Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

ঘুণপোকা

বুকের তলায় ঘুণ ধরাচ্ছে যে কথাগুলো,
তাদের বাইরে নিয়ে এসো,
খোলো বন্ধ দরজা মাঝে মাঝে।

ঘুরে-ফিরে

দেখা হল
কথা হল।

চেনা হল
ভাব হল।

জমে গেল
...

ঘুর্ণাবর্ত

  যেটা মিথ্যা, তার সাজ বেশি আস্ফালন বেশি এ তো চিরকেলে কথা। তা যতক্ষণ বাইরে দাপায় ক্ষতি সেই প্রকার দেখি না। বিপদ হয় যখন সে মনের মধ্যে চেতনার অগোচরে বাসা বাঁধে। তখন তার এক-একটা প্রবল পাকে মন নিস্তেজ, মোহগ্রস্ত হতে শুরু করে। আরো একটু খোলসা করে বলা যাক। যেমন ধরা যাক কেউ আমাকে একটা খুব সস্তা দামের পেন বেশি দামে বিক্রি করে গেল।
...

ঘরে-বাইরে

বাড়ির যেমন একটা বাইরের ঘর আর ভিতরের ঘর আছে, মনেরও সেরকম করে নিলে ভালো। কাকে বাইরের ঘরের থেকেই বিদায় করব আর কাকে ভিতরের ঘরে ডাকব - এ বিচারটা সহজ হয় তাহলে। না হলে ভুল লোককে ভিতরের ঘরে আনার মাশুল দিতে দিতে বেলা বয়ে যায়। 

ঘুড়িটা

আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়া ঘুড়িটা
বিদ্যুতের তারে আটকে পরশু থেকে ঝুলছে।
এক একটা দমকা বাতাসে মনে হচ্ছে-
এই বুঝি উড়ে যাবে, একটা গতি হবে।
হল না।
শেষমেশ বৃষ্টির জলে নেতিয়ে
মাথা বুক হেঁট করে, কাঠিগুলো বার করে ঝুলছে।
যারা পরশু থেকে আশা করেছিল, পাড়বে
তারা ওর কথা ভুলে গিয়ে, নীচে দৌড়াচ্ছে।

আমি ভাবছি, কোথায় আটকালো ঘুড়িটার-
নামতে, না উড়তে?

ঘোগ

শাসকদল আর বিরোধীদল। যা কিছু হোক, আলোচনাটা এর বেশি এগোতে শোনা আর আমাদের ভাগ্যে জুটছে না। টিভিতে, কাগজে, পত্রিকায়, রাস্তায় ঘাটে - একই বিষয়, শাসকদল আর বিরোধীদল। বার্ট্রান্ড রাসেলের একটা বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে - আমরা ভোট দিয়ে কাউকে একটা মন্ত্রীত্বে বসাই কারণ সব কিছুর জন্য কাউকে তো একটা দায়ী করতে হবে। আমাদের আলোচনাকেও তাই ওর বেশি এগোতে দিতে ভয় পাই। কি জানি বাইরের অন্ধকার যদি ঘরের অন্ধকারের দিকে আঙুল

ঘুমায় নি এখনো


আমার কান্নাগুলো এখনো জেগে আছে
ওরা ঘুমায় নি
কাছে গেলেই আমার কাঁধে হাত রেখে
জিজ্ঞাসা করে, কিছু বলবে?
আমি বলতে তো চাই অনেক কিছু
একটু হাসার চেষ্টা করি ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে
তবু চোখ গড়িয়ে নামে জল, ঠোঁটের হাসি ছুঁয়েই
ওরা বলে, আবার এসো, আমরা আছি চিরকাল, ভয় নেই আমরা ঘুমাবো না
সবাই ফিরে গেলে এসো কাছে
তুমি ক্লান্ত হয়ে শুয়ো আমাদের ঘেঁষে

ঘর

বিয়ের সময় মা বলেছিলেন,
"মন প্রাণ সব দিয়ে স্বামীর ঘর করবি"-
করেছি।
মন প্রাণ মান সম্মান সুখ সাধ
সব দিয়ে করেছি।
...

ঘুরিয়ে

  কি ভাবে বলব তোকে ভালবাসি?
বলব কেন?     বুঝিসই তো
  আর এও জানিস
...

ঘটনা সামান্য অতি

"এতটুকু কৃতজ্ঞতা বোধ নেই!" - বাবা-মা, শিক্ষক, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, প্রায় সকলের মুখেই এই কথাটা, আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ্যে গোপনে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে।

ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ

ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ। পর্দাটা টানলাম। ঘরটা অন্ধকার হল। এবার ঘুমাবো আবার। আমার তৈরী করা রাত্রিতে।
ঘুমোতে ঘুমোতেও মনের মধ্যে বিঁধে থাকল একটা কথা, কাঁটার মত - বাইরে আলো ফুটেছে।

ঘরকুনো

ফুলগাছগুলোতে সবে কুঁড়ি এসেছে, আর তুমি কিনা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কেটে আনলে!
আচ্ছা বলো তো, কি করে আমি এই উঠোন ছেড়ে, সমুদ্রের ধারে যাই!
বললেই বলবে, ঘরকুনো! আরে ওরাও তো কত সাধ করে আমার উঠানে বেড়াতেই এসেছে বলো! ছেড়ে যাই কি করে!

ঘ্রাণ

তবু তো বসন্ত এসেছে
তবু তো ভাঙা রাস্তায় পড়েছে
                    কুর্চি, পলাশ
তবু তো একটা চিঠি জন্মেছে
  প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে, তীব্র অপেক্ষার গর্ভ থেকে

ঘোর

আমি তাকিয়েছিলাম

আমি তাকিয়েছিলাম

আমি তাকিয়েছিলাম

আর কিছু মনে পড়ছে না জানো

ঘুম নষ্ট

কোনো একদিন থেকে সে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।

শুধু এইটুকুই চাইত লোকটা,
        বহু রাতের ঘুম নষ্ট করে।

এখন লোকটা মড়ার মত ঘুমায়।

ঘুম

যে সমাজ সুখ আর নিরাপত্তার বাইরে হাঁটার মনুষ্যত্বের পুঁজিটুকু হারিয়ে ফেলেছে, সে সমাজে একটা ছ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনা, নিতান্তই চাঁদে জল পাওয়া যায় কিনা ধরণের ঘটনা। তার ওপরে যখন সে মেয়েটা দিনমজুরের মেয়ে। আমার চারপাশ ভীষণ শান্ত। সব ব্যাপারে অত প্রতিক্রিয়

ঘোরানো সিঁড়ি

ঘোরানো সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। বাড়ির বাইরের উঠান থেকে সরাসরি চলে যাওয়া যায় দোতলায়, বাড়ির ভিতর দিয়ে না গিয়েও। প্রৌঢ়া বিধবা মহিলা দোতলায়, রাস্তার দিকের জানলার কাছে দাঁড়িয়ে। আজ দোল। রাস্তার অন্য ফুটে একটা গাড়ি সারানোর গ্যারেজ। সেখানে চলছে উত্তাল দোল খেলা।
...

ঘর

এককণা ধুলো 
বসন্তের বাতাসে উড়ে শিমূল ফুলের পাপড়িতে গিয়ে বসল
 লাল বিছানায় শুয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখল

ঘাম

"অনেকটা ঘি ভষ্মে ঢালার পর বুঝলাম শুধু ধোঁয়াই উড়ছিল। আগুন ছিল না। এমনকি আগুনের স্ফুলিঙ্গও নয়।"

ঘুম

আসলে তো কারোর ঘুম ভাঙাতে পারি না
জেগে থাকতেই পারি
মৃত ঈশ্বর আর ঘুমন্ত জনগণ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে
 কারা কারা জেগে দেখে নিতেই পারি
...

ঘূর্ণি

কোকিল বুঝতে শুরু করেছে
  বসন্ত এখন ভাঙা মেলা

বাতাসে গরম সেঁক, গুমোট
বিচ্ছু ছেলের মত
...

ঘটনাটা মর্মান্তিক

ঘটনাটা মর্মান্তিক। তবে এককালে মঠে যাতায়াত আমিও বেশ কিছু বছর করেছি বলে এ দৃশ্য অদেখা নয়। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি বয়সের ভারে প্রায় অথর্ব, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক একটা ধাপ উঠছেন ঠাকুরের প্রণামী দেবেন বলে, আরেকজন স্থূলকায় যুবক সন্ন্যাসী বসে আছেন চেয়ারে, দেখছেন, তবু উঠবেন না। কারণ "ওরকম নিয়ম নেই"।

ঘুমন্ত চেতনায়


তিনশো বছরের পুরোনো কৃষ্ণমন্দির
রথের উৎসব, 
মঞ্চে বাউলের উদাত্ত কণ্ঠে আল্লাহ্ নাম
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
      লালনের পদ

ঘাসেরা বড্ড কাঁদে

স্বপ্নের বুনট ছিঁড়ে পড়ল
শিশিরে পা মাড়িয়ে, পা ভিজিয়ে এলো - 
                সে 

বলল, 
  ঘাসেরা বড্ড কাঁদে

ঘাড় উঁচু করে


ঘাড় উঁচু করে হেঁটে চললে 
   ভাবলে মাথাও থাকলো উঁচু

ঘাড় নমনীয় না হলে ভাই
    মাথা কি থাকে উঁচু?

ঘরে ফিরবে? ঘর কোথায়?

বড় কথা হল, সুখ। বিষাদের সুখ। সে বিষাদ যদি নিরাপত্তাহীন না করে। যেন নরম গদিতে শরীর ডুবিয়ে বিষাদের সুখে তলিয়ে যাওয়া। ঝিম ধরা শরীর। ঝিম ধরা চিন্তা। ঝিম ধরা ভালোবাসা। আদিরসের নিভৃত সঞ্চার।
...

ঘুড়ি আর মেঘ

ঘুড়িটা নিঃশব্দে মেঘের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। বাতাস বলল, দাঁড়িয়ে থাকো। আমি মেঘেদের পার করে নিই।
একটা মেঘ উড়ে যেতে যেতে বলল, তোমায় আবার কে নামাবে?
...

ঘুঁটি

যুক্তির সামনে দাবার ঘুঁটি সাজিয়ে
  পাড়া বেড়াতে বেরোই
...

ঘুমন্ত

ভূত বলে কিছু হয় না।
সেই তো।
আপনি বিশ্বাস করেন?
না তো।
চলুন, গড়ের মাঠে হাওয়া খেয়ে আসা যাক।
কিন্তু ওদিকে এখন অনেক মানুষ তো?
...

ঘর পুড়িয়ে আন্তর্জাতিক

শ্রদ্ধা আর প্রয়োজন, দুটো শব্দ আছে। একজন মানুষ শাস্ত্র, মন্দির, পুজো-আচ্চাকে শ্রদ্ধা করে। একজন মানুষ সব মানু্ষের মধ্যে সমান সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার আদর্শকে শ্রদ্ধা করেন।
...

ঘুড়ি


===

ঘুড়িতে চড়িয়ে পিঁপড়ে ওড়ায়। কিন্তু সে পিঁপড়েরা কি ফেরে? ফেরে না তো! আকাশে মিলিয়ে যায়? তাই কি হয়? মাটিতেও তো পড়ে না। তবে?

ঘুড়ি.. ঘুড়ি.. ঘুড়ি

অনেক রাত। নতুন বাড়িতে এমনিই আমার ঘুম আসে না। জানলার কাছে এসে দাঁড়ালাম। ঢিল ছোঁড়া
দূরত্বে পাশের বাড়ির জানলা। বাচ্চাটা এখনও ঘুমায়নি। দুদিন হল এ বাড়ি এসেছি। রোজই দেখি সন্ধ্যে
হলেই বাচ্চাটা ওর ঘরে জানলার উপর বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকায়, কিন্তু কথা বলে না। ওই
বাড়িটা নাকি এক অধ্যাপকের। স্বামী স্ত্রী দুজনেই অধ্যাপনা করেন।

ঘোড়ার ডিম

সমাজে একটা অদৃশ্য মাপকাঠি থাকে। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ধর্মীয় অনুশীলন, সমাজের কিছু স্থির বিশ্বাস - এরা তৈরি করে এই মাপকাঠি। সেই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেকে গড়ে নিতে পারার জন্য তৈরি হয় একটা অনির্দিষ্ট অপরাধবোধ। যে অপরাধবোধ অবচেতনে সারাটা জীবন থেকে যেতে পারে, গোটা জীবনকে অলক্ষ্যে প্রভাবিত করতে পারে। হীনমন্যতার শিকার হয় গোটা জীবন।

ঘোড়ার ডিম

কারণ সমাজটা প্রিভিলেজডদের। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে চাকরি পরীক্ষায় ট্রেনিং দেওয়ার প্রতিষ্ঠান অবধি,
স্বাস্থ্য থেকে ধর্মীয় গুরুদের প্রতিষ্ঠান অবধি সব অতি অর্থবানদের দখলে। তুমি লড়বে তো কত লড়বে?

ঘাসফুল

স্মৃতি। 
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
  সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
    কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!