ঝরণা
জীবনটা খাদের ধারে আসলেও থামতে বলি না
দে ঝাঁপ! দিক ঝাঁপ!
নদী খাদের ধারে এসে থমকায় না
বলে না, ওরে বাবা, যদি মরি!
দেয় ঝাঁপ
সে ঝরণা হয়ে ঝরে
নতুন খাতে, নতুন স্রোতে ছোটে
(শুভ নববর্ষ। প্রবীণদের প্রণাম জানাই। নবীনদের শুভেচ্ছা জানাই। বয়স্যদের দিই আলিঙ্গন। সবাই ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন, আনন্দে থাকুন এই প্রার্থনা।)
ঝড়
ভেবেছিলাম তুমি আসলে
আমি হব নিশ্চিন্ত
তখনো কি জানতাম
তুমি ঝড়কে নিয়ে ফেরো?
তোমায় ঘরে আনতে গিয়ে
ঝড়
অভিমান আর প্রেম একসাথে দীঘিতে স্নানে গেল।
ঝোড়ো বাতাস
ঝোড়ো বাতাসে কার কথা খুঁজিস মন?
ঘরের আনাচে-কানাচে কার গন্ধ চাস?
সকাল বেলায় দরজার নীচে
পড়ে থাকা খবরের কাগজ
তুলতে তুলতে রাস্তার দিকে কেন তাকাস?
কল থেকে জল পড়ার শব্দে, টিকটিকির ডাকে,
টয়লেটের ফ্ল্যাশের আওয়াজে, তোর পুরোনো
দিনের ছবি আটকে, জানি।
ঝরাপাতা
ঝরণার জল
ঝরণার জল। জলতরঙ্গ অবিরাম। নির্বিকার পাথর।
বছরের পর পর বছর। শুধু পিচ্ছিল। আরো পিচ্ছিল।
ঝাপসা
উবু হয়ে, লুঙ্গিটাকে গুটিয়ে হাঁটুর কাছে এনে, বসে আছেন। বয়েস ষাটের আশেপাশে হবে। রাস্তার পাশে একটা পাঁচিলের ধারে বসে। খেটে খাওয়া শরীর ছিল এককালে দেখলেই অনুমান হয়। বিকেলবেলার পশ্চিম ঢলা রোদ ওনার ভাঁজ পড়া মুখে।
ঝড়ের দিকেই নাও ফিরালি?
ভালোবাসব বলেছিলাম
নিজেকে লাটাইয়ের সুতোর মত ছাড়ছিলাম
সুতোর শেষটায় এসে হ্যাঁচকা টান লাগল লাটাইয়ে
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল -
তুমি আরো চাও
সুতো ছিঁড়ে দিলাম লাটাই থেকে
রক্তাক্ত হল হাত
হোক না! সামনে যে তুমি!
ঝিঁঝিঁর ডাক
ঝিঁঝিঁর ডাক
পথের সাথে আলাপ
যে গেল সে কি ফিরবে?
না বিষন্ন আকাশে থাকবে
গোধূলির বিষাদ প্রলাপ
(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)
ঝোড়ো সন্ধ্যে
...
ঝোড়ো সন্ধ্যে
তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। মা, বাবা, ভাই বাড়িতে কেউ নেই। সব্বাই বড়মামার ওখানে গেছে সল্টলেকে। শনিবারে থেকে রবিবার ফিরবে।
...
ঝড়
...
ঝাঁটা
রুকমির মায়ের অসহ্য লাগে। শরীরখারাপের সময়টা আর শীতের সময়টা। ভেবেছিলো অশোকের মা ঘাটে উঠলে এই ঝাঁটা দেওয়ার চলটা উঠিয়ে দেবে। মাসে একবার কি দুবার দেবে। শরীরখারাপের পর আর কম শীতের সময় বাদ দিয়ে।
...
ঝুরঝুর ঝুরঝুর
হাতের মুঠোর ভিতর দিয়ে বালি ঝরছে
ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর
সব বালি পড়ে গেলে, মুঠোটা খুললাম
কয়েকটা বালি আঙুলের ফাঁকে আটকে
ঝুল বারান্দা
উঠে বসে চশমাটা খুঁজতে শুরু করল হাতড়ে হাতড়ে। রাত দুটো। বৃষ্টির শব্দটা তুমুল। সাথে ঝোড়ো হাওয়া। জানলার কাঁচটা আটকাতে হবে। পা ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু চশমাটা?
ঝাপসা গল্প
...
ঝড়
ঝরা পাতার হিসাব রাখছিলে
...
ঝড় পেরিয়ে
শান্ত জীবন
তুমি বুঝলে
...
ঝাঁপ
...
ঝাপসা
...
ঝড়ের নিশান --- পাঠঃ সংহিতা ব্যানার্জী
ঝুড়ি
মন্দিরটা আছে, তার চাতালে গিয়ে বসল। এতটা উঠতে হাঁফ ধরে না যে তা নয়। ধরে। বুকটা হাপরের মত ওঠে পড়ে।
উঠতে উঠতে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, কতবার যে সারাদিন উঠত নামত! শরীরটা বদলে বদলে যাচ্ছে, মনটা না।
ঝক্কি
পাঁঠাটা ঘোলা ঘোলা চোখে তাকিয়ে বলল, আমায় বলছেন?
কুকুরটা পাশে বসে বলল, কাল তবে জবাই?
পাঁঠাটা আবার চোখ বুজে বলল, মনে তো হচ্ছে।
...
ঝড়ের মধ্যে এসো
ঝড় থামলে যে শান্তি?
সে শান্তি চাই না
ঝড়ের মধ্যে এসো
পাশে দাঁড়াও
তখন ঝড় থামুক
না থামুক
পরোয়া করি না
ঝাঁপ
ঝুড়ি ও আমি
চেতনার আশেপাশে এত যে কিছু ঘটে চলে, সে সবের মধ্যে ছিপ ফেলে বসে আছে, একা 'আমি' এক। যা পায় তাই তুলে দেখে তার 'আমি' ঝুড়িতে রাখার মত কিনা। কিছু রাখে, বাকি অনেকটাই করে অপচয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করে, এত অপচয়? সত্যিই কি কাজে লাগানো যায় না ওগুলো? ওগুলো মানে কোনগুলো? হিসাব করতে পারে না।
ঝড়
ঝরাপাতা
ঝড়ের পরে ঘুম পায়
ছোটো একটা মাকড়সা এক কোণে বসে থাকে। মমকে দেখে। মমকে বলে,
আমি তো পাঁচিলের এক কোণে আছি দেখো। তোমাদের এতবড় বাগান, আমার কি একটুও জায়গা হবে না?
ঝরাপাতা পুড়িয়ে
মেকি শুদ্ধতার মোহ আমার নেই ...
ঝড় আর ফোন
হঠাৎ-ই তো ঝড় উঠল। জানলাটা খড়খড় করে কেঁপে উঠল। পায়ের কাছে রাখা চাদরটা কোনো রকমে টেনে নিতে প্রায় শ্বাস আটকে আসছিল। কিন্তু উপরের জানলাটা?
ঝড়ের রাতে
ঝোপঝাড় আর চাঁদের কথা
যখন কাঁচরাপাড়া রেলকলোনীতে আসি তখন আমি ফাইভে পড়ি। হাওড়া সালকিয়ার ঘিঞ্জি ঘরবাড়ি ছেড়ে হঠাৎ করেই চারদিকে সবুজ আর সবুজ পরিবেশে এসে পড়লাম। কি আনন্দ, কি আনন্দ!
ঝাঁটাতে-সোনাতে-লাইটিং-দশাসই প্রতিমাতে
হিঁদু আর হিন্দু। আমি না, রবি ঠাকুর বলতেন। বৈষ্ণব আর বোষ্টুম। এও আমি না, রবীন্দ্রনাথ বলতেন।
ঝড়, মাঝি আর মুরগী
নৌকাটা বাঁধা ছিল ঘাটে। দীর্ঘদিন। কবে যে দড়িতে পচন ধরেছিল, কেউ জানত