Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

অভিমান

বুকের মধ্যে একফালি হৃদয়
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে,
অভিমানের সুরে জিজ্ঞাসা করল-
...

অহল্যা

তোর সাথে যখন কথা বলি
তখন কথার তলার কথা গুলোও বাইরে বেরিয়ে আসে
যাদের অনেককেই আমি চিনি না
...

অঙ্গীকার

আমার হৃৎকমলে অনেক ফুলের রেণু।
তাদের আদরে অভিমানে ক্ষমায়
সমৃদ্ধ আমার প্রাণ, আমার প্রেম।
আমার হাসি কান্না কবিতা নীরবতায়

অভিসার

ছন্দপতন ঘটেছে তো অনেকবার
বেহায়ার মত ঘুরেছি এ পাড়া ও পাড়া,
চেনা গলি খুঁজে ফিরেছি বিস্তর।
ক্লান্ত হয়ে পাঁচ মাথার মোড়ে বসেছি।

অভিব্যক্তি?

কত প্রাচীন যুগে মানুষ দেহকে আবৃত করেছিল
পশুচর্মে
তার নাম ছিল নিয়েণ্ডারথাল
হাজার হাজার বছর আগের কথা,

অবুঝ

তোমার আসার পথে আলো ধরিনি,
অভিমান করেছিলে।
আমি জানতাম তুমি না বুঝে এসেছ।
...

অসময়ে

আমি কি হঠাৎ মরে যাব?
নাকি রোগে ভুগে?
অসময়ে, নাকি বৃদ্ধ হয়ে?
কেউই জানি না আগে থাকতে।
...

অঙ্ক

ছোট বেলায় অনেক অঙ্কই মেলাতে পারতাম না,
বকা খেতাম, লজ্জা করত।
...

অর্থ

বাঁচার জন্য পয়সা লাগে,
লাগেই তো।
তাই তো কবীর তাঁত বুনেছেন,
যীশু, চৈতন্য, বুদ্ধ ভিক্ষা করেছেন।
...

অলস দুপুর

জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে,
বর্ষার দুপুর।
সামনের নারকেল গাছে একটা ঘুঘুপাখি এসে বসল।
পুরো ভিজে আছে।
...

অন্তত

মিথ্যা মিলের চেয়ে সত্যি অমিল ভাল,
তাতে পাশাপাশি হাঁটা যায় অন্তত
হাতে হাত না রেখেও।
মিথ্যা প্রসংশার চেয়ে সত্যি নিন্দে অনেক বেশি স্বস্তির
অন্তত ধোঁয়াশায় জ্বালা করে না চোখ।
...

অপূর্ণ

লোকটা দূরের দিকে তাকিয়ে চলত।
দেখল না পায়ের কাছেই ম্যানহোল ছিল।
সারা বছর শীতের পোষাক জমাল।
বুঝল না শীত পার হয়ে বসন্তও বিদায়ের পথে।

অভিমান

আমার অভিমানগুলো সরিয়ে দাও।
আমি যেদিকে তাকাইনি কোনদিন
সে দিকেও ফিরব।
যে গান শুনিনি অবজ্ঞায়
সে গান শুনব আজ, তুমি আবার গাও।
...

অপরূপ রুপ

স্নানে গেছেন কমলাক্ষ। তিনি ভাস্কর। গ্রামের প্রান্তে ছোট একটা কুটিরে তাঁর কর্মশালা।

অতীত ও বর্তমান

যাবার কথা অনেক আগেই জানতাম।
প্রস্তুতও ছিলাম।

অনুশাসন

যে ভালোবাসায় শাসন নেই, শুধুই প্রশ্রয় আছে, সে ভালোবাসা খাঁটি না। সুদিনে তাতে লাগাম ছাড়া আমোদ চলতে পারে কিন্তু দুর্দিনে তাতে নির্ভর করা যায় না।
 
তাই প্রার্থনা করলেই যে মিলবে তা না। তাঁর প্রেম ভেজাল না। তাতে স্নেহের সাথে শাসনও আছে। প্রথমটি দু'হাত পেতে নেওয়ার আগে, দ্বিতীয়টির কাছে মাথা নীচু করতে শিখতে হয়। তখনই সে স্নেহ ধারণের অধিকার জন্মায়।

অনিকেত

সন্ধ্যাকাশের দিকে তাকালাম
সব তারা যে যার জায়গায় ফুটে


মাটিতে চোখ নামালাম,
গাছগুলো যে যার জায়গায় দাঁড়িয়ে
পাতাগুলো সাজানো ডালে ডালে

পাখিগুলো নীড়ে ঘুমন্ত,
পোকারা গর্তে।

যে যার স্থানে
      নিজের মত, নিশ্চিত।

আমার স্থান কোথায়?
কোন ঘরে, কার কাছে?

অকৃতজ্ঞ

আমায় ধাক্কা দিতে দিতে
            ধাক্কা দিতে দিতে
              খাদের ধারে নিয়ে আসলে।

আমি ঝাঁপ দিলাম না।

বললে, অকৃতজ্ঞ।

অ্যা-পলিটিক্যাল

আচ্ছা আপনাদের কি কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই! আমি বিজ্ঞানী মহাশয়দের বলছি। দু'দিন ধরেই ভয় দেখিয়ে চলেছেন – কলকাতার নীচ দিয়ে এমন একখানা পাত গেছে নাকি যে, তা একবার নড়েচড়ে বসলেই সব হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে। আজ আবার আরেকদল বিজ্ঞানী বলছেন, উঁহু শুধু তা তো নয়!

অ্যালপ্রাজোলাম

দাঁড়ান। ও কি! অত জোরে জোরে পা ফেলছেন কেন? এত জোরে জোরে কেউ শ্বাস নেয়? আরে অত তড়বড় করে কি বলে ফেলছেন কিছু খেয়াল আছে?
      বুঝেছি আপনার অসুবিধাটা কোথায়। সকাল থেকে একটাও অ্যালপ্রাজোলাম পড়েনি বুঝি?

অবলুপ্ত হোয়ো না

যাকে ভালোবাসো
তাকে তার কক্ষপথের থেকে সরিও না
তাকে ভালোবাসতে গিয়ে
নিজের কক্ষপথে থেকেও সরে যেও না

গতি কমিয়ে বাড়িয়ে
চলার ছন্দ মেলাও
পথ হারিও না।

হয় পাশাপাশি চলবে, না হয় দূরে দূরে
তবু, পথ হারিয়ে অবলুপ্ত হোয়ো না।

অন্য বসন্তে

মনে ভাবছি কিসের এ ব্যাথা?
যে গেছে চলে, তার?
না যে আসেনি আজও তার?
নাকি যে এসেও আসেনি, তার?

ভ্রমর বলল, সে আছে
এ বসন্তে না, সে অন্য বসন্তে আছে

আমি বললাম, আছে!
তবে কি সে জানে
প্রতি বর্ষাকালে
যখন নদীর বুক ওথাল পাথাল
আমি ডুবিয়ে পা হাঁটু অবধি জলে
তীরে বসে নৌকা ভাসাই
পায় কি সে তার কূলে?

ভ্রমর বলল, পায় পায় পায়

অঞ্জলি


আমি তোমারই প্রতিধ্বনি
তোমার দানই দিই ফিরে তোমায়
সেই আমার অঞ্জলি

অরূপ


রূপ নেই, অস্তিত্ব আছে
বাঁধন নেই, প্রেম আছে
তাপ নেই, জ্যোতি আছে
দাবী নেই, প্রকাশ আছে

অন্ধকারের আলোয়

সারাক্ষণ আলোর দিকে তাকিয়ে থাকো
যেখানে আলো নেই সেখানে আমি
আমায় দেখবে কি করে?
তুমি হাত বাড়াও শুধু, আমি ধরে নেব
আমি অন্ধকারেও দেখি
অন্ধকারেরও একটা আলো থাকে
যে আলোতে থাকে সে টের পায় না

অভিযোগ


আমার অন্যমনস্কতাকে উদাসীনতা ভাবলে
ভাবলে তোমায় দিচ্ছি ফাঁকি এড়িয়ে গিয়ে
ভুল করছ
আমি ফাঁকিতে পড়েছি চিরটাকাল
ফাঁকি দিই নি কখনো
এড়িয়ে গেছি অভিযোগের পরামর্শ সাবধানে, উপেক্ষায়
নিজের সাথেই খেলেছি বাঘবন্দি খেলা
তবু অন্যের অভিযোগ থেকে পারিনি বাঁচতে
এই ভাল,
না হয় অভিযোগেই থাক যোগাযোগের সাঁকো

অনর্থক

বিশ্বাস না হয়
কানে আঙুল দাও
দুচোখ ঢাকো হাতে
পায়ে শিকল লাগাও

দেখো, তবু তোমার হৃদয় চলছে
তুমি বেঁচে আছো আজও, এখনও
            বিশ্বাস করো!

অগম্য

সে ভাবে পারলাম কই ছুঁতে?
গভীরের কথা গভীর নাভিকেন্দ্রে
সারাটা বিশ্ব তাকে আড়াল করে
কুয়াশার চাদরে ঢেকে
...

অনেকটা পথ

অনেকটা পথ-
কিছুটা প্রান্তর থাকবে, হাল্কা হাওয়া নিয়ে
কিছুটা সমুদ্র থাকবে, ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে
...

অতীত

একটা দমকা হাওয়া লেগে কটা পুরোনো
দরজা খুলে গেল হঠাৎ
ভিতরে গেলাম। একটা আলপিনও
...

অভাব

অভাব শুধু মানুষের জন্য না

অভাব আছে আরো-

এক জঙ্গল সবুজের জন্য
...

অ্যাঁ!

অতনু স্টেশানে নামল যখন তখন রাত ১.২০। যদিও মে মাস, তবু এত রাতে এই মফঃস্বলে রিকশা পাওয়ার প্রশ্নই নেই। সে প্রতি শনিবার করে বাড়ি ফেরে। কলকাতার মেসে থেকে MA পড়ছে। এত রাত হয় না সাধারণত। আজ একটা বন্ধুর দিদির বিয়েবাড়ি সেরে আসতে হয়েছে বলেই শিয়ালদহ থেকে লাস্ট ট্রেনটা ধরতে হয়েছে।
...

অন্য লোক

কখনো কখনো নিজেকে অন্য লোক মনে হয়,
খুব অচেনা
মনে হয় কোনো গভীর জঙ্গলে একা চলে এসেছি,
আমার পাশের মানুষগুলোর সাথেও যেন
...

অতৃপ্তি

যার অভিযোগ রাম শ্যাম যদু মধুর ওপর
তাকে নিয়ে তবু চলা যায়।
...

অভিযোগ

আমার চলা ফেরা এখন সংকীর্ণ গলিপথে,
আমার চারিদিকে ঘিরে
   অভিযোগের মস্ত মস্ত পাঁচিল