ফুলঝুরি
বেসামাল হয়ে খেলতে খেলতে
সারা শহরে লাগালে আগুন।
...
ফের হারাবি
বেশ হয়েছে।
সব ছড়ালো?
খুব হয়েছে।
...
ফেরো
তাকে কোথায় খুঁজব?
ফাঁকি
ফাঁকি দিয়েছি। পড়াশোনা, বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ইত্যাদির লম্বা লাইন। এ সবেতেই ফাঁকি দিয়েছি কম বেশি। সময়, দায়িত্ব, কর্তব্যতেও ফাঁকি আছে।
তাই আমায় কেউ ফাঁকি দিলে রাগ হয় না, হাসি পায়। মনে মনে বলি, এ কৌশল আমিও জানি।
ফিরব
কি ভাবে কখন বেলা হল বুঝলাম না,
হঠাৎ দেখলাম সূর্যাস্তের রঙ
আমগাছটার মাথায়
পাখিগুলো ফিরছে দল বেঁধে, ঘরে।
আমিও ফিরব, আজ না হয় কাল
এরকম করেই হঠাৎ কোনো একদিন
যখন সূর্যাস্তের আলো সবুজ ক্ষেতকে
দেবে শেষ চুম্বন, পরম আদরে।
ফাঁকি
ভেবেছিলাম ফাঁকি দিয়ে নেব
পেয়েছিলামও হাতে
কে নিয়ে গেল ফাঁকি দিয়ে?
আমি আবার শূন্যহাতে
ফুলঝুরি
দেরি ছিল আসার। বাঁধানো উঠানের ধারে দুটো কলাগাছ। তার পাশে একটা বড় জামগাছ। তাতে মৌচাক হয়েছে বেশ কয়েকমাস হল। খুব কথা বলত ছোটবেলা থেকে, তাই বাড়ির লোক নাম রেখেছিল, ফুলঝুরি। বর্ধমান থেকে কিছুটা ভিতরে এক অখ্যাত গ্রামে জন্ম ফুলঝুরির। এখন বয়স চৌষট্টির দোরগোড়ায়। শরীরে গড়ন বেশ মজবুত এখনো। চোদ্দ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে এল রাণাঘাটে। এটা ২০১৪।
ফিরে এসে
সারাদিনের পর যখন তোমার কাছে ফিরে আসি
মনে হয় দিনের অন্য সব চাওয়াগুলো ব্যর্থ হলেও এমন কিছু ক্ষতি হবে না
ওগুলো শিশিরের মত মিলিয়ে যাবে
বুকে দাগ না রেখেও।
কিন্তু ফিরে এসে তোমায় না পেলে একলা হয়ে যাবো
অন্য সব চাওয়াগুলো ফুটে থাকবে কাঁটার মত বুকে
চারিদিকে নামবে এক চোরাবালি শূন্যতা
তুমি থেকো
ফুল
রিট্যায়ার করেছেন বছর চারেক হল,
পরিবারের ভরসা তাঁর পেনশানের কটা টাকা।
...
ফেরা
ফাঁকি
ফুলকি
ছেলের গোত্র কি?
মেয়ের?
এ বাবা!
এ গোত্র চলে না যে!
নমো শুদ্দুরের সাথে বামুন!
আরে মিত্তিররা কি গোত্রের হয়?
কি বললেন?
আর, পাল? কর্মকার?
আরে শুনতে পাচ্ছি না যে....
ফিরে এলো
দরজা খুললে
রাস্তার আলো
পথ দেখালো
তোমায়
দমকা হাওয়া দিল
তুমি রাস্তায় নামলে
ফিরে তাকালে
আমি নিঃশব্দে বললাম,
যেও না
ফুলগুলো
পাপড়িগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
ফুলদানীতে সাজালে রোজ
ভাবলে প্রজাপতি আসবে
তোমার শোয়ার ঘর রঙীন করে
হল না।
তুমি জানতে না
পাপড়ির সাথে বৃন্তের কি সম্পর্ক
বৃন্তের সাথে কি কথা বলে শিকড়
ফিরব
তোমার হাত ছাড়িয়ে ছুটলাম
কৌশলে।
সেকি ছুট!
সেকি দৌড়!
সেকি উদভ্রান্ততা!
ফাঁকিবাজ, মিথ্যুক
সারা জীবন যার সাথে ঝগড়া করে কাটল
আজ তার জন্য মুখে কুলুপ আঁটা।
তার ফটোর ফ্রেমে নিজের মুখ ভাসে
মনে মনে বলে, "ফাঁকিবাজ, মিথ্যুক"!
ফেরা
ঘরের আলো নিভিয়ে
দরজায় তালা লাগিয়ে
বড় রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম
যেতে যেতে মন ইতঃস্তত
আলোটা জ্বেলে আসাই কি ছিল ভাল
ফেরার পর কেমন হবে -
যদি ঘর-বার দুই-ই থাকে অন্ধকার?
ফিরো না আমার সাথে
আমার সাথে ফিরো না
কি হবে হেঁটে?
আমি তো বাজারে যাব না।
আমার কেনার মত কিছু নেই,
পাওয়ার মত একটা কিছু আছে অবশ্য,
নিজেকে।
ফিরে আয়
ফুল তার সমস্ত সৌরভ
ফুল তার সমস্ত সৌরভ দশদিকে ছড়িয়ে দেয়। বলে, "তুমি মুক্ত, তুমি ভেসে যাও যেদিকে খুশী। তোমার মুক্তিতেই আমার প্রেমের সার্থকতা, তোমার মাধুর্যই আমার পরিচয়!"
ফার্নিচার
- ওই ঘরটাকে বাবুর পড়ার ঘর করে দিই বুঝলে। ও ঘরের ফার্ণিচারগুলো বিক্রি করে দিলে হবে।
- সে কি! তুমি যে বলেছিলে ঠাকুরঘর করবে?
- সে পরে হবেখন। কি জানো বাড়িতে লোকজন এলে ওর পড়ার ভীষণ ডিস্টার্ব হয়। আর ঠাকুর যেমন শোয়ার ঘরের তাকে আছে থাক। পরে ভাবা যাবে।
****** ******* ****** *********
ফ্লোরিডার ঘটনাটা
ফ্লোরিডার ঘটনাটা গতকাল রাতেই শুনেছিলাম। আজ সকালে আনন্দবাজারের প্রথম পাতার খবরের শিরোনাম দেখে থমকে গেলাম – ‘সমকামী নাইট ক্লাবে বন্দুকবাজের হামলা’। থমকে গেলাম। অন্য কয়েকটা পেপারের হেডলাইনে চোখ বুলালাম। না তো! Times of India.
ফেসবুকের নোটিফিকেশান
ফেসবুকের নোটিফিকেশান চাকতির বুক লাল করে মাঝে মাঝেই আসে খেলার আমন্ত্রণ। ক্যান্ডি ক্রাশ ইত্যাদি নামক অসাধারণ, স্বাস্থ্যকর, উপাদেয়, পুষ্টিকর সব খেলার আমন্ত্রণ। আসুক আপত্তি নেই। আমি এক অতি তুচ্ছ, নগন্য মানুষ (এই ধরণের কথাগুলো দুপ্রকারের লোক বলে থাকে। এক, আত্মজ্ঞানী মহাপুরুষ আর দুই, হাড়বজ্জাৎ মিচকে শয়তানগুলো। আমি যে দ্বিতীয়পক্ষের এই নিয়ে কোনো সংশয় না রাখাই ভাল)। আমায় অবিশ্যি খানিক পেঁচোয় পাওয়া মানুষ
ফুল ফোটা হয়ে গেছে
ফুল ফোটা হয়ে গেছে। কিছু অস্ফুট কথা তবু জেগে পাতায় পাতায়।
সব কথা বলা শেষ। তবু কি এক আকুতি জেগে চোখের কোণায়।
ফুলপথ
ফিলোলজী
কত হাজার বছরের পুরোনো কথাটা, তবু কতটা জরুরী...
ফিরে যাও
বাড়ির উঠানে লাল শিমুলকে দেখছে অভিমান
বন্ধ ঘরের অন্ধকারে জানলার পাশে বসে
...
ফিসফিস
চুপচাপ এসো
ফিরে এলাম
কাউকে কিছু না বলে
উঠে যাব ভাবছিলাম ...
ফাঁকি
মেয়েটা যতবার মুখ লুকিয়ে কাঁদতে চাইছে, ততবার কয়েকটা চুল মুখের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। আবার মাথা তুলে চুলগুলো বার করে কানের পিছনে সরিয়ে, আবার টেবিলে মাথা নীচু করে কাঁদতে শুরু করছে। কাঁদতে কাঁদতেই ভাবছে চুলগুলো আরেকটু ছোট করে কাটবে সামনের বার।
ফটক
আমি কোনো দূরের তারার গতিবিধিতে চোখ রাখিনি কোনোদিন
আকাশের দিকে তাকিয়ে কোনো অসীম অস্তিত্বের দিকে হাত বাড়াইনি কখনো
আমার বুকের মধ্যে বারবার ঢুকেছি
সেখানে আছে মস্ত একটা ফটক
বাইরে আসার। নিজেকে ছেড়ে বাইরে দাঁড়াবার, নিজের দিকে পিছন ফিরে।
ফুটেছে কি?
দীর্ঘ না অল্প পথ সামনে
জানি না।
ধুলোয় নিজের পায়ের ছাপ মিলাতে দেখেছি কতবার, অতীতে।
সামনের পথটাতেও সে ছাপ থাকবে না জানি
আমি হেঁটে যাওয়ার পর।
অভিমান হয় খুব
তবে এত আয়োজনের কি খুব দরকার ছিল?
ফিরে যাও
তোমার আদিখ্যেতায় ওর রঙ ম্লান হয় লজ্জায়
...
ফাঁকি
আরবি ফারসি উর্দু হিন্দী ইংরাজী পাঞ্জাবী তামিল তেলেগু
বাংলার সাথে সবই মিশুক, ক্ষতি নেই ভাই, ক্ষতি নেই
শুধু বাংলাই কেন, সবার সাথে সবই মিশুক
ক্ষতি নেই ভাই, ক্ষতি নেই
...
ফুরসত
তোমায় ভাবতে ভাবতে
দেখতে দেখতে
শুনতে শুনতে
যদি ফুরসত মেলে তো ভাবব
কেন তোমায় ভেবেছিলাম
ফিরেও চায়নি
আজ অবধি কোনো পথ দিগন্ত ছুঁতে পারেনি
তবু দিগন্তের দিকে
যেতে যেতে,
যেতে যেতে
কোনোদিন পিছন ফিরেও চায়নি
[ছবিঃ সুমন]