কে বলবে?
পর্দাটা উড়ছে
লোকটা পিছন ফিরে
তার বোধের অস্তিত্বের বাইরে উড়ছে
তাই বুঝছে না,
জানলাটা বাইরের আলোয় চোখ মেলেছে
ছেলেটা একটা নুড়ি ছুঁড়ল পুকুরে
টুপ্ করে ডুবে গেল জলকে চমকে
কিসের ভয় ছিল?
...
কথা
সে পরিধিকে বলল, অতিরিক্ত
...
কাগজের প্লেন
হাঁটতে চলতে মাড়ানো
...
কল্পতরু
- আজ্ঞে আপনার জন্য
- আমার জন্য? কেন গা?
...
কাঙালের মত
অগোছালোভাবে ফেলে যাওয়া তোমার গায়ের চাদরটা
উপুড় করে রাখা ইংরাজি উপন্যাসের চিহ্নিত পাতা
খাটের চাদরে এখনও তোমার তাড়াহুড়া করে উঠে যাওয়া
অবিন্যস্ত ভাঁজ
এরাও তুমি
তুমি জানো না
এইটুকুতেই মুঠো ভরে নিই
কাঙালের মত
কে ওটা রে?
বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়ে গেলে মেয়েটা বড় এক গ্লাস চা নিয়ে বসে। সম্পূর্ণ একা এই সময়টায়। ঘড়ির আওয়াজ, ফ্যানের আওয়াজ, ফ্রিজের আওয়াজ, আর মাঝে মাঝে তার দীর্ঘশ্বাসের শব্দ, কাশির শব্দ। মেয়েটা অপেক্ষা করে। কেউ আসুক সে চায় না। কিন্তু অপেক্ষা করতে ভালো লাগে। স্পষ্ট কারোর মু
ক্ষণ ও সুর
মানুষ বাণীতে বাঁচে। অতীতে বাঁচে। আক্ষেপে বাঁচে। ক্ষোভে বাঁচে। ঈর্ষায় বাঁচে। প্রতিযোগিতায় বাঁচে। ছলনায় বাঁচে। ক্রোধে বাঁচে। বিষণ্ণতায় বাঁচে। অপমানে বাঁচে। অহঙ্কারে বাঁচে। হীনমন্যতায় বাঁচে। রোগে বাঁচে। অভাবে বাঁচে। প্রাচুর্যে বাঁচে। মধ্যবিত্ততায় বাঁচে। অলসতায় বা
কয়েকটা মিথ্যা কথা
ভীষণ সত্যি
...
কিছু না
হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল
সন্ধ্যের আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম
হারিয়ে গেল
সন্ধ্যের আকাশ বলল, একটু দাঁড়াও
সারারাত দাঁড়িয়ে রইলাম
শেষ রাতে হলাম অধৈর্য, বললাম
কিছু বললে না যে
কাটাকুটি খেলা চলছে
কাটাকুটি খেলা চলছে। হঠাৎ কে একজন চীৎকার করে বলে উঠল, আমার পুট পড়েছে, পুট.. পুট.. পুট। যেই না বলা, অমনি একজন কাছা খুলে মেঝেতে ডিগবাজি খেয়ে বলতে লেগেছে, আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে। কেউ নেচে উঠে বলল, ছু কিত.. কিত.. কিত... কেউ হামাগুড়ি দিয়ে কারোর পিছনে লুকিয়ে বলল, টুকি!
কেন্নো
মানুষটা রাতদিন অতীতের গল্প বলত
বলতে বলতে অতীতগুলোকে কেন্নোর মত ধরে
বর্তমানের গাছের শাখায় ছেড়ে দিত
অতীত হামাগুড়ি দিয়ে এ ডাল, সে ডাল
এ পাতা, সে পাতা বেড়াতো
কেটস
সাদা কেটস কিনে দিত বাবা। জুটমিলে কাজ করত। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার বড়, দিদি। ওই কেটসই পেতাম প্রতি বছর। স্কুলেও ওই দিয়েই হয়ে যাবে তাই।
কতক্ষণ হল ?
ঘড়িটা থেমে যায়নি
...
কয়টা?
সবুজ সবুজ সবুজ
যেখানে গিয়ে সবুজ থামল
সেখানে জাল
সেই জালেতে আটকে আছে কয়টা শালিক?
তিনটে শালিক তিনটে শালিক তিনটে শালিক
সবুজ সবুজ সবুজ
যেখানে গিয়ে নীলে মিশল
সেখানো ধোঁয়া
সেই ধোঁয়াতে মুখ লুকালো কয়টা মোরগ?
তিনটে মোরগ তিনটে মোরগ তিনটে মোরগ
কিসের দেবীপক্ষ?
কলিংবেল সারাতে আসার কথা ছিল
কলিংবেল সারাতে আসার কথা ছিল। এলো না। ফোন করলাম, "আপনি এলেন না যে"?
ওপাশ থেকে উত্তর, "গিয়েছিলাম তো দাদা, কতবার বেলটা বাজালাম, কেউ তো সাড়াই দিল না"!
কেউ একবারও তো
সময় পিছলে গেল তোমার উপর
তোমায় ভাসালো না
আমি এগিয়ে এলাম
সময়ের সাথে কথা বলতে বলতে অনেকটা
অথচ
তুমিও না, সময়ও না
কেউ একবারও তো -
আমায় দাঁড়িয়ে যেতে বললে না
কথা, ইচ্ছা-অমৃত
কারাগারটা দাড়ি না, কমা
কারাগারটা দাড়ি না, কমা
বোঝো না, বুদ্ধু কোথাকার
কিছু কুঁড়ি কারাগারেও ফোটে,
কিছু কবিতা গারদের ভিতরেও জন্মায়
ফুল মুচড়ালে গন্ধ ছড়ায় আরো বেশি
জানো না, বুদ্ধু কোথাকার!
কিছু কিছু প্রাপ্তির পর চুপ হয়ে যাই
কিছু কিছু প্রাপ্তির পর চুপ হয়ে যাই। কৃতজ্ঞতায়। এর যোগ্য কিনা সে প্রশ্ন করতেও সঙ্কোচ হয়।
সুস্মিতার আঁকা এই ছবিটার ক্ষেত্রে আরো মুগ্ধ হলাম ওনার সৃষ্টির নিপুণতায়, আন্তরিকতায়। অভিভূত হলাম। এতটা দূর আমার বাড়ি এসে নিজের হাতে ছবিটা দিলেন, এও বড় কম প্রাপ্তি নয়। জানি না কি বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করি। প্রার্থনা করি সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন, এমনই সৃষ্টিমগ্ন থাকুন।
কবিতাতে যুক্তি নেই
...
কোফি আন্নান
কোনো কবিতাই
আসলে তো একটাও কবিতা পুরো লেখা হয়নি আজ অবধি
একটা স্লেট হাতে
জঙ্গলে, গাছের ডালে, গুহায় যে মানুষটা নগ্ন হয়ে
বা কখনও ছাল-বাকলা গায়ে
কিছু ঘটলে বা ঘটব ঘটব করলে সবাই বলেন উদ্বিগ্ন না হতে
কিশোরীদাস
এখানে সেখানে কেন মনোনিবেশ মন, মনোনিবাস তোর হবে কবে?
কতটা দূরত্ব?
সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে রক্তিম মেঘের বুক চিরে
ঘরে ফিরছিল একঝাঁক পাখি
মেঘের সাথে কতটা দূরত্ব ওদের?
অন্ধচোখ বৃদ্ধার পাশে বসে
হত দরিদ্র সম্বলহীন স্বামী
ঢাকের তালে তালে দিচ্ছে তালি
সুখের থেকে কতটা দূরত্ব ওদের?
কথোপকথন
(ছুঁৎমার্গীরা লেখাটা এড়িয়ে যান প্লিজ)
কবিতা ফুল
গদ্য ফসল। কবিতা ফুল।
গদ্য হাটের। কবিতা রসিকের।
গদ্য প্রতিবিম্ব। কবিতা প্রতিফলন।
গদ্য পরতন্ত্র। কবিতা স্বতন্ত্র।
কথাটা নয় ফেসবুক
...
কবিতা তো চোখের না গো
কবিতা তো চোখের না গো
কানের
কান তখন শ্রবণ যন্ত্র না
চোখের দোসর,
প্রাণের
কবিতা নয়
ঈশ্বর কথাটা সংবেনশীল। ধর্ষণ নয়। ওটা নিয়ে কথা চলুক। অন্ধ বিশ্বাস? না তো, বহু মানুষের জীবিকা শুধু না, চিন্তাশূন্য, প্রশ্নশূন্য, ফার্নেস মস্তিষ্কের চিরাগ।
...
কথাটা শুধু সততার না, গভীরতার
...
কর্মনাশা!
সোঁদা গন্ধে পিছলে পড়েছ কখনও?
আচমকা দেখলে, জানলায় বাইরে টাঙানো কালো স্লেট আকাশ?
তোমার ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তোমারই মত আরেকটা মেঘলা তুমি?
তাকে সামাল দিতে হাতড়াচ্ছ গীতবিতান
কবিতার ফেরিওয়ালাকে বলছ,
“এই ঝাঁকা নামিয়ে বসো দেখি”
তোমার ভেজা চোখে কোনো বিগত দিনের ডুব সাঁতার
কবির বিড়ম্বনা
সহস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হল কবির গান। কবির ছড়া-কবিতা।
কোলাহল উঠল আকাশে বাতাসে
কুহক
সন্ন্যাসী নদীর তীরে। একটাই গেরুয়া। স্নানের পর নগ্ন শরীরে বসে। পাশে মেলা গেরুয়াবাস। সন্ন্যাসীর চোখে বিতৃষ্ণার দৃষ্টি। সংসার - মিথ্যা কুহকাবৃত ছলনার স্রোত, মূঢ় মানুষ। শুদ্ধতার সাধন নেই।