কোরাস
যদি রাস্তার এক ধারে দাঁড়িয়ে থাকো
দেখবে ব্যস্ততার একটা ছন্দ আছে
সব মানুষের হাঁটার, হাত দোলানোর, চাহনির, মাথা নাড়ার একটা নিজস্ব ছন্দ আছে
তুমি সব মিলিয়ে একটা সিম্ফনি বলতে পারো
অথবা কোরাস
প্রতিটা আঙুল দেখো, প্রতিটা উচ্চারণ শোনো
প্রতিটা মুখভঙ্গি দেখো
কোথাও তোমার সাথে মিল আছে
ক্ষুর
গলায় ক্ষুরটা চেপে ধরল। আমি জানতাম, এটাই হবে। এদিক ওদিক দিয়ে কয়েকজন যাচ্ছে। কেউ তাকাচ্ছে না একবারও। তাদের মধ্যে চেনা পরিচিতও যে নেই, তা তো নয়। তবু সবার ভীষণ তাড়া। নিজের চিন্তার কৌটে নিজে মুখ ডুবিয়ে মাথা নীচু করে হনহন করে হেঁটে চলে গেল। অথচ এদের সাথে রাস্তায়, বাড়ির বসার ঘরে, ট্রেনের হাতলে ঝুলতে ঝুলতে কত কথা বলেছি। গল্প করেছি। পিকনিকে গেছি। কিন্তু এদ
কথারা উড়ে গেল
বকের মত নির্মোহ ডানা মেলে মহাশূন্যে
নীরবতায় শূন্য নীড়
...
কাশি
...
কত দেরি?
ওপারে যাওয়া যায় না
আকাশটা উঁচু,
...
কথা-ধারা
...
কোন মৃত্যুটা বেশি ভয়াবহ?
...
কাশীরামের মহাগণ্ডগোল
ভাবুন কাশীরাম দাসের কথা। তিনি মহাভারত লিখছেন বাংলায়। ভালোই চলছিল লেখাটা, কিন্তু কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে কি গোলমেলে কাণ্ডটাই না ঘটিয়ে বসলেন! যেখানে
...
কখন কলম শ্রোতা হয়ে যায়
...
ক্ষমতা কতটুকু আর ছিল?
কতদিকে নির্ভুল হবে?
কতবার এ সব পাতাগুলো উলটে,
...
কিশোরী আমোনকরের প্রতি
উদাস কিশোরী আমোনকর
...
কোনো মানুষ
সব ব্যর্থ মানুষদের দেখল, যেন পোকার মত বেচারা।
মুখে বলল, তোমারও হবে, এ আর এমন কি!
...
কিছু কিছু মিথ্যাকথা
যেমন ছেঁড়া ফ্রক পরা বাচ্চা মেয়েটা মায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে বলল, আজ সকালে সে চারটে লুচি দিয়ে দুটো বেগুন ভাজা খেয়েছে। তার মা বড় বড় চোখ করে টাকাটা বাজারের ব্যাগের মধ্যে ভরে নিতে নিতে বলল, তাই!
...
কেউ কথা নাই-বা রাখল
...
কম্বল
...
কবিতা যদি কবিতা না হয়
ভালো লাগে না
...
কেন?
মিথ্যাকথা।
...
কবি নাস্তিক হয় না
শব্দেরা একে অন্যের পাশে দাঁড়ালে বাক্য হয়ত হয়
...
কেন জলছাপ পায়ে হাঁটে
রাস্তার দু-ধারে বড় বড় গাছগুলো
নিঃসঙ্গ,
...
কালু ডোমের উপাখ্যান
কুসংস্কারের একাধিপত্য
...
কিসের জন্যে বলো?
তারপর নিজের মধ্যে
অস্পষ্টতার মধ্যে মুখ রেখে
...
কে বলল গো?
সমাজ বলল
বাজার বলল
হিসাব বলল
...
কেউ আসার নেই
একে অপরকে জড়িয়ে
অনেকদিন হল অঘোষিত বার্তা -
কেউ আসার নেই
...
কোকুন
এই কথাটার যেমন কোনো মানে হয় না
তেমনই, অনেকেই তো প্রেমের কবিতা লিখেছে
...
কান খড়কে
-কি গো
-পাকিস্তানে ভারত হামলা করেছে
-ওমা তাই! আরে বোলো না, আজ আর মনে হচ্ছে এলো না...যাই ঘরদোর সব বাসি পড়ে...যা বৃষ্টি
...
কম্বল
...
কলকাতা বইমেলা
...
কৃষ্ণা সোবতিজি
কুয়াশারা
তুমিই ছিলে চিরকাল
...
কক্ষপথ
কেউ কোনো কথা বলেনি
গ্রহপুঞ্জ দল বাঁধেনি,
কক্ষপথের বাধ্যতা মেনেছিল
ধূমকেতু প্রশ্ন করেছিল -
...
কিছু সময় তো
ক্ষণিকের দেখা হওয়া
কিছু যেন তার
কারণ তো শুধু এই
বারবার ভুলে যাও কেন
বেরোনোর দরজা
আলগা করে রয়ে ভেজানোই
বেরিয়ে যাওয়া যায়
চাইলেই যে কোনো সময়ে
অন্যের ঘুম না ভাঙিয়ে
একান্তেই
সে দরজা খুঁজে পাও না
দেখতে চাও না তাই