Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

রোজকার কথা

বাচ্চাটা যখন ওর ভাইকে কোলে নিয়ে
ভিক্ষা করছিল-
আমি তখন ট্রেনে জানলার ধারে

রাতের ট্রেন

এমনিতে ট্রেনে আমার ঘুম হয় না কোনকালেই। রাতের ট্রেন। পদাতিক এক্সপ্রেস। উপরের বার্থে শুয়ে। স্লিপার ক্লাস। মে মাস, ভীষণ গরম। জেগেই আছি। বিভিন্ন রকম শব্দ কানে কন্সার্ট তৈরি করে চলেছে। রাতের ট্রেনে সব সময়ই একটা অন্য জগতের রোমাঞ্চকর অনুভূতি হত আগে আমার। ইদানীং আর হচ্ছে না।
...

রেসের ঘোড়া

মনে রেখো, তুমি রেসের ঘোড়া।
তোমার থামতে নেই।
যুদ্ধের নও, দূতের নও,
কোন শৌখিন মালিকেরও নও,
তুমি রেসের ঘোড়া।
...

রূপান্তর

প্রেম খুঁজে পেল আমায়।
শরীরকে স্পর্শ করে হল উত্তেজিত।

রূপ


আমার দুঃখগুলো কান্নাগুলো জমিয়ে
তোমার একটা রূপ গড়েছি
এখন সে রূপেই আমার সুখ

রাজপথ

অনেকদিন গলিপথে হেঁটেছি
এ গলি সে গলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
মনে হয়েছে, এই গলিটাই বুঝি রাজপথ!
...

রঙ

তুমি আজকাল রঙ আনোনা সাথে করে?
আগে তোমার চলতে ফিরতে কত রঙ ছলকাতো চারিপাশে,
আমি কুড়িয়ে কুড়িয়ে রাখতাম
...

রাস পূর্ণিমা

আচ্ছা এমন হতেও তো পারে। বহু যুগ আগে এমনি কোনো হেমন্তের সন্ধ্যায় কবি বসেছেন তাঁর কুটিরের আঙিনায়, কিছুটা অন্যমনস্ক যেন তিনি। মৃদু বাতাসে উড়ছে তাঁর উত্তীয়।
...

রাত্রি এসে যেথায় মেশে

রাত ফুরালো
তারারা ফিরে গেল নিঃশব্দে
 রাস্তার আলোগুলো
    রাতের মহাকাব্যের উপসংহার

আলোগুলো নিভে যাবে
    বুকে করে নিয়ে যাবে
নিশীথের সবটুকু রহস্য মিলিয়ে
         ঈষৎ স্পর্শ রেখে ছায়া উপচ্ছায়ায়

তার কিছু কথা শিশির জানবে
   আর জানবে কোনো নিঃসঙ্গ হৃদয়

রাস্তার পাশে

আটের দশকের কথা। তখন হাওড়ার সালকিয়ায় থাকতাম। প্রাইমারী স্কুলে যাওয়ার পথে একজন মুচীকে দেখতাম। হিন্দীভাষী

রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন


আসন্ন সন্ধ্যা। অস্তমিত রবি পশ্চিমাকাশে। চারদিক তপস্বীর মত শান্ত, বিরহীর মত উদাস। ঘর ফেরা পাখির দল ফিরে গেছে খানিক আগে। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে শেষবেলার সূর্যের সোনালী আভা। যেন পুরবী বাজছে বাতাসে বাতাসে। বাতাসের ভেজা আঁচলে যেন কান্নাভেজা সুর। 

রাস


বাঁশি বললে, এসো
আত্মা বললে, আসছি

বুদ্ধি বললে, যেও না, না হও ব্যভিচারী
হৃদয় বললে, মরণ যেখানে দোসর সেখানে ব্যাভিচার?

সমাজ বললে, আমি মিথ্যা তবে?
ব্যাকুলতা বললে, কই তুমি?

স্বামী এসে বললে, দাঁড়াও আমি আছি!
শরীর বললে, পথ ছাড় মূর্খ, ও যাক, আমি না গেলেও ও যাবে।

চাঁদ বললে, তৈরী?
প্রসাধন বললে, হ্যাঁ

রক্তবীজ বিশ্বাস


যে পিঠে ছুরি মারবে বলে
       রোজ রাতে ছুরিতে শাণ দেয়
সে দিনের বেলায় মাঝে মাঝে 
        আমার গালে চুমু খেয়ে যায়

তার পিঠের চোখে রাখি চোখ
    দেখি প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস
কালের প্রবাহে বইছে চোরাস্রোতে
   তবু ভেসে আছে রক্তবীজ বিশ্বাস

রাত


সব রাত সমান নয়
কিছু রাত ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে
বুকের উপর স্লেট পেনসিল নিয়ে বসে
কিছু না মেলা হিসাব মেলাবার জেদ ধরে,
মেলে কি?
সারারাত হিজিবিজি কেটে
ভোরের বেলা ক্লান্ত দেহে যায় ফিরে
রেখে যায় কিছু বিষন্ন চকের দাগ
       না ঘুমানো আরক্ত চোখের কোণে

রামধনু


একবিন্দু জল,
মেঘের বুক থেকে
      সাগরের বুকে পড়ল

বলল, আমি এখানে কেন?

সাগর বলল, বুঝবে মেঘ হলে, 
         এই বলে সে 
  একরাশ বাস্প উড়িয়ে হাসল

সূর্যের কিরণ পড়ল সে মেঘে
   রামধনু দিয়ে আকাশ সাগরকে বাঁধল

রহস্য

ইতিহাসে পড়েছিলাম, সেই আদিম যুগে, মানুষ - বিদ্যুৎ, ঝড়, বন্যা এইসব ঘটনায় ভাবত দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। তাই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান করে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করত। সেই থেকে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী দেব-দেবীদের নামকরণ ও দায়িত্ব নির্ধারণের একটা কল্প-গল্প মানুষের মনে তৈরী হয়েছিল। বলা বাহুল্য বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সে ধারণা পাল্টাল।
 

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে
     সময়ের পথে
         মাইলস্টোন হয়ে থাকবে
যে যাওয়ার সে যায়-ই
  স্রোতের বাধা তৈরী করলে
         তোমাতে ঠেকে
     শুধু নতুন একটা বাঁকের জন্ম হবে

 

রোজ রাতেই

রোজ রাতেই আমরা
  একই আকাশ, একই তারা, একই স্বপ্ন দেখি
তবু সারাদিন রোজ
    কত না যত্নে নিজেদের নিরাপদ দূরত্ব রাখি

রাস্তা পেরোলে

রাস্তা পেরোলে
খুব কি হল পার্থক্য?
আগে যেদিকে ছিলে?

রাজনন্দিনী

কে ভুল বলল?
আমি?
উঁহু, কক্ষণো না, কদাপি না
তুমি তুমি তুমি

মিথ্যার ঢেঁকি
ফলে কি আর গাছে?
কি প্রমাণ?
আছে আছে আছে

সেদিন তুমি যাচ্ছ পাহাড়পথে
চারদিক নাকি সবুজ সবুজ সবুজ
শীতের ছিল সকাল সেটা
কুয়াশা নাকি অবুঝ অবুঝ অবুঝ

রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে সুগত বসু

গতকাল সুগত বসুর ভাষণে রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ আসল। বলা হল - সেভাবে দেখলে nationalism নামক গ্রন্থে তিনি যা বলেছেন তাতে নাকি বর্তমান অবস্থায় তাঁকেও anti-nationalist বলা চলত।

রীতি - নীতি - ধর্ম

মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটায় না কে? গায়ের রঙ, বিত্তের পরিমাণ, ভৌগলিক সীমারেখা, রাজনৈতিক অবস্থান, মেধার সুক্ষ্মতা, স্মৃতির আয়ুষ্কাল, আরো আরো কত কি... এত হিসাব কে রাখছে? তবে আর ধর্মের নামে একা দোষ চাপানো কেন?

রাজার খোঁজে

সন্মিলিতভাবে অপমানিত বোধ করার মধ্যে একটা উত্তেজনা আছে। তাতেও 'একটা কিছু' করছি ভেবে ভীষণ আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়।

রাস্তাটা পেরিয়ে

রাস্তাটা আড়াআড়ি পেরিয়ে এসো
কখনো কখনও সময়কেও ডিঙিয়ে যেতে হয়

রামকৃষ্ণ - বিশ্ব পাঠশালা

বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ স্তোত্র লিখতে গিয়ে লিখছেন - সংশয়রাক্ষসনাশনাশমহাস্ত্রম - সংশয়রূপী রাক্ষসকে মারবার মরণাস্ত্রস্বরূপ।

রবীন্দ্রনাথ ও নোম চোমস্কি – তখন ও এখন

গত ২৫শে নভেম্বর Al Jazeera নিউজ চ্যানেল বিখ্যাত দার্শনিক, ভাষাবিদ, সমাজবিদ, ঐতিহাসিক নোম চোমস্কি মহাশয়ের একটা সাক্ষাৎকার YouTube এ দেয়। বিষয়ঃ ট্রাম্প জেতার পর ওনার প্রতিক্রিয়া। ...

রসাঞ্জন

মৃত্যুকে একবার না
বহুবার দেখেছি। পরখ করার মত করে দেখেছি। 
আমার উঠোনে, শোয়ার ঘরে, দেওয়ালে, দেবালয়ে
   তার অবাধ যাতায়াত
...

রবীন্দ্রনাথ

আমার পরম শ্রদ্ধেয় Samiran দা আমায় সাতদিনে সাতটা বই আর সাতজনকে ট্যাগ করার বললেন। এ এক মজার খেলা। অনেকেই খেলছেন। না পড়া, অজানা বহু বইয়ের সন্ধানও পাচ্ছি। 
        আমি আমার বইয়ের তাক, আলমারি, টেবিল, ড্রয়ার ইত্যাদি সাম্ভাব্য যতগুলো স্থানে-অস্থানে বই রাখি, দাঁড়ালাম, ভাবলাম - কোন বইটা দিই। কোন বইটা দিয়ে শুরু করি? হল না।
...

রঙচটা দেবী

সমাজে নিয়ম-নীতির অভাব ছিল না। ধর্ম আর ধর্মপ্রাণ মানুষেরও অভাব ছিল না। তবু মেয়েটা দুশ্চরিত্র হল। কেন কিভাবে দুশ্চরিত্র হল সে নিয়ে তো বহু শাস্ত্র, পুরাণ, সাহিত্য, কবিতা লেখা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। সে সব কথা থাক। মেয়েটা যে দুশ্চরিত্র তার পাড়া প্রতিবেশীরা জানত, বাড়ির লোক জানত, ভগবান জানত। পাপের ভয় সবাই পায়।
...

রজঃস্বলা

তুমি রজঃস্বলা। তুমি ঠাকুরঘরে যেয়ো না। তুমি কোনো পবিত্র কাজ কোরো না। তুমি অপবিত্র। তুমি অশুচি। 
        এর বিরুদ্ধে একজন গর্জিয়েছিলেন। বহু আগে। আমি ঋতুচক্রের উপর বিভিন্ন ধর্মের মনোভাব পড়ছিলাম। ক্রিশ্চিয়ানিটি, হিন্দুধর্ম, ইসলাম সবার মতে অশুচি। চমকে উঠলাম গুরুনানকের দৃষ্টিভঙ্গি পড়ে। অনুগ্রহ করে পড়ুন। আর এই প্রথাটা ভাঙতে শুরু করুন আজ থেকেই। নিজের বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে অন্ধকার জমতে না দিলে বাইরেও জমতে পারবে না। 
...

রজনী

পয়মালের জামা। রজনী নিজের শুকনো কাপড়টা তুলতে তুলতে খেয়াল করল। পয়মাল ইচ্ছা করে তার শাড়ির পাশে মেলে গেছে। রজনী আড়চোখে একবার নিত্যকে দেখে নিলো। নিত্য খেয়াল করেনি। সে ধান সিদ্ধ করতে মশগুল।
        রজনীর গায়ের রঙ কালো। বিয়ের সময় একেবারে ছিপছিপে গড়ন ছিল। লোকে বলত কেউটে। তার চোখে, চলনে নাকি বিষ। অবশ্য বিষ ছিল বলেই বাপটা মরার পর গ্রামে টিকতে পেরেছিল। নইলে ছিঁড়ে খেত তাকে শকুনের দল।
...

রাত অনেক হল

রাত অনেক হল
   না তুমি আসবে
      না তো আসবে ঘুম
...

রামকৃষ্ণদেবের ছবি

‘দেশ’ পত্রিকার এবারের সংখ্যাটা হাতে পেলাম। রামকৃষ্ণদেবের অপূর্ব একটা ছবিতে মন আটকালো। লেখাগুলো মন দিয়ে পড়লাম। প্রথম লেখাটা নিয়ে কিছু বলার নেই, অর্থাৎ মার্টিন কেম্পশেনের লেখাটা, কথামৃতের অনুবাদ সংক্রান্ত।
...

রামধনু

ছেলেটা কাদা মেখে পাড়ে উঠল। হাতে কয়েকটা শালুক ফুল। বাজারে যাবে। পরনের গামছাটা খুলে পাড়েই নিংড়ে নিল। লোকজন কেউ নেই। তার লজ্জাও কম। বয়েস বারো। বাবার সাইকেল সরানোর দোকান। মা ঠিকে ঝি। সে এক ছেলে। 
...

রাগ


রাগ হতেই পারে। সে রাগের ন্যায্য কারণ থাকুক চাই না থাকুক। যদিও সব রাগেরই ন্যায্য কারণ নাকি সব সময় থাকে। রাগ মানে কি অসন্তোষ? তা তো নয়। আবার 'তা তো হয়' বললেই বা আপত্তি কি? রাগ মানে কি ক্ষোভ? রাগ মানে কি হতাশা? রাগ মানে কি অভিমান? রাগ মানে তবে ক্রোধ? রাগ মানে তবে অভিযোগ?

রক্তবাহ


রাস্তাটা ক্রমশ ছোটো হতে শুরু করেছে। সামনের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না প্রায়। তবু হাতড়াতে হাতড়াতে মানুষটা এগোচ্ছে। আচমকাই রাস্তাটার মাঝখান থেকে দুটো টুকরো হয়ে গিয়ে লোকটা তলিয়ে গেল।