সৌরভ ভট্টাচার্য
 17 October 2016              
    
  
সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির আর অপরিণত বুদ্ধির মধ্যে পার্থক্য আছে।
যেন বদ্ধ জলাশয় আর সদ্য জন্মানো ক্ষীণস্রোতা নদী। 
প্রথমটার কাছ থেকে কিছু আশা করা যায় না, আশঙ্কা অবশ্যই
করা যায়। আশা করা যায় দ্বিতীয়টার কাছ থেকে। সে ভবিষ্যতে কোনো একদিন পুষ্ট হবে, সমৃদ্ধশালী
হবে স্রোতে আয়তনে। 
চিরটাকাল তাই হয়ে এসেছে। সঙ্কীর্ণ বুদ্ধির হাতে পড়লে
- কি ধর্ম, কি বিজ্ঞান দুই-ই বিপজ্জনক। আর অপরিণত বুদ্ধির পক্ষে মারের উৎস খোঁজা কঠিন
বলে মারের উপকরণেরাই বড় হয়ে ওঠে, প্রধান হয়ে ওঠে। আজ যত অমঙ্গল, যত বিভেদ, যত দ্বেষাদ্বেষি
- তার মূলে এই একটারই অভাব। অন্ধকার প্রবল হয়ে উঠেছে - এটা সমস্যা না! সমস্যা সাধারণ
মানুষ অস্পষ্টতার কুয়াশায় আচ্ছন্ন, নিজের ওপর আধা বিশ্বাস মানুষকে চিরকাল বিচ্ছিন্ন
করে রাখে, তার নিজের সাথে কি সমাজের সাথে। সেই সুযোগেই আগাছা বেড়ে ওঠে। তাকে আগাছা
বলে চিনতে পারলেই তা সমূলে উৎপাটন করতে বেশি বেগ পেতে হয় না। অপেক্ষা শুধু চিনতে পারার।
বুঝতে পারার, কিসে অবশেষে আমার মঙ্গল। বিরোধিতায়, না সহযোগিতায়? তাতালে না বোঝালে?
সেদিনের অপেক্ষাতেই থাকা। না হলে বাহ্যিক বল প্রয়োগে কেবল দাবিয়ে রাখা যায় সাময়িক,
রোগের শিকড় অবধি পৌঁছানো যায় না। সে চেতনা আজ না হয় কাল হবেই। একদিন তো বলতেই হবে
-
"যে তোর হাত জানে না মারকে জানে
ভয় লেগে রয় তাহার প্রাণে
যে মার ছেড়ে তোর হাতকে দেখে
আসল জানা সেই জানিছে..."