দুজনে
বাচ্চাটা দুটো তুবড়ি, আর চারটে ফুলঝুরি জ্বালানোর পর মায়ের মুখের দিকে তাকালো। বুঝল আর নেই। মা তাকে নিয়ে ছাদে উঠল। কত কত বাড়িতে টুনি লাইট লাগানো। সামনের পুকুরটা জ্বলজ্বল
দাভোলকার ও কিছু কথা
দ্য লাস্ট গার্ল
দখল
১
====
দখল চাইছি
তোমার
চলে যাও
মুক্ত করো নিজেকে
বাঁচাও আমায়
২
====
সমস্ত দখল করে বসে আছি
এত ভালোবাসা আমার
৩
====
একদিন সব দখল ছেড়ে দেব
একদিন আর দখলকে বলব না ভালোবাসা
দাগ
এমনকি জগদীশ যখন ইতিমধ্যে মৃত স্ত্রী'র শরীরটা টুকরো টুকরো করছে, তখনও তার মনে হচ্ছে সে ঠিক করছে। ঝুম্পা যখন জগদীশের করাল মুষ্টির মধ্যে থেকে শ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট করছিল তখনও জগদীশের মনে হচ্ছিল সে ঠিক করছে।
দেরি হলে বর্ষা পাবে না গাছগুলো
মন যদি নদী হয়, তবে সে নদীর জোয়ার ভাটার সাক্ষী কে গোঁসাই?
গোঁসাই গোলাপ গাছের গোড়ায় আরেকটু মাটি চেপে বলল, চেতনা।
গোঁসাই উঠে দাঁড়ালো। কোমরটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, আমার সঙ্গে এদিকে এসো দেখি একবার।
দেরি হয়ে যাচ্ছে যে
যে সে নয়, মায় স্বামীজির বইতে পড়েছি, যে কখনও কাঁদেনি তাকে নাকি বিশ্বাস করতে নেই। ঋষিবাক্য। মনে বুকে গেঁথে নিয়েছিলাম।
দেশ ভগবানের ভরসায় চলছে
আসলে শুধু নেতার দোষ না। যেদিন অত বিশাল মূর্তি বসল, যেদিন অত কোটি টাকা দিয়ে মন্দিরের প্রকল্প হল, সেদিন আমরা একজোট হয়ে বলতে পারিনি, এই টাকাগুলো আগে আমাদের স্বাস্থ্যের খাতে খরচ হোক। গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত হোক। সরকারি হাস্পাতালেগুলোতে চিকিৎসার সঠিক সরঞ্জাম আসুক। না, এগুলো
দৌড়ে কি হবে?
পরেশ সামন্ত "ধুর শালা, নিকুচি করেছে ঘুম" বলে উঠে পড়ল বিছানা ছেড়ে। বিছানায় ছারপোকা থাকলে মানুষ এমনিই দার্শনিক হয় - এমন একটা গভীর উপলব্ধি নিয়ে, ঘর্মাক্ত কলেবরটাকে ঘেমে যাওয়া বিছানা থেকে তুলে আবার বলল, শালা। মানদা ঘুমাচ্ছে। ঘুমাক। মূঢ় জীব!
দে দোল দোল
দীর্ঘস্থায়ী অন্ধকার
দুলে উঠল তারারা
রুটি আমি গিয়ে না করলে, করবে?
দেবতা যাচ্ছে ভেসে
তাকে ছোঁয়াছুঁয়ির বাতিকে ধরল এসে...
দীর্ঘশ্বাস
দ্বন্দ্বানন্দ
দ্বন্দ্ব নিয়ে শান্তিতে আছো। একি হয়? এও কি হয়? দ্বন্দ্ব নিয়ে ঈশ্বরকে ডাকো। ঈশ্বর যদি শুনে ফেলেন! ধরো তুমি নির্দ্বন্দ্ব হলে, কি হবে? ধরো ধরো সত্যি সত্যিই শান্তি পেলে। পালিয়ে গিয়ে, আড়াল করে, ভুলে গিয়ে খুচরো শান্তি না গো না, সত্যিকারের শান্তি পেলে। কি হবে? বুঝতে পারছো কি সর্বনাশটাই হবে তোমার? দ্বন্দ্ব গেলে সব যাবে। তোমার মুঠো খুলে জমানো যা কিছু "আমি - আমার" গণ্ডী ছাড়িয়ে ভেসে যাবে। সব যাবে সব যাবে। স্বপ্নগুলো ছাইকাদা মেখে ধুলোয় কাদায় গড়াগড়ি খাবে। সব্বনাশ! সইতে পারবে! দ্বন্দ্বহীন জগত তোমার আগুপিছু ঘুরে বেড়াবে। বাইরে ভিতর, তোমার আমার, সব হারিয়ে ঘোল খাওয়াবে! কে গুরু! কে ঈশ্বর! কি শাস্ত্র! কি মত! কি পথ! সব গুলিয়ে ঘেঁটে যাবে। দলাদলি, স্বার্থসুখ, সব ঘেঁটে গিয়ে বেড়া খুলে গিয়ে মাঠ হয়ে যাবে! সব্বনাশ হবে! সব্বনাশ হবে!
...
দাম
মানুষটাকে ঘরে রাখা গেল না
কারণ প্রায় উপার্জনহীন
অথর্ব, জীর্ণ শরীর
সরকারি হাস্পাতালও রাখতে চাইল না
কারণ বেখেয়ালি মানুষটা
হুস করে
একমাত্র সম্বল
প্রাণবায়ুটা ফেলল হারিয়ে
আগুন নিল
দাহ করার দাম নিয়ে,
আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব
দিল সে মূল্য
দ্বিধাকূল
বাঙালি সব সময়েই দ্বিধাকূল জাত। সৌমিত্র, না উত্তম; সত্যজিৎ, না ঋত্বিক; রবিশঙ্কর, না নিখিল ইত্যাদি ইত্যাদি।
দেবীত্বটুকুই যায়
দেবত্ব
দু মুখো সুচ
দু মুখো সুচকে নিয়ে কি হবে?
দশকৌণিক
সানাই বাজছে বেহাগে। লগ্ন সন্ধ্যায়। এই তো লগ্ন। এই তো সন্ধ্যা। বেহাগের সঙ্গে শুরু হল মন্ত্র উচ্চারণ।
দেশ - সঙ্ঘজননী
দশটাকা
পুজোর ডালা আটকে দিল পুরোহিত। বলল, প্রণামী না দিলে হবে না। <
দ্যুতি
আকরিক কহিল উচ্চে
দয়া
দরিদ্র রমণী এক, পুত্র সন্তান ক্রোড়ে, আসিলেন জঙ্গলে। রন্ধন উপযোগী শ
দ্য হোয়েল, কিছু কথা
দরকার ছিল
গোটা রাত কেটে গেল একা। একার মধ্যে এলে তুমি। কে তুমি?
দোটানা
বয়ানের দুটো ছাগল চুরি হয়ে যাওয়ার পর বয়ানের সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। সকালে যা হোক কিছু একটা খেয়ে সারাটাদিন ঝোপেঝাড়ে খুঁজে বেড়ায়। রেললাইন ধরে প্রায় দ
দুটো সমস্যা
প্রথম সমস্যা হল 'দু চক্ষে দেখতে পারি না', আর সহমত নই - এই দুটোর মধ্যে একটা সুক্ষ্ম পার্থক্যকে ধরতে না পারা। সেটা শিক্ষাগত পার্থক্য। যখন আমি তেড়ে ফুঁড়ে বলছি,
দশ
সারারাত মদ খেল সে। মায়ের পুজোয় খায়। অভ্যাস। নেশা বাড়লে ভক্তি বাড়ে। ভক্তি বাড়লে মনে ক্ষোভ
দিনদুনিয়ার মালিক আর জোনাকি
মাছ বিক্রি হয়ে গেলে গামলা-হাঁড়ি ধুতে বসল বগাই পুকুরের ধারে। লুঙ্গিটা হাঁটু অবধি তুলে, গায়ের ঘেমো জামাটা পাশে ঘাসের উপর মেলে ঘসঘস করে গামলা ঘষছে বগাই। পিছনে ভ
দরজা। প্রদীপ। আর সে।
সন্ধ্যের অন্ধকারে টিমটিমে প্রদীপের আলোর সামনে এসে সে দাঁড়ালো। জোড়হাতে বলল, বাইরে ভীষণ বৃষ্টি, ঝড়, বিদ্যুৎ। আসব ভিতরে?
দুটো বই
দ্বা সুপর্ণা
অন্য কেউ না
আমিই দেখে চলেছি আমাকে
গ্রীষ্ম বর্ষা
শীত বসন্ত
কথার ভিড়। কথা শূন্যতা।
হিংসা। রাগ। অভিমান।
ভালোবাসা। ভয়। মান। অপমান।
আমিই সাক্ষী আমার। একা।
তবু একা হই। সঙ্গী খুঁজি।
যে সাক্ষী হবে আমার সঙ্গে আমার।
দেখে এলেম তারে
দরজা
সেদিন ছিল দরজা পুজোর আয়োজন। গ্রামের সব বাড়ির দরজা থাকবে বন্ধ। রাজপুরোহিত আসবেন রথে চড়ে। একে একে সব দরজা হবে পুজো। গৃহস্থের মঙ্গলের জন্য হবে যজ্ঞ। স