Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

ডাক


শুধু কি আমিই তাকে চাই?
সেও চায় আমায়
তাই আমি ডাকতে ভুলে গেলে
নিজেই ডাক পাঠায়

ডাক

হাত ছেড়ে গেলে
  হাতের কথাও বুঝি ভুলে যায় মানুষ?
ঝরাপাতার গান বোঝে কালবৈশাখি
  গাছের হৃৎপিণ্ডে লাগায় পক্ষীরাজের ছুট
       উদাস নৃত্যের তালে বসন্ত ফেরে
     ঝরা ফুলের পাপড়ি মাড়িয়ে,
  পথের বাঁকে বাঁকে রেখে যায়
        টুকরো কথার কোমল ছায়া

ডাক

আমায় অন্যমনস্ক করল তোমার ডাক। আমায় ভাবালো তোমার ডাক। আমায় আমার সামনে দাঁড় করালো তোমার ডাক।

ডাকব না

ডাকব না
    সাড়া দেব। অপেক্ষাতে আছি।
ভাঁটা ফিরেছে বহুক্ষণ
  নোঙর ফেলেছি জোয়ারের কাছাকাছি।

 

ড্যানিশ গার্ল

তোমার পাশের বাড়িতে আমি থাকতাম
তুমি চিনতে না আমায়
রোজ যখন তুমি বাইরে বেরোতে
তোমার গায়ের গন্ধ আমার বাড়ির বাগানে আসত
আমি চুলগুলো বিছিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম
তুমি টের পেতে না

যখন সন্ধ্যেবেলা এক আকাশ তারা
বিকালের গরম হাওয়া, বনফুলের গন্ধ-
সবাই থাকত পড়শীর মত
চাপা গলায় কথা বলত তোমার সিলিং ফ্যান
তুমি জানতে না, আমি শুনতে পাচ্ছি

ডুবলেই হল

আমার বাগানে যে জবা, টগর, নয়নতারা ফোটে
তারা নতুন কোনো ফুল নয়
নতুন করে ফুটেছে মাত্র

তাই বলতে চাইছিলাম, 
নতুন কিছু অনুভব করিনি
নতুন করে অনুভব করছি শুধু

ডানা

আমি বহুবার চেষ্টা করলাম জানো
    বহুবার।
আমার অন্তত একটা ডানা কেটে 
  তোমার তৈরি এত দামী খাঁচার সাথে
  এক্কেবারে মানিয়ে গিয়ে -

ডাকব না

ডাকব না,
সাড়া দেওয়ার অপেক্ষাতে আছি ...

ডুব

স্যুটকেসটার উপর হাতদুটো জড়ো করে বসে আছেন। চোখে কার্বন ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা। উচ্চতা পাঁচ, সাড়ে পাঁচ হবে। গালে বয়েসজনিত ভাঁজ চামড়া কুঁচকে। ফর্সা গায়ের রং। সাদা চেক চেক হাফ হাতা জামা আর কালো একটা ফরম্যাল প্যান্ট পরা। 
...

ডারউইন

      আচ্ছা চার্লস ডারউইন কি কর্মফলে বিশ্বাসী ছিলেন? না, ধরুন বুদ্ধের জাতকের গল্প উনি পড়েছিলেন কিনা তো আমরা জানি না, যদি পড়তেন, তবে কি বিবর্তন তত্ত্বের একটা নতুন দিশা পেতেন? 
        "Origin of species by means of Karma" - কি লেখা হত না? 
...

ডাক

এই তো সকাল হল
  কিছু পাখির ডাক কানে আসছে

অপ্রয়োজনের ডাক
       গভীর আনন্দ জাগিয়ে আলস্য কাটালো

ডাক


বৃষ্টি যখন লাগাতার তখন মন কিছুটা বেসামাল। একা মনে বৃষ্টি সংক্রমিত হয় তাড়াতাড়ি। ঘরবাড়ি-প্রতিবেশী-কাজ-দায়িত্ব সব অর্থহীন। অনেক দূরের।

ডালপালা

ডালপালা সরিয়ে একটা ছোটো পাখি উঁকি দিয়ে গেল। কি পাখি বলতে পারব না। ডালপালা সরিয়ে আবার বেরোবে কিনা অপেক্ষায় আছি। ডালপালা সরিয়ে খুঁজতে যেতে ভয়, যদি উড়ে যায়!
দিন গড়িয়ে বিকাল হল। সন্ধ্যা হব হব। সন্ধ্যার আকাশে ঘরে ফেরা পাখির ঢল, তা দেখতে দেখতে বিভোর হলাম। পাখির সংখ্যা গুনতে গিয়ে আঙুলের কড় হারালাম। গতিপথ বুঝতে দিক হারালাম। হঠাৎ মনে এলো ডালপালার আড়ালের পাখিটার কথা। পাখিটা কি উড়ে গেছে? ওই ঘরে ফেরা পাখিদের মধ্যে কি ছিল ও? ডালপালা সরিয়ে দেখতে ভয়, অপেক্ষায় উদ্বিগ্নতা এখন।
...

ডাক

মানুষটা ঋষিতুল্য জীবনযাপন করে ধনী হতে চাইছিল, সুখী হতে চাইছিল, নামী হতে চাইছিল। একজন রঙীন ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন প্রার্থনা করত - হে ঈশ্বর, তুমি আনন্দস্বরূপ, তুমি সুখস্বরূপ,
...

ডান হাতটা অসাড়

    সারাদিন অসহ্য গরম। ঝড়বৃষ্টির আশা নেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। রবিবারের বিকাল। বিজন একটা নীল চেকচেক লুঙ্গী পরে খালি গায়ে একটা হাত পাখা নিয়ে বারান্দায় এসে বসল।
...

ডানা মেল

প্রকোষ্ঠে অনুমান
অনুমানে নীল রঙ
...

ডিমভাত

      আমি হতচ্ছাড়ার মত গঙ্গার ধারে বসে। রীতিমত বিরক্ত লাগছে। গা চিড়বিড় করছে। কারণ এখনও বিএসএনএল অফিসে লোক আসেনি।
...

ডাক্তার জিভাগো - পাঠান্তর কথা

জিভাগোর মৃত্যুর পর যেটা পড়ে রইল সেটা ইতিহাসের কয়েকটা পাতা। জিভাগো সেই পাতাগুলোতে বেঁচে নেই, রেশ রয়ে গেছে। জিভাগো কবি। ...

ডুব

ট্রেনের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। সিগন্যাল লাল। স্টেশানে লোক নেই। দাঁড়াবার কথা নয় ট্রেনটার। পূর্ণিমার চাঁদ। রেললাইনের উপর আমগাছের ছায়া। বোলের গন্ধ নেশার মত।

ডাবল টিক্

জোড়াতালি দিয়ে কোনো জিনিসই বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যায় না। ইরার সামনে থেকে মৃত্যুনের মৃতদেহটা সরে যাওয়ার পর এই কথাটাই প্রথম মনে এসেছিল। ইরার বয়েস ছত্রিশ। মৃত্যুনের বিয়াল্লিশ। হঠাৎ মারা গেল, অসুস্থ ছিল যদিও। তবে এভাবে হঠাৎ চলে যাবে বোঝেনি কেউ।
...

ডুব

দীর্ঘদিন শিক্ষকতার জন্য কিনা জানি না, আমি দেখেছি আমি অকারণ কারোর মেজাজ নিতে পারি না। সে যেই হোক, যিনিই হোন। এই স্বভাবটা যত বয়েস বাড়ছে বেড়েই চলেছে। চিরটাকালই একা থাকতে বেশি পছন্দ করি। সাথে বন্ধুবান্ধবও পছন্দ করি। কিন্তু একটা গণ্ডী অবধি। তারপর নিজের সাথে নিজের যে সম্পর্ক, সেখানে কাউকেই পছন্দ করি না। অনেকে নিষ্ঠুর মনে করে, রূঢ় মনে করে
...

ডানার সখা

ঝড়ের নিশান মেঘ ওড়ালো
পাখিকে বলল,
   খবরদার!
  ছোট্টো শরীর হারিয়ে যাবি
...

ডোন্ট লুক আপ

যে ছেলেমেয়েগুলো ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিল,
তারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর সম্বন্ধে পড়ে এলে ভারতীয়দের শরীর বুঝতে অসুবিধা হবে না। এই বিশ্বাসেই আরো আরো দেশ থেকে আরো আরো অনেকে এসেছিল,
যারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর নিয়ে পড়লেও তাদের নিজেদের দেশে ফিরে মানুষের শরীরের চিকিৎসা করতে, মনের চিকিৎসা করতে বাধা হবে না। বিজ্ঞান একই ভাষায় কথা বলে সারা বিশ্বে। ...

ডেসিবেলি ভক্তি

স্বামীজি বলেছিলেন, ধর্মের সার চিত্তশুদ্ধি।
          এর উদাহরণ স্বামীজি হয় তো নিজেও আজীবন দেখেছেন কিনা সন্দেহ হয়। বাঙালির ধর্মের সার হল শব্দ উৎপাদন। ঢাক, ঢোল, কাঁসা, শাঁখ, খঞ্জনি, মন্ত্র, হুলুধ্বনি, আধুনিক জগতে মাইক।
          শব্দ না হলে দুর্গা, কালী, কার্তিক, জগদ্ধাত্রী, বিশ্বকর্মা যেই হোন কেন তিনি তুষ্ট হন না, এমন কথা নিশ্চয়ই কোথাও লেখা থাকবে। এত শাস্ত্র এক জীবনে পড়ে শেষ করা তো যায় না, তাই হয় তো হবে আমার পড়া হয়নি। থেকে থেকেই কোথাও নানাবিধ শব্দ উৎপন্ন হলেই বুঝি কোথাও দেবতার আগমন হয়েছে।
...

ডিপ্লোম্যাসি

- তা দেখুন, আমাদের মধ্যে একটা কসমোপলিটান, সেক্যুলার ব্যপার আছে।

- মানে কি?

- কসমোপলিটান মানে আমরা নিজেদের বিশ্বনাগরিক মনে করি। পৃথিবীর যেখানে যা কিছু ঘটে আমরা প্রতিবাদ করি। সে প্যালেস্টাইন হোক, ভিয়েতনাম হোক, আমরা সারাটা বিশ্ব আমাদের দেশ মনে করি।

ডিসটোপিয়ান স্বগতোক্তি

শুধু তুমি বা আমি না, সবাই ভাবে এইটাই শেষ সুড়ঙ্গ। এরপর ফাঁকা মাঠ। খোলা হাওয়া, উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রোদ।

    ওই যে যাকে এইমাত্র নিয়ে এলো, গায়ে হরিনামের চাদর জড়ানো, পোড়াবে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করো, ও বলবে ও ভেবেছিল এটাই শেষ সুড়ঙ্গ, মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিল সুড়ঙ্গ শেষ হওয়ার। 

ডাক্তার আঙ্কেল

কিছু থাকে আলগা মানুষ। সারাক্ষণ তাদের আলগা কথা, আলগা ভাব, আলগা ভালোবাসা, আলগা হাসি-মজা। 

    আবার কিছু মানুষ থাকে নোঙর ফেলা। তাদের কথা গভীর, ভাব গভীর। কথা শুনলে বুকে ঠং করে লাগে। ভালোবাসা হাঁটুজলেই শেষ হয়ে যায় না। 

ডাকঘর, এ যুগের ভাগবত

যখন নিজের ক্ষুদ্র বৃত্তে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে নিয়ে লড়েছি, লড়ে যাচ্ছি, সে অনুভব একরকম। আর এই যে এক লহমায় হাজার হাজার মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাওয়া, সে আর এক রকমে

ডাকো, ভড়কিও না

তুমি তো জলতরঙ্গ নও, জল। সব সময় সুরে বাজবে, এ মাথার দিব্যি কে দিল ত

ডিল

(রায়বাহাদুর ছবি বিশ্বাস, পক্ষীপ্রেমী পাহাড়ি স্যান্যাল মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ওই পাখিতে কি রোস্ট হয়….? তবে ও পাখিতে আমার আগ্রহ নেই…...