সৌরভ ভট্টাচার্য
15 November 2014
বলাইবাবু টিকিট কাউন্টারে বসে। তা প্রায় ২০ বছর হল। বিভিন্ন স্টেশানের নাম শুনতে শুনতে তাঁর প্রায় সবগুলোই মুখস্থ। প্রতিটা স্টেশানের একটা একটা ছবি আঁকা আছে তাঁর মনে। তিনি যান নি কোথাও যদিও। লোকেদের এই যাওয়া আসাটা দেখতেই তাঁর বেশি ভাল লাগে।
সেদিন তিনি তাঁর কাউন্টারে বসে। হঠাৎ কি খেয়াল হল। মনে হল আজ তিনি বেড়াতে যাবেন। যাবেনই যাবেন। যেমন কথা তেমনি কাজ।ছুটির দরখাস্ত করতেই মঞ্জুর হয়ে গেল। লোকে বলাবলি করতে লাগল, "যাক, বলাইবাবু ছুটি নিলেন অবশেষে!"
এদিকে তাঁর মনের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তুমুল অশান্তি- কোথায় যাবেন? একটার পর একটা স্টেশানের নাম মনে আসতে লাগল। তাঁর কান মাথা ভোঁ ভোঁ করতে শুরু করেছে। কোথায় যাওয়া যায়!
ভাবতে ভাবতে কখন উনি অভ্যাস মত ওনার গ্রামের স্টেশানে এসে পৌঁছালেন খেয়াল করেন নি। অভ্যেসের কাজ অভ্যেসেই হয়, ভাবতে লাগে না।স্টেশানে নেমে এক কাপ চা খান বেলোর দোকান থেকে। খেলেন। তারপর একটা বিড়ি ধরিয়ে বেলোকে জিজ্ঞাসা করলেন, "বুঝলি বেলো, মাসখানেকের ছুটি নিলাম। বেড়াতে যাব। তা কোথায় যাওয়া যায় বল দিকিনি"।
বেলোর বয়স হবে চল্লিশের কাছাকাছি। গেরুয়া পরে। বে থা করেনি। অবিশ্যি বলাইবাবুও অকৃতদার একরকম। কারণ তাঁর স্ত্রী বিয়ের তিন মাসের মাথায় প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে চলে যান। টিকিট কেটে দিয়েছিলেন সেই বলাইবাবুই। সে যাক। বেলোকে বলাইবাবুর খুব মনে ধরে। পথমুখো মন বেলোর। সে একগাল হেসে বললে, "বেরিয়ে পড়েন কত্তা, পথের খবর পথই দিতি পারে, ঘরের লোক জানে নেকো"
সেদিন তিনি তাঁর কাউন্টারে বসে। হঠাৎ কি খেয়াল হল। মনে হল আজ তিনি বেড়াতে যাবেন। যাবেনই যাবেন। যেমন কথা তেমনি কাজ।ছুটির দরখাস্ত করতেই মঞ্জুর হয়ে গেল। লোকে বলাবলি করতে লাগল, "যাক, বলাইবাবু ছুটি নিলেন অবশেষে!"
এদিকে তাঁর মনের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তুমুল অশান্তি- কোথায় যাবেন? একটার পর একটা স্টেশানের নাম মনে আসতে লাগল। তাঁর কান মাথা ভোঁ ভোঁ করতে শুরু করেছে। কোথায় যাওয়া যায়!
ভাবতে ভাবতে কখন উনি অভ্যাস মত ওনার গ্রামের স্টেশানে এসে পৌঁছালেন খেয়াল করেন নি। অভ্যেসের কাজ অভ্যেসেই হয়, ভাবতে লাগে না।স্টেশানে নেমে এক কাপ চা খান বেলোর দোকান থেকে। খেলেন। তারপর একটা বিড়ি ধরিয়ে বেলোকে জিজ্ঞাসা করলেন, "বুঝলি বেলো, মাসখানেকের ছুটি নিলাম। বেড়াতে যাব। তা কোথায় যাওয়া যায় বল দিকিনি"।
বেলোর বয়স হবে চল্লিশের কাছাকাছি। গেরুয়া পরে। বে থা করেনি। অবিশ্যি বলাইবাবুও অকৃতদার একরকম। কারণ তাঁর স্ত্রী বিয়ের তিন মাসের মাথায় প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে চলে যান। টিকিট কেটে দিয়েছিলেন সেই বলাইবাবুই। সে যাক। বেলোকে বলাইবাবুর খুব মনে ধরে। পথমুখো মন বেলোর। সে একগাল হেসে বললে, "বেরিয়ে পড়েন কত্তা, পথের খবর পথই দিতি পারে, ঘরের লোক জানে নেকো"
টিকিট কাউন্টারে আজ দুবছর হল নতুন লোক, সুবিমল। বলাই বাবুর কথা অনেকেরই মনে পড়ে না। অনেকের পড়ে। যেমন সুবিমলের। কেউ বলে বলাইবাবুকে হরিদ্বারে দেখেছে, কেউ বলে কাশীতে, কেউ বলে না না উনি রামেশ্বরমে। সুবিমল বিভিন্ন স্টেশানের নাম শোনে আর ভাবে, "কোথায় যেতে পারেন বলাইবাবু?"