Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

লুপ্ত

ভোরের শিশির মিলাচ্ছে পদ্মের গা থেকে
ধীরে ধীরে, সূর্য্যতাপে।

পদ্ম কেঁদে বলল, "এই কি শেষ?"
...

লোভ

আমি না, আমার লোভ তোকে কে পর করেছে।
তাকে সরালে এখোনো আমি তোকে স্পষ্ট দেখি।

লজ্জা

রাস্তায় দেখলাম অন্য মহিলা
সমস্ত যৌবন, দুই স্তন আর ক্ষীণ তনু
উন্মুক্ত করে প্রকাশ্য দিবালয়ে
পাগলী?
লোকে বলে তাই

রাস্তার চারিদিকে
ছুটন্ত ব্যস্ত বেহুঁশ মানুষ

পাগলীর দুহাত জোড়া ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো
কাকে পরাবে?

ভেবেছিলাম বুদ্ধি বলবে-
কি নির্লজ্জ অবস্থা

লাল সিগন্যাল

সন্ধ্যেবেলা স্টেশানে দাঁড়িয়ে
প্ল্যাটফর্মের শেষে লাল সিগন্যালটা
                       একলা দাঁড়িয়ে
পিছনে একরাশ অন্ধকার নিয়ে

ল্যাং খেয়েছেন

ল্যাং খেয়েছেন, হোঁচট খেয়েছেন বা খাবেন খাবেন করছেন এমন বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের নানান উপলব্ধ উপদেশ শুনেছি। তার মোক্ষম কয়েকটা দিয়ে পঞ্চবাণী বানালাম। কে জানে কার কাজে লেগে যায়-
...

লক্ষ যোজন

লক্ষ যোজন পথ পেরিয়েও
  পথ জানে না সে কোথায় এলো

জানে পথিক
  সে কি হারাল আর কি পেল

লুকোচুরি

খামখেয়ালী রোদ এল ছাদের উপর
এসে বললে, সময় আছে?
বললাম, কেন? 
সে বলল, 
দাঁড়াব একটু। বসতে বললে বসতেও পারি।

আমি খেলছিলাম ছায়ার সাথে একা, লুকোচুরি।
সে কার্ণিশের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে,
       আমায় ইশারায় বলল -
        না, ওকে যেতে বলো এক্ষুণি

লক্ষণরেখা

এ চৌকাঠ আমার লক্ষণরেখা
আমার শৈশব, আমার কৈশোরকে রাখবে আড়াল
আমি জানি বাইরে সব হাত আদর করে না আজ
সব চোখে স্নেহ নেই, আশীর্বাদ নেই সব মনে আজ

বাইরেটা আজ কেন ভাঙা খেলার মত বাজে?
আমার হাঁটা চলা কেন দুদিক খেয়াল রেখে?
মায়ের চোখে এত কেন ভয় একটু দেরি হলে?

জানি না।

লাগাম

যেমন লোভের একটা চেষ্টা আছে, সেরকম চেষ্টারও একটা লোভ আছে। এই দুই এর মধ্যে সীমারেখা টানা মুশকিল। 

লোভের চেষ্টা সাধ্যের সীমা মানে না, যোগ্যতা বিচার করে না, প্রয়োজনের ধার ধারে না। বলে, "দেখিই না কি হয়"। আরো বেশি জমাতে চাওয়া, আরো সুখী হতে চাওয়ার জোরটাই বেশি তার। তবে সার কথা হল, এর একটা Object আছে। 

লাগাম ছাড়া


কিছুটা সময় পাশে থাকো অনর্থক,
বাইরে না হয় ঝরুক বর্ষা, লাগাম ছাড়া।

কিছুটা সময় আঙুলের সাথে আঙুল গড়ুক সোপান ,
বাইরে না হয় বাজ পড়ুক, 
তছনছ হোক সাজিয়ে রাখা বাগান।

কিছুটা সময় ডুবিয়ে দাও,
ঠোঁটের নির্বাক বিন্যাস ঠোঁট আঁকুক
বাইরে না হয় বন্যা নামুক 
মাঠ ঘাট সব ভাসুক।

লাল টকটকে সিঁদুর

বাজার করতে ফুটো ব্যাগ
জল আনতে ফুটো হাঁড়ি
কুটনো কুটতে ভোঁতা বঁটি
রান্না করতে বাঁকা বাসন

যে হাত দুটোতে এ সংসার-
সে হাতে দুটো সাদা ধবধবে শাঁখা
আর তাতে লাল টকটকে সিঁদুর

লুডো


রাত ক'টা হবে? একটা দেড়টা হবে। প্রশান্ত'র ঘুম ভেঙে গেল। আবার সেই শব্দটা না?

লগ্নভ্রষ্টা?

মেয়েটাকে আমি আজও চিনি। সাদা লালপেড়ে শাড়ি জড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে এ পাড়া ও পাড়া। মেয়েটার কপালে বড় লালটিপ। সিঁদুর না, সিঁদুরের মত তবু। সিঁথিতে সিঁদুর নেই। এককালে যে ছিল

লাইনটানা খাতা

ছোটবেলায় লাইনটানা কাগজে লিখতাম। খানিক বড় হতে সাদাখাতা দেওয়া হল। বলা হল, এখন থেকে এই খাতাতেই লিখতে হবে।
কি মুশকিল, লিখতে গিয়ে লাইন হয় একবার ঊর্দ্ধমুখী তো একবার নিম্নমুখী। কি অসহায় অবস্থা, লাইন কই?
ধীরে ধীরে আয়ত্তে এল। বুঝলাম মনে মনে একটা সীমারেখা টেনে নিয়েই লিখতে হবে। তবেই লাইন এদিক ওদিক হবে না।

লজ্জা যে সমাজে নেই

আজ আমার বাংলা সিরিয়ালগুলোর উপর রাগ কিছুটা কমল। আসলে খানিক দিব্যজ্ঞান পেলুম কিনা, তাই। 

লাইব্রেরী

এই সময়টায় লাইব্রেরীতে বড় কেউ একটা ঢোকে না। এখন ক'টা হবে? চারটে দশ-টশ হবে। ওই তো বলরাম হাইস্কুলের ঘন্টা পড়েনি এখনও। এখন বিলুবাবু পেপার পড়ছেন।

লোকটা

বৃদ্ধার পায়ে একটা পেরেক ফুটেছিল
     ছেঁড়া চটিটা ভেদ করে পেরেকটা ঢুকেছিল
  যেমন সব স্বপ্নগুলো ভেদ করেছে দুঃস্বপ্নেরা ...

লোকটা পুকুর ঘাটে

লোকটা পুকুর ঘাটে নাইতে যেতে পারত না, তার মনে কেমন যেন ভয়
জলে কেন তার মুখের ছায়া পড়ে? নিজের চোখে চোখ রাখতে হয়!

লোভী

ইচ্ছাগুলোর গলা টিপে
      তাদের তাজা উষ্ণ রক্ত দিয়ে
   বানাতে গিয়েছিলে নিজের স্মৃতিসৌধ

ভেবেছিলে বিশ্ববাসী প্রদীপ হাতে
  প্রতিদিন আনবে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য

লেখক ও পাঠক

মনের মধ্যে একটা নিরিবিলি ছাদ থাকে। একটা চিলেকোঠা থাকে। একটা বই সেখানে যতটা জীবন্ত একটা মানুষ ততটা নাও হতে পারে। সে চিলেকোঠা ততটা নির্জনতা, নিঃশব্দতা নয়, যতটা নিরিবিলি বা অবকাশ যাপনের তাগিদ। লেখক আর পাঠক মুখোমুখি বসে সেখানে। দু'জনেই একা।
...

লজ্জা

Shame মানে কি? লজ্জা। Shy মানে কি? লাজুক। তবে নির্লজ্জ মানে কি? Shamless না Shyless? 
        কঠিন কথা।
        "লোকটার লজ্জা নেই গা? এত টাকা মাইনে পায়, তাও এত টাকা ঘুষ নেয়!" কিম্বা "বাড়িতে বউ থাকতেও কেন পরের বউ নিয়ে এত ঢলাঢলি বুঝি না বাপু! লজ্জাও করে না?"
...

লোকটা

রাত এগারোটা প্রায়
রাস্তার উপরে হলুদ স্ট্রিট লাইটের মায়া মাখানো আলো
সার দেওয়া বাড়ি
জানলা দিয়ে গা এলিয়ে পড়া ঘরের আলো রাস্তায়
এখানে ওখানে কয়েকটা পাড়ার লালু ভুলু শুয়ে

লোকটার কাঁধে একটা কালো ব্যাগ
ওতে দোমড়ানো আজকের খবরের কাগজ
   না ধোয়া তরকারি লাগা ফাঁকা টিফিনবক্স,
আর একটুখানি অবশিষ্ট জল ছলকানো প্লাস্টিকের লম্বাটে বোতল

লোকহিত

আমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক সিলেবাসে 'লোকহিত' বলে একটি প্রবন্ধ ছিল। প্রবন্ধটা গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল সেই সময়ে। আজ জট ছাড়িয়ে দেয় অনেক সমস্যার।
প্রবন্ধটা 'সবুজ পত্র' তে ১৩২১ সালে ভাদ্র মাসে ছাপা হয়। পরে 'কালান্তর' প্রবন্ধসংগ্রহে যোগ হয়।

লাশ জমছে স্তূপাকার

        ট্রেন ছেড়েছে নাকি সময় মত। স্টেশানে থিক থিক করছে যাত্রী। কিন্তু কোন প্লাটফর্মে আসবে কেউ বলতে পারছে না। কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা নেই। গুজব উঠছে। কানাকানি চলছে। কেউ বলছে ১২তে দেবে, কেউ বলছে ৮ এ, কেউ বলছে ৩৩ এ। শোনা যাচ্ছে ট্রেনের গন্তব্য নিয়েও নাকি মত

লাল সিগন্যাল


মধ্যরাতের প্ল্যাটফর্ম
শেষ ট্রেন কখন বেরিয়ে গেছে কেউ খেয়াল করেনি
  শুধু ঝিম ধরা চোখে 
    সবুজ পতাকাটা কোনো রকমে দেখিয়ে
          ঘরে গিয়ে কাঠের বেঞ্চে শুয়ে পড়েছে সনাতন হালদার
   সামনের ডিসেম্বরে অবসর

লুকোচুরি

চাদরেও ঠাণ্ডা মানাচ্ছে না। ঠকালো? অথচ বলল, আসল কাশ্মীরি শাল নাকি। আমার এই প্রথম এইদিকে আসা। ছাপরা স্টেশান থেকে বারো কিলোমিটার দূরে একটা জঙ্গল ঘেরা স্টেশান। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।

লীলা ক্রোনোলাইজেশান

গুরু আপন মনে বিড়বিড় করছেন।
ভক্তেরা বলছেন, ইহারে কয়, ডিভাইন ডিলেরিয়াম।
গুরু হঠাৎ করে উঠে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ হয়ে নৃত্য শুরু করলেন।
...

লোকাল ট্রেন

[স্থান, লোকাল ট্রেন। দুই বক্তা পঞ্চাশোর্ধ, সচ্ছল, পুরুষ।]

- দীক্ষাটা এবার নিয়ে নেব ভাবছি
- নিয়ে ফেলুন, আমি আর আমার গিন্নী দুজনেরই তো নেওয়া আছে। ছেলেটাকেও দিয়ে দিলাম। কলেজে ভর্তি হল তো।
- তাই?
...

লিক

মাঝরাতে গায়ে খসখসে কি লাগছে? মশারিটা। মাথার ডানদিকের দড়িটা খুলে গেছে। লোকটা উঠল। দড়িটা লাগাতে লাগাতে মনে পড়ল, আজ তো সে মশারি টাঙিয়েই শোয়নি। তবে? 
...

লালিগ্রাম

    লালিগ্রামে ঝুলু আর লুলু পৌষ সংক্রান্তির দিন পঁচিশটা গরু কিনে আনল হাট থেকে। ঝুলুর চাষ গাজরের, লুলুর চাষ মূলোর। ঝুলুর গরুরা খায় গাজর, আর লুলুর গরুরা খায় মূলো। তা তাদের নাম হল গাজর-গরু আর মূলো-গরু।
...

লটারির টিকিট

      "আমার সে সামর্থ্য নেই স্যার মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াই। তবু আমি আর ওর বাবা রক্তজল করে খেটে ইংলিশ মিডিয়ামেই পড়াচ্ছি যাতে অন্তত কিছু একটা করতে পারে।
...

লোকে জানে

না খেয়ে মরে যাবে ভেবেছিল লোকটা। তা হল না।
       তিনতলা, ঘাড় বেঁকিয়ে এ মাথা ও মাথা দেখতে হয়, এমন একটা বাড়ি না বানিয়েই মরে যাবে ভেবেছিল লোকটা।
...

লালি ঘোষের সংসার

 

লালি ঘোষ, শান্ত মানুষ। রাতে ঘুম আসছে না বলে রাস্তায় পায়চারি করতে করতে পার্কের বেঞ্চে এসে বসেছে। নতুন কথা কিছু না, রোজই বসে। আজ বসেছে কারণ প্রচণ্ড পেট জ্বালা করছে। পাঁঠা হজম হচ্ছে না। কিন্তু পেট

লাল সোয়েটার

অনিকেতের লাল সোয়েটারটার দিকে চোখ পড়ল। কাছে গিয়ে প্রাইস ট্যাগটা দেখল। বাজেটের মধ্যে। একটা মেয়ে এগিয়ে এসে সোয়েটারটা অনিকেতের হাতে দিয়ে বলল, ট্রায়াল দেবেন তো?

অনিকেত মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। কিন্তু মেয়েটাকে দেখে খটকা লাগল। কোথায় যেন দেখেছে।

যা হোক, ট্রায়াল রুমে ঢুকে গায়ের জ্যাকেটটা খুলে হুকে লাগিয়ে একবার আয়নায় নিজেকে দেখল।
...