)

সন্ধ্যেবেলা বাবা গেলেন মন্দিরেতে
মস্তানের খোঁজে

ছেলে রাতে গেল ঠেকে
ভগবানের খোঁজে

যা দেখছি


(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)

যদি না


তুমি আমার গায়ের রঙ, চুলের রঙ
                            জানতে পারো
আমার উচ্চতা, বুকের গঠন

যে মানুষটা

যে মানুষটা ডান হাতে সৎ
আর বাঁ হাতে অসৎ
তার কোন পাশে থাকব?

তুমি বললে, এমন মানুষ হয় নাকি?

বললাম, কোন মুখে বললে?
বাঁদিক ফেরানো মুখে
না ডান দিকে ফেরানো মুখে?

তুমি বললে, মানে?

বললাম, মানে?
বুঝলে না,
না বুঝতে চাইলে না?

যে তোকে দেয় কাঁটার জ্বালা

যে তোকে দেয় কাঁটার জ্বালা
   তাকে ফিরে দিস ফুল
তোর কাছে সে যদিও ফুল রে
   তার কাছে তা ত্রিশূল


[মূল দোঁহাঃ
जो तोको काँटा बुवे ताहे बोव तू फूल।
तोहे फूल को फूल है ताहे है तिरसूल।।]

[ছবিঃ দেবাশীষ বোস]

যে এসেছিল

যে এসেছিল, সে শুধুই লজেন্সের জন্যে এসেছিল, খোসাটার জন্য না। খোসাটার বোঝার ভুল ছিল। লজেন্সটাকে বার করে ওকে যখন দুটো আঙুলের একটা টোকায় রাস্তায় ফেলে দিল - ও এমন হতভম্ব হয়ে তাকিয়েছিল সবার মুখে দিকে! যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না। দেখলাম ডাস্টবিনে মুখ গুঁজে পড়ে আছে। অভিমানে পাথর।

যে হাতদুটো

যে হাতদুটো প্রবল উৎসাহে জানলার কপাট দিত
        দরজায় খিল দিত
এখন তার জানলা দরজার আগল খুলতেই মুক্তির স্বাদ
     সিঁথির সিঁদুরের দাগ কাঁপা
                  দ্বিধায়
সাতপাকের সুতোয় ঘিরছে ফাঁসের ঘের