ঘুণপোকা
তাদের বাইরে নিয়ে এসো,
খোলো বন্ধ দরজা মাঝে মাঝে।
ঘুরে-ফিরে
কথা হল।
চেনা হল
ভাব হল।
জমে গেল
...
ঘুর্ণাবর্ত
...
ঘরে-বাইরে
বাড়ির যেমন একটা বাইরের ঘর আর ভিতরের ঘর আছে, মনেরও সেরকম করে নিলে ভালো। কাকে বাইরের ঘরের থেকেই বিদায় করব আর কাকে ভিতরের ঘরে ডাকব - এ বিচারটা সহজ হয় তাহলে। না হলে ভুল লোককে ভিতরের ঘরে আনার মাশুল দিতে দিতে বেলা বয়ে যায়।
ঘুড়িটা
আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়া ঘুড়িটা
বিদ্যুতের তারে আটকে পরশু থেকে ঝুলছে।
এক একটা দমকা বাতাসে মনে হচ্ছে-
এই বুঝি উড়ে যাবে, একটা গতি হবে।
হল না।
শেষমেশ বৃষ্টির জলে নেতিয়ে
মাথা বুক হেঁট করে, কাঠিগুলো বার করে ঝুলছে।
যারা পরশু থেকে আশা করেছিল, পাড়বে
তারা ওর কথা ভুলে গিয়ে, নীচে দৌড়াচ্ছে।
আমি ভাবছি, কোথায় আটকালো ঘুড়িটার-
নামতে, না উড়তে?
ঘোগ
শাসকদল আর বিরোধীদল। যা কিছু হোক, আলোচনাটা এর বেশি এগোতে শোনা আর আমাদের ভাগ্যে জুটছে না। টিভিতে, কাগজে, পত্রিকায়, রাস্তায় ঘাটে - একই বিষয়, শাসকদল আর বিরোধীদল। বার্ট্রান্ড রাসেলের একটা বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে - আমরা ভোট দিয়ে কাউকে একটা মন্ত্রীত্বে বসাই কারণ সব কিছুর জন্য কাউকে তো একটা দায়ী করতে হবে। আমাদের আলোচনাকেও তাই ওর বেশি এগোতে দিতে ভয় পাই। কি জানি বাইরের অন্ধকার যদি ঘরের অন্ধকারের দিকে আঙুল
ঘুমায় নি এখনো
আমার কান্নাগুলো এখনো জেগে আছে
ওরা ঘুমায় নি
কাছে গেলেই আমার কাঁধে হাত রেখে
জিজ্ঞাসা করে, কিছু বলবে?
আমি বলতে তো চাই অনেক কিছু
একটু হাসার চেষ্টা করি ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে
তবু চোখ গড়িয়ে নামে জল, ঠোঁটের হাসি ছুঁয়েই
ওরা বলে, আবার এসো, আমরা আছি চিরকাল, ভয় নেই আমরা ঘুমাবো না
সবাই ফিরে গেলে এসো কাছে
তুমি ক্লান্ত হয়ে শুয়ো আমাদের ঘেঁষে
ঘর
"মন প্রাণ সব দিয়ে স্বামীর ঘর করবি"-
করেছি।
মন প্রাণ মান সম্মান সুখ সাধ
সব দিয়ে করেছি।
...
ঘুরিয়ে
বলব কেন? বুঝিসই তো
আর এও জানিস
...
ঘটনা সামান্য অতি
"এতটুকু কৃতজ্ঞতা বোধ নেই!" - বাবা-মা, শিক্ষক, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, প্রায় সকলের মুখেই এই কথাটা, আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ্যে গোপনে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে।
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ। পর্দাটা টানলাম। ঘরটা অন্ধকার হল। এবার ঘুমাবো আবার। আমার তৈরী করা রাত্রিতে।
ঘুমোতে ঘুমোতেও মনের মধ্যে বিঁধে থাকল একটা কথা, কাঁটার মত - বাইরে আলো ফুটেছে।
ঘরকুনো
ফুলগাছগুলোতে সবে কুঁড়ি এসেছে, আর তুমি কিনা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কেটে আনলে!
আচ্ছা বলো তো, কি করে আমি এই উঠোন ছেড়ে, সমুদ্রের ধারে যাই!
বললেই বলবে, ঘরকুনো! আরে ওরাও তো কত সাধ করে আমার উঠানে বেড়াতেই এসেছে বলো! ছেড়ে যাই কি করে!
ঘ্রাণ
তবু তো বসন্ত এসেছে
তবু তো ভাঙা রাস্তায় পড়েছে
কুর্চি, পলাশ
তবু তো একটা চিঠি জন্মেছে
প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে, তীব্র অপেক্ষার গর্ভ থেকে
ঘোর
আমি তাকিয়েছিলাম
আমি তাকিয়েছিলাম
আমি তাকিয়েছিলাম
আর কিছু মনে পড়ছে না জানো
ঘুম নষ্ট
কোনো একদিন থেকে সে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।
শুধু এইটুকুই চাইত লোকটা,
বহু রাতের ঘুম নষ্ট করে।
এখন লোকটা মড়ার মত ঘুমায়।
ঘুম
যে সমাজ সুখ আর নিরাপত্তার বাইরে হাঁটার মনুষ্যত্বের পুঁজিটুকু হারিয়ে ফেলেছে, সে সমাজে একটা ছ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনা, নিতান্তই চাঁদে জল পাওয়া যায় কিনা ধরণের ঘটনা। তার ওপরে যখন সে মেয়েটা দিনমজুরের মেয়ে। আমার চারপাশ ভীষণ শান্ত। সব ব্যাপারে অত প্রতিক্রিয়
ঘোরানো সিঁড়ি
...
ঘর
এককণা ধুলো
বসন্তের বাতাসে উড়ে শিমূল ফুলের পাপড়িতে গিয়ে বসল
লাল বিছানায় শুয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখল
ঘাম
ঘুম
জেগে থাকতেই পারি
মৃত ঈশ্বর আর ঘুমন্ত জনগণ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে
কারা কারা জেগে দেখে নিতেই পারি
...
ঘূর্ণি
বসন্ত এখন ভাঙা মেলা
বাতাসে গরম সেঁক, গুমোট
বিচ্ছু ছেলের মত
...
ঘটনাটা মর্মান্তিক
ঘটনাটা মর্মান্তিক। তবে এককালে মঠে যাতায়াত আমিও বেশ কিছু বছর করেছি বলে এ দৃশ্য অদেখা নয়। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি বয়সের ভারে প্রায় অথর্ব, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক একটা ধাপ উঠছেন ঠাকুরের প্রণামী দেবেন বলে, আরেকজন স্থূলকায় যুবক সন্ন্যাসী বসে আছেন চেয়ারে, দেখছেন, তবু উঠবেন না। কারণ "ওরকম নিয়ম নেই"।
ঘুমন্ত চেতনায়
তিনশো বছরের পুরোনো কৃষ্ণমন্দির
রথের উৎসব,
মঞ্চে বাউলের উদাত্ত কণ্ঠে আল্লাহ্ নাম
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
লালনের পদ
ঘাসেরা বড্ড কাঁদে
স্বপ্নের বুনট ছিঁড়ে পড়ল
শিশিরে পা মাড়িয়ে, পা ভিজিয়ে এলো -
সে
বলল,
ঘাসেরা বড্ড কাঁদে
ঘাড় উঁচু করে
ঘাড় উঁচু করে হেঁটে চললে
ভাবলে মাথাও থাকলো উঁচু
ঘাড় নমনীয় না হলে ভাই
মাথা কি থাকে উঁচু?
ঘরে ফিরবে? ঘর কোথায়?
...
ঘুড়ি আর মেঘ
একটা মেঘ উড়ে যেতে যেতে বলল, তোমায় আবার কে নামাবে?
...
ঘুঁটি
পাড়া বেড়াতে বেরোই
...
ঘুমন্ত
সেই তো।
আপনি বিশ্বাস করেন?
না তো।
চলুন, গড়ের মাঠে হাওয়া খেয়ে আসা যাক।
কিন্তু ওদিকে এখন অনেক মানুষ তো?
...
ঘর পুড়িয়ে আন্তর্জাতিক
...
ঘুড়ি
১
===
ঘুড়িতে চড়িয়ে পিঁপড়ে ওড়ায়। কিন্তু সে পিঁপড়েরা কি ফেরে? ফেরে না তো! আকাশে মিলিয়ে যায়? তাই কি হয়? মাটিতেও তো পড়ে না। তবে?
ঘুড়ি.. ঘুড়ি.. ঘুড়ি
দূরত্বে পাশের বাড়ির জানলা। বাচ্চাটা এখনও ঘুমায়নি। দুদিন হল এ বাড়ি এসেছি। রোজই দেখি সন্ধ্যে
হলেই বাচ্চাটা ওর ঘরে জানলার উপর বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকায়, কিন্তু কথা বলে না। ওই
বাড়িটা নাকি এক অধ্যাপকের। স্বামী স্ত্রী দুজনেই অধ্যাপনা করেন।
ঘোড়ার ডিম
ঘোড়ার ডিম
স্বাস্থ্য থেকে ধর্মীয় গুরুদের প্রতিষ্ঠান অবধি সব অতি অর্থবানদের দখলে। তুমি লড়বে তো কত লড়বে?
ঘাসফুল
স্মৃতি।
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!
ঘাস বোঝে, বৃক্ষ বোঝে না
দইওয়ালা বলল, রাস্তা দেখে যেও। <