কথাটা তো খুব সোজা
কি যেন একটা বলার ছিল
কি যেন একটা বলার ছিল
...
কুঁড়ি
আবর্জনা চাপা উর্বর জমি ছিল
জমির নীচে ফল্গুপ্রবাহ ছিল
ফল্গু প্রবাহের নীচে উত্তপ্ত লাভা ছিল
...
কে তুমি?
...
কি সুর বাজে আমার প্রাণে
...
কথা বলবে না?
ভালোবাসা তুমি কোথায়?
...
কবিতা তুমি..
দাঁড়িয়েছ কখনও?
না দেখা কোনো চিলের ডাক,
...
কেমন আছো গালিব
গালিব হেসে বলেন,
...
কবিতা - বিশল্যকরণী
...
কখনও কখনও কারোর লেখা মনের মত লাগে না
...
ক্যানভাস
আবার বোকা বোকা কথাই বা লিখি কি করে?
দেখো বাপু, ভালোই তো বেসেছি শুধু
তা বলে, "যেমন খুশী সাজো" প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে বোলো না
কাল কি হল থেকে হেলমেট দেবে না নিয়ে যেতে হবে সাথে করে?
কারোর সাথে কথা বলা মানে যেন হাঁটতে যাওয়া তার সাথে
...
কবরস্থান
শীতের রাত। কুয়াশা কুয়াশা চারদিক। কেউ একটা বসে না? কাছে গিয়ে দেখে একটা লোক, তার দিকে পিছন ফিরে। তার পাশে একটা ক্রাচ রাখা।
...
কয়েক বিঘা
কয়েক ছটাক, কয়েক ছটাক
তোমার আশঙ্কাতেই কয়েক বিঘা
তাই নয় কি?
তাই নয় কি?
...
কেউ জানে না
চৌমাথা পেরিয়ে ভাবলে, এবার বুঝি একটা হিল্লে হল। যে রাস্তাটায় চলেছো সেটা যাবে সিধা। হয় না। তোমার সোজা রাস্তাটা পাঁচমাথার মোড়ে এনে দাঁড় করায় তোমায়।
তুমি মনে মনে বলো, বিশ্বাসঘাতক।
অভিমান হয় তোমার।
আবার একটা সোজা রাস্তা। তুমি হয়ত আবার নিশ্চিন্ত। সামনে এসে দাঁড়ালো দশমাথার মোড়।
তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেললে।
অভিমান কুঁড়ি হয়ে ফুল হতে হতে ঝরে গেল।
কি করা উচিৎ
"তোমার কি করা উচিৎ
জানতে চাও হৃদয়ের কাছে,
মস্তিষ্ক উপায় বার করে নেবে"
- গুলজার
কবি
কবি বলেছিলেন
বুকের মধ্যে একটা পাথর রাখতে
ধ্বনিতে প্রতিধ্বনি জাগবে
রেখেছি কি?
কবি বলেছিলেন
অসহায় ক্রন্দনরত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
দাঁড়ালাম কি?
কবি যেতে চাননি
যে সন্তানের মুখে একটা চুমু খেতে চেয়েছিলেন
সে কোথায়
সে সুরক্ষিত তো আজ?
কিছু যন্ত্রণা
কিছু যন্ত্রণা সময়ের উত্তরাধিকারে পেয়েছি
কিছু যন্ত্রণা এই ভূখণ্ডের উত্তরাধিকারে পেয়েছি
কিছু যন্ত্রণা মনুষ্যত্বের উত্তরাধিকারে পেয়েছি
কুয়ো
বাসের পিছনের জানলার ধারের সিটটা রহিমের ভীষণ প্রিয়। জাগুলী থেকে শিলিগুড়ি তাকে আর না হোক মাসে চারবার যেতে হয়। বাসেই যায়। কদাচিৎ ট্রেনে। ট্র্যাভেলারের সাথে তার ভালোই দোস্তি। এই সিটটা ফোন করলেই ফাঁকা রেখে দেয় শিবু, মানে যাদের ট্র্যাভেলস আর কি।
কেমন আছি
কে বলল আমি মিথ্যা বলতে পারি না
কেমন আছি, একবার জানতে চেয়ে তো দেখো!
~ গুলজার
কাকচক্ষু
সেদিন আমায় কে একজন জিজ্ঞাসা করল,
"আচ্ছা, এতদিনের সম্পর্কে আপনারা কি পেলেন?"
ভাবলাম কথাটা।
তাই তো, কি পেলাম?
না তো তোমায় নিয়ে বিদেশ গেছি
না তো একখানা কবিতার বইও তোমার নামে উৎসর্গ করেছি
না প্রাসাদ গড়েছি
না তো আমরা হীরে জহরতে ঢেকে গেছি
কখনও কখনও
কখনও কখনও
কাউকে কাউকে
ভালোবাসতে আত্মসম্মানে বাধে
খ্রীষ্টের বেধেছিল কিনা জানা নেই
তবে কিছু ভালোবাসায় সাড়া দিতে
সন্ন্যাসের বর্ম আলবাত লাগে
কবিতা
কবিতা আমায় বলেছে
বারবার বলেছে
আমার আগে যারা আগুনে পুড়েছে,
যারা মাটির নীচে শুয়ে আছে,
(কিম্বা যারা কোনোটাই পায়নি)
হৃদয় তাদেরকেও শান্তি দেয়নি
হৃদয় শান্তি দেয় না
কালের যাত্রার ধ্বনি
কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে যখন রুগীকে নিয়ে যাওয়া হল, তখন তিনি অচৈতন্য। সেরিব্রাল অ্যাটাক। বয়েস ৪৬। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষার পর চিকিৎসক বললেন, “এখানে কোনো নিউরোর ডাক্তার নেই, আপনারা কলকাতায় নিয়ে যান, নইলে ওনার যা অবস্থা উনি বাঁচবেন না।" বাঁচলেনও না। কলকাতায় যাওয়ার যাত্রা শুরু হতে না হতেই জীবনযাত্রার অন্তিম অধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সেই সমাধা হল।
কুলটা
কেউ-ই
কেউ পুরো অন্ধকারে
কিম্বা পুরোপুরি আলোতে দাঁড়িয়ে নেই
তুমিও না। আমিও না।
অদলবদল প্রায়শই হয়
আমারও হয়। তোমারও হয়।
কোথায়?
আমাকে অনেকে অনেক কথা দিয়েছে। ভাগ্যে সেগুলো তারা রাখেনি। তা না হলে, অত কথা আমি রাখতাম কোথায়?
কোনো মানুষ কথার খেলাপ করলে নাকি সে মানুষটার গুরুত্ব কমে যায়। বালাইষাট, তা হতে যাবে কেন? বরং শান্তি পাওয়া যায় এই ভেবে যে - আরে একে তো অন্তত সিরিয়াসলি না শুনলেও হবে! সবাই যদি এত সিরিয়াস হবে, তবে হাল্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া মানুষ পাব কোথায়?
কলম থামে না কার্তুজের শাসনে
ভাঙা আয়নাতেও ভয়, একই সূর্যের অবাধ্য প্রতিফলনে
কবাডি...কবাডি
জীবন উপসংহার টানার সুযোগ দেয় কই
কবাডি...কবাডি...কবাডি....
কবাডি...কবাডি...
কবাডি....
...... ......... .........
কার ঘড়ি ঠিক?
কোন দেশের গল্প বলতে পারবো না। সেসব প্রশ্ন যদি কেউ করে, এমনকি উইকিপিডিয়ার ঠাকুরদার পায়েও যদি মাথা কুটে মরে তো সে তথ্য পাবে বলে মনে হয় না। তাই সেসব কথা ছেড়ে মূল গল্পটায় আসি।
ক্ষণ
খানিকক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ অপেক্ষা করব
তারপর আরো খানিকক্ষণ
আরো খানিকক্ষণ
ওরা বলবে - এ তো হল অনেকক্ষণ!
আমি বলব, ব্যস, আর খানিকক্ষণ
কে সে?
কোনোদিন শুনিনি কেউ অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখা চাপা পড়ে মারা গেছে। কিম্বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে আকাশের সীমারেখা পেরোতে গিয়ে কোনো উড়োজাহাজ সীমারেখা জড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ওসব মাথার মধ্যেই থাকে। ভূতই বলো আর ভগবানই বলো।
কবি তোমার কল্পনা পরাজিত
আসলে সেদিন বস্ত্র জুগিয়েছিলেন ব্যাসদেব। কৃষ্ণ না। তাও দ্রৌপদীর না, কৃষ্ণের মান রাখতে। নয়ত আজ এত মন্দির, এত মহাপুরুষ, এত নীতি, এত শাস্ত্র, এত বাণী, এত তর্ক-বিতর্কের পরেও এত আতঙ্ক কেন?
কবি তোমার কল্পনা পরাজিত। বাণী থাক। আত্মা তো অমর। সে তো নাকি শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত চিরটাকাল। তবে ওই শুদ্ধ আত্মাগুলোকে পাপী দেহ থেকে মুক্ত করার শীঘ্র প্রয়াস পাক না আদালত! দেরি কেন? আমরা তো সব জেনে গেছি কবি!
কাছে দূরে
কিছু বুঝেছিলাম
কিছু বুঝেছিলাম
কিছু বুঝিনি
তবু যেন সবটাই বুঝেছিলাম