Skip to main content
 
 
ডালপালা সরিয়ে একটা ছোটো পাখি উঁকি দিয়ে গেল। কি পাখি বলতে পারব না। ডালপালা সরিয়ে আবার বেরোবে কিনা অপেক্ষায় আছি। ডালপালা সরিয়ে খুঁজতে যেতে ভয়, যদি উড়ে যায়!
দিন গড়িয়ে বিকাল হল। সন্ধ্যা হব হব। সন্ধ্যার আকাশে ঘরে ফেরা পাখির ঢল, তা দেখতে দেখতে বিভোর হলাম। পাখির সংখ্যা গুনতে গিয়ে আঙুলের কড় হারালাম। গতিপথ বুঝতে দিক হারালাম। হঠাৎ মনে এলো ডালপালার আড়ালের পাখিটার কথা। পাখিটা কি উড়ে গেছে? ওই ঘরে ফেরা পাখিদের মধ্যে কি ছিল ও? ডালপালা সরিয়ে দেখতে ভয়, অপেক্ষায় উদ্বিগ্নতা এখন।
 
হঠাৎ মনে করলাম, থাক, খুব তো একটা পাখি! নাই বা হল দেখা। বাড়ি ফিরে এলাম। সবাইকে বললাম, উফ কি একখানা পাখি দেখলাম গো! তার ঝুঁটি লাল, চোখ সবুজ, লেজের ঝালরে ময়ূরের রঙ, নড়লে চড়লে নূপুরের মত আওয়াজ। অনেকে বিশ্বাস করল, অনেকে করল না। যারা করল না তাদের সাথে হল আমার জম্মের আড়ি। 
সেদিন থেকে আমি ডালপালার দিকে যাই না, ডালপালা সরিয়ে সে পাখি বেরোক আমি চাই না, পশ্চিমাকাশে সন্ধ্যেবেলায় ঘরে ফেরা পাখি আমার বাড়ির নীড়ে ফিরুক চাই না। তার অস্তিত্ব চাই, নৈকট্য চাই না। দূরত্ব চাই। 
এখন আমি রোজ পাখির কথা লিখি, পাখির কথা বলি, পাখির ছবি আঁকি। ডালপালাগুলোর কথা বলি না। ওরা সবার কাছে রহস্য, আমার কাছে - সব, আমার অস্তিত্বের মত যেন।