দাদা ক’টা জারোয়া দেখলেন?
আন্দামানে সে গিয়েছিল যীশুর বাণী প্রচার করতে। বোকামি? ধর্মান্ধতা? ভক্তি? বিশ্বাস?
জানি না।
দেওয়ালের রঙের আলোচনা হল
দেওয়ালের রঙের আলোচনা হল
দরজার কাঠ,
বাড়ির সম্ভাব্য আসবাব, সাজসরঞ্জাম
সে নিয়েও কথা হল
বাকি শুধু ভিতের আলোচনাটা
কতটা গভীর, কতটা পোক্ত হবে?
সে আলোচনা আজও হচ্ছে-হবেই রইল
দাগ
সাবির আলি চেয়ারের হাতলে ভর দিয়ে বাঁদিকে ঝুঁকে বসে আছে। মাথার উপর স্বচ্ছ টাকে পিছনের জানলার পর্দাটার ছায়া দুলছে। নীল সাদা চেক চেক শার্টে এখনও ঘামের দাগ শুকায়নি। রিডিং গ্লাসটা নাকের কাছে নেমে এসেছে। ডান হাতটা চেয়ারের বাইরে ঝুলে আছে। সাবির আলি পনেরো মিনিট হল মারা
দোকানির সাজানো লাটাই
দোকানির সাজানো লাটাই, মাঞ্জা দেওয়া সুতো, ঘুড়ি - ছ'বছরের চোখটায় টাটাচ্ছিল।
মা বললে, এখন থাক
(নীরবতা বলল, এখন পারব না)
ছেলেটা বলল, কিন্তু আমাদের ছাদে যে খুব হাওয়া!
(চঞ্চলতা বলল, এ সব যে আমারই জন্য রাখা!)
দীক্ষা
নিরাকার থেকে সাকার, আদিদেব থেকে ইদানীং লোকনাথ বাবা --- কার না ক্যালেণ্ডার, ছবি নেই এ দেওয়াল, সে দেওয়াল, আলমারীর গায়ে, খাওয়ার টেবিলের পাশে ইত্যাদি ইত্যাদি। পরেশের মজাও লাগে, রাগও লাগে। ইলাকে কিছু বলে না। তাদের মেয়ে জয়িতা এবার মাধ্যমিক দেবে, তার সাথে মাঝে মাঝে ই
দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ
যদ্দূর মনে পড়ে জীবনে শোনা প্রথম ভাব জগতে ছবি আঁকা কবিতা শুনেছিলাম ঠাকুমার কণ্ঠে, প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, গুজিয়া সহযোগে –
"দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ।
দমকা হাওয়া
...
দুটো মৃত্যু - মার্কেজ
দুটো মৃত্যু। একজন সম্রাট, আরেকজন (The General in His Labyrinth) এক অখ্যাত যুবক (Chronicle of a Death Foretold)। প্রথমটা স্বাভাবিক মৃত্যু, দ্বিতীয়টা হত্যা। একটা উপন্যাস, আরেকটা প্রায় উপন্যাস বা বড় গল্প। প্রথমটার রচনাকাল ১৯৮৯, আর দ্বিতীয়টার রচনাকাল ১৯৮১। একটার পটভূমিকা রাজনীতি, আরেকটার পটভূমিকা সমাজ। খানিক গল্পটা বলে নিই আগে।
দুঃখ নিজেকে দু-টুকরো করে
দুঃখ নিজেকে দু-টুকরো করে
এক টুকরো আমার হাতে দিয়ে বলল -
চেখে দেখো!
আমি চাখতে চাখতে
বাকি টুকরোটার দিকে তাকিয়ে
ভুরু কুঁচকে, তিতো আসক্তিতে
দীর্ঘশ্বাস
লোকটা একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলবে বলে একটা বড় শ্বাস নিল। বুকটা এত্তবড় হয়ে গেল যে পাঁজরে আওয়াজ হল কট-কট-কট্টাস করে। ফুসফুসটা এত্তবড় হাঁ করল যে তার আলজিভ পর্যন্ত গীর্জার ঘন্টার মত দুলে উঠল। ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল, অ্যালভিওলাই জুড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। এত্ত জোরে বাতাস ঢুকছিল যে কয়েক যুগ অত বাতাস নেয়নি লোকটা। প্রতিটা কোষ নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল -
দড়ি
সংখ্যায় বিশ্বাসীরা, সংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে কোথাও একটা ঠেকলেই বিরক্ত হয়। তখন গোনায় মানুষ বাধা হয়ে এসে পড়লেও সরিয়ে দিতে হয়। সংখ্যায় বিশ্বাসীরা পাগলের মত গুনে চলে, ১.. ১০০.. ১০০০০... ১০০০০০০। সামনে কাউকে সহ্য করতে পারে না। নিজের ছায়াকেও নয়। একটা গল্প বলি।
দূরে কোথাও - এপ্রিল-জুন সংখ্যা
দৃষ্টিশক্তি
...
দেবী ফিরিলেন
...
দীপ নিভে গেছে মম
... নিশীথ সমীরে"
... এ গানটা যতবার শুনি, মনে হয় পাশে বসে মা শুনছেন। আমরা দুজনে চুপ করে বসে। মায়ের শেষ বছরের রুগ্ন শরীরটা আর নেই। বন্ধ চোখে চন্দনের দাগ নেই। আমার দিকে তাকিয়ে আছেন অপলক, অলক্ষ্যে। এমনভাবে আমি আস্তিক হই। শুধু মায়ের জন্যেই হই। মা এই গানটা শুনতেন। গাইতেন।
...
দিবাস্বপ্ন
...
দক্ষিণের ফ্ল্যাট
জবাগাছটার পাতায় হাওয়ার দোলা। হাওয়া আসে তো তবে! তোমার গায়ে লাগে না। তুমি দেখছ দক্ষিণের ফ্ল্যাট। জবা ফুটল।
...
দুঃখ
...
দুটো অভ্যাস
আমি হয়রান হয়ে যাচ্ছি একটু অন্ধকারের জন্য
আমার বিশ্বাস আর আমার ধর্মের জন্য
কিছুটা জায়গা তো দাও!
...
দেখে নিও
আমি একলাই যথেষ্ট
...
দূর থেকে
দূর থেকে মনে হয়
ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
কাছে এসে দেখো
এক একজনের মধ্যে
যোজন যোজন ফাঁক
সেখানে বিস্তর অন্ধকার
আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের
দূর থেকে মনে হয় যেন তারা
দৃষ্টিভঙ্গী
যদিও আমরা কথায় কথায় খাজুরাহো, কোনার্কের মূর্তির দিকে আঙুল তুলে বলি, দ্যাখোদিকি আমরা কত উদার, কি নিষ্কাম দৃষ্টিভাবনা আমাদের, তবু মিন্ত্রার ভাগ্যে তা জুটল না। কদিন আগেই গয়নার বিজ্ঞাপন নিয়েও একই ঘটনা ঘটেছিল।
দুটি বাঁধন
আমরা তখন ইউটিউবে কার্টুন দেখছি। যে কার্টুনের অর্থ তাৎপর্য এমনি সময়ে বিন্দুমাত্র বুদ্ধিগোচর হয় না, সেই কার্টুনই কি অসম্ভব বাস্তব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল ইনি কোলে বসতেই। খানিক বাদে ইনি বললেন, তোমার মোবাইলটা দাও। দিলাম। তাতে চলল --- "টুম্পা সোনা"। আর ইউটিউবে তার সঙ্গেই চলছে চুচু চ্যানেলের কার্টুন। উনি কোল থেকে নেমে দু'পাক নেচে আবার কোলে বসে পড়ছেন। আবার কার্টুনের ঘটনাপ্রবাহে
দুই সত্য
সংসারে দুটো সত্য আছে।
একটা সত্যকে যুক্তি চেনে। তার দৃষ্টি আর কতটুকু? গভীর অন্ধকারে স্ট্রিট লাইটের অহংকার যতটুকু।
আরেক সত্যকে চেনে হৃদয়
যখন মুমূর্ষু রুগীর চোখে রেখে সকরুণ আশ্বাস
চিকিৎসক বলেন, এই তো সেরে উঠলেন বলে
কোনো সংশয়ের নেই যে অবকাশ
দড়িটা আর লোকটা
একটা দড়ি নামালো কেউ। লোকটার ভারি আনন্দ হল, সে ভাবল সারা জগতটা হয় তো ওই দড়ি বেয়ে নেমে জড়ো হবে ওই কুয়োতে। সব সুখ, সব আলো, সব আনন্দ... সব সব সব কিছু।
...
দেশ কাগজের উপর আঁকা নক্সা তো নয়
কোন এক ঘরে আগুন লাগে
তুমি কি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকতে পারো?
যদি তোমার বাড়ির
এক ঘরে পচছে লাশের স্তুপ
...
দ্বিজ
দুইবার জন্ম নাকি তার
দুইবার ধর্ষিতা হলে?
কি পরিচয় হয়
...
দলিত সাহিত্য
...
দুর্যোগ
...
দেবতা ও করোনা
ভেবে দেখলাম ঠিকই করেছেন। এত বাড়ি, মন্দির, গাছতলা, দোকান, সকালবেলা উনি পুজো নিতে যান.... বলা যায় না...মানুষের শরীরই যদি এমন ধারা সংক্রমণযোগ্য, তবে দেবতনুর সংক্রমণ
...
দিশা
আমাকে এর উত্তর ভেবে বলতে কোনোদিন হয়নি, আজও হয় না। উত্তরটা সোজা - অবশ্যই রেলের
...
দুজনে অন্ধ
একজনের হাতে লাঠি
তার আঁচল ধরে
চলে আরেকজন
পিছু পিছু ...
দ্য ব্ল্যাঙ্ক স্লেট
আসো, যদি নিজের মধ্যে ডুবে দেখো, দেখবে অবাস্তব থেকে বাস্তবের দিকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে যা নামছে, সে অনুভবের নাম, ইচ্ছা। সে অন্ধকার থেকে রূপ নিচ্ছে। সে নিজেকে জন্ম দিচ্ছে। ইচ্ছা। ...
দাবানল
গরম পাত্র কি দিয়ে ধরিস?
সাঁড়াশি... সাঁড়াশি না পেলে কাপড়...
দুঃখ থেকে ত্রাণ
দরদ থাকলে
সূর্যের আলো এসে পড়ে বলল, এক্ষুণি শুষে নেব তোকে, তুই শেষ হবি আমার হাতে, আমি সত্য।
মিষ্টি কথা বলল, আমায় শুষে নিতে পারো, আমার যে মাধুর্য প্রাণে জাগিয়ে এলুম, তাকে শুষে নেবে কিসে? শিশিরের গায়ে যে মুক্তো জাগাও, সেও তো মিথ্যা তবে!
...