Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (4) | H (2) | I (17) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (317) | (431) | (29) | (16) | (53) | (5) | (293) | (50) | (1) | (419) | (65) | (101) | (45) | (122) | (70) | (140) | (37) | (29) | (13) | (32) | (9) | (280) | (16) | (198) | (52) | (234) | (323) | (67) | (406) | (213) | (371) | (166) | (125) | (48) | (197) | (2) | (482) | (114) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1)

মন মাছি

সুধাকর সামন্ত সুখী মানুষ না। সন্ধ্যেবেলা সরষে ক্ষেতে পা ডুবিয়ে বসে আছে। প্রায়ই থাকে। লোকে বলে, সুধা অমন অন্ধকারে পা ডুবিয়ে বসে থাকো ক্ষেতে, সাপখোপে কামড়াবে, পোকামাকড় আছে।

মুখোমুখি

অনেকবার তোমার আমার মুখোমুখি হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তুমি জানতে। মায়ের শেষের দিনগুলোতে, যখন আধশোয়া বিছানায়, চোখ বন্ধ, আমার হাতে ধরা স্যুপের বাটি, চামচ...

মোটে চারটে অক্ষর

দেখুন, শব্দগুলো তো আগেও শুনেছি, মানে আর কি জ্ঞান হওয়া ইস্তক শুনে আসছি। কিন্তু এমন অসামান্য
স্পষ্ট, সুরে উচ্চারণ, সত্যিই আমার মনে পড়ে না আমি শুনেছি।

মায়ের হুইলচেয়ার

হুইলচেয়ারে সারাটা রাত বসে থাকে ছেলেটা। তার মায়ের হুইলচেয়ার। ছিল।

মায়ের ইচ্ছে

​​​​​​​অর্জুন বাড়ুজ্জে আচমন করে সবে কোশাকুশিতে গঙ্গাজল ঢেলেছে, অমনি মা কাটা মুণ্ডুটা বেদীতে নামিয়ে এক চড় কষালেন অর্জুনের গালে।

অর্জুন গালে হাত বোলাতে বোলাতে বলল, কি অন্যায় হল মা? আমি কি মন্ত্র কিছু ভুল পড়লাম....

মা বললেন, না বুঝে তো সেই ছোটোবেলা থেকেই মন্ত্র পড়ে আসছিস... সে দোষ আমি ধরিও না.. তাছাড়া আজকাল স্বর্গের কচি দেবতারাও ধাতুরূপ, শব্দরূপ মনে রাখতে পারে না, সব সারাদিন নয় হিন্দী, নয় ইংরাজিতে কথা বলে যাচ্ছে। মায় বাংলাটাও বলে না। সে জন্যে মারিনি..

মানুষ কি তাই

সবাই এক এক সময় পালিয়ে যেতে চায়

জঙ্গলে, মরুভূমিতে, সমুদ্রের ধারে, পাহাড়ে      নিজের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে একা হতে চায়             সবাই তা সে চায়

মৃত্যু যার নাগাল পায় না

মুদির দোকানটা আমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পড়ত
বয়ামে অনেক কিছু থাকত
     আমার চোখে পড়ত শুধু চানাচুর
দোকানের কাকু যে
        সে সবাইকে চিনত
                নামে নামে চিনত
...

মান আর হুঁশ

 “ — মল্লিক, আমার খেতে বেলা হয় বলে, রাঁধবার বামুন ঠিক করে দিছল। একমাস একটাকা দিছল। তখন লজ্জা হল। ডেকে পাঠালেই ছুটতে হত। — আপনি যাই, সে এক।…. এই অবস্থা যাই হলো, রকম-সকম দেখে অমনি মাকে বললাম — মা, ওইখানেই মোড় ফিরিয়ে দাও! — সুধামুখীর রান্না — আর না, আর না — খেয়ে পায় কান্না!”
          এ কথাটা এক স্বাধীনচেতা মানুষের। যে ভালোবাসার দান নেয়। যে ন্যায্য উপার্জন নেয়, কিন্তু নিজের সুবিধার জন্য কারোর কাছে নিজেকে বিকিয়ে দিতে রাজী নয়। 
....

মামু

আকাশে যে ঠাকুমা থাকে, সে রোজ রাতে লণ্ঠন হাতে বেরোয়। কেন বেরোবে না? সব তারা আছে কিনা গুনে দেখতে হবে না! 

ম্যারিনেটিং ফেজ

রেপ অনেক বড় একটা কথা। কিন্তু প্রতিদিন অল্পস্বল্প যে অ্যাবিউজমেন্টগুলো ঘটে চলে তার দিকে তাকালে একটা কমোন ঘটনা পাওয়া যায়।

    আমি যতগুলো ঘটনা শুনলাম আজ অবধি, খুব কাছের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিচিত, শিক্ষক ইত্যাদির থেকে, আমার মনে হয় আমি একটা টার্ম বলতে পারি, ম্যারিনেটিং ফেজ।

মানুষের মনের কত লক্ষ জন্মদিন হয়?

স্টেশানে সি অফ করতে গিয়ে লোকটা বুঝল, আসলে সে তাকে বোঝেইনি কোনোদিন। অচেনা লোককে কেউ সি অফ করে?

    ট্রেনটা চলে যাওয়ার পর এক প্যাকেট চিপ্স আর একটা কোলড্রিংক্সের বোতল নিয়ে ফাঁকা প্লাটফর্মে বসে পড়ল। পরের ট্রেন আসার আগে তো নতুন কোনো যাত্রী নেই।

মেঘলা আকাশ

সন্ধ্যে হুস করে হয়ে গেল। আসলে মেঘলা। নইলে এই জুলাই মাসে এত তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়?

               ঝন্টি রাস্তার মাঝখানে বসে একটা বিড়ি ধরালো। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। অনেকদিনের কাজ। রাস্তা চওড়া হচ্ছে। মাঝখানে খুঁড়ে একটা বড় ঢিবি মত করেছে। বাবুদা যা বলছে, তাই করছে। ঝণ্টির লেবারের কাজ। রাণাঘাটে বাড়ি। বাবা নেই। মা নেই। ভাই নেই। বোন নেই। ঠাকুমা ছিল। নেই। সে আকাশ থেকে জন্মেছে। ঠাকুমা ভিক্ষা করত। রাণাঘাট স্টেশানে। মরার সময় ছিল না ঝণ্টি। কেরলে ছিল। বাবাইদা নিয়ে গিয়েছিল কাজে। বিল্ডিং বানানোর ওখানে লেবারের কাজ ছিল। ঠাকুমা মরেছে কেউ জানায়ও নি। কেরলের খাবার সহ্য হচ্ছিল না। খালি খালি বমি পায়খানা। বাবাইদা পাঠিয়ে দিল। রিজার্ভেশন করেনি। জেনারেলে দাঁড়িয়ে বসেই চলে এলো। ভোরে হাওড়ায় যখন ট্রেন ঢুকল শরীর আর দিচ্ছে না। পায়খানা দিয়ে রক্ত পড়ছে। কোনোরকমে বাসে চড়ে শিয়ালদা, তারপর ট্রেন। ট্রেনে তো অজ্ঞানই হয়ে গেল। লোকে বলল গ্যাস। গ্যাস না, খিদে। রাণাঘাটে নামল বেলা ন'টা। দরজায় তালা দেওয়া। কেন? এত সক্কালে মাল বুড়ি ভিক্ষা করতে বেরোল নাকি?

মন - সময়

শ্মশানে থাকে ভোলা। লোকে বলে ভোলা ক্ষ্যাপা। বউ মরে গেল। ভোলা মিস্ত্রী ভোলা ক্ষ্যাপা হল। লোকে বলত ওরকম শান্ত লোক দুটো হয় না নাকি। ভোলার বউও তাই বলত, তুমি ওর গায়ে হেগে দাও, ধুয়ে নেবে, তোমায় কিচ্ছু বলবে না, কিন্তু রাগলে চণ্ডাল।

মোহনায় ফিরে

লতা
======

প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে প্রতিটা মানুষ যা নতুন করে শেখে, জানে তা বিশ্বসংসারের কাছে আদতে পুরানো। যে শিশু হাঁটতে শিখছে আর যে মানুষটা মৃত্যুর পায়ের শব্দ সারা শরীর জুড়ে অনুভব করছে, এই দুই তাদের কাছে প্রথম, নতুন। কিন্তু বিশ্বের কাছে চিরকালের। 

মানুষের আত্মদর্শন

রামমোহন রায়কে নিয়ে স্টেটসম্যানে রবিবার (01/08) এবং সোমবার (02/08) -- এই দু'দিন ধরে ভালো একটা আর্টিকেল বেরোলো। 
             ভারতের ঈশ্বর চেতনা নিয়ে আলোচনা নেই সেখানে। থাকার কথাও নয়। তবে লেখকের ঈঙ্গিতটা বেশ স্পষ্ট। উপনিষদকে কেন এতটা গুরুত্ব দিলেন রামমোহন রায়। আমাদের সমাজে সেদিন যত কুসংস্কার ছিল, সেসব যে সে উপনিষদজাত নয় তাও দেখিয়েছিলেন। 

মা যা করেন

("শংকর কহেন, জগৎ মায়া; প্লেটো কহেন জগৎ ছায়া; কান্ট কহেন, জগৎ আমাদের মনের প্রতীতি মাত্র, সত্য পদার্থ নহে। পৃথিবীর তিন বিভিন্ন প্রদেশে এই এক মত দেখা দিয়েছে, কিন্তু ইহার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কেবল কান্ট-দর্শনের মধ্যেই আছে।"- রবীন্দ্রনাথ) 


    কাণ্ট (ইম্যানুয়েল কান্ট, ক্রিটিক অব পিওর রিজন -এর লেখক) জিজ্ঞাসা করলেন, উনি কি ঘরে আছেন?

মালী আর লোকটা

লোকটা বাগান খুব ভালোবাসত। রোজ রোজ তার বাগানে কত রঙের, কত রকমের ফুল ফোটে। লোকটা সকালে উঠে বাগানে আসে। খুব খুশি হয়, আবার দুঃখও পায়। কেন দুঃখ পায়? কারণ একটু পরেই একজন লোক আসবে, সব ফুল তুলে নিয়ে গাড়িতে ফেলবে, বাজারে চলে যাবে। লোকটা শুধু একটা ফুল রোজ বাঁচিয়ে নিয়ে আসে তার বউয়ের জন্য। কিন্তু তাও রোজ হয় না, এক একদিন সেই ফুলটাও নিয়ে চলে যায় ওই বাজারের লোকটা। 

মোহের বশে

লকডাউনে রাস্তায় বেরোচ্ছেন, খুব সাবধান। জানি না ভ্যাক্সিন হয়েছে কিনা, মাস্ক পরাবে কিনা আপনাকে। তবে যতটা সম্ভব দূরত্ব রাখার চেষ্টা করবেন, জানি যদিও সেটা আপনার হাতে নেই। 

মল্লিকা আর মল্লিকারা

চারটে দেওয়ালের মধ্যে যারা বেঁচে ছিল, তাদের মধ্যে সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুজন, বিপিন আর মল্লিকা। আর কিছু টিকটিকি, আরশোলা, মাকড়সা, পিঁপড়ে, এরা এসেছে গেছে, নিজের আয়ু সবাই পূর্ণ করে যেতে পেরেছে তা ঠিক নয়, তবে কেউ কেউ পেরেছে। বিপিন ছাদ, বাথরুম, শোয়ার ঘর, বসার ঘর, পুজোর ঘর ছেড়েছে অনেক দিন হল। এখন একটা ফ্রেমে শীতগ্রীষ্মবর্ষা এক মুখভঙ্গি নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সে মুখটা দেখে

মৎস সাগর

মাছের বাজারে গিয়ে বুঝলেন গন্ধবোধটা তো একেবারে গেছে! এইবার?

    এক একটা মাছ এনে এনে নাকের কাছে ধরেন, শোঁকেন, রাখেন, ঘামেন, আবার মাছ ধরেন, তোলেন, শোঁকেন, ঘামেন, রাখেন। 

মোহ

"আমরা চিরটাকাল মানুষের পাশে আছি"।

    এও এক মোহ। এও এক অহংকার। এও এক মিথ্যাভাষণ।

    "আমরা জীব উদ্ধার করব, আমরা বিপথগামী মানুষকে ঈশ্বরের পথে আনব। আলো দেখাব।"

    এও আরেক মোহ। আরেক অহংকার। আরেক মিথ্যাভাষণ।

মুখ দেখাব কি করে

আজ এক খুদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে গল্প করতে করতে বলল, আজকে আমি ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খেয়েছি....জানো তো, আমি যখন স্কুলে যেতাম, তখন মা টিফিনবক্সে আমায় এই বিস্কুটটা মাঝে মাঝেই দিত..

মৃতদেহের সাক্ষী

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়বে,
মঙ্গলগ্রহে রকেট পাঠাতে চাওয়া একটা দেশ, বুলেট স্পিডে ট্রেন চালাতে চাওয়া একটা দেশ, ৫জির স্বপ্ন দেখা একটা দেশ, ডিজিটাল হতে চাওয়ার বাসনা রাখা একটা দেশ....

মেঘ আর ঠাকুমার গল্প

আচ্ছা, আমি কুসুম ঠাকুমার গল্প কি বলব? একটা দরমার বেড়া দেওয়া ঘর। ছাদ বলতে টালি। টালির কয়েকটা আবার ভাঙা। একটা জানলা মাঠের দিকে। একটা জানলা রাস্তার দিকে। ঘরের দক্ষিণ দিকে একটা খাট। খাটের উপর একটা পাতলা তোষক। একটা তেলচিটে মাথার বালিশ। খাটের পাশে একটা কুঁজো। তার মাথায় টুপির মত রাখা একটা স্টিলের গ্লাস। দেওয়ালে ঝুলছে চার বছরের আগের একটা ক্যালেন্ডার। কৃষ্ণের ছবি, ভুল বললাম, গোপালের মাখন খাওয়ার ছবি আছে বলে ঠাকুমা ফেলেনি। একটা আলনা উত্তর দিকে রাখা। কয়েকটা সাদা শাড়ি। গামছা। বিছানার চাদর দুটো। বাড়ির সামনে একটা ছোটো ঘর। ঠাকুমার ছাগলগুলো থাকে। দুটো বড় ছাগল। তিনটে বাচ্চা ছাগল। ঠাকুমা দু’বেলা ছাগল চরাতে মাঠে যায়। শাকপাতা যা পায় নিয়ে আসে। বেলায় একবাড়ি বাসন মাজে, কাপড় কাচে। এইতেই চলে যায়।

মেনে নিতে হয়

হাতে রিমোট 

একটা টিপলে IPL
একটা টিপলে রিয়েলিটি শো
একটা টিপলে সিরিয়াল
একটা টিপলে সিনেমা

একটা টিপলে
মৃত্যু মিছিল
হাহাকার 

নাছোড়বান্দা 
    না নিভন্ত চুল্লী

মেটে, না হৃদয়?

এতটা কোনোদিন আসে না। আজ কি খেয়াল হল কে জানে? কিছু ভাবছিল কিনা নিজেও মনে করতে পারল না। আর মনে করেই বা কি হবে? ভাবনা তো ভাবনাই। নদীর মত। বয়েই যাচ্ছে। বয়েই যাচ্ছে। ওহ...

মন

মন কোথায় রাখব? স্বস্তি নেই মনে। দু বছর আগে যে জীবনটা মনে হত একঘেয়ে, তেমন কিছু কেন হচ্ছে না। আজ সেই জীবনটার চাইতে কাঙ্ক্ষিত আর কিছু নেই। সেই সাদামাটা জীবনটাই চাই। দরকার নেই কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতার। দরকার নেই নিত্য জীবনের বাইরে কোনো অসাধারণ জীবনের। প্রাণ গলায় এসে ঠেকছে। রাতের ঘুম বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেনা অচেনা সব মানুষের সঙ্গে যে এত কাছাকাছি রকমের বাঁধা আছি সেটা এত স্পষ্ট করে বুঝতে পারিনি আগে। এত এত মর্মান্তিক ছবি ছাপা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেগুলোর মুখোমুখি কিভাবে হব? শুধু আতঙ্ক তো নয়। অসহায়তায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জীবিকার জন্য কাজটুকু করেই হোয়াটস অ্যাপে, মেসেজে, ফোনে বসে পড়ছি চেনা অসুস্থ মানুষজনদের খোঁজ নিতে। আজ কেমন আছেন? কোনো মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন শুনে আনন্দে চোখে জল আসছে। তেমনই কেউ চলে গেছেন শুনে হেরে যাওয়া বিষণ্ণতায় আবার কুঁকড়ে যাচ্ছি।

মানুষ বাঁচে মনে

গতকালের কথা। দুপুর গড়িয়ে সদ্য বিকাল হয়েছে। এক বিশেষ দলের বেশ কিছু রাজনীতির মানুষ বাড়ি বাড়ি স্লিপ দিচ্ছেন। অবশ্যম্ভাবীভাবেই কারোর মুখে মাস্ক নেই। কারণ, "আমাদের এদিকে তেমন আসেনি"..."পকেটে আছে, এই খুললাম"..."গরম লাগে"...ইত্যাদি নানা ভ্যালিড কারণ তো আছেই। তাছাড়া কপালে থাকলে কে আটকাবে - এর থেকে বড় জীবন দর্শনই বা কি থাকতে পারে! 

মানুষ কি সে!

মানুষ এখন কমতে কমতে সংখ্যা

মানুষ এখন ব্রেকিং নিউজে কয়েক মিনিট

মানুষ এখন বোতাম টেপা স্ফুলিঙ্গ 

মানুষ এখন ধ্রুবতারা চেনে বিভাজন রেখায়

মানুষ এখন কোলাহলে ঘেরা শুধুই কুয়াশা

মানুষ এখন আর যাই হোক
    সন্দেহ তার নিজেকে নিয়ে
           মানুষ কি সে!

মামু

আমাকে সব চাইতে মজার বোকা বানিয়েছিল আমার ছোটো মামু। মানে কয়েকদিন আগে যার ভূতের সিনেমা পোস্ট করেছিলাম।

    আমি, সে আর আমার বোন পাশাপাশি শুয়েছি। আমরা এটা সেটা গল্প করছি, হঠাৎ ছোটো মামু, মানে অদ্রিজা বলল, মা ওই মিষ্টিটা অনেকদিন খাইনি আমরা।

মা-ও তাই বলেন

ধ্যানে যখন বসে তখন সব কেমন সুন্দর, সবের মধ্যে কি সুন্দর শান্তি,

মন্দিরের সামনে সেপাই

মন্দিরের সামনে সেপাইয়ের দল। পাগল জিজ্ঞাসা করল, তোমরা এখানে কেন গা?

মূল্যবোধ

একজন নাইনের ছাত্রী। বাবা খুব টানাটানির মধ্যে সংসার চালান, তাও চান মেয়েটা পড়ুক। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছেন মেয়েকে। ক'দিন আগে ব্যাচে পড়তে এসেছে। মাস্কটা নাকের নীচে পরা। স্যার তাকে দু-একবার বললেন, মাস্কটা হয় নাকের উপরে তুলে নাও, নয় খুলে বোসো। ছাত্রী গা করল না। আরেকবার স্যার বলাতে, এক ব্যাচ ছেলেমেয়ের মধ্যে স্যারকে বলল, আপনি আমার মুখটা দেখতে চান... নিন দেখুন... সেটা বললেই পারেন..., এই বলে সে মাস্কটা খুলে ব্যাগে ঢোকালো।
...

মধুপ

বলে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করো… একি কথা গোঁসাই? যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, যার কথা শোনা যায় তার উপরেই নির্ভর করা যায় না, এদিকে বলে কি যে দেখাশোনার বাইরে তার উপর নির্ভর করো? একি কোনো কাজের কথা হল গোঁসাই?

    গোঁসাই আজ ভীষণ সেজেছে। তার গলায় মালা। পরনে কি চমৎকার নীল কাপড়! মাথায় একটা শিখীপাখা… কি সাজ গো গোঁসাই এ?

মদনভস্ম

অ্যাদ্দিন মদনভস্মের গপ্পো পড়েছিলাম। শিবের ধ্যান ভাঙাতে মদন এয়েচিলো। যেই না একটা তীর মেরেচে কি মারেনি, অমনি গেল মহাদেবের ধ্যান ভেঙে। ব্যস, এমন ক্ষ্যাপা ক্ষেপলেন, দিলেন ভস্ম করে মদনদাকে। তারপর তো রতি, মানে মদনের বউ, অনেক আপিল টাপিল করে সিদ্ধান্ত হল, মদন থাকবে অনঙ্গদেব হয়ে। মানে মদনদা থাকবে, কিন্তু শরীর থাকবেনিকো। মানে নো অঙ্গ, অর্থাৎ অনঙ্গ।
...