Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

ঝরণা

জীবনটা খাদের ধারে আসলেও থামতে বলি না
দে ঝাঁপ! দিক ঝাঁপ!

নদী খাদের ধারে এসে থমকায় না
বলে না, ওরে বাবা, যদি মরি!
দেয় ঝাঁপ
সে ঝরণা হয়ে ঝরে
নতুন খাতে, নতুন স্রোতে ছোটে


(শুভ নববর্ষ। প্রবীণদের প্রণাম জানাই। নবীনদের শুভেচ্ছা জানাই। বয়স্যদের দিই আলিঙ্গন। সবাই ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন, আনন্দে থাকুন এই প্রার্থনা।)

ঝড়


ভেবেছিলাম তুমি আসলে
                 আমি হব নিশ্চিন্ত
তখনো কি জানতাম
             তুমি ঝড়কে নিয়ে ফেরো?
তোমায় ঘরে আনতে গিয়ে

ঝড়

অভিমান আর প্রেম একসাথে দীঘিতে স্নানে গেল। 

ঝোড়ো বাতাস

ঝোড়ো বাতাসে কার কথা খুঁজিস মন?
ঘরের আনাচে-কানাচে কার গন্ধ চাস?
সকাল বেলায় দরজার নীচে
পড়ে থাকা খবরের কাগজ
তুলতে তুলতে রাস্তার দিকে কেন তাকাস?
কল থেকে জল পড়ার শব্দে, টিকটিকির ডাকে,
টয়লেটের ফ্ল্যাশের আওয়াজে, তোর পুরোনো
দিনের ছবি আটকে, জানি।

ঝরাপাতা

ঝরাপাতা, ওগো ঝরাপাতা
  কার অভিসারে এলি?
   তবে ব্যর্থ হল কি আসা?
কি অভিমানে ধুলাতে শয়ন পাতিস?
         নাকি, পেলি তাঁর দেখা
    শবরীর মত বহু অপেক্ষা শেষে
         সে চরণেতে মাথা রাখিস?

ঝরণার জল

ঝরণার জল। জলতরঙ্গ অবিরাম। নির্বিকার পাথর।
বছরের পর পর বছর। শুধু পিচ্ছিল। আরো পিচ্ছিল।

 

ঝাপসা

উবু হয়ে, লুঙ্গিটাকে গুটিয়ে হাঁটুর কাছে এনে, বসে আছেন। বয়েস ষাটের আশেপাশে হবে। রাস্তার পাশে একটা পাঁচিলের ধারে বসে। খেটে খাওয়া শরীর ছিল এককালে দেখলেই অনুমান হয়। বিকেলবেলার পশ্চিম ঢলা রোদ ওনার ভাঁজ পড়া মুখে।
 

ঝড়ের দিকেই নাও ফিরালি?

ভালোবাসব বলেছিলাম
নিজেকে লাটাইয়ের সুতোর মত ছাড়ছিলাম
   সুতোর শেষটায় এসে হ্যাঁচকা টান লাগল লাটাইয়ে
   তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল -
      তুমি আরো চাও

সুতো ছিঁড়ে দিলাম লাটাই থেকে
  রক্তাক্ত হল হাত
    হোক না! সামনে যে তুমি!

ঝিঁঝিঁর ডাক

ঝিঁঝিঁর ডাক
    পথের সাথে আলাপ
যে গেল সে কি ফিরবে?
    না বিষন্ন আকাশে থাকবে
       গোধূলির বিষাদ প্রলাপ

(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)

ঝোড়ো সন্ধ্যে

এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় উঠল। পুকুরের ধারের কৃষ্ণচূড়া গাছটা ঝড়ের হাওয়ায় দুলতে দুলতে পুকুরের উত্তাল জলকে ছুঁয়ে ফেলল। পুকুরের গায়ে শিহরণ জেগে গেল। এপারের ঢেউ লাগল ওপারে গিয়ে। চারদিকে বৃষ্টির সাজো সাজো রব। মাটির শুকনো ধুলো জলের সাথে মিশে সেজেছে নদী।
...

ঝোড়ো সন্ধ্যে

আমায় এখন ভূতে পেয়েছে। তাই খালি খালি ভূতের গপ্পো বলব। তবে আজ যেটা বলব, গপ্পো নয়। খাঁটি সত্য ঘটনা।
তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। মা, বাবা, ভাই বাড়িতে কেউ নেই। সব্বাই বড়মামার ওখানে গেছে সল্টলেকে। শনিবারে থেকে রবিবার ফিরবে।
...

ঝড়

সুরো'র আরো দেরি আছে। দুপুর আড়াইটে হবে। গদা স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। মা'কে পুকুরধারে দেখেই এদিকে চলে এসেছে। মায়ের দেরি আছে দেখে গদা পাশের আমগাছটায় চড়তে শুরু করল। আমগাছটা ভরতি বোল। চকচক করছে ওটা কি? আরে, সাপ তো? সামনের ডালটা বেঁকে যে ডালটা উপরের দিকে ডানদিকে গেছে তার উপরে শুয়ে আছে।
...

ঝাঁটা

রোজ সকালে আধঘন্টা ধরে ঝুঁকে পুরো উঠোনটা ঝাঁট দিতে হয় রুকমির মাকে। আজ পঁচিশ বছর ধরে দিয়ে আসছে। তার আগে তার শাশুড়ি দিত - অশোকের মা। 
        রুকমির মায়ের অসহ্য লাগে। শরীরখারাপের সময়টা আর শীতের সময়টা। ভেবেছিলো অশোকের মা ঘাটে উঠলে এই ঝাঁটা দেওয়ার চলটা উঠিয়ে দেবে। মাসে একবার কি দুবার দেবে। শরীরখারাপের পর আর কম শীতের সময় বাদ দিয়ে।
...

ঝুরঝুর ঝুরঝুর

হাতের মুঠোর ভিতর দিয়ে বালি ঝরছে
   ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর

সব বালি পড়ে গেলে, মুঠোটা খুললাম
   কয়েকটা বালি আঙুলের ফাঁকে আটকে

ঝুল বারান্দা

উঠে বসে চশমাটা খুঁজতে শুরু করল হাতড়ে হাতড়ে। রাত দুটো। বৃষ্টির শব্দটা তুমুল। সাথে ঝোড়ো হাওয়া। জানলার কাঁচটা আটকাতে হবে। পা ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু চশমাটা?

ঝাপসা গল্প

এবারে ঝিলে নাকি প্রচুর পরিযায়ী পাখি এসেছিল। যারা মাছ ধরতে যায় দুবেলা, তারাই গল্প করছিল। একজন বিড়িতে উজ্বল একটা টান দিয়ে বলল, তার বাপ-ঠাকুরদার জামানাতেও এত ভিনদেশি পাখি কেউ দেখেনি। 
...

ঝড়

তুমি যখন তুমুল সে ঝড়ে
    ঝরা পাতার হিসাব রাখছিলে
...

ঝড় পেরিয়ে

আমি বললাম, 
শান্ত জীবন

তুমি বুঝলে
...

ঝাঁপ

কিছুটা অস্থিরতা থাকা ভালো। সময়ের, চিন্তার, সম্পর্কের। নইলে খাদ জমে। মিথ্যা জমে। যা কিছু অস্থির করে তোলে তাই বর্জন করতে হবে, এ কথা ঠিক নয়। যা ঘেঁটে দিয়ে যায়, তা আরেকবার সাজিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও জানিয়ে যায়। সেই আরেকবার সাজানোর মধ্যে আবার নতুন করে নিজেকে চিনে নেওয়াও যায়। নিজেকে, নিজের সময়কে, নিজের চারপাশকে আরেকবার আবিষ্কার করার সুযোগ পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা? 
...

ঝাপসা

হাস্পাতালের দোতলায় বসে আছি। ফাঁকা বেঞ্চ। রাত আড়াইটে হবে। আমার পাড়ার একজন বয়স্ক মানুষের জন্য এসেছি। ওনার ছেলে নীচে গেছে ওষুধ কিনতে। একাই বসে মোবাইল ঘাঁটছি, হঠাৎ পাশে এসে মনে হল কেউ দাঁড়াল।
...

ঝুড়ি

ভীষণ মেঘ করেছে দেখে ঝুনু ঝুড়ি বোনার সব কিছু নিয়ে বাড়ির সামনে যে টিলাটা আছে, সেই টিলার উপর যে শিব
মন্দিরটা আছে, তার চাতালে গিয়ে বসল। এতটা উঠতে হাঁফ ধরে না যে তা নয়। ধরে। বুকটা হাপরের মত ওঠে পড়ে।
উঠতে উঠতে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, কতবার যে সারাদিন উঠত নামত! শরীরটা বদলে বদলে যাচ্ছে, মনটা না।

ঝক্কি

অনেক রাত। বাঁধা পাঁঠাটার ঝিমুনি এসে গিয়েছিল। হঠাৎ পাশ থেকে কে যেন ঠেলা মেরে বলল, অ্যাই...
          পাঁঠাটা ঘোলা ঘোলা চোখে তাকিয়ে বলল, আমায় বলছেন?
          কুকুরটা পাশে বসে বলল, কাল তবে জবাই?
          পাঁঠাটা আবার চোখ বুজে বলল, মনে তো হচ্ছে। 
...

ঝড়ের মধ্যে এসো

ঝড় থামলে যে শান্তি?
সে শান্তি চাই না


ঝড়ের মধ্যে এসো
পাশে দাঁড়াও 

তখন ঝড় থামুক 
     না থামুক

পরোয়া করি না

ঝাঁপ

আসলে সবাই জানে ঈশ্বরকে বোকা বানানো যায়, নইলে এত মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয় নাকি? তার মানে এত মানুষ সৎ? এত মানুষ দয়াবান? হুস্...! তাকি হয়?

ঝুড়ি ও আমি

চেতনার আশেপাশে এত যে কিছু ঘটে চলে, সে সবের মধ্যে ছিপ ফেলে বসে আছে, একা 'আমি' এক। যা পায় তাই তুলে দেখে তার 'আমি' ঝুড়িতে রাখার মত কিনা। কিছু রাখে, বাকি অনেকটাই করে অপচয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করে, এত অপচয়? সত্যিই কি কাজে লাগানো যায় না ওগুলো? ওগুলো মানে কোনগুলো? হিসাব করতে পারে না। 

ঝড়

এই তো আবার ঝড় আসবে। সমস্ত ধাতব তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হবে দুর্ঘটনা এড়াতে। ঘরের মধ্যে গুটি গুটি পায়ে হাঁটু মুড়ে বসবে আদিমযুগের গুহার অন্ধকার। আমরা তাড়াহুড়ো করে মোমবাতি, হ্যারিকেন, লম্ফ জোগাড় করে যতটা পারি আলো জ্বালাব। মোবাইলের চার্জ বুঝেশুনে খরচ করব, যদি আজ কারেন্ট না আসে! তখনও বাইরে ঝড়। ছাদে ওঠা যাবে না, যদি কোনো উড়ন্ত টিনের চালা বা গাছের ডাল উড়ে আসে। বৃষ্টিও শুরু হল যে! বৃষ্টির ছাঁটে, হঠাৎ ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর খারাপের ভয়। ঝড়ের আঘাতে ঘরে ঢুকে পড়া কিছু বিশ্রী পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে তখন মোমবাতির শিখা ঘিরে ঘিরে। ওরা জংলী। ওরা বিষাক্ত। ওরা অভদ্র আদিম। জলের গ্লাসে, চায়ের কাপে, ভাতের থালায় যখন তখন পড়ে যেতে পারে। খুব সাবধান। খুব সতর্ক থাকার সময়। ঘরের ভিতর আলোর চেয়ে অন্ধকারের অনুপাত বেশি। ইনভার্টার বন্ধ থাক, বাজ পড়ছে না!

ঝরাপাতা

ঝরাপাতা। ওদের না মনে রেখেছে গাছ, না তাড়া দিচ্ছে মাটি - ওরে এখনই চোখের সামনে থেকে দূর হ... যা... যা যা....

ঝড়ের পরে ঘুম পায়

দুটো দেওয়ালের খাঁজে ঝুলটা অনেকদিন ধরেই আছে। মম তাকায়। সরাতে চায় না।
ছোটো একটা মাকড়সা এক কোণে বসে থাকে। মমকে দেখে। মমকে বলে,
আমি তো পাঁচিলের এক কোণে আছি দেখো। তোমাদের এতবড় বাগান, আমার কি একটুও জায়গা হবে না?

ঝড় আর ফোন

হঠাৎ-ই তো ঝড় উঠল। জানলাটা খড়খড় করে কেঁপে উঠল। পায়ের কাছে রাখা চাদরটা কোনো রকমে টেনে নিতে প্রায় শ্বাস আটকে আসছিল। কিন্তু উপরের জানলাটা?

ঝড়ের রাতে

আমাদের অন্তর্জগতের নিজস্ব একটা সময়সারণী আছে নিশ্চয়ই। অনেক সময় দেখেছি খুব কাছাকাছি সময়ের লেখা, পড়লাম, ভালো লাগল, কি হয় তো তেমন ভালো লাগল না, মনের উপর বাতাসের

ঝোপঝাড় আর চাঁদের কথা

যখন কাঁচরাপাড়া রেলকলোনীতে আসি তখন আমি ফাইভে পড়ি। হাওড়া সালকিয়ার ঘিঞ্জি ঘরবাড়ি ছেড়ে হঠাৎ করেই চারদিকে সবুজ আর সবুজ পরিবেশে এসে পড়লাম। কি আনন্দ, কি আনন্দ!

ঝড়, মাঝি আর মুরগী

নৌকাটা বাঁধা ছিল ঘাটে। দীর্ঘদিন। কবে যে দড়িতে পচন ধরেছিল, কেউ জানত