Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

দুর্ভাগ্য

বাধা তো নেই
ছিল না কোনোদিন

যে কীট মাকড়সার জালে আটকা -
   সে জাল কি তার বাধা? সে তো দুর্ভাগ্য!

দ্বন্দ্ব

দ্বন্দ্ব তো আছেই। ঘুম থেকে উঠে থেকে রাতে শুতে যাওয়া ইস্তক দ্বন্দ্বের বিরাম নেই। আমি চাই একটা তো মন চায় আরেকটা। আমি যেটা ঠিক বলে মানি, মন সেটার বিপরীত রাস্তায় পা বাড়িয়ে বসে। যা বুঝে গেছি হওয়ার নয়, মন সেটাকেই হইয়ে ছাড়ানোর জন্য সর্বস্ব নিলেমে তুলে দিতে প্রস্তুত। ভাবলাম হব ভালো। বাস্তবে সেরকম ভালো হয়ে ওঠা আর হল না।
...

দেওয়াল

বাড়িতে এক সময় মেঝেতে এই দিনটায় প্রচুর আবীর পড়ে থাকত এখানে সেখানে। তাতে পায়ের ছাপ যে কত! বাচ্চাদের পায়ের ছাপগুলোর উপরে পড়ছে বড়দের, কখনও বড়দের ছাপ মুছে আঁকা হচ্ছে বাচ্চাদের পায়ের ছাপ। সকালে একপ্রস্থ হয়ে গেলে সন্ধ্যেবেলা আরেক প্রস্থ। আবীর তখনও মোছা হয়নি। পরেরদিন ঝাঁট দিতে দিতে কোমর ব্যথা।
...

দোহাই তোমায়

দোহাই তোমায়
    তোমার একাকীত্বকে নিঃসঙ্গতা বানিয়ে ফেলো না

দ্বিধা

ডাক পাঠালে
    এসেছি দেখো

একটু দেরি হল

শুনতে পেয়েও
     বুঝতে পারিনি

পা দ্বিধান্বিত ছিল

দ্বিধা

তুমি পাশে বসে।
হাওয়ার মত চঞ্চল
    তবু আমায় ঘিরে
       আমায় ছুঁয়ে।

দোতলা

নীতিশ বাসের ঝাঁকুনিতে চমকে বাইরে তাকালো। বাইরেটা কুয়াশায় কুয়াশা। বাসটা আমডাঙা থেকে প্রথম ছাড়া বাস। নীতিশ এটাতেই কাজে যায়। বড়বাজারে একটা সোনার দোকানে কাজ করে। বয়েস আঠাশ। বিয়ে করেনি। স্কুলের পড়াশোনা এইট অবধি।
...

দেহান্তর

লোকটা প্রতিদিন ওর ছবিটার পাশে এসে দাঁড়ায়। ধূপের গন্ধ টের পায়। ফুলের রঙ চোখ ছোঁয়। শুধু ছুঁতে গেলেই মনে হয় - কেন যে তার শরীরটা নেই? মানে হাত পা আর কি! ...

দ্বিধা

বলতে আটকাচ্ছে
    দ্বিধায় হোঁচট খেলাম ক'বার
              (গুনিনি)

চিন্তার রাজ্য অবিভক্ত
    কে বলল?
সীমারেখা আছে তো!
  আছে বুনো ঝোপঝাড়
না চলা, অতি চলা, কম চলা পথ
অসতর্ক হয়ে কাঁটা ফোটেনি পায়ে?
   আচমকা কুয়াশায় রাস্তা হারায়নি?

দু-মুখো আয়না

ভিতরে যেন দু-মুখো আয়না বসানো। বাইরের দিকে মুখ করা যেদিক, তাতে পড়ছে বাইরের ছবি। আর ভিতরের দিকে মুখ করা যেদিক, সেদিকে পড়ছে ভিতরের ছবি।

দিদি-বোনেরা

ফেসবুকতুতো যত আছো দিদি বোন
শোনো নাগো কথা কিছু করি নিবেদন

দুদিক

তুমি তোমার ছুরিটাকে দুদিকেই ধার দিয়েছ
এখন যা খুশি তাই কাটছ কচ কচ করে
   বারণ করতে গেলেই বলছ

দ্বন্দ্ব

ভাবনা হয়েও
      ভাবনার সাথে দ্বন্দ্ব হল
পাঁজরগুলো চেঁচিয়ে উঠে চুপ করল
  আমি হয়েও আমি না হওয়ার ছল বুনল

দশমী

ওনারা অনেকক্ষণ হল ঝুল বারান্দায় বসে। বিকাল ছটা থেকে। সামনে লোকের ভিড়। বাড়ছে। বিসর্জনের বাজনা। সিঁদুরে সিঁদুরে লাল প্রতিমার মুখ। মুখে ভাঙা মিষ্টি। উত্তাল ঢাকের আওয়াজ। নাচ, উদ্দাম নাচ।
বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চোখজোড়া ইতস্তত খুঁজছে রাস্তায় চেনামুখ। ছেলে, ছেলের বউ আর দুটো নাতনি। এবারেও এলো না। গতবারও আসেনি। গতবার অফিসে ছুটি ছিল না। এবার পেয়েছে। বেড়াতে গেছে বাইরে, সিঙ্গাপুর।

দোহাই তোমায়

আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি। 
বলার সময় আমার সামনে জীবন্ত একজন 
    (কিম্বা দুজন, কিম্বা কয়েকজন) 
তার বা তাদের বোধ-ভাষার ধার সহনের খেয়াল রাখি। 
...

দাবা

ইনি সুবিবেচক হিসাবে পরিচিত ছিলেনই। ইদানীং একটি ঘটনায় ইনি যে কত উচ্চ উদার হৃদয়বান পুরুষ তার প্রমাণ পাওয়া গেল। সংসারে এরূপ উদাহরণ সত্যিই বিরল। 
        ইনি তাহার কাকার (Sagar Sil) ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন একটি অজ্ঞাত বস্তু খাটে শোভা পাইতেছে। অজ্ঞানতা উন্নতির অন্তরায়, ইনি বিশ্বাস করেন। সেই হেতু জিজ্ঞাসা করিলেন কাকাকে, ইহা কি বস্তু? কাকা উত্তর করলেন, এটি দাবা।
...

দেখা হয়ে ছিলো

দেখা হয়ে ছিলো
      মনে আছে
মনে-ই রয়ে গেল 
   দেখা হয়ে ছিলো

দেখো

জীবনটা কি সুন্দর গুছিয়ে নিয়েছি দেখো
পছন্দ করে করে, কত ঘুরে ঘুরে রঙ বেছেছি যদি জানতে!
   কত রকম আলো লাগিয়েছি এ কোণা, সে কোণায়
      কোনো কোণায় যদি পাও এক রত্তি অন্ধকার, আমায় বোলো!
...

দিনগুলো

একদিন এমনও হল
পায়ের উপর ঢেউ গড়ালো
ঢেউ বেয়ে এক ঝিনুক এলো
ঝিনুক ঘেরা মুক্ত মিললো

দায়বদ্ধ

আমি দায়বদ্ধ শুধু সেই সত্যের কাছে
       যে সত্য মানবিক

যে সত্য মানুষের হৃদয়ের গভীরতম তল স্পর্শ করে
   স্নাত হয়ে উঠে এসেছে
ভোরের আলোয় জাগা লালপেড়ে সাদা শাড়ি
          স্নিগ্ধ মায়ের মত

দুর্গন্ধময়

কুলকুচো করেছো?
এবার জলটা ফেলো

শাশ্বত সত্য কিছু ধুয়ে যাক
  তোমার জিভ থেকে

ওরা বাসি দুর্গন্ধময় হয়েছে

দাহ


---

দারুচিনি

আর ঝরণা না
  আর নৈসর্গিক মোহময় রহস্যময়তা না

আমায় গল্প বলো
    যে মেয়েটা উদাস চোখে কাজল সামলে
       রঙ মাখানো ঠোঁটকে উপেক্ষা করে
             পিঠের বাচ্চা সামলে চায়ের জল চড়ালো

তার গল্প বলো

দোসরা অক্টোবর

সঙ্গীত - ধর্ম(?)- উন্নত সভ্যতা- মেশিনগান

এও একটা সমীকরণ -
দোসরা অক্টোবর?

 

দস্তয়েভস্কির 'ব্রাদার্স কারামাজোভ'

দস্তয়েভস্কির 'ব্রাদার্স কারামাজোভ' আমার জীবন দর্শনকে দুটো টুকরো করে আছে। এক, প্রাক কারামাজোভ, দুই উত্তর কারামাজোভ। এর বইটা পড়ার পর থেকে সব বই-ই কেমন - "এও বাহ্য আগে কহো" হয়ে গেছে।

দুনিয়া তো এক বাজার

দুনিয়া তো এক বাজার
    তোমাকে খুঁজে পাওয়ার উপলক্ষ্য মাত্র

চলো এ বাজার ছেড়ে বাইরে
      একটু নিরালায় বসি

দেখ না ওরে

এ পূজোটা তোদেরই থাক
   বাবার মুঠোতে আঙুল পুরে
    বিস্ময় চোখে ঘুরে ঘুরে

দৃষ্টি

সন্ন্যাসী সব ত্যাগ করল
শুধু ত্যাগ করল না তার ত্যাগের স্মৃতি

ভোর থেকে সন্ধ্যে সে তার ত্যাগের সমতুল বস্তু খুঁজে বেড়ায়। পায় না।

ঈশ্বরকেও তুচ্ছ মনে হয়। সে তো জগৎভোগী!

সন্ন্যাসী তাকালে ভস্ম হয়
  জীবজন্তু গাছপালা, এমনকি মানুষও

দুটো বিচ্ছিন্ন বিন্দুর সংযোগ

হলিউড অসম্ভব কিছু ভালো সিনেমা বানিয়েছে বিজ্ঞানীদের উপর। আমাদের খেলোয়াড়, সাধক, অপরাধী, তারকা ইত্যাদিদের জীবনী বানিয়ে যদি কিছু রিল বা সময় বাকি থাকে তবে সেই ধরণের সিনেমা বানানো হোক না। বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীদের উপর।

দ্বিধা

একটা চেয়ার নিজেকে বলত টেবিল। টেবিলের পাশে তাকে রাখলেই সে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠত। আর একা হলেই সে নিজেকে বলতে শুরু করত - আমি টেবিল... আমি টেবিল... আমি টেবিল।

দুটো কোর্ট

একটা দাগ

দুটো দাগ

নীল দাগ

typing....

   দুটো কোর্ট।
       ঠকাস। ঠকাস।

   উদ্বিগ্ন চোখ, স্ক্রিণের কোনায়।
      ফুরিয়ে আসা ব্যাটারির লাল নিশান।

typing....

দুঃখ মানে কি?

দুঃখ মানে কি?
   দুঃখ মানে ভালোবাসা

মৃত্যু মানে কি?
     শ্মশান অবধি কাঁধে নিয়ে
           বুকে করে ফিরে আসা

দুঃখ মানে কি?
    দুঃখ মানে ভালোবাসা

দুরত্ব


==
তুমি বললে তাই অভ্যাস করলাম
তুমি বললে তাই অভ্যাস ছাড়লাম

আবার নতুন কিছু বলো
  অভ্যাস ধরা-ছাড়ার অভ্যাস হল যে!

দাও আশ্রয়

বাইরে ঘিরছে মেঘের অন্ধকার। মনের আকাশে কাটছে মেঘ। গরম চায়ের কাপ জুড়িয়ে ঠাণ্ডা। বুকের তলা হল উষ্ণ ফিরতি পথে কয়েক মাইল হেঁটে। কবে ভাসানো কাগজের নৌকা ধাক্কা দিচ্ছে পাঁজরের তলায়। সময়ের হাতলে হাত রেখে এদিক ফিরেছে যারা, তাদের হাতে মিশে আমার আঙুলের ছাপ।

দমকা সময়

আবর্জনা তো আছেই
শুধু একটা এক বুক শ্বাস নেওয়া
...

দোলন

দোলনায় উঠলে কেউ মাটিতে পা পাই না
বারবার পিছনে ফিরে তাকাই, 
     যদি কেউ দুলিয়ে দিয়ে যায়
একজন দুলিয়ে দিয়ে গেলে 
   পরের জনের না আসার ভয়