Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

গোধূলী

সারা আকাশ জুড়ে রঙের কৌট
উল্টে ফেলে গেছে কোন দামাল ছেলে।

হলুদ, কমলা, লাল, ধূষর রঙের ছড়াছড়ি।
...

গাছ মেঘ আর মরুভূমি

চারাগাছটা মরুভূমি পেল।
নদী না, পুকুর না, খাল-বিল কিছুই না,
শুধু মরুভূমি পেল।
চোখ মেলে দেখল চারিদিকে শুধু বালি আর বালি।
মাথার উপর গনগনে সূর্য্য।
বালি কাঁটাগাছ নুড়ি পোকা সবাই অপেক্ষায় থাকল
...

গণতন্ত্র

আজ প্রতিদিন না। আজ অন্যদিন। আজ এ বলবে, "খবরদার!" সে বলবে, "তবে রে!"
একজন বলবে, "ওঠো" অন্যজন বলবে, "বসো"। ঘরে থাকলে এ কূলের গোঁসা, বাইরে গেলে সে কূলের! যাই কোথা?

গোড়া থেকেই

অবসাদ মৃত্যুকে কাছে ডাকে তাকে পরিত্রাতা ভেবে
তাতে কি সত্যিই হয় কিছু?
অকারণে অসময়ে যাওয়ার কথা ভাবব নাকি
সব কিছু গোড়া থেকে উপড়ে দেব?
...

গুটিগুলো

তুমি খেলতে জানো?
জানো না! কি বোকা!

তুমি ইচ্ছা করে হারতে জানো?
...

গেল দিন

দম দেওয়া কথা বলা পুতুলগুলো
একই কথা বলে চলেছে-
সারাদিন   সারাদিন   সারাদিন।
...

গল্প না তো!

একটা ছেলে ছিল। এটা গল্প নয়।
ছেলেটার একটা হৃদয় ছিল। এটা কবিতা নয়।
ছেলেটার একটা বাড়ি ছিল। এটা উপন্যাস নয়।
ছেলেটা ভালোবাসায় বিশ্বাস করত। এটা মহাপুরুষের বাণী নয়।

হঠাৎ একদিন সব হারিয়ে গেল। এটা ইতিহাস নয়।
শুধু ছেলেটা হারালো না। এটা অলৌকিকতা নয়।
ছেলেটা এখন মাটি খুঁড়ে শিকড় খুঁজছে। এটা ভুগোল নয়।

গোসাঁই

নতুন ইংরাজী বছরের প্রথম দিন। সকাল ১১টা হবে। কাজের গতি শিথিল। ছুটির আমেজ। গোসাঁই এল। সেই সাদা ধুতি, সাদা পাঞ্জাবী, হাতে একতারা, পায়ে ক্যাম্বিসের জুতো। বয়েস পঁচাত্তরের আশেপাশে হবে। শীর্ণ, কালো দেহ। চোখ দুটোর একটা আকর্ষণ আছে। কি একটা যেন ঘোর। সামনে দাঁড়ালে মনে হয় যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বড় দীঘির পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। মনটা শান্ত হয়ে যায়।

গোলাপের রঙে প্রলাপ


ছেলেটার ফুসফুস থেকে হাওয়া বেরিয়ে ভোকাল কর্ড কাঁপিয়ে কিছু শব্দ তৈরী করছে। সন্ধ্যের নির্জন রাস্তা। শব্দগুলো হাওয়ায় ভেসে ভেসে মেয়েটার কুন্তল সরিয়ে কানের ভিতরে দিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটার হাতে ছেলেটার এক হাত। হরমোনে স্নায়ুতে আলুথালু প্রেম। ঘাম মানে প্রেম। দ্রুত শ্বাস মানে প্রেম।

গণতন্ত্র

গণতন্ত্র আবার কি? গণতন্ত্র মানে হল, গণ নির্বাচিত রাজতন্ত্র। অভিধানে যাই লেখা থাক, এটাই আমরা বুঝি। 

গাছটার গুঁড়িটায়


গাছটার গুঁড়িটায় একদিকে রোদ
একদিকে পিঁপড়ের সারি
আরেকদিকে শ্যাওলার ছোপ

গ্রীল

ঘুম থেকে উঠে রোজ গ্রীলের পাশে আসেন।
ভোরের আকাশ তখন সূর্যোদয়ের অভ্যর্থনায় ব্যস্ত।
তিনি মনে মনে বলেন, আমিও আছি।

গাছ

রমাকান্ত রাত্রের খাওয়া দাওয়া সেরে সবে ছাদে উঠেছে। রাত তখন এই পৌনে এগারোটা। মোবাইলে হেমন্ত'র গান বাজছে - 'বসে আছি পথ চেয়ে...' আহা! প্রাণটা জুড়িয়ে আসছে রমাকান্তর। ফুরফুরে হাওয়াও দিচ্ছে না সাথে! রমার খালি শ্যামার মুখটা মনে আসছে। তার স্ত্রী। তাকে ভবানীপুরের বাড়িটায় রেখে আসতে হল। তা হবে না ছেলেটার মাধ্যমিক যে!

গভীর ক'টা শব্দ

গভীর ক'টা শব্দ
  বুকে নোঙর গেঁথে ছিল
সন্ধ্যাকাশ মন রাঙিয়ে
     তারে ভাসিয়ে দিয়ে গেল

(ছবিঃ প্রীতম পাল)

গভীর নিস্তব্ধতায়

গভীর নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে আমরা দুজন
নিজেদের প্রতিটা শ্বাস চেনা,
জানা প্রতিটা শিরায় রক্তের গতির বেগ
তবু হাতটা ছোঁয়ার আগেই মিলিয়ে যাবে জানি
    আমার অতৃপ্ত মন, আমার চিরযাত্রী মন
এসো খানিক দাঁড়িয়ে খুঁজি তারার গতিপথ
    দেখো তো মেলে কি আমাদের সাথে?

 

গুণমুগ্ধ

"ভীষণ সুন্দর গাইলেন, কি তান! কি মীড়ের মূর্ছনা!"

গায়ক প্রফুল্ল হলেন। গর্বিত দৃষ্টিতে চাইলেন প্রশংসকের দিকে।

গায়ত্রী চক্রবর্তী

গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। প্রতিবারই ধাক্কা দেন। বইতে, আলোচনায়, সাক্ষাৎকারে, ভাষণে। চিন্তার ধারাটা ছিন্ন হয়, নয় তো জেগে ওঠে। গায়ত্রী ভাবিয়ে চলেন। ঝাঁকিয়ে চলেন। জ্ঞানতত্ত্

গুরুগাঁও

আসলে তো বর্বরতা কোনোদিন যায় না। যাবেও না। 
কবি তাও কোনো এক কাল্পনিক রক্ষাকর্তাকে পেয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্রের সভায়
আজ জন্মালে সে কল্পনাও হত কল্পনাতীত

গুন্তেরের শীতকাল

বইয়ের নাম - গুন্তেরের শীতকাল। লেখক - খুয়ান মানুয়েল মার্কোস। অনুবাদক - Jaya Choudhury। প্রকাশক - এমব্যাসি অব প্যারাগুয়ে, বেস্টবুকস। 

গেরুয়া বিলাসিতা

গেরুয়া বিলাসিতা। অবসরের ধর্মক্লাব - ইতি-উতি মঠ মিশন-আশ্রম। ঈশ্বরের মত অনেক ঈশ্বরের পাথুরে মূর্তি। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের পূণ্যযাপন। ঈশ্বর খোঁজা খোঁজা খেলা। আগাম সিক্যুরিটি ডিপোজিটের ব্যবস্থা। 

গোপাল

শরীরটা গ্রাম গ্রাম, তার মধ্যে কব্জা করতে চাইছে শহুরে আত্মা। কলকাতা থেকে বেশ কিছুটা দূরের একটা গ্রাম। এতটা দূরেরও নয় যে কলকাতা বিদেশ, আবার এতটা কাছেও নয় যে কলকাতার শ্বাস-প্রশ্বাসের আঁচ লাগে। আঁচটা না লাগলেও তাপটা লাগে। 

গরহাজির

আজ সারাটা দিন হোক আমায় ছাড়া,
ডেকো না,
আমার অলস ভোরের বিছানা ছাড়ছে না গতকাল।

গ্রে জোন

ফুঁ দিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, উনুন নিভিয়ে দেওয়ার পর লোকটা মুখ ফুলিয়ে, গাল ফুলিয়ে তৈরি হতে লাগল...

গল্প গল্প

মানুষটা সেই কিশোরবেলায় কাকে যেন ভালোবেসেছিল। কাকে সে আমি বলতে পারব না। তবে শুনেছি, সে নাকি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। অন্য কারোর সাথে ঘর বেঁধেছিল।

গোলটা কিসের?

তারাখসা তো একটা আধটা দেখলাম না,
            তবু তারার সংখ্যা কম লাগেনি কোনোদিন

অগণ্য জীবের প্রাণবায়ু দিতে দিতে বাতাস রিক্ত হয়নি
            শ্বাসরোধে মরেনি কেউ

গল্প গল্প

উপেনবাবুর ডাক্তারী করতে যত না ভালো লাগে, তার চাইতে ঢের বেশি ভালো লাগে নিজেকে ডাক্তার ভাবতে। হাসনাবাদের থেকে আরো ভিতরের দিকে এগোলে এই কেতুগ্রাম। অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার বলতে এই উপেনবাবুই। বাবা ছিলেন কবিরাজ। বিশাল নামডাক।
...

গ্যাদারিং

 উৎসবে হাসিমুখ রাখা কতটা সোজা। সবাই হাসছে। চোখে-মুখে হাসি ঠিকরে পড়ছে। সাজ-পোশাক বলে দিচ্ছে, কি অসম্ভব খুশী আমরা। পরিপূর্ণ আমরা। ক্ষোভ? ফুঃ! ওসব ফু দিয়ে ওড়াই আমরা।
...

গুরু মানে খুব বড় কথা

গুরু মানে খুব বড় কথা। খুব বড় কথা। মানে আর কি ভীষণ বড় কথা। উফ বোঝাতে পারছি না, মানে আরকি আরো আরো আরো বড় কথা। বুঝছেন আপনারা, কি গো?

গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন

হঠাৎ জানলাম গুরু নানক কলকাতায় এসেছিলেন। ছিলেন বেশ কিছুদিন। ব্যস্ত বর্ষাস্নাত কলকাতার বুকে একটা শান্ত পূতস্মৃতি সমাহিত স্থানে রইলাম কিছুক্ষণ। একজন পাঞ্জাবী ভদ্রলোক এসে বললেন, উপরে লঙ্গরখানাতে খেয়ে নিন কিছু।

গুরু - নেতা - শিক্ষক

সক্রেটিস নেতা ছিলেন, না গুরু ছিলেন, না শিক্ষক ছিলেন? সক্রেটিসের কোনো ধ্যানের মন্ত্র আছে? পূজাপদ্ধতি?

গন্ধ

        এক হাতে সাইকেলের হ্যাণ্ডল, আরেক হাতে দুধের ক্যান, ঢাকনা শক্ত করে আঁটা, সন্ধ্যাবেলা রোজ রেললাইনের ধার দিয়ে দিয়ে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায়, সাবধানে সাইকেলে প্যাডেল করতে করতে বাড়ির দিকে এগোন, শীতকালে মাফলার-টুপি-সোয়েটার, গরমকালে ফতুয়া, বর্ষাকালে বর্ষাতি গায়ে। 

গ্রামে আর কোনো বিপদ নেই

 সারারাত পেটের যন্ত্রণা। গায়ে জ্বর। ফণীর বউ পাশে ঘুমিয়ে। ফণীর বাড়ির বারান্দায় এখনও প্যাণ্ডেল খোলা হয়নি। মেয়েটার বাৎসরিক কাজ ছিল। নাইনে পড়ত। যে ছেলেটাকে ভালোবাসত সে ছেড়ে গেল, মেয়েটা মায়ের নতুন কেনা শাড়ি পাখাটায় লাগিয়ে ঝুলে গেল। পাখাটা বদলে নিতে বলেছিল পাড়ার পুরোহিত। বদলায়নি, বেচে দিল হাফ দামে, ফণীর মামা কিনে নিল। এক বছর হল বাড়িতে পাখা নেই। 

গালিবও সাক্ষী

যুদ্ধ আর প্রেম
       আমন্ত্রণের সৌজন্যের অপেক্ষা রাখে না

    শতাব্দী সাক্ষী

পার্থক্য শুধু - 
ধ্বংস করার 
      আর ধ্বংস হওয়ার সুখে

গো-সঙ্গ

 ব্যায়াম করা যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, এই নিয়ে কোনো সন্দেহ কোনোদিন ছিল না পরাশর কবিরাজের। কিন্তু মুশকিল হল আজকাল ব্যায়াম করতে গেলেই ঘুম পায়। আর ঘুম পেলেই স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে ঘুম ভেঙে যায়, বেজায় খিদে পায়, বেশি খেয়ে ফেলেন, আর ওজন বেড়ে যায়।