Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (4) | H (2) | I (17) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (317) | (431) | (29) | (16) | (53) | (5) | (293) | (50) | (1) | (419) | (65) | (101) | (45) | (122) | (70) | (140) | (37) | (29) | (13) | (32) | (9) | (280) | (16) | (198) | (52) | (234) | (323) | (67) | (406) | (213) | (371) | (166) | (125) | (48) | (197) | (2) | (482) | (114) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1)

মোড় ফিরিয়ে দে

গোঁসাই ভাবল স্টেশানে গিয়ে বসে। কিন্তু এই ফাঁকা রাস্তা। পাশে দীঘির জল। ঠাণ্ডা বাতাস, জুড়িয়ে যাচ্ছে শরীর। গোঁসাইয়ের সন্ধ্যে থেকে ভিক্ষা জোটেনি। যা হোক, না জুটুক। গোবিন্দের ইচ্ছা। সামান্য একটু মুড়ি ছিল। তাই খেয়ে একতারাটা বার করল। নাম গাইবে। নিঃসহায়ের সম্বল নাম ছাড়া আর কি? নাম মানেই প্রেম। প্রেম মানেই নাম। প্রেম মানেই সত্য। সত্য মানেই প্রেম। একতারায় সুর উঠল। নাম, প্রেম, সত্য - এক হল।

মা-ও তাই বলেন

ধ্যান থেকে উঠে, নিত্যকর্ম সেরে মন্দির বন্ধ করে সাইকেলটা নিয়ে যখন রাস্তায় নামে পরমানন্দ, মনটা বিষণ্ণ হয়ে যায়। সমাজ আর তার ধ্যানের জগতে কিছুতেই বনিবনা হয় না। সমাজে এত অসামঞ্জস্য, এত অবিচার, এত দুঃখ, এত পাপ, এত নিষ্ঠুরতা।

মন্দিরের সামনে সেপাই

মন্দিরের সামনে সেপাইয়ের দল। পাগল জিজ্ঞাসা করল, তোমরা এখানে কেন গা? সেপাই বলল, মন্দিরের ক্ষতি করতে চায়। পাগল বলল, কারা গো? সেপাইয়ের দল বলল, সে আছে, আছে, আছে।

মাটি আকাশ আর ঘুড়ি

নিজেকে লাটাইয়ের সুতোর মত ছেড়ে দিতে দিতে মানুষটা থমকে দাঁড়ালো। নিজের যেদিকটা অসীমকে ছুঁয়ে আছে, তাকে আর স্পষ্ট নীচ থেকে দেখা যায় না। আর যেদিকটা মাটিতে আটকে আছে সেখানে সুতো নেই পর্যাপ্ত। আর দুইপাক ঘুরলেই সুতো শেষ। শূন্য লাটাই পড়ে থাকবে মাটিতে। এখন কি করবে সে? 
    হঠাৎ ঝড় উঠল। আকাশ ঘিরে এলো দস্যুর মত কালো মেঘ। এক ধাক্কায় আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ল তার অসীম ছোঁয়া আমি মাটিতে। আকাশে ওড়া সুতোতে লাগল কাদা। তার অসীম ছোঁয়া আমিকে স্নান করিয়ে গেল আকাশ ধোয়া বৃষ্টির জল। এবার? 
....

মোহনা

স্মৃতি নয়, জীবন। সময় তো শুধু বাইরেই সামনের দিকে এগোয়। অন্তরে তো নয়। সেখানে সময় উভমুখী। চাইলেই পিছনে যেতে যেতে কোন ভাঙা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। ফেলে আসা একটা শুকনো পাতা তুলে বলে, মনে পড়ে? 
    আমি বলি, কেন অকারণ ব্যথা জাগাও?
...

মহিষাসুর

মন্দিরের ছাদে একটা শালিক বসেছিল। যেই না উড়ে গেল, গণেশ বলল, হুস্! চলে গেল।

মনে রেখো

মনে রেখো, কিছু কিছু বাড়িতে মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ থাকে। তাদের আগলে রাখে, প্রাণপণে আগলে রাখে আরেকজন মানুষ, বা কয়েকজন মানুষ। যে বা যারা প্রতিদিন মৃত্যুকে বলে, আর

মামু আর কোরিয়ান কাঠি

সকালবেলা আমি আর মামু খেতে বসব। জলখাবার আরকি। চাউ হয়েছে। হঠাৎ দেখি মামু দুটো কাঠি নিয়ে খেতে বসল। আমি প্রথমে ভাবলাম সদ্য পুজো গেল, মামুর কি কোনো ঢাকির সঙ্গে প্

মৃত্যুঞ্জয়

গামছা কিনতে গিয়ে শেষ ট্রেনটা মিস হয়ে গেল অলোকের। বউটা এলো না। হাঁটুতে ব্যথা। কাঁচরাপাড়া স্টেশানে বসে অলোক। শ্রীগুরু আশ্রমে গিয়েছিল। বউ আর সে দু

মেঘ সরিয়ে...

ছেলেটা সবাইকে চিনতে পারল। মেঘ করে এসেছে। চারদিকে উত্তাল নদী। তীরে বাঁধা স্টিমারটা দুলছে।

মিডিয়া আমি কে?

আমাদের ছোটোবেলায় বলতেন বড়রা, লেবু বেশি চটকালে তিতা হয়ে যায়।

     সোশ্যালমিডিয়ায় এসে নিউজমিডিয়াগুলোর আচরণ ঠিক তা-ই লাগতে শুরু করছে। একজন মানুষের অসুস্থতা, এমনকি মৃত্যু নিয়েও যে এমন চক্ষুলজ্জাহীন ব্যবসা করা যায় সেটা দেখে হতাশই হচ্ছি। বাঁচতে কি শুধু উন্মাদনা, একটা অবসেসড হওয়ার কিছু লাগে? এর বাইরে কিচ্ছু না?

মামুর মাথাব্যথা

তো হল কি, মামুর মাথায় বেজায় ব্যথা। উঠতে, শুতে, নাইতে, খেতে সবেতেই মাথা টিসটিস করে। দিদি বেজায় চিন্তায় আমায় ফোন করল। আমি বললুম, তবে তো একজন চক্ষুবিশারদকে দেখাতে হয়।

মর্ম

মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি আর আবেগ-অনুভবের মধ্যে খুব সুক্ষ্ম একটা জায়গা থাকে। তার কোনো নাম দেওয়া যায় না স্পষ্ট করে। তবু যদি নাম দিতেই হয় সে হল - মর্ম।

    যুক্তিবুদ্ধির কথা বলা সোজা, আবেগ-অনুভবের কথাও বলা সোজা। কিন্তু যে কথা মর্ম থেকে উৎসারিত হয়ে আরেকটা মর্মে প্রবেশ করে, সে কথার হদিস পাওয়া ভীষণ কঠিন।

মাইক্রোওভেন

শীতের কামড়ে গা এলিয়ে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশানে বসে আছে মদন। রোদ এসে গা শুঁকে যাচ্ছে। কিন্তু কব্জা করতে পারছে না। পা

মা

মা

মরম ব্যথিত তুমি

নন্দ ভিখারিকে বললেও সে নীলাচলে যায় না। চাল নেই, চুলো নেই, তবু নন্দ

মা স্বপ্নে দিয়ে গেছেন

দুটো পা বেঞ্চির উপর তুলে বসে আছে রত্না। সবুজ সিল্কের শাড়িটার উপর মাথা রেখে। পেট ফেটে যাচ্ছে চাপে। এত জল খাইয়েছে। ফটো তোলা হবে পেটের। বাচ্চা এসেছে ক

মাছ আর সরীসৃপের গল্প

হয় তো হেঁটে মরুভূমি পেরোনো যায়। হয় তো এক মহাকাশ সাঁতরে পার হয়ে চলে যাওয়া যায় আরেক মহাকাশ। কিন্তু এই এত মানুষের ভিড়, আমাকে পরোয়া না করা ভিড়?

মা

স্বামীজি চিঠিতে লিখছেন, Everything must be sacrificed if necessary for that one sentiment, universality.

মশাতঙ্ক

স্বামীজী চিঠিতে লিখছেন, "ভোগের নামে সবাইকে পিত্তি পড়

মাটি, না আকাশ?

সমস্যাটা শুরু হল ছেলেমেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। ছেলেটা ক্লাস টুয়েলভে পড়ে

মা

কই গো তুমি

মহা-আপন

ঝড় উঠল। গোঁসাই ফিরছে আশ্রমে। একতারা আর ধুতি সামলাতে সামলাতে গোঁসাই আশ্রমের দরজায় এসে বলল

মাহেন্দ্রক্ষণ

অনবরত এই যে চলা। অনবরত এই যে নিজেকে ঘিরে আবর্ত। অনবরত এই যে এক অন্ধকার থেকে আরেক অন্ধকার গলির দিকে যেতে, মাঝে এক চিলতে আলোর অবসর। এর মধ্যে যুক্তি-সাযুজ্য-অর্

মফস্বল ও শহর

মায়ের বড় হওয়া মফস্বলে। মায়ের সময়ে সেটা ঠিক মফস্বলও না। গ্রামই বলা চলে। দাদু সেখানকার সরকারি হাস্পাতালের চিকিৎসক ছিলেন।

মিথ

তোমার মিথে তুমি থাকো

মা আসছেন

গোবিন্দ চক্কোত্তি এ পাড়ার কালী মন্দিরের পুরোহিত। ভীষণ নিষ্ঠা নিয়ে পুজো-আচ্চা করেন। সবাই বেশ শ্রদ্ধা করে। নির্লোভ মানুষ। শান্ত মানুষ। কিন্তু সেদিন পুরোদস্তুর