Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

কি এত খোঁজে?

ব্যস্ত পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে, 
একা দুপুরে কোনো মাঠে বসে
শ্মশানের বাইরে বসে দাহ পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায়
কিম্বা মন্দির থেকে বেরিয়ে
অথবা সমুদ্রের ধারে

কথাটা

কথাটা নিন্দা-প্রশংসার নয়
  কথাটা চাওয়া - না চাওয়ার

কথাটা বর্ষা - বসন্তের না
  কথাটা মন কেমন করার

কথাটা সময় পাওয়া - না পাওয়ার নয়
  কথাটা তেষ্টা পাওয়ার

ক্যানভাস

নীল আকাশের ক্যানভাসে পলাশকে দেখেছি বসন্তে

কালো মেঘের ক্যানভাসে কৃষ্ণচূড়াকে দেখেছি
বর্ষায়

কারা যেন

ফুলের পুংকেশরচক্ররা ঠিক করল
    গর্ভকেশরচক্র দিবস পালন করবে
কারণ পুংকেশরচক্ররা নিজেদের পুরো ফুল বলে জানত

কে যায় অমৃতধামযাত্রী

ঈশ্বরের ভালোবাসার মধ্যে না বাস করতে চেয়ে, তাকে ভালোবাসার চেষ্টা করাটার মধ্যে একটা চতুরতা আছে। 
খ্রীষ্ট কি কৃষ্ণ যখন বললেন, একে অন্যকে ভালোবাসো, ব্যস আর কিচ্ছুটি করতে হবে না, ওতেই আমি তোমার উপর প্রসন্ন হই, তখন কথাটা মনে ধরল না। সে খুব কঠিন শর্ত মনে হল।

কিছু শব্দরা

আমার আশেপাশে কিছু শব্দরা বরাবর ছিল
       এখনও আছে

ওদের যে বুঝি তা নয়
       আবার বুঝি নাও সেরকম নয়
....

কোন বসন্তে

তবু মনে হয় যেন পরবাসে আছি
     নিজের থেকে কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে আমি
 তোমার হাতটা নাগালে পাওয়ার ইচ্ছা 

কি হবে ভেবে?

প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে, প্যাচপ্যাচে ঘামে শুয়ে শুয়েও তো ভেবেছি
    আচমকা ঝড় উঠবে, কালো তিরপলে আকাশ ঢেকে...
   উফ! কি ধুন্ধুমার কাণ্ডটাই না হবে!

কথা

তোমার কথা বলব
শুধু তোমার কথা বলব
যারা তোমার কথা বলল
        তাদের কথা বলব

কি বলব?

বলব তুমি আগল নও
বলব তুমি দূর নও
বলব তুমি জটিল নও
বলব তুমি ভয় নও

কোথাও পৌঁছানোর কি দরকার?

দম্ভ প্রকাশের। গর্ব অনুভবের। এই দুইয়ের মধ্যে কিঞ্চিৎ ফাঁকা স্থান আছে। পাহাড়ী রাস্তার মত সরু।

কাকে ক্ষুদ্রতা বলি?

মিথ্যাকথা তত কষ্ট দেয় না, যতটা দেয় ক্ষুদ্রতা। কোনো কাজের পিছনে যখন দেখি অত্যন্ত ক্ষুদ্র বুদ্ধি, যাকে রামকৃষ্ণদেব বলতেন হীনবুদ্ধি। 

কিসে?


ভবতোষবাবু একা কৃষ্ণমন্দিরে বসে। বহু পুরোনো মন্দির। সন্ধ্যারতি হয়ে গেছে আধঘন্টা হল। মাঘমাসের প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাই আজ তাড়াতাড়ি ফিরে গেছে সবাই।

কে?

মুখ বন্ধ। জিভ শব্দ উচ্চারণ করে না। 
     শুনবে কে?

মাথার মধ্যে অজস্র শব্দ। বড্ড আগোছালো।
      বুনবে কে?

কল্যানী বই উৎসব ২০১৭


অনেকদিন পর বইমেলায় থুড়ি কল্যাণী বই উৎসবে এত ভালো বাদাম খেলাম। একটাও পচা বাদাম পেলাম না। মেলায় ঢুকতে টিকিট পঞ্চাশ টাকা নিল। বাইক রাখতে কুড়ি টাকা। 

কবে যেন

তোমার ঠোঁট রেখেছিলে আমার ঠোঁটে
      কয়েক নিমেষ
হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গেলে পরক্ষণেই

কোথায় তুমি?

বলেছিলে, ছায়ার মত তোমার সাথে আছি

ঠিক বলেছিলে।

বুঝলাম, যেদিন অন্ধকার রাস্তায় হাঁটলাম

কোথায় তুমি?

কান্না

আলোচ্য বিষয় ছিল হয় তো বা কিছু
   সে সব কথা আজ না হয় থাক, অন্যদিন হবে।

কে দেবে উত্তর?

যতবার সমুদ্রের জল হাতে নিয়েছি
     ততবার দেখেছি জলের রঙ নীল নয়!
                             সাদা

কোনো অর্থ নেই

 সে অর্থে কোনো অর্থ নেই।
  অনর্থক কি তবে?
...

কি চাই – ভদ্রতা না প্রেম?

প্রেমের জ্বলন্ত বহিঃপ্রকাশ আমার যতদূর মনে পড়ে স্কুলের দেওয়ালেই প্রথম দেখি। আমাদের একদম ছোটবেলায় বাড়িতে বাড়িতে টিভির প্রচলন হয়নি। আর টিভিতে দূরদর্শন ছাড়া চ্যানেলও কিছু আসত না। রবিবারের বাংলা সিনেমা দেখার উৎসাহ দেওয়া হত, কিন্তু হিন্দী সিনেমা সেরকমভাবে বারণ না করা হলেও উৎসাহও দেওয়া হত না। অবশ্যই কিছু বিশেষ বিশেষ সিনেমা ছাড়া।

কখনো কেউ জাগে

অবসাদের খড় ছড়িয়ে
    একটা আত্ম-করুণার কম্বল জড়িয়ে শুলাম
গালের চামড়ার ভাঁজে টাঙিয়ে রাখলাম নোটিস -
              ডু নট ডিস্টার্ব...

কেমন আছি

কেমন আছি, ততক্ষণ বুঝতে পারি না যতক্ষণ না কেউ জিজ্ঞাসা করে - কেমন আছেন?
  হেসে বলি, ভালো আছি। আপনি?
উনিও হেসে বলেন, চলছে।

 তারপর? দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করি, ভালো আছি। তারপর আবার ভুলে যাই কেমন আছি। আবার হাঁটি পরেরবারের প্রশ্নের দিকে - কেমন আছেন?

কখন

কখন যেন মেঘ করে এলো
কখন যেন ঘন ছায়া হল গাছের তলায়

কন্ডোম

ওরা চলে যাওয়ার পরেও অনেকক্ষণ ধরে ভদ্রমহিলা বাইরের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে রইলেন। বাচ্চাগুলো খেলতে যাচ্ছে। একজন বাচ্চা বলল, "ও ঠাকুমা, নানুকাকান চলে গেল হায়দ্রাবাদ? আবার পরের পুজোয় আসবে?"

কে সে?

গিঁট বাঁধতে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলেছে কি?
  জট মানে কি অনেকগুলো অসম্পর্কিত গিঁট?
পাতার উপর শিরার যে বিন্যাস
  শুকনো হলে কঙ্কালের মত তা
উদাসীন যাযাবরের তাঁবুর তলায় মদের পাত্র
  সে পাত্রের মদে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে ও কে?
যাযাবরের চিন্তার মরুভূমিতে আরেক যাযাবর?
  নাকি সন্ন্যাসী?
যাযাবর কি তবে ঈশ্বরহীন সন্ন্যাসী?

কারো কারো হৃদয়

কারো কারো হৃদয় পিছন ফিরে থাকে
মুখের সাথে মনের দেখা হয় না বলে ...

কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়

---

তো হল কি, অনেকে বলছেন কাল কেমন বেড়ালুম সে বিষয়ে কিছু লিখতে। প্রথমে ভাবলাম লিখব না, কারণ গন্তব্য (কামারপুকুর-জয়রামবাটি) কিছু নতুন জায়গা নয়, আগেও গেছি, আর যাঁদের উদ্দেশ্যে যাওয়া তাঁরাও ঘরের মানুষ। তবে আর লেখার কি থাকতে পারে?

কেন এ হিংসা দ্বেষ

সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির আর অপরিণত বুদ্ধির মধ্যে পার্থক্য আছে। যেন বদ্ধ জলাশয় আর সদ্য জন্মানো ক্ষীণস্রোতা নদী।

কোনো একদিন না হয়

কোনো একদিন না হয়
  অকারণেই দরজার বাইরে পা রাখলে
ভিড় সরিয়ে, চেনা চোখ এড়িয়ে এলে
         বুকের একটা অচেনা দরজার সামনে

টোকা দিলে
  ঠক    ঠক    ঠক

দরজার ওপাশে শুনলে কার চুড়ির আওয়াজ
  নূপুরের রিনিরিনি শব্দ উঠল যেন মৃদু ঝংকারে

কবি, তুমি চলে গেলে

কবি, তুমি চলে গেলে
   একটা সেতু নির্মাণের কাজ থেমে যায়

অসমাপ্ত সেতুতে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়
     কোন দ্বীপে যেন যাওয়ার ছিল
...

কবিতার সাথে

একজন মানুষের সাথে কিছুদিন কাটালে মানুষটাকে ধীরে ধীরে চেনা যায়।
...

কৃষ্ণচূড়া

কাজের ঘোরটা একটু যেন বেশি। সারাদিন দেওয়ালের মধ্যেই কেটে যায়। অফিসে যখন ঢোকে তখন বাইরে সকালের রোদ। অফিসের গেটের পাশেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। অফিসে জয়েন করা থেকে রণিত গাছটা দেখছে। অ্যাজ সাচ অফিসে যেদিন প্রথম ইন্টারভিউ দিতে আসে সেদিন গেটের সামনে এই গাছটাই যেন তাকে স্বাগতম জানিয়েছিল। এমন নয় যে সে কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব ভালোবাসে। তার বাড়ি মদনপুরে।
...

কিছু মানুষ গর্জাবেই

রামচন্দ্র গুহ - বরাবর আমার প্রিয় চিন্তাবিদ, লেখক। আগে টেলিগ্রাফে খুশবন্ত সিং এর আর্টিকেলের জন্য মুখিয়ে থাকতাম - Malice towards all, এখন রামচন্দ্র গুহর মত কয়েকজন columnist এর জন্য। 
...