কি এত খোঁজে?
ব্যস্ত পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে,
একা দুপুরে কোনো মাঠে বসে
শ্মশানের বাইরে বসে দাহ পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায়
কিম্বা মন্দির থেকে বেরিয়ে
অথবা সমুদ্রের ধারে
কথাটা
কথাটা নিন্দা-প্রশংসার নয়
কথাটা চাওয়া - না চাওয়ার
কথাটা বর্ষা - বসন্তের না
কথাটা মন কেমন করার
কথাটা সময় পাওয়া - না পাওয়ার নয়
কথাটা তেষ্টা পাওয়ার
ক্যানভাস
কুয়াশাতেও ঢাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা
কাদা ছুঁড়েছো বলে কষ্ট পাইনি
কষ্ট পেয়েছি তোমার ওই হাতদুটোর জন্যে
ওদের কি দোষ ছিল বলো?
কারা যেন
ফুলের পুংকেশরচক্ররা ঠিক করল
গর্ভকেশরচক্র দিবস পালন করবে
কারণ পুংকেশরচক্ররা নিজেদের পুরো ফুল বলে জানত
কে যায় অমৃতধামযাত্রী
কিছু শব্দরা
এখনও আছে
ওদের যে বুঝি তা নয়
আবার বুঝি নাও সেরকম নয়
....
কোন বসন্তে
তবু মনে হয় যেন পরবাসে আছি
নিজের থেকে কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে আমি
তোমার হাতটা নাগালে পাওয়ার ইচ্ছা
কি হবে ভেবে?
প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে, প্যাচপ্যাচে ঘামে শুয়ে শুয়েও তো ভেবেছি
আচমকা ঝড় উঠবে, কালো তিরপলে আকাশ ঢেকে...
উফ! কি ধুন্ধুমার কাণ্ডটাই না হবে!
কথা
তোমার কথা বলব
শুধু তোমার কথা বলব
যারা তোমার কথা বলল
তাদের কথা বলব
কি বলব?
বলব তুমি আগল নও
বলব তুমি দূর নও
বলব তুমি জটিল নও
বলব তুমি ভয় নও
কোথাও পৌঁছানোর কি দরকার?
কলকাতা বইমেলা ২০১৭
কাকে ক্ষুদ্রতা বলি?
কিসে?
ভবতোষবাবু একা কৃষ্ণমন্দিরে বসে। বহু পুরোনো মন্দির। সন্ধ্যারতি হয়ে গেছে আধঘন্টা হল। মাঘমাসের প্রথম সপ্তাহ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তাই আজ তাড়াতাড়ি ফিরে গেছে সবাই।
কে?
মুখ বন্ধ। জিভ শব্দ উচ্চারণ করে না।
শুনবে কে?
মাথার মধ্যে অজস্র শব্দ। বড্ড আগোছালো।
বুনবে কে?
কল্যানী বই উৎসব ২০১৭
অনেকদিন পর বইমেলায় থুড়ি কল্যাণী বই উৎসবে এত ভালো বাদাম খেলাম। একটাও পচা বাদাম পেলাম না। মেলায় ঢুকতে টিকিট পঞ্চাশ টাকা নিল। বাইক রাখতে কুড়ি টাকা।
কবে যেন
তোমার ঠোঁট রেখেছিলে আমার ঠোঁটে
কয়েক নিমেষ
হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গেলে পরক্ষণেই
কোথায় তুমি?
বলেছিলে, ছায়ার মত তোমার সাথে আছি
ঠিক বলেছিলে।
বুঝলাম, যেদিন অন্ধকার রাস্তায় হাঁটলাম
কোথায় তুমি?
কিছু রয়ে গেল না হারিয়ে
ওদের কি রাখতে চেয়েছিলাম?...
কান্না
সে সব কথা আজ না হয় থাক, অন্যদিন হবে।
কে দেবে উত্তর?
ততবার দেখেছি জলের রঙ নীল নয়!
সাদা
কোনো অর্থ নেই
অনর্থক কি তবে?
...
কি চাই – ভদ্রতা না প্রেম?
কখনো কেউ জাগে
একটা আত্ম-করুণার কম্বল জড়িয়ে শুলাম
গালের চামড়ার ভাঁজে টাঙিয়ে রাখলাম নোটিস -
ডু নট ডিস্টার্ব...
কেমন আছি
কেমন আছি, ততক্ষণ বুঝতে পারি না যতক্ষণ না কেউ জিজ্ঞাসা করে - কেমন আছেন?
হেসে বলি, ভালো আছি। আপনি?
উনিও হেসে বলেন, চলছে।
তারপর? দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করি, ভালো আছি। তারপর আবার ভুলে যাই কেমন আছি। আবার হাঁটি পরেরবারের প্রশ্নের দিকে - কেমন আছেন?
কখন
কখন যেন ঘন ছায়া হল গাছের তলায়
কন্ডোম
কে সে?
গিঁট বাঁধতে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলেছে কি?
জট মানে কি অনেকগুলো অসম্পর্কিত গিঁট?
পাতার উপর শিরার যে বিন্যাস
শুকনো হলে কঙ্কালের মত তা
উদাসীন যাযাবরের তাঁবুর তলায় মদের পাত্র
সে পাত্রের মদে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে ও কে?
যাযাবরের চিন্তার মরুভূমিতে আরেক যাযাবর?
নাকি সন্ন্যাসী?
যাযাবর কি তবে ঈশ্বরহীন সন্ন্যাসী?
কারো কারো হৃদয়
মুখের সাথে মনের দেখা হয় না বলে ...
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
১
---
তো হল কি, অনেকে বলছেন কাল কেমন বেড়ালুম সে বিষয়ে কিছু লিখতে। প্রথমে ভাবলাম লিখব না, কারণ গন্তব্য (কামারপুকুর-জয়রামবাটি) কিছু নতুন জায়গা নয়, আগেও গেছি, আর যাঁদের উদ্দেশ্যে যাওয়া তাঁরাও ঘরের মানুষ। তবে আর লেখার কি থাকতে পারে?
কেন এ হিংসা দ্বেষ
কোনো একদিন না হয়
কোনো একদিন না হয়
অকারণেই দরজার বাইরে পা রাখলে
ভিড় সরিয়ে, চেনা চোখ এড়িয়ে এলে
বুকের একটা অচেনা দরজার সামনে
টোকা দিলে
ঠক ঠক ঠক
দরজার ওপাশে শুনলে কার চুড়ির আওয়াজ
নূপুরের রিনিরিনি শব্দ উঠল যেন মৃদু ঝংকারে
কবি, তুমি চলে গেলে
একটা সেতু নির্মাণের কাজ থেমে যায়
অসমাপ্ত সেতুতে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়
কোন দ্বীপে যেন যাওয়ার ছিল
...
কবিতার সাথে
...
কৃষ্ণচূড়া
...
কিছু মানুষ গর্জাবেই
...