Skip to main content
mohana

স্মৃতি নয়, জীবন। সময় তো শুধু বাইরেই সামনের দিকে এগোয়। অন্তরে তো নয়। সেখানে সময় উভমুখী। চাইলেই পিছনে যেতে যেতে কোন ভাঙা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। ফেলে আসা একটা শুকনো পাতা তুলে বলে, মনে পড়ে?
    আমি বলি, কেন অকারণ ব্যথা জাগাও?
    সে বলে, এ সমস্ত আয়োজনটুকুই তো অকারণ। বোঝোনি এতদিনেও। বুঝেছ, স্বীকার করো না। ভুলে থাকতে চাও। ভুলে থাকো নিজেকে। 
    বললাম, যাও, আমায় বাঁচতে দাও। 
    সব মিলিয়ে গেল। 
    নিজেকে চিনি, জানি বলে নিজেকে নিয়ে যে গর্ব, আস্থা, সে ঠেক খেয়ে দাঁড়ালো। এত বড় শৃঙ্খলে এই আজকের আমি কোন গ্রন্থিতে দাঁড়িয়ে? তাকালেই দেখি গ্রন্থির পর গ্রন্থি। সবই আমি। অতীতে মিলিয়ে। সব ঝাপসা! কি মায়া জাগিয়ে গেল! সামনে যে শৃঙ্খল তৈরি করে চলেছি, সে শৃঙ্খল যেদিন মোহনার সামনে এসে দাঁড়াবে, সব কটা গ্রন্থি খুলে খুলে মিলিয়ে যাবে, সেদিন কেউ থাকবে না। কোনো সাক্ষী নেই। অসীম সমুদ্র। সমস্ত সুখ দুঃখ যেন একটা সাদা ডানাওয়ালা পাখির মত মিলিয়ে যাচ্ছে সেই সাগরের নোনা বাতাস মিশে শূন্যে। কোথাও কেউ নেই। আর সেই না থাকাই মিলে যেন কার এক মহা অস্তিত্ব। সমস্ত সৃষ্টি সেই মহা অস্তিত্বের পায়ে প্রণত। একটাই বাণী - শান্তি, শান্তি, শান্তি।

(ছবি - নেট)