আশ্রয়
আমার আশ্রয় কাঁচা অথবা পাকা বাড়ি নয়
যে ভূমিকম্পে বা বন্যায় ধ্বংস হবে
আমার আশ্রয় অর্থ, মণি- মাণিক্য নয়
যে চোর ডাকাতে নিয়ে যাবে
আমার আশ্রয় পাণ্ডিত্যের শংসাপত্র নয়
যে তা হারালে আমার সর্বস্ব যাবে
আমার আশ্রয় আমার ওপর তোমার বিশ্বাস
বারবার ভেঙে পড়লেও
যা ফিরিয়ে দিয়েছে তোমার চোখ
শুভ নববর্ষ
হয়তো ভুল ছিল সময়
ঠিকানা রেখে গেল
সন্ধ্যে এমন আচমকা ভেসে এলো
যেন মনের বাক্সে হারানো কথার
ঠিকানা রেখে গেল
(ছবিঃ মৈনাক বিশ্বাস)
নাকছাবি
ছুটি মঞ্জুর
কি ভাবছ
নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই
অবশেষে ছোটোমাসিও চলে গেলেন। কত বয়েস হয়েছিল, ৫১/৫২ হবে। সারাটা জীবনের কত নিয়ম, কত বিধান, কত উচিৎ অনুচিত। অথচ সেই জীবনের যে পরম পরিণতি মৃত্যু, তার আসার কোনো বিধান নেই, নিয়ম নেই, সময় অসময় নেই।
কবি নও
যদি তুমি একটি ঘুমন্ত শহরের মধ্যরাতে
গভীর জঙ্গলে মধ্যরাতের পায়চারি শুনতে না পাও
তবে তুমি যেই হও
কবি নও
কনফেসন - টলস্টয় ও রামকৃষ্ণ
টলস্টয় তাঁর 'কনফেশন'-এ বলতে চাইছেন বিশ্বাসের কথা, faith। আমাদের শব্দ 'শ্রদ্ধা' কথাটা কি কাছাকাছি? বিশ্বাস করতে হবে, ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে হবে। কোন ঈশ্বর? সেকি প্রতিষ্ঠিত ধর্মের?
রইল বলে রাখলে কারে?
...
"ওই মহামানব আসে"
...
শিশির
রাতের আকাশটা গায়ে টেনে
শুয়ে আছি
...
Anyway?
I can't find myself
In my body
In my mind
In my words
What is wrong with me?
I can't find myself
In my room
In my study
In my bed
Where am I then?
শান্তিকে পায় না
মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না।
ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়।
ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।
কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না।
শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
দুই খানেতেই
- ঈশ্বরের নিবাস কোথায়, বিশ্বাসে না সংশয়ে?
- দুই খানেতেই
- শুভবুদ্ধি জাগে কই, ভালোবাসায় না ভয়ে?
- দুই খানেতেই
- ভালোবাসার বাস চেতনায় না অন্ধকারে?
- দুই খানেতেই
- আচ্ছা মুশকিল। একটা কিছু ঠিক করে তো বলো। সত্যটা তবে কই?
- দুই খানেতেই
কি করে জানবে বলো?
খবরের কাগজে কি সব খবর লেখে বলো?
এত যে তোমরা কেন রাতদিন খবরের কাগজ পড়ো, বুঝি না বাপু!
এই তো আজ সকালে স্কুলে যাচ্ছি
বাপির বাইকে চড়ে
দেখলাম কালো কুকুরের বাচ্চাটার একটা পা রয়েছে ভেঙে
লেংচে লেংচে চলছে
লিখেছে তোমাদের কাগজে?
কোন ভয়টা বেশি?
যা বলার ছিল
বললাম না
তুমিও বললে না
কথা শেষ হল
অসম্পূর্ণ কথাগুলো
জালে আটকানো পোকার মত
দপদপ ছটফট করছে
বুক মাথা জুড়ে
উড়তে চাইছে, বাঁচতে চাইছে
ভয় পাচ্ছ
তুমিও
আমিও
কোন ভয়টা বেশি ?
উড়ে এসে ঠোঁটে বসার?
না মৃত হয়ে বুকে চেপে থাকার?
যা চাই
সবাই কি বিচিত্র বিচ্ছিরি একটা খেলা খেলছে
পাইয়ে দেওয়ার
সবাই অনেক কিছু দিতে চাইছে
রাস্তা, আলো, জল, টাকা, সুখ
এ সব তো চাই আমরা
কিন্তু কেউ ওদেরকে গিয়ে বলুক
আমরা শুধু এইগুলোই চাই না
আমরা চাই যাকে শাসনের ভার দিয়েছি
সে বাধ্য হোক শুধু নিজের বিবেকের কাছে
আমরা চাই আস্থা রাখতে
শিক্ষা স্বাস্থ্য বিচার ব্যবস্থায়
চুপ করে গেলাম
নিশ্চিন্ত একটা জীবন।
ঈশ্বর। গুরু। ধর্ম। অর্থ। আইনকানুন। বিনোদন।
কেউ দিতে পারল কই?
বরং আরো গোলমাল করে দিল সব,
আরো জটিল।
সব শেষে মন জিজ্ঞাসা করল
আসলে কি চাইছিলে?
কিসের জন্য এত দৌড়াদৌড়ি?
বললাম, নিশ্চিন্ত জীবন।
আমি যে দেখতে শিখিনি
দুয়ার তো আমারও ঘরের ভেঙেছে
ঝড়ের রাতে
রবীন্দ্রনাথ
আমারও ঘরের আলো নিভেছে
হয়েছে সব কালো
রবীন্দ্রনাথ
ও খিদে পেলেই খাবে
ও খেতে ইচ্ছা হলে আপনিই খাবে...
আমায় স্পষ্ট করে কেউ বলেনি
তার থেকেও আমি নাকি অনেকবার হেরেছি
কিন্তু কেউ স্পষ্ট করে বলেনি আমায়
আসলে লড়াইটা আমার ঠিক কার সঙ্গে ছিল
...
সে কে?
বললাম, যে সমস্তকে নিরাশাময় করে তুলল কি এক আশায়, সে কে? সমস্তকে অর্থহীনতার অর্থে যে জানল, সেই বা কে?
সে বলল, তবু আমি শূন্যবাদী।
...
তাই
যে তুমি
ভিখারি আর বাউলের পার্থক্য বোঝো না?
এমনও হয়
নিজের রচিত শব্দের অভিনয়ে
...
এমনও তো নয়
তোমার চোখের দিকে
সরাসরি
এমন কোনো কথা বলব না
যা দরকারি
কিম্বা অদরকারি
...
আদতে
আদতে তো বিশ্বাস
নইলে উকুন কৃমিও তো
কত কাছাকাছি থাকে
তা যদি না হয়
...
Easily
প্রতিধ্বনি
স্রোত কিছু বলবে না। ...
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য
তুমি ডাকোনি
আমি নিজেই এসেছিলাম
ক্রমশ নিজেকে
তোমার অভ্যাস করে ফেললাম
আমারও অভ্যাস তৈরি হল
তোমার উপেক্ষা ছাপিয়ে
ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকার
তুমি বলোনি
আমি নিজেই ফিরে এলাম
তুমি বললে
আমি অকৃতজ্ঞ
কেউ যদি কথা না বলে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে দীর্ঘশ্বাসের নিম্নচাপ জমে
হঠাৎ একদিন
ওঠে ঝড়
অন্ধরা দেখতে শুরু করে
পঙ্গুরা হাঁটতে শুরু করে
বোবারা স্বরবর্ণে শ্বাস ভরে
ঠেলা দেয় ব্যঞ্জনবর্ণে
কালের চাকা ঘোরে
কেউ যদি কথা না বলে
তবে কাল সাগরে নিম্নচাপ জমে
রাগলে পরে
হঠাৎ তিনি এমন গেলেন ক্ষেপে
যদিও ক্ষেপার কারণ ছিল মস্ত
যেন পাগলা হাতি ঢুকেছে জঙ্গলে
গাছপালা সব হয়ে আছে তটস্থ
রাগলে বাড়ে রক্তচাপ মেলা
অ্যাড্রিনালিন হরমোন বলে, হুররে
বুদ্ধিবিবেক হঠাৎ লোডশেডিং
চিত্ত বলে, ওরে কে কোথা আছিস রে!
অহিংসা
ভালোবাসায় অহিংসা মানে
ঈর্ষা না করে
ভয় না পেয়ে
একটু মনে রাখা
ভালোবাসা হারিয়ে যায় না,
ভালোবাসার মানুষটা হাত ছেড়ে গেলেও,
দ্বিধাহীন হৃদয় নিয়ে তবু বলতে পারা -
ভালো হোক
ফিরতে চাইব না
চোখ বন্ধ করলে
একটা পাহাড়ি পাখি
ডেকেই চলেছে মাথার মধ্যে
কুয়াশা কুয়াশা
সবুজ একটা গ্রাম
নির্জনতা
এই রাস্তাঘাট, ঘর, ছাদ
দরজা, জানলা
রান্নাঘর, বাথরুম
মোবাইল, ল্যাপটপ রেখে
বাইরে কোথাও
যেখানে আত্মপরিচয়
ক্ষয়িষ্ণু যাযাবর
মন্থন
মানুষ আগুনকে জেনেছে
রান্না করেছে
ঘর গ্রাম জ্বালিয়েছে
মানুষ বুদ্ধিকে জেনেছে
সত্যকে পেয়েছে
মিথ্যাকে জানিয়েছে যুক্তিতে