Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

কবীর দোঁহা

এ ভীষণ দ্বন্দ্ব রাজা রাম
যে কেহ পারে
সে করুক ইহার অবসান।

ব্রহ্ম বড় অথবা যেখান হইতে তাঁর বিকাশ?
বেদ বড় অথবা যাঁহা হইতে তাঁর প্রকাশ?
মন বড় অথবা যাহা সে করে বিশ্বাস?

রাম বড় অথবা রামকে যিনি জানেন
কবীর ফিরিছে ঘুরিয়া, বোঝা ভীষণ শক্ত
তীর্থক্ষেত্র বড় অথবা প্রভুর যিনি ভক্ত?

[sabda 112]

 

 

কবীর দোঁহা

তুমি আপন প্রভু বিনা
শুধুই বলদ, ঘানি মালিকের কিনা।
...

কবীর দোঁহা

বাজার মাঝে পড়ল হীরে
ঝেঁটিয়ে নিল আস্তাকুঁড়ে
অজ্ঞ গেল অবহেলে
জহুরী তারে নিল তুলে।।

কি করে যে পারিস

আমার গায়ের পোড়া গন্ধ
     তাও ভালবাসিস!
কি করে যে পারিস রে
     তুই কি করে যে পারিস?
...

কার কবিতা?

আমি কবিতা পড়ার সময় কবির নাম দেখি না
তা শক্তির কি সুনীলের বা শঙ্খের কি জয়ের,
কি অখ্যাতনামা কারোর।
...

কবীর দোঁহা

হীরে না ভাঁড়ারে পাস
চন্দন না পাস ঝোঁপে ঝাড়ে
সিংহ কি রয় ভেড়ার পালে?
না সাধুকে পাস কোলাহলে।।
...

কবীর দোঁহা

লোহার তরীতে চড়ি, তাহাতে পাথর ভরি।
মাথায় লয়ে বিষভার, যাইতে চায় নদী তরি।।

কবীর দোঁহা

ত্রিজগৎ এক কারাগার, পাপ পূণ্য যার জাল।
সব জীব হল শিকার , শিকারী এক মহাকাল।।

কান্তাচার্য্য ও মুকুন্দ

মুকুন্দ চায়ের দোকানে বসে চায়ে নুন মেশাচ্ছে। এরকম মুকুন্দ প্রায়ই করে। বিশেষ করে রেগে গেলে বা মন খারাপ থাকলে।
   মুকুন্দ তবলা শেখায়। শ্যামনগরের একটা গ্রামেই তার বাড়ি আর বাড়িতেই স্কুল। 'আসুন তবলা বাজাই' - তার স্কুলের নাম। তার বয়স পঁয়ত্রিশ কি ছত্রিশ হবে। খুব লাজুক প্রকৃতির ছেলে।
...

কি হবে বলে?

আমার জন্য কাউকেই অপেক্ষা করতে
বলিনি কোনদিন।
কি হবে বলে?
...

কাঁটাবন

কাঁটা তোল, কাঁটা তোল,
ওই দেখ আরো কাঁটা
আরো তোল, আরো তোল,
সব কাঁটা না পারিস
কিছু কাঁটা তোল তোল।
...

কেউ আছো?

বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম।
পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে এলো। তবু উঠলাম না।
সন্ধ্যা হয়ে গেল। কেউ আছো?
...

কবীর দোঁহা

কবীরের মনে প্রেমের বাদল, অবিরাম বর্ষণধার।
অন্তরে সিক্ত আত্মা, সবুজে ভরে চারিধার।।

কবীর দোঁহা

বলি রে ভাই বলেই চলি, বলি যে বিচার আমার।
যার গলাতে ছোরা ধরো, কাটে সেই গলা তোমার।।

কবীর দোঁহা

কি ভরসা এই দেহের রে, যে কোন সময়ে হবে নাশ।
সাধন আর কিছু নেই রে, স্মরণ করো প্রতি শ্বাস।।

কেন যে এমন হয়?

গরীব মানুষটা গেল ডাক্তার দেখাতে।
ডাক্তার বললে, পেট কাটতে হবে।
সে ভয়ে ভয়ে রাজী হল সব সম্বল একত্র করে।
ডাক্তার পেট কেটে বলল, ক্যন্সার!
অপারেশান স্থগিত হল।
...

কান্তাচার্য্য ও শ্মশান

কান্তাচার্য্য ঠান্ডা মাথার মানুষ। সবাই জানে। কিন্তু সেদিনের কান্ড দেখে সবার আক্কেল গুড়ুম। এত রাগতেও পারে কান্তা!

ঘটনাটা খুলেই বলি। কান্তাবাবুদের বাড়ির পাশেই থাকেন চক্কোতি বাবু। রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার। ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি নিয়ে বিশাল সংসার।
...

কাঁধ

এখন ঘুমোলে আর ভাল স্বপ্ন দেখি না।
কার থেৎলানো মাথা
কার নগ্ন নিস্প্রাণ শরীর
কিছু বিকৃত মুখ, শব্দ ভীড় করে আসে মাথায়।
মাঝরাত্তিরে ঘুম ভেঙে যায়।
...

কবীর দোঁহা

যত জীব যথা তথা, তত শালিগ্রাম শিলা।
সাধু সাক্ষাৎ দেবতা, কি কাজ পূজে শিলা।।

কবীর দোঁহা

মন জানে তো সব কিছু, জেনেও পাপ কাজ করে।
কিসের মঙ্গল তাতে, যদি দীপ হাতে কুয়োয় পড়ে।।

কবীর দোঁহা

কবীর এ জগৎ কিছুই না, এই তিতো এই মিঠা।
কাল যে সেজেছিল অলঙ্কারে, চিতাতে যায় আজ দেখা।।

কবীর দোঁহা

প্রভু তোমার অস্তিত্ব সব দেহ মাঝে লীন। যথা সবুজ মেহেদিতে লাল রঙ সমাসীন।।

কাদা কথা

কাদা কথা বলিস না ভাই
কাদা চিন্তাও দুরেই থাক,
কাদায় শুধুই বাড়ে কাদা
বুকের কোণেই আটকে রাখ।

অনেক কাদা সংসারে ভাই
ওসব ঘেঁটে লাভ কি বল?
...

কান্তাচার্য্য ও গঙ্গা

(কান্তাচার্য্য ও শপিং মল -এর পরবর্তী অংশ)

   শপিং মল থেকে ফিরে ইস্তক কান্তবাবুর মনে শান্তি নেই। পূর্ণ ও খন্ড তাঁর মাথা খন্ড খন্ড করে তুলছে।

   কিসে মেলে এই দুই পরস্পর বিরুদ্ধ ভাব? তিনি হাসপাতাল দেখেছেন, শ্মশান দেখেছেন; দারুখানা দেখেছেন, জেলখানা দেখেছেন। কোথায় পূর্ণতা? এ তো শুধু হাহাকার, অসহায়তা। গ্লানি আর ধিক্কার। তবে? পূর্ণ কি কল্পনা!
...

কবীর দোঁহা

কাল কাল সবাই বলে, কেউ না চেনে কাল।
যা কিছু মনের কল্পনা(আশা-স্বপ্ন),তাকেই ভাবে কাল।

কান্তাচার্য্য ও শপিং মল

   দক্ষিণ কলকাতার একটা নামী শপিং মল। দুপুরবেলা। কান্তাচার্য্য তাঁর গিন্নীকে নিয়ে এসেছেন আগেভাগে পূজোর কেনাকাটা সেরে ফেলতে। ভুল বললাম, গিন্নী অর্থাৎ কিনা তারাসুন্দরী দেবী কান্তবাবুকে নিয়ে এসেছেন। সে যাই হোক। তারা দেবী এ দোকান সে দোকান ঘোরেন, পিছনে পিছনে ব্যাগের বস্তা নিয়ে কান্তবাবু। কিছুক্ষণ ঘোরার পর তিনি বললেন
...

কবীর দোঁহা

বিনা প্রেম ধৈরয নাই,বিনা বিরহ বৈরাগ।
বিনা সদগুরু না যায় রে, মনের কালো দাগ।।

কবীর দোঁহা

পাথর পড়ুক সে সুখের মাথায়, যে প্রভুর নাম ভুলিয়ে দেয়।
বলিহারি সে দু:খ কে, যে ক্ষণে ক্ষণে নাম স্মরায়।।

কবীর দোঁহা

মনই দিলে তো নিজের সব দিলে,
মনের সাথে শরীর।
দেওয়ার আর কি থাকে বাকি, সে কথাই বলে কবীর।।

কবীর দোঁহা

সব ঘটে আমার প্রভু বসে, শূণ্য একটিও নয়।
বলিহারি সেই ঘটকে, যেথা প্রভু প্রকাশিত হয়।।

কবীর দোঁহা

সব ঘটে আমার প্রভু বসে, শূণ্য একটিও নয়।
বলিহারি সেই ঘটকে, যেথা প্রভু প্রকাশিত হয়।।

কবীর দোঁহা

পাপ পূণ্যের নাই শঙ্কা,স্বর্গ নরকে না যাই।
কবীর কহে শুন ভাই সাধু,যাব সেথায়, যেথায় আছি সদাই।।

কবীর দোঁহা

পাপ পূণ্যের নাই শঙ্কা,স্বর্গ নরকে না যাই।
কবীর কহে শুন ভাই সাধু,যাব সেথায়, যেথায় আছি সদাই।।

কবীর দোঁহা

তোর হৃদয়ে প্রভু বসে, তাই না দেখতে পাস।
হৃদ-মন্দিরে না যদি পেলি, পাথরে কি খুঁজে পাস।।

কান্তাচার্য্য ও কেন?

   ঘটনাটা ঘটল কান্তাবাবু অফিস থেকে ফেরার পর। কান্তাবাবু মানে আমাদের কান্তাচার্য্য। একটা সাধারণ চাকরি করেন কোলকাতায়, বেসরকারি। শ্যামনগরে পৈতৃক বাড়ি। বাড়িতে বর্তমানে তিনি, তাঁর গিন্নি আর বারো বছরের ছেলে। এই নিয়ে তাঁর সংসার। মোটামুটি স্বচ্ছল অবস্থা। সমস্যাও কিছু নেই তেমন সংসারে। তবে যেটি আছে তা হল কান্তাবাবুর ভাবার বাতিক।
...