Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (4) | H (2) | I (17) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (317) | (431) | (29) | (16) | (53) | (5) | (293) | (50) | (1) | (419) | (65) | (101) | (45) | (122) | (70) | (140) | (37) | (29) | (13) | (32) | (9) | (280) | (16) | (198) | (52) | (234) | (323) | (67) | (406) | (213) | (371) | (166) | (125) | (48) | (197) | (2) | (482) | (114) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1)

মতিগতি

লঙ্কা মাখা আঙুল
জিহ্বা স্পর্শে ক্ষতি কি সেমতি?
   চ্ক্ষু স্পর্শে হইবেক যেমতি? 

ধর্ম করিলে স্পর্শ রাজনীতি
     কোন খাতে বহিবে মতিগতি?

মূল্যায়ন


চ্যারিটি ভালো জিনিস। সভ্য মানুষ চ্যারিটি করবে এ ভালো কথা। মহাপুরুষেরা বলে গেলেন, সব চাইতে বড় দান হল জ্ঞানদান। 

মাটির গুলি

রোগা ছিপছিপে শরীর। প্যান্ট আর জামা অতিব্যবহারের সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। বয়েস দেখে মনে হবে সদ্য হয় তো পঞ্চাশ পেরিয়েছে। মুখে শুনলাম, বয়েস তেষট্টি। "আমি এই তেষট্টি বছর এই মাঠে আসছি... এমন সাপ দেখিনি আগে।"

মুড়ি গুণকীর্তন

মুড়ি ভীষণ নিরহংকারী। মুড়ি দেখলে, মুড়ি স্পর্শ করলে, মুড়ি চিবোলে মনের অহংকার নাশ হয়। কলির এই ক্লাইমেক্স কালে হরিনামের চাইতেও শুদ্ধচিত্ত হওয়া সম্ভব মুড়ির মাধ্যমে। জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ ইত্যাদি সবেতেই এক ফল। অহংনাশ। পিত্তিনাশ। একসঙ্গে হবে। হবেই হবে।

মহামানবের সাগরতীরে

কেউ ভারতকে পেতে চায়। কাউকে ভারতে পায়। 

    যে ভারতকে পেতে চায়, সে কড় গোনে, দাগ কাটে, এদিক ওদিক ভিন্ন ভিন্ন রং খোঁজে, চোখ রাঙায়, দল পাকায়, দল ভাঙে। 

মিথ্যা মিথ্যা সত্যি

- তুই সকালে কোথায় খাস?

- বাইরে একটা দোকান আছে, দারুন বাটার টোস্ট করে, ওখানে খাই, সাথে র চা।

- আমায় এবার যখন বাড়ি নিয়ে যাবি, ওখানে চা আর বাটার টোস্ট খেয়ে বাড়ি যাব
...

ম্যাজিকটা আর নেই

ম্যাজিকটা আর নেই

বাকি সবই আছে
যা যা
যেমন যেমন
হওয়ার, চলার, ঘটার
...

মহাভিনিষ্ক্রমণ

   আসলে কেউ বোকা না। কেউ কেউ বোকা সেজে থাকে।

   মাথার উপর ফ্যানটা ধীরে ধীরে ঘুরছে। লোকটার বেডের নাম্বার ৩৬। কতদিন হল ভর্তি মনে নেই। ডাক্তার, নার্স কারোর মনে নেই। খাতাটা ইঁদুরে কেটেছে। সেই খাতায় ভর্তির তারিখ, রোগের নাম, জ্বর আসার সময়, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট – সব লেখা ছিল।
...

মৃত্যুর সঙ্গে বোঝাপড়া

জেঠু মারা গেলেন অল্প বয়সে। হঠাৎ করে, সেরিব্রাল অ্যাটাক। বাংলার বাইরে। ঠাকুমা বললেন, আর ঈশ্বরের মুখ দেখবেন না। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী থাকবেন উপোষী। সোমবার শিব থাকবেন অস্নাত, অর্মাজিত। তাই হল।

   দুর্গাপুজো এলো। ঠাকুমা মণ্ডপে গেলেন না।
...

মানুষ যখন

মানুষ যখন বাইরের জগতের চোখে নিজেকে দেখতে চেষ্টা করে, তখন সে খালি তুলনা করে, নিজেকে বারবার এর-তার নিলামের মঞ্চে চড়ায়। মানস চক্ষে নিজের মূল্য আঁকে, মোছে, আবার আঁকে। কিছুতেই কোনো সংখ্যায় স্থির হতে পারে না। সামনে যেন আরো কত কত পথ বাকি। তার চাইতে কত বেশি বেশি গুরুত্ব-খ্যাতি-সম্মান নিয়ে চলেছে কত কেউ। মানুষ ঈর্ষায় পোড়ে, ডোবে।
...

মেয়েটা মারা গেছে

আইসিইউতে লড়া শেষ। এতক্ষণে আমরা নেটিজেনেরা স্ক্রল করতে করতে জেনে গেছি নিশ্চয়ই যে মেয়েটা মারা গেছে। উনিশ বছর। দলিত। স্পাইনাল কর্ডটা ভাঙা ছিল। জিভটা কাটা ছিল। আরো ডিটেলিংস ছিল, পড়েওছি। লিখলাম না।
...

মহালয়ার মহাঝামেলা

আমার জীবনে মহালয়ার সকাল শুরু হয় হাওড়ায়। যেহেতু জন্ম সেখানে। তারপর কাঁচরাপাড়ায়। বাবার রেলের চাকরির সূত্রে রেলকলোনীতে। সে ছিল সুরের প্রভাতী মহালয়া।

কিন্তু মহালয়ার সকাল অ-সুরের আতঙ্কে পরিণত হল হালিশহরে আসার পর।
...

মামুর নতুন মোবাইল

মামুর নতুন মোবাইল। নিন্দুকে রটাচ্ছে মামু নাকি রাতদিন হোয়াটস অ্যাপ করছে, গেম খেলছে, ইউটিউবে সাজের ভিডিও দেখছে --- এইসব। মামু বলল, মোটেও না, পুরো গোটা স্কুল, অতগুলো প্রাইভেট মাস্টার (যার মধ্যে এই মামুও আছে), সব গিয়ে সেঁধিয়েছে ওইটুকুন স্ক্রিণের ভিতর। এ উঁকি দেয় গুগুল মিটে, সে উঁকি দেয় জুমে
...

মহাকালের মত

যদি বলা হয়ে গিয়েছিল
  তবে আবার ফিরে এলাম কেন?
যদি বলা হয়নি
   তবে চলেই বা গিয়েছিলাম কেন?

তুমি ফিরে যাওয়ার পর
...

মহিলাদের জন্য

মহিলাদের জন্য স্কিন স্পেশালিষ্ট। মহিলাদের জন্য কার্ডিওলজিস্ট। মহিলাদের জন্য অপথ্যালমোজলিস্ট। মহিলাদের জন্য এণ্ডোক্রিনোলজিস্ট। মহিলাদের জন্য নেফ্রোলজিস্ট। মহিলাদের জন্য
...

মানি অর্ডার

দূরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। সমাজে যেরকম পোশাকের মহিলাদের মেয়েছেলে ডাকা হয় দু'বার না ভেবেই, সেরকম একজন, মধ্যবয়স্ক মহিলা মাঠে বসল। পিছনে গঙ্গা।
...

মটরশুঁটির বন্ধ খোলার মত

হঠাৎ মনে হল,
ঘরে বসেই মনে হল,
বাইরে যেন ভীষণ চীৎকার করছে কারা....
  গলার শিরাগুলো ফুলে ফুলে উঠছে
   ভারতের মানচিত্রে নদী তারা..

বাইরে বেরিয়ে এলাম
...

মন মোর মেঘের সঙ্গী

আজ অবধি যতপ্রকার ত্রুটি নিয়েই মানুষ জন্মাক না কেন, মন ছাড়া জন্মেছে, এমন উদাহরণ নেই। রবি ঠাকুর গাইছেন, মন রে ওরে মন/ তুমি কোন্ সাধনার ধন / পাই নে তোমায় পাই নে/ শুধু খুঁজি সারাক্ষণ।।
   ভালো কথা, এ খোঁজারই বস্তু। কিন্তু খুঁজলেই আর মেলে কই? তবু একেবারেই কি আর মেলে না? তা বললে হবে কেন? তো সেই মনের খোঁজের
...

মিথ্যা

তোমার মুখের জায়গায় দেবতার মুখ

তোমার ছবির জায়গায় মহাপুরুষের ছবি

তোমার নাম। তোমার কীর্তি। তোমার সংসার।

দেবতার মুখোশে
...

মাটি মাকড়সা ভালোবাসা

লোকটা ভেবেছিল কি, যেখানেই যাবে চারদিক থেকে নাকি টুপ টুপ করে ভালোবাসা পড়বে। বৃষ্টির মত। শিশিরের মত। মধুর মত।
   তাই কি পড়ে? যাও কয়েক বিন্দু
...

মাস্ক পরা মানুষ

দু-মাসের মধ্যে মানুষের মুখমণ্ডলের এমন পরিবর্তন! রাস্তায় বেরোলে কাউকে চেনা যায় না। আকারে, হাঁটাচলায়, চেনা জামায় চিনতে হচ্ছে। কেউ মাস্কহীন রাস্তায় বেরোলে এমনভাবে লোকে তাকাচ্ছে যেন উলঙ্গ হয়ে বেরোলেও এতটা বিস্মিত হত না। যে 'মুখোশধারী মানুষ' কথাটা নিন্দার ছিল, তাই আজ
...

মঙ্গল

- ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব কি করে? আমি যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না।
- মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা? তাও কি করা সম্ভব নয়?
- কার কাছে প্রার্থনা? কোনো মঙ্গলময়ের উপর যে আমার আর বিশ্বাস নেই।
- মঙ্গলে? তাতেও কি বিশ্বাস নেই?
- জানি না, হয় তো নেই।
- কিন্তু সে তো সাময়িক, এই প্রবল
...

মেঘের পরে মেঘ জমেছে

মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে...
   চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ। কারোর বাড়ির চাল নেই। কোথাও পোস্ট ভেঙে পড়ে। না, সে সব ছবি দিচ্ছি না। তারাই অনেকে মাঠে। অনেকে পুকুর পাড়ে। অনেকে মাছ ধরা দেখতে ভিড় করে। সোশ্যাল ডিস্টেন্স না মেনেই। কিন্তু সেই নিয়েই খুব বড় একটা জ্ঞানগর্ভ আলোচনা মাথায় ভিড়
...

মানুষের থেকে দূরত্ব

এতদিন অসুস্থতা ও মৃত্যুর পরিচয় ছিল, তারা ব্যক্তিগত। নিজের ভয়, নিজের আতঙ্ক, নিজের শোক নিজেকে নিয়ে, নিজের করুণা নিজেকে নিয়ে - সবই ব্যক্তিগত পরিসরে। বড়জোর আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে।
   আজ কতদিন হয়ে গেল, সব বদলে গেল। মৃত্যু এখন ব্যক্তিগত না। সমষ্টিগত। রোগের ভয়, আতঙ্ক ব্যক্তিগত নয়, তাও সমষ্টিগত।
   একজন মানুষ
...

মুঠো


হাতের চেটো
মুঠো হতে চাইত
বায়না করত

ম্যান্ডেলা

আমি গোগ্রাসে বই পড়তে পারি না। অথবা গোগ্রাসে বই পড়া বা 'ভোরাশিয়াস রিডার' কথাটাও আমার খুব একটা পছন্দের নয়। বই বেছে পড়ি। ভাবনার সাথে যে আত্তীকরণ সঠিক অনুপানে না হয় তবে তার যে কি দুরবস্থা হয় তাও দেখেছি। তখন 'কি পড়ছি' থেকে 'ওরে বাবা কত পড়ছি' কথাটা বড় হয়ে ওঠে। তাতে লাভ কিছু হয় না
...

মনে রেখো

আমি জানি, তোমার বৃত্তের বাইরে তুমি অনেকখানি। যেখানে তুমি একা। সংসারে তুমি ভালোবাসার মানুষ হতে হতে দরকারের মানুষ হয়ে দাঁড়ালে। তোমার কর্তব্য বাড়ল। দায়িত্ব বাড়ল। তোমায় না হলে সংসারে এক মুহূর্তে
...

মেরুদণ্ডহীন

ভীষণ শক্ত ভাষায় কবিতা লিখতে গিয়ে নবারুণ খিস্তি ব্যবহার করেছে। বাঙলা ভাষা, সংস্কৃতিকে 'imbecile' বলেছে। শিল্প সাহিত্য জুড়ে Lumpen দের রাজত্ব বলেছে।
   এ সবই কি ভুল? চারদিকে যা চলছে, যা ঘটছে
...

মন বাঁচুক

রান্না করতে সকাল থেকেই ইচ্ছা করছে না। সকাল থেকে শুয়ে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে।
সারা শরীর দিয়ে মনে হচ্ছে পোকার সারি হেঁটে যাচ্ছে। জানলাটা খোলা। রাস্তা পাশে। দিনদুনিয়া তার মত জেগে। কত উৎসাহ মানুষের।
তার কিছুতেই কোনো উৎসাহ নেই। এরকম মাসের পর মাস চলে। তবু নিজেকে টেনে হিঁচড়ে স্টেশানে নিয়ে যায়। ট্রেনে ওঠায়।
গলায় জোর এনে চীৎকার করে, দিলখুশ… দিলখুশ… গরম গরম… এখনই খান… বাড়ি নিয়ে যান… টাটকা দিলখুশ…

মেয়েদের মত করে হাঁটিস না

মেয়েদের মত করে হাঁটিস না… মেয়েদের মত করে কথা বলিস না… মেয়েটার কেমন মদ্দা মদ্দা ভাব… ওরকম হিজড়েদের মত হাততালি দিস না…

মাটিকুমড়ো

ভোর ছ'টা এগারোতে ট্রেন। রাণাঘাট লোকাল, হালিশহরে। উঠলাম। ফাঁকাই বলা চলে।
বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। সিটে বসলাম না। আরে বাবা রাতদিন বাড়ির ভিতর বসেই তো আছি, আর কতদিন বসে থাকা যায়!

মনে হয়

মনে হয়
আর কোনো জন্মে আমি গাছ ছিলাম
নইলে গাছেদের সঙ্গে এত স্মৃতির
আত্মীয়তা কেন?