আমাকে সব চাইতে মজার বোকা বানিয়েছিল আমার ছোটো মামু। মানে কয়েকদিন আগে যার ভূতের সিনেমা পোস্ট করেছিলাম।
আমি, সে আর আমার বোন পাশাপাশি শুয়েছি। আমরা এটা সেটা গল্প করছি, হঠাৎ ছোটো মামু, মানে অদ্রিজা বলল, মা ওই মিষ্টিটা অনেকদিন খাইনি আমরা।
বোন জিজ্ঞাসা করল, কোন মিষ্টি?
সে বলল, আরে ওই যে গো এরকম লম্বা লম্বা.... কি যেন নাম!
আমি উৎসাহিত হয়ে বললাম, চমচম?
সে বলল, না।
বোন বলল, আরে নাম না বললে কি করে কেনা যাবে?
আমি আবার এগিয়ে গিয়ে বললাম, সত্যিই লম্বা?
সে বলল, ঠিক অতটাও লম্বা না।
আমি বললাম, বটফল?
সে বলল, না।
আমি বললাম, পান্তুয়া?
সে বলল, না।
আমি বললাম, গুজিয়া?
সে বলল, না।
বোন বলল, আরে থাক, কাল আমি তোকে নিয়ে যাব মিষ্টির দোকানে তুই দেখিয়ে দিস...
আমি বললাম, থাক, ওকে রোদে বেরিয়ে কাজ নেই, আমি গিয়ে নিয়ে আসব... তুই নামটা বল মামু...
সে বলল, নামটাই তো মনে পড়ছে না।
আমি আবার ডাকতে শুরু করলাম...
ছানার জিলিপি?
না।
গজা?
না।
মিষ্টি সিঙ্গাড়া?
না
রাবড়ি?
হ্যাঁ হ্যাঁ রাবড়ি...... রাবড়ি...
বোন বলল, যাক। আমি বললাম, বেশ, আমি কালকেই সকালে নিয়ে আসব।
পরেরদিন সকালে ক্লাসটাস করিয়ে স্নান সেরে বেরোব, রেডি হচ্ছি..... মামু খাটে বসে কি একটা করছে। আমি বললাম, আমি তাহলে রাবড়িটা নিয়ে আসি। তুই যাস না, বাইরে খুব রোদ।
মামু বড় বড় চোখ করে আমায় বলল, রাবড়ি? কেন?
আমি বললাম, বা রে, তুই যে কালকে রাতে বললি রাবড়ি খেতে চাস...
মামু গম্ভীর হয়ে বলল, সে তো মিথ্যা কথা বলেছি.... আমার তো এখনও নামটা মনে পড়ছেই না.....
আমি বললাম, তবে যে রাবড়ি বললি.....
মামু ততোধিক মুখের গম্ভীরতা বজায় রেখে বলল, নইলে তো তুমি থামতেই না... আমার ঘুম পেয়ে গিয়েছিল না......
আমি থ হয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে আড়চোখে আমার অবস্থা দেখে মুচকি হেসে আবার নিজের কাজে মন দিল.... সে মিষ্টির নাম আমি আজ অবধি জানতে পারিনি যদিও.....