বাচ্চাটা দুটো তুবড়ি, আর চারটে ফুলঝুরি জ্বালানোর পর মায়ের মুখের দিকে তাকালো। বুঝল আর নেই। মা তাকে নিয়ে ছাদে উঠল। কত কত বাড়িতে টুনি লাইট লাগানো। সামনের পুকুরটা জ্বলজ্বল করছে সেগুলোর প্রতিফলনে।
মা আর বাচ্চাটা পাশাপাশি
বসে ছাদে। তাদের বাড়ির প্রদীপগুলো অনেকক্ষণ নিভে গেছে। নেভা প্রদীপ কয়েকটা শিশিরে
ভিজছে। চারদিকে এত এত বাজি ফাটছে। আকাশে হুস হুস করে বাজি উঠে তারার ঝরণার মত ফেটে
যাচ্ছে। বাচ্চাটা উঠে গিয়ে ফুরিয়ে যাওয়া তুবড়ি দুটো সামনে এনে রাখল। মা তাকালো, কিছু বলল না।
হঠাৎ মা উঠে গিয়ে ছাদের কার্ণিশের দিকে গেল। ডাকল, বাবু এদিকে দেখে
যা!
বাচ্চাটা দৌড়ে গেল। মা
নীচে তাদের কুয়োপাড়ের ঝোপের মধ্যে দেখিয়ে বলল, দেখ!
ঝোপের মধ্যে জোনাকির মেলা
বসেছে তখন।
বাচ্চাটা মায়ের মুখের
দিকে তাকালো। অন্ধকারে মায়ের মুখটা কষ্ট কষ্ট। বাচ্চাটা মায়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
বলল, ঠিক যেন টুনিলাইট... না না, তারাবাজি.. না মা!!
মা তাকে নিজের দিকে আরো
টেনে নিয়ে বলল, তাই না!
অন্ধকারে দুজনে জড়াজড়ি
করে এত কাছে ঘেঁষে দাঁড়ালো যে কষ্টটা দাঁড়াবার মত ফাঁকই খুঁজে পেল না।