ডাক
শুধু কি আমিই তাকে চাই?
সেও চায় আমায়
তাই আমি ডাকতে ভুলে গেলে
নিজেই ডাক পাঠায়
ডাক
ডাক
আমায় অন্যমনস্ক করল তোমার ডাক। আমায় ভাবালো তোমার ডাক। আমায় আমার সামনে দাঁড় করালো তোমার ডাক।
ডাকব না
ডাকব না
সাড়া দেব। অপেক্ষাতে আছি।
ভাঁটা ফিরেছে বহুক্ষণ
নোঙর ফেলেছি জোয়ারের কাছাকাছি।
ড্যানিশ গার্ল
তোমার পাশের বাড়িতে আমি থাকতাম
তুমি চিনতে না আমায়
রোজ যখন তুমি বাইরে বেরোতে
তোমার গায়ের গন্ধ আমার বাড়ির বাগানে আসত
আমি চুলগুলো বিছিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম
তুমি টের পেতে না
যখন সন্ধ্যেবেলা এক আকাশ তারা
বিকালের গরম হাওয়া, বনফুলের গন্ধ-
সবাই থাকত পড়শীর মত
চাপা গলায় কথা বলত তোমার সিলিং ফ্যান
তুমি জানতে না, আমি শুনতে পাচ্ছি
ডুবলেই হল
আমার বাগানে যে জবা, টগর, নয়নতারা ফোটে
তারা নতুন কোনো ফুল নয়
নতুন করে ফুটেছে মাত্র
তাই বলতে চাইছিলাম,
নতুন কিছু অনুভব করিনি
নতুন করে অনুভব করছি শুধু
ডানা
আমি বহুবার চেষ্টা করলাম জানো
বহুবার।
আমার অন্তত একটা ডানা কেটে
তোমার তৈরি এত দামী খাঁচার সাথে
এক্কেবারে মানিয়ে গিয়ে -
ডাকব না
সাড়া দেওয়ার অপেক্ষাতে আছি ...
ডুব
...
ডারউইন
"Origin of species by means of Karma" - কি লেখা হত না?
...
ডাক
এই তো সকাল হল
কিছু পাখির ডাক কানে আসছে
অপ্রয়োজনের ডাক
গভীর আনন্দ জাগিয়ে আলস্য কাটালো
ডাক
বৃষ্টি যখন লাগাতার তখন মন কিছুটা বেসামাল। একা মনে বৃষ্টি সংক্রমিত হয় তাড়াতাড়ি। ঘরবাড়ি-প্রতিবেশী-কাজ-দায়িত্ব সব অর্থহীন। অনেক দূরের।
ডালপালা
দিন গড়িয়ে বিকাল হল। সন্ধ্যা হব হব। সন্ধ্যার আকাশে ঘরে ফেরা পাখির ঢল, তা দেখতে দেখতে বিভোর হলাম। পাখির সংখ্যা গুনতে গিয়ে আঙুলের কড় হারালাম। গতিপথ বুঝতে দিক হারালাম। হঠাৎ মনে এলো ডালপালার আড়ালের পাখিটার কথা। পাখিটা কি উড়ে গেছে? ওই ঘরে ফেরা পাখিদের মধ্যে কি ছিল ও? ডালপালা সরিয়ে দেখতে ভয়, অপেক্ষায় উদ্বিগ্নতা এখন।
...
ডাক
...
ডান হাতটা অসাড়
...
ডানা মেল
অনুমানে নীল রঙ
...
ডিমভাত
...
ডাক্তার জিভাগো - পাঠান্তর কথা
ডুব
ট্রেনের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। সিগন্যাল লাল। স্টেশানে লোক নেই। দাঁড়াবার কথা নয় ট্রেনটার। পূর্ণিমার চাঁদ। রেললাইনের উপর আমগাছের ছায়া। বোলের গন্ধ নেশার মত।
ডাবল টিক্
...
ডুব
...
ডানার সখা
পাখিকে বলল,
খবরদার!
ছোট্টো শরীর হারিয়ে যাবি
...
ডোন্ট লুক আপ
তারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর সম্বন্ধে পড়ে এলে ভারতীয়দের শরীর বুঝতে অসুবিধা হবে না। এই বিশ্বাসেই আরো আরো দেশ থেকে আরো আরো অনেকে এসেছিল,
যারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর নিয়ে পড়লেও তাদের নিজেদের দেশে ফিরে মানুষের শরীরের চিকিৎসা করতে, মনের চিকিৎসা করতে বাধা হবে না। বিজ্ঞান একই ভাষায় কথা বলে সারা বিশ্বে। ...
ডেসিবেলি ভক্তি
এর উদাহরণ স্বামীজি হয় তো নিজেও আজীবন দেখেছেন কিনা সন্দেহ হয়। বাঙালির ধর্মের সার হল শব্দ উৎপাদন। ঢাক, ঢোল, কাঁসা, শাঁখ, খঞ্জনি, মন্ত্র, হুলুধ্বনি, আধুনিক জগতে মাইক।
শব্দ না হলে দুর্গা, কালী, কার্তিক, জগদ্ধাত্রী, বিশ্বকর্মা যেই হোন কেন তিনি তুষ্ট হন না, এমন কথা নিশ্চয়ই কোথাও লেখা থাকবে। এত শাস্ত্র এক জীবনে পড়ে শেষ করা তো যায় না, তাই হয় তো হবে আমার পড়া হয়নি। থেকে থেকেই কোথাও নানাবিধ শব্দ উৎপন্ন হলেই বুঝি কোথাও দেবতার আগমন হয়েছে।
...
ডিপ্লোম্যাসি
- তা দেখুন, আমাদের মধ্যে একটা কসমোপলিটান, সেক্যুলার ব্যপার আছে।
- মানে কি?
- কসমোপলিটান মানে আমরা নিজেদের বিশ্বনাগরিক মনে করি। পৃথিবীর যেখানে যা কিছু ঘটে আমরা প্রতিবাদ করি। সে প্যালেস্টাইন হোক, ভিয়েতনাম হোক, আমরা সারাটা বিশ্ব আমাদের দেশ মনে করি।
ডিসটোপিয়ান স্বগতোক্তি
শুধু তুমি বা আমি না, সবাই ভাবে এইটাই শেষ সুড়ঙ্গ। এরপর ফাঁকা মাঠ। খোলা হাওয়া, উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রোদ।
ওই যে যাকে এইমাত্র নিয়ে এলো, গায়ে হরিনামের চাদর জড়ানো, পোড়াবে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করো, ও বলবে ও ভেবেছিল এটাই শেষ সুড়ঙ্গ, মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিল সুড়ঙ্গ শেষ হওয়ার।
ডাক্তার আঙ্কেল
কিছু থাকে আলগা মানুষ। সারাক্ষণ তাদের আলগা কথা, আলগা ভাব, আলগা ভালোবাসা, আলগা হাসি-মজা।
আবার কিছু মানুষ থাকে নোঙর ফেলা। তাদের কথা গভীর, ভাব গভীর। কথা শুনলে বুকে ঠং করে লাগে। ভালোবাসা হাঁটুজলেই শেষ হয়ে যায় না।
ডাক চিনি
কি পাখি ফকির?
ডাকঘর, এ যুগের ভাগবত
যখন নিজের ক্ষুদ্র বৃত্তে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে নিয়ে লড়েছি, লড়ে যাচ্ছি, সে অনুভব একরকম। আর এই যে এক লহমায় হাজার হাজার মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাওয়া, সে আর এক রকমে
ডাকো, ভড়কিও না
তুমি তো জলতরঙ্গ নও, জল। সব সময় সুরে বাজবে, এ মাথার দিব্যি কে দিল ত
ডিল
(রায়বাহাদুর ছবি বিশ্বাস, পক্ষীপ্রেমী পাহাড়ি স্যান্যাল মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ওই পাখিতে কি রোস্ট হয়….? তবে ও পাখিতে আমার আগ্রহ নেই…...