Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

স্বর্ণ আর দর্পের বুদবুদ

তুলসীদাসজী তাঁর কালজয়ী 'রামচরিতমানস' এ আগামী দিনের উল্লেখ করছেন -

"বহু দাম সঁবারহি ধাম জতী। বিষয়া হরি লীনহ ন রহি বিরতী।।
তপসী ধনবন্ত দরিদ্র গৃহী। কলি কৌতুক তাত ন জাত কহী।।"

সুন্দর

সুন্দর
তুমি আগন্তুক,
চমক জাগিয়ে ডাকো

কান্না
তুমি তো একলা নদী
গোপনে বইতে থাকো

প্রেম
তুমি নিঃশব্দ বাণী
মরণে অমৃতকে ধরে রাখো

সসপ্যান

রীতার মাথাটায় একটা ঝাঁকুনি লাগছিল। মাথার ভিতরটা এখনো ঝিমঝিম করছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে না। গা'টা পাক দিচ্ছে। আশেপাশে রিকশা, স্কুটার, সাইকেলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বুঝতে পারল। ধীরে ধীরে চোখ মেলতেই বুঝল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। স্ট্রীটলাইটগুলোর আলোগুলো কেমন তেরছা হয়ে তার চোখে লাগছে। তাকে ধরে কে বসে আছে?

সত্য রইল চুপ করে

মোহ বলল, যাব না।

সত্য রইল চুপ করে।

মোহ বলল, এই দেখো আমার ঐশ্বর্য,
  বলেই সে ছায়ামূর্তি ধরে প্রাসাদ, ধন-দৌলত বানিয়ে ফেলল কয়েক লহমায়।

সত্য রইল চুপ করে।

মোহ চীৎকার করল।
গান গাইল। নাচল।
বিদ্রুপ করল। শ্লেষোক্তি করল।

সত্য রইল চুপ করে।

স্বামীজি

রবীন্দ্রনাথের উপর খাঁড়াটা নামছে। হয় ত এবার রদ হবে। সে হলেও, আমরা একটু নাড়া খেলাম। কিছুর যেন একটা ইঙ্গিত। 

স্যাণ্ডো গেঞ্জি

লোকটা দরজা খুলে ঘরে ঢুকল। জানলাগুলো খুলল। রোদ এসে মেঝেতে শুলো শরীর এলিয়ে। লোকটা ঘরের একটা পাশে রাখা চৌকিতে বসল। তার মনে হচ্ছে ঘরে কে যেন একটা আছে। তার খুব পরিচিত, তার দিকে তাকিয়েই যেন বসে আছে কোথাও একটা। বসে আছে? না, হয়ত দাঁড়িয়ে।

সুখী

তুমি সুখী হবে কি করে?
...

সুখের কীট

সুখের কীট - ঈর্ষা
...

সকালের প্রথম রোদ

সকালের প্রথম রোদ এসে
  সবুজ পাতাকে জড়িয়ে ধরল
বলল, আমি এলাম
সবুজ পাতা বলল, সারারাত যে অপেক্ষায় ছিলাম

বিকালের যাই যাই করা রোদ, ম্লান মুখে
    সবুজ পাতাকে ছুঁয়ে বলল, এলাম

সবুজ পাতা বলল, সারারাত জেনো অপেক্ষায় রইলাম

স্নেহ

        স্নেহ, একটা বেড়া ঘেরা ভালোবাসা। করুণা, চাষের জমিতে খালকাটা ভালোবাসা। এর একটাও যদি না থাকে, তবে একা না থাকাই ভালো। অন্যের বেড়ার মধ্যে অথবা অন্যের খালের কাছাকাছি থাকাই নিরাপদ। নইলে শরীর ভীষণ আঁশটে ভাষায় কথা বলে। তাতে যত না নিজের বিপদ, সমাজের বিপদ আরো বেশি। 

সর্দার

কিছুক্ষণ জঙ্গলে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে সর্দার ঘুমিয়ে পড়েছে। সর্দার মানে সর্দারজী নয়, ডাকাতের সর্দার। অমনি গাছ থেকে একটা ইয়াব্বড় ডাব মাথায় পড়ে সর্দার অক্কা। বেঘোরে মরলে মানুষ কি হয়? ভূত হয়। তো এই সর্দারও তাই হল। প্রথম প্রথম খুব করে শরীরের নানা গত্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে দেখল, কিন্তু হল না, পোষালো না। অগত্যা দেহের মায়া ত্যাগ করে খাঁটি ভূত হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেবে ঠিক করল।

সপ্তমী

- বেরোতে পারবি? - হবে না রে, মা বেরোতে দেবে না - তুই বল না সঞ্চারীদের বাড়ি নোটস্ নিতে আসবি - ধুর সঞ্চারীরা তো দার্জিলিং-এ - পারমিতা? - মামাবাড়ি, বীরভূম

সুখী হতে তো চাইনি

সুখী হতে তো চাইনি

শিউলির গায়ে 
   যেখানে সাদার বুকে কমলা মিশেছে
                অসংকোচে

সেখানে একটু দাঁড়াতে চেয়েছি

সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি

        সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ ঘোষণা করেনি। শুধু শাস্তির আইনি ব্যবস্থাটা তুলে নিয়েছে। তা বাপু আর কদ্দিন পুলিশের ভয়ে নীতিবান থাকবে? নীতিগতভাবেও তো সাবালক হতে হবে নাকি?

স্থবিরত্ব


ক্রমশ তুমি প্রস্তরীভূত হচ্ছ
তোমার নাক, চোখ, কান, হৃদয়, মস্তিষ্ক
      ক্রমশ পাথর হয়ে উঠছে

তুমি হাওয়ায় নড়ো না
আগুনে পোড়ো না
জলে ভেজো না অন্তঃস্থল অবধি

তুমি অনড়
তুমি অচল
বোধি পাওনি, 
    পেয়েছ স্থবিরত্ব

সত্য


যে চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পড়ে
দাঁড়িয়ে পড়ে পিছন ঘুরে
    সবার চলা আড়াল করে, 
       বলে ওঠে গম্ভীর স্বরে -
               'ইহাই সত্য'

তাকে আমি এড়িয়ে চলি

সাধ বনাম সুবিধা

        ডারউইন মহাশয়ের মতে সংগ্রামই হল টিকে থাকার মোদ্দা কথা। কিসের জন্য সংগ্রাম? না অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম। আমাদের কিসের জন্য সংগ্রাম? না সুবিধার জন্য। সবার থেকে বেশি সুবিধার মধ্যে আমি বাঁচতে চাই। যে 'বেশি সুবিধা'র কোনো নির্দিষ্ট পরিমাপ নেই, থামার জায়গা নেই। 

স্বপ্নরা বড় হিসেবি আজকাল


প্রচণ্ড রেগে থাকা এক ঝাঁক পাখি 
   ভোরের আলোকে ক্ষত-বিক্ষত করছে খাঁচার ভিতর থেকে

ঘুম ভাঙল সেই চীৎকারে
মনে হল এরকম চীৎকার শুনিনি তো বহুদিন
    এত প্রতিবাদ!

সময় স্মৃতিজাত

সময় স্মৃতিজাত
প্রেম বিস্মৃতিতে
মৃত মানুষ হাঁটে জীবিত মানুষের সাথে
স্মৃতি সরণীতে

যদি সোডিয়াম পটাশিয়াম হাত ধরে থাকে!

সাপ

পায়ের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। জড়িয়ে মুখ থুবড়ে স্টেশানের উপর পড়েই যেত হয়ত লোকটা। সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়াল। একটা বিড়ি বুক পকেট থেকে বার করে ঠোঁটে চেপে ধরে দেশলাইয়ের প্যাকেট লুঙ্গীর কোমরের ভাঁজ থেকে বার করল। কাঠি নেই। ফাঁকা দেশলাই বাক্সটা রেললাইনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ঠোঁট থেকে বিড়িটা নিয়ে ডান হাতের মধ্যমা আর বুড়ো আঙুলের মধ্যে রেখে নাড়ালো কিছুক্ষণ।

সেদিন যখন আকাশ জুড়ে মেঘ

সেদিন যখন আকাশ জুড়ে মেঘ
তখন আমি নিশ্চল

আমার মধ্যখানে যে একা
সেদিন সে উতলা বাতাসে চঞ্চল

তখন কোথায় তুমি?
আজ দিগন্ত ঢাকা ছায়ামল্লার তানে

একাই এসো, মৃত্যুর মত
অশ্রুকণায় সুর বাঁধা আছে
      গীতগোবিন্দ প্রাণে

(ছবিঃ সুমন)

সীতা

একজনের জীবনী লেখার জন্য সে মানুষটাকে যতটা কাছ থেকে দেখতে হয় ততটা কাছ থেকে দেখা আমার হয়ে ওঠেনি। এমনও নয় যে তিনি একজন সেলিব্রিটি যে গাঁয়েগঞ্জে সবাই তাকে চেনে। অথবা এত তথ্য চারদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে যে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে। তবু সে জীবনের নিজস্ব একটা আলো ছিল। ধার করা আলো নয়, তবে তো আর লেখার তাগিদই সহ্য করতে হত না। বরং যেটুকু জানি সেটুকু বলার চেষ্টা করি।
...

সদর দরজা

মনের একটা সদর দরজা আছে। সেই দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলে সার দিয়ে কত যে ঘর তার ঠিকঠিকানা নেই। তবে মুশকিল হল সে ঘরের চাবিগুলো আমার হাতে নেই। কার হাতে যে আছে তাও জানা নেই। তবে কারোর হাতে নিশ্চয় আছে।
...

সাবধান!!! ( to whom it may concern)


        তারা ঠারেঠোরে আমায় মেসেঞ্জারে দীর্ঘদিন ধরে বলেছে, আমি স্পষ্টাস্পষ্টি বলে রাখলুম। আমায় যারা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তারা জানেন শৌখিন, পেলব ভদ্রতা ছেড়ে দিয়েছি অনেকদিন, যে দেশে একটা শিশুকন্যাও সুরক্ষিত নয়, সে দেশে হেঁচে-কেশে 'সরি' বলার মত সৌজন্যবোধ আমার আসে না।

সকাল হলেই


মালী ভোরের অপেক্ষায় বসে। গতরাতে তার বাগানে ফুটেছে গুচ্ছগুচ্ছ রজনীগন্ধা, বেলি, জুঁই।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
জেলে আছে ভোরের অপেক্ষায়। শেষরাতে ধরা পড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল। প্রচুর প্রচুর।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
শাক তুলে, লাউ তুলে, ডাঁটা তুলে..আরো কত কি তুলে অপেক্ষা করছে চাষী ভোরের সিমফুলের মত আকাশের।
বাজারে যাবে সকাল হলেই।
এরা কেউ জানে না

সুপুরিগাছের ছায়া

সানগ্লাসটার দাম দেড়শো টাকা। সানগ্লাসটা চোখের উপর রেখেই নর্দমাটার দিকে তাকালো রাকেশ। তার নর্দমা ঠেলার ব্রাশটা লাঠির মাথায় বুক গুঁজে তার পাশে শুয়ে। নর্দমাটা তার দিকে তাকিয়ে স্নানের
...

সেলসম্যান

সক্কালবেলা কলিংবেল বাজল। দরজা খুলেই দেখি একজন মাঝবয়েসী গোলগাল বেঁটেখাটো মানুষ হাসি মুখে দাঁড়িয়ে। মনে মনে চটে গেলাম, কি আদিখ্যেতা রে বাবা এই মেঘলা শীত শীত সক্কালে।
- হে হে, আমি সেলস ম্যান নই দাদা, আমি অমুক
...

সব শূন্যতা ভরে

জানলার ধারে একটা টেবিল ছিল। তার উপর ফুল আর পাতা সেলাই করা দারুণ একটা টেবিলক্লথ পাতলাম। একটা কাঁচের ফুলদানি রাখলাম, তাতে বাগান থেকে ফুল এনে রাখতাম, নতুন জল দিতাম রোজ, ফুলের সাথে পাতাগুলোও তরতাজা থাকত। টেবিলের একদিকে একটা দোয়াত রেখেছিলাম
...

সব দিক

আমি তো বলিনি হও আস্তিক
আমি তো বলিনি হও নাস্তিক

যাকে মেনে
...

সমস্বর

কিছু মানুষের সাথে রাস্তার মোড়ে দেখা হঠাৎ। তখন মাঝরাত, আকাশ ভর্তি ঘন কালো মেঘ। জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে তারা। কি যেন উচ্চৈঃস্বরে বলে যাচ্ছে। কাছে গিয়ে শুনলাম, বলছে, আহা এমন আলোর ছটা আগে দেখেছিস ভাই...

সেদিন ডাকিস মোরে


সরস্বতী আসিয়া ধরাধামে
     ভক্তের আমন্ত্রণে
   চারিপাশে চাহি

সত্যমেব জয়তে

"এ দেশ যোগ্য নহে বাস করিবার"
  উচ্চারিল পত্রকার ডাকি
    কিরণ-আমির
   সম উদ্বেগে হুঙ্কারিল প্রবীণ নাসির
...

স্বামীজির স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ণ

বিগ্রেড মঞ্চ, থুড়ি, বেলুড় মঠের মঞ্চ থেকে স্বামীজির স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ণের ভাষণ শুনলাম। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, CAA বিষয়ে সমস্ত 'যুবা ভাই' সমস্বরে হাত তুলে প্রধান নেতৃত্বের সহযোগিতায় আছে জানিয়ে দিল। পাশে বসে দুই পূজ্যপাদ
...

সোনামণি

মাঠের ধার দিয়ে নদী। থমকে দাঁড়িয়ে ধবল ক্ষ্যাপা। সে নদীর পুবপাড়ে না পশ্চিমপাড়ে? কেউ নেইও এদিকটায় যে জিজ্ঞাসা করে। নদীটার দিকে হতাশ চোখে তাকিয়ে
...