রোজকার কথা
ভিক্ষা করছিল-
আমি তখন ট্রেনে জানলার ধারে
রাতের ট্রেন
...
রেসের ঘোড়া
তোমার থামতে নেই।
যুদ্ধের নও, দূতের নও,
কোন শৌখিন মালিকেরও নও,
তুমি রেসের ঘোড়া।
...
রূপান্তর
শরীরকে স্পর্শ করে হল উত্তেজিত।
রূপ
আমার দুঃখগুলো কান্নাগুলো জমিয়ে
তোমার একটা রূপ গড়েছি
এখন সে রূপেই আমার সুখ
রাজপথ
এ গলি সে গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
মনে হয়েছে, এই গলিটাই বুঝি রাজপথ!
...
রঙ
আগে তোমার চলতে ফিরতে কত রঙ ছলকাতো চারিপাশে,
আমি কুড়িয়ে কুড়িয়ে রাখতাম
...
রাস পূর্ণিমা
...
রাত্রি এসে যেথায় মেশে
রাস্তার পাশে
রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন
রাস
রক্তবীজ বিশ্বাস
যে পিঠে ছুরি মারবে বলে
রোজ রাতে ছুরিতে শাণ দেয়
সে দিনের বেলায় মাঝে মাঝে
আমার গালে চুমু খেয়ে যায়
তার পিঠের চোখে রাখি চোখ
দেখি প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস
কালের প্রবাহে বইছে চোরাস্রোতে
তবু ভেসে আছে রক্তবীজ বিশ্বাস
রাত
সব রাত সমান নয়
কিছু রাত ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে
বুকের উপর স্লেট পেনসিল নিয়ে বসে
কিছু না মেলা হিসাব মেলাবার জেদ ধরে,
মেলে কি?
সারারাত হিজিবিজি কেটে
ভোরের বেলা ক্লান্ত দেহে যায় ফিরে
রেখে যায় কিছু বিষন্ন চকের দাগ
না ঘুমানো আরক্ত চোখের কোণে
রামধনু
একবিন্দু জল,
মেঘের বুক থেকে
সাগরের বুকে পড়ল
বলল, আমি এখানে কেন?
সাগর বলল, বুঝবে মেঘ হলে,
এই বলে সে
একরাশ বাস্প উড়িয়ে হাসল
সূর্যের কিরণ পড়ল সে মেঘে
রামধনু দিয়ে আকাশ সাগরকে বাঁধল
রহস্য
ইতিহাসে পড়েছিলাম, সেই আদিম যুগে, মানুষ - বিদ্যুৎ, ঝড়, বন্যা এইসব ঘটনায় ভাবত দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। তাই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান করে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করত। সেই থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী দেব-দেবীদের নামকরণ ও দায়িত্ব নির্ধারণের একটা কল্প-গল্প মানুষের মনে তৈরী হয়েছিল। বলা বাহুল্য বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সে ধারণা পাল্টাল।
রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে
রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে
সময়ের পথে
মাইলস্টোন হয়ে থাকবে
যে যাওয়ার সে যায়-ই
স্রোতের বাধা তৈরী করলে
তোমাতে ঠেকে
শুধু নতুন একটা বাঁকের জন্ম হবে
রোজ রাতেই
রোজ রাতেই আমরা
একই আকাশ, একই তারা, একই স্বপ্ন দেখি
তবু সারাদিন রোজ
কত না যত্নে নিজেদের নিরাপদ দূরত্ব রাখি
রাস্তা পেরোলে
রাস্তা পেরোলে
খুব কি হল পার্থক্য?
আগে যেদিকে ছিলে?
রাজনন্দিনী
কে ভুল বলল?
আমি?
উঁহু, কক্ষণো না, কদাপি না
তুমি তুমি তুমি
মিথ্যার ঢেঁকি
ফলে কি আর গাছে?
কি প্রমাণ?
আছে আছে আছে
সেদিন তুমি যাচ্ছ পাহাড়পথে
চারদিক নাকি সবুজ সবুজ সবুজ
শীতের ছিল সকাল সেটা
কুয়াশা নাকি অবুঝ অবুঝ অবুঝ
রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে সুগত বসু
গতকাল সুগত বসুর ভাষণে রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ আসল। বলা হল - সেভাবে দেখলে nationalism নামক গ্রন্থে তিনি যা বলেছেন তাতে নাকি বর্তমান অবস্থায় তাঁকেও anti-nationalist বলা চলত।
রীতি - নীতি - ধর্ম
মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটায় না কে? গায়ের রঙ, বিত্তের পরিমাণ, ভৌগলিক সীমারেখা, রাজনৈতিক অবস্থান, মেধার সুক্ষ্মতা, স্মৃতির আয়ুষ্কাল, আরো আরো কত কি... এত হিসাব কে রাখছে? তবে আর ধর্মের নামে একা দোষ চাপানো কেন?
রাজার খোঁজে
রাস্তাটা পেরিয়ে
রামকৃষ্ণ - বিশ্ব পাঠশালা
রবীন্দ্রনাথ ও নোম চোমস্কি – তখন ও এখন
রসাঞ্জন
বহুবার দেখেছি। পরখ করার মত করে দেখেছি।
আমার উঠোনে, শোয়ার ঘরে, দেওয়ালে, দেবালয়ে
তার অবাধ যাতায়াত
...
রবীন্দ্রনাথ
আমি আমার বইয়ের তাক, আলমারি, টেবিল, ড্রয়ার ইত্যাদি সাম্ভাব্য যতগুলো স্থানে-অস্থানে বই রাখি, দাঁড়ালাম, ভাবলাম - কোন বইটা দিই। কোন বইটা দিয়ে শুরু করি? হল না।
...
রঙচটা দেবী
...
রজঃস্বলা
এর বিরুদ্ধে একজন গর্জিয়েছিলেন। বহু আগে। আমি ঋতুচক্রের উপর বিভিন্ন ধর্মের মনোভাব পড়ছিলাম। ক্রিশ্চিয়ানিটি, হিন্দুধর্ম, ইসলাম সবার মতে অশুচি। চমকে উঠলাম গুরুনানকের দৃষ্টিভঙ্গি পড়ে। অনুগ্রহ করে পড়ুন। আর এই প্রথাটা ভাঙতে শুরু করুন আজ থেকেই। নিজের বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে অন্ধকার জমতে না দিলে বাইরেও জমতে পারবে না।
...
রজনী
রজনীর গায়ের রঙ কালো। বিয়ের সময় একেবারে ছিপছিপে গড়ন ছিল। লোকে বলত কেউটে। তার চোখে, চলনে নাকি বিষ। অবশ্য বিষ ছিল বলেই বাপটা মরার পর গ্রামে টিকতে পেরেছিল। নইলে ছিঁড়ে খেত তাকে শকুনের দল।
...
রাত অনেক হল
না তুমি আসবে
না তো আসবে ঘুম
...
রামকৃষ্ণদেবের ছবি
...
রামধনু
...
রাগ
রাগ হতেই পারে। সে রাগের ন্যায্য কারণ থাকুক চাই না থাকুক। যদিও সব রাগেরই ন্যায্য কারণ নাকি সব সময় থাকে। রাগ মানে কি অসন্তোষ? তা তো নয়। আবার 'তা তো হয়' বললেই বা আপত্তি কি? রাগ মানে কি ক্ষোভ? রাগ মানে কি হতাশা? রাগ মানে কি অভিমান? রাগ মানে তবে ক্রোধ? রাগ মানে তবে অভিযোগ?
রক্তবাহ
রাস্তাটা ক্রমশ ছোটো হতে শুরু করেছে। সামনের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না প্রায়। তবু হাতড়াতে হাতড়াতে মানুষটা এগোচ্ছে। আচমকাই রাস্তাটার মাঝখান থেকে দুটো টুকরো হয়ে গিয়ে লোকটা তলিয়ে গেল।