খণ্ড ও অখণ্ড
কেউ বলল তাকে ঘটির জল আবার কেউ বলল পুকুরের জল। দু’জনেই সত্যি। তবে যে বলল পুকুরের জল সে আরেকটু বেশি সত্যি। আমার যে চেতনা, তা খণ্ড চেতনা। মূল যে অখণ্ড চেতনা তার অংশ।
...
খোঁজ
খোঁজ
তবু দেখেছি, সব শেষে
একটা অতি-চালাক মনও খোঁজে
...
খুব ঠিক
খেয়ালের হাওয়া
মন কি খড়ের গাদা!
কেউ জ্বলন্ত কিছু ফেলল অমনি ধরে গেল?
মন কি কাদার তাল!
কেউ একটু জল ছুঁড়ল অমনি গলে গেল?
মন কি ঘরের ডাস্টবিন!
যেই খুলেছ, অমনি গন্ধে টেকা দায় হল?
মন কি জং ছুরি!
যেই না ছোঁয়া লাগল, টিটেনাশ নিতে হল?
আরে তা নয়
আরে তা নয়
মন খেয়ালের হাওয়া
যাই আসুক
তাকেই সে ভাই, ভাসিয়ে নিয়ে চলল।
খেলা
খেলতে খেলতে বুঝিনি
কখন খেলার সাথীর বেলা এসেছিল ফুরিয়ে
তাকে বললাম খেলা শেষে কি খেলা ভাঙতেই হয়?
সে বলল, হ্যাঁ
বললাম, বেশ ভাঙলাম না হয় খেলা,
যদি সত্যি সত্যিই চাই?
সে বলল, এ আবার কি নতুন খেলা করলে শুরু!
খোলা হাওয়া
শুনে দেখ মন
বুঝে দেখ মন
...
খেয়ালি
যেখানে সেখানে ছুটে ছুটে বেড়াচ্ছে
তাদের ধরে ধরে এনে একটা আস্ত 'মানে' তৈরী করতে চাইছি
একটু স্থির হয়ে বসলে তো!
...
খোঁজ
আমার বারোমাস জ্বর।
শুধু কি তাই?
খাবারে অরুচি।
...
খোঁজা
এই ভেবে যেই চোখ খুলি,
কই! তুমি কোথায়?
...
খবর বাজার
খবর খবর খবর
ধর্ষিতা মেয়ের শরীরে এইচ আই ভি,
সে মেয়ে হাসপাতালে মাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লে
খবর
সেই কান্নার আওয়াজে আচমকা কোনো টিকটিকি
হাসপাতালের দেওয়াল থেকে মেঝেতে পড়লে
ব্রেকিং নিউজ
খেলাঘর
যে মানুষের সব সুখ-দুঃখ কোনো একটি বিশেষ মানুষকে ঘিরে, তার পক্ষে স্বাস্থ্যকরভাবে ভাল থাকা খুব মুশকিল। কারণ কোনো মানুষেরই ক্ষমতা নেই কোনো মানুষের এতটা মনোযোগের ভার বইতে পারে। এমনকি সে চাইলেও। অনেকেই যেমন কতটা খাবার খাওয়া তার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল বুঝতে না পেরে, আকণ্ঠ খেয়ে হাঁসফাঁস করেন। তেমনই বহু মানুষই ঠিক কতটা প্রেম হজম করতে পারেন, তা না বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর? সেই হাঁসফাঁস!!!
খুড়োর কল
আজকাল 'যোগ্যতা' নিয়ে আলোচনা খুব একটা দেখি না। আপনি কি যোগ্য? এ প্রশ্ন আত্ম-সম্মানে লেগে যাচ্ছে সরাসরি।
'ইচ্ছা থাকলে মানুষ কি না পারে?' ... 'চেষ্টা করলেই সব হয়' .... 'ও করতে করতে শিখে যাবে' ..... 'জলে না নামলে কেউই সাঁতার শিখতে পারে না' ..... ইত্যাদি সব যুক্তির দোহাই-এ 'কারে দিলে রাজার পাঠ' হয়ে যাচ্ছে যে চারদিকে! যেমন কয়েকটি ঘটনাঃ
খেপা শ্রাবণ
বাংলা দিনপঞ্জী অনুযায়ী এটা আশ্বিন। কিন্তু প্রকৃতির কি সে খেয়াল আছে? প্রকৃতির ক্যালেন্ডারের সাথে আমাদের ক্যালেন্ডার আর কবে মিলল?
খুঁজে দেখো
যদি অনুভুতি চাও
তো বিশ্বাস রাখো
যদি জানতে চাও
তো খুঁজে দেখো
খুশকি ও ব্যর্থ প্রেম
খুশকি নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। এই শ্যাম্পু, সেই শ্যাম্পু... এই ডাক্তার, সেই ডাক্তার..এই টোটকা, সেই টোটকা। নায়ক নায়িকারা বিজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে ধনী হচ্ছেন, ভুক্তভোগীরা আশাহত হতে হতে হচ্ছেন হতাশ।
পরিণাম সেই এক - মাথা ভর্তি খুশকি।
পুরোনো ব্যর্থ প্রেম এই খুশকির মতই। যতই যাই করো, ফলাফল সেই এক - আচমকা, অতর্কিতে ফ্ল্যাশব্যাক!
নাও সামলাও এবার!
খোঁজ
সাজানো কথা ক্লান্ত হয়ে ফিরে
নীরবতায় ঘুমিয়ে পড়ে রোজ
নীরবতা সারা আকাশ চেয়ে
ধ্রুবতারার আবার আনে খোঁজ
খাঁটি সোনা
গঙ্গার ধারটা বিকালে প্রচুর লোকজন হয় এখন। বিশুপাগলার রাগ হয়। অকারণেই রাগ হয়। এত লোক কেন? আগে তো হত না। সে সবাইকে মুখ খারাপ করে। যেদিন প্রচণ্ড রাগ হয়, সেদিন থুতুও ছিটিয়ে দেয় লোকেদের গায়ে। আর দেবে নাই বা কেন? এই গঙ্গার ধারটা তো জঙ্গলই ছিল। বিশু পাগলা আগে শ্মাশানে থাকত। তা বছর তিরিশ আগের কথা। তারপর এই জলা জঙ্গলটায়। সে আর কালু, হরেন, ডাবলু। এরা সব ওর নেড়ি কুকুরের দল। তারা কোথায় এখন?
খোলস ত্যাগ
খাঁটি গল্প
খারিজ
ধান ক্ষেতের নাগাল ঘেঁষে থালার মত চাঁদ। ধানগাছগুলো সন্ধ্যের হাওয়ায় সারা শরীর দুলিয়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে ক্ষেতে। হালকা সরসর শব্দ উঠছে নূপুরের মত কোনো অলক্ষ্য পায়ের। সে পায়ে যেন আলতা। চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত পাকা ধানের শরীর। বিচ্ছুরিত সাদা
খুব জোরে জোরে কথা বলে
খুকু
খুকু বলে খাবো তিমি দেনা মা আনি
মা বলেন, খায় নারে মা, বিঁধবে গলায় কাঁটা
...
খুরশিদ
...
খাঁচা
যদি দাঁড়াও
খাদের কিনারার শেষ পাথরটায় সাহস করে
...
খারাপ পোস্ট
রবীন্দ্রনাথের পর বোধ করি এই প্রথম কোনো বঙ্গকবি এত বিদেশ ভ্রমণ করিতেছেন। তাহাতে বাংলা সাহিত্যের কি প্রসার বা উন্নতি হইতেছে বলিতে পারিনে কিন্তু বাঙালী পাঠক-পাঠিকাকূলের হৃদয়ে গভীর আন্তর্জাতিক ভাব জাগিতেছে। এতদিন কবিরা চৌরঙ্গী, খোয়াই, ময়দান, পুরীর সমুদ্রসৈকত কিম্বা কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে মুখ ফিরাইয়া কিম্বা পাছু ফিরাইয়া ছবি তুলিবেন, ইহাই রীতি ছিল। সে রীতি ভাঙিয়া কবির বিদেশের নদনদী, পথঘাট, রেস্তোরাঁ, বিদে
খ্রীষ্টের উৎস
খ্রীষ্টের উৎস যতই প্রাচ্য হোক, খ্রীষ্ট আমাদের মানসে পাশ্চাত্যের সাদা চামড়ার ভগবান। ধনীর ভগবান। উন্নতশ্রেণীর মানুষের ভগবান। এক কালের শাসকের ভগবান। তাই খ্রীষ্টের প্রতি আনুগত্য, ঠিক "এক গালে চড় মারলে আরেক গাল বাড়িয়ে দাও" এর প্রতি আনুগত্য নয়। এ আনুগত্য পাশ্চাত্যের প্রথম বিশ্বের প্রতি আনুগত্য। কেক খাওয়া তার একটা প্রধান সাংকেতিক উদযাপন। কাল বেশ গ্রামের ভিতরে
খড়কুটো
নীড়ের খড়কুটো
তা জোগাড় করতে
হিমালয় যেতে হয় না, সত্য
প্রশান্ত মহাসাগর কিম্বা থর মরভূমিতেও না, সত্য।
তবু, এত দরকারি, মূল্যবানের ভিড়ে
কয়েকটা খড়কুটো জোগাড় করাও
খুব সহজ কাজ কি গো?
খেলার সাথী
ঘরের সব ক'টা দরজা বাজারে, লোকের ভিড়ে না খুলুক
কোনো একটা রাস্তা থাকুক নিরুদ্দেশের বালাই নিয়ে,
অদরকারি, খোলামকুচি, অনাদরের নুড়ি-পাথর
সে দরজার বাইরে অপেক্ষা করুক আমার জন্য,
ওরা বড় আপনার আমার
খাদ থেকে বাঁচাতে না পারলে, যে নিজেও খাদে পড়ার জন্য প্রস্তুত, সে-ই বন্ধু
খাদ থেকে বাঁচাতে না পারলে, যে নিজেও খাদে পড়ার জন্য প্রস্তুত, সে-ই বন্ধু।
আর বাদবাকি যারা বন্ধুর মত, চৌমাথায় ট্রাফিক সিগন্যালে একসাথে আছি আটকে, সিগন্যাল সবুজ হওয়ার অপেক্ষায়, মনে মনে। সিগন্যাল পেলে কে কোনদিকে যাব কে জানে?!
খোলামকুচি
সবাই বলল, খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল
এখনও বুঝলাম না
সময়, মৃত্যু, না জীবন
...
খোলা বারান্দা
কখনও আড়ি, কখনও সখনও ভাব
ভালোবাসা, তোর নোনতা নোনতা স্বাদ
হৃদয় ঘিরেছে বল্মীক কারাগারে
প্রাণের ফেঁসোয় গরলামৃত ফাঁদ
খামোখা
কতটা ছিল পেশীর জোর?
কত নির্ভুল ছিল প্রতিটা পদক্ষেপ?
...
খিল ছিল কি?
ছাদে শুকিয়ে নেওয়ার কথা ছিল
রোদও উঠেছিল ভালোই
...
খৈনির গন্ধ
বললাম, হ্যাঁ।
কথা বলতে বলতে হ্যাণ্ডব্যাগ থেকে একটা কৌটো বার করলেন। তাতে খৈনি।
...
খোঁজ পেলি?
তায় অন্ধগলি
...