Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

আঁধারে মিলিবে তার স্পর্শ

রাতের বুকের কোটরে একরকমের স্নিগ্ধতা আছে। শান্ত মসৃণ স্নিগ্ধতা। বাতাসের ভাষায় ভর করে আসে। যদি হাত পাতি, কিছু এসে জমে হাতে। যদি হাত উপুড় করি, হাতের থেকে কিছু নিয়ে যায়। কি নিয়ে যায় জানি না। যেন এই রাতের অন্ধকারের আড়ালে কেউ আছে। সে আমার খুব পরিচিত, খুব আপন। এতটাই পরিচিত যেন পরিচয় দেবার ভাষারাই অপরিচিত সে পরিচিতির কাছে। শিশু যেমন মায়ের পরিচয় দিতে পারে না, প্রেমিক যেমন প্রেমের পরিচয় দিতে পারে না, তথ্

আমার প্রেম

চোখের দোরগোড়ায় একা এসে দাঁড়িয়েছিল সে, আমার প্রেম ...

আপন দুটো চরণ ঢাকো

অবশেষে কি হল? তোমার সেই খেলাটা মনে আছে? দাঁড়াও বোঝাই আগে কোন খেলাটার কথা বলছি। সেই যে গো, অনেকগুলো দাগ অথবা রেখা, তারা কোনো এক বস্তুকে কেন্দ্র করে আঁকা, কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ওর মধ্যে একটাই মাত্র দাগ ওই বস্তুটার সাথে লেগে আছে, বাকিগুলো মাঝপথে হারিয়ে গেছে বা শেষ হয়ে গেছে। ...

আসলে মেটে না কোনোদিন

 মিটে গেছে ভেবেছিলে?
তাই ভাবতাম প্রথম প্রথম
যখন নিজেকে মনে হত – আমি।

আমি

আমি

অস্তিত্ব

নিরবচ্ছিন্ন অব্যক্ত যন্ত্রণা

মাঝে মাঝে ভুলে থাকার চেষ্টা

জীবন

আজীবন

নিজের থেকে পালাবে বলে ঈশ্বরকে খুঁজলে আজীবন

ঈশ্বরের মুখোশের আড়ালে কে যেন ভয় দেখিয়ে গেল তোমায় আজীবন

কলঙ্কে তোমার ভয়
তাই কলঙ্ক সৃষ্টি করলে মনের আনাচেকানাচে
  ওদের ধুয়ে ধুয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আজীবন

আনন্দলহরী

দীঘির জলে আকাশ দেখল একজোড়া চোখ। দীঘি হল আকাশ।

আমার মালিকানা

তুমি যখন সশরীরে সামনে আমার-
    সময়, আলো, মাটি সব মিলিয়ে
   তখন তোমায় পুরোটা পাই না। ...

আসল কেউ নয়

আসলে কেউ আসল নয়
সাজঘর বদলে যায়
   মঞ্চ বদলে যায়

আনা কারেনিনা

(Anna Karenina নিয়ে রিভিউ লিখব, এমন ক্ষমতা, মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনোটাই আমার নেই, আর উন্মত্ত সারমেয় দ্বারা দ্রংষ্টিতও হইনি। তবে কিছু কথা পড়বার পর মনে হল। এ তারই প্রতিফলন। আজও কেন অনেকের মতে প্রথম দশটা উপন্যাসের মধ্যে স্থান পেয়ে আসছে তা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না, বইটা নিজেই তার প্রমাণ।) ...

আসিফা

আসিফা,
আমি কোনোদিন জম্মু কাশ্মীর আসব না বেড়াতে
আমি কোনোদিন কাশ্মীরের ছবি দেখে বলব না - আহা, কি সুন্দর!
আমি কোনোদিন কোনো বাচ্চাকে বলব না, ভগবানকে প্রণাম করো
...

আস্তিক হও

আস্তিক হও, নাস্তিক হও
কোনো চিন্তা নাই
...

আশঙ্কা

আজ সত্যিই কোথাও আশঙ্কা, ভয়, আতঙ্ক দানা বাঁধছে। তার চাইতে বেশি কষ্ট, অসহায়তা। এইরকম একটা দিনের জন্যেই কি এত সাধনা, এত তপস্যা, এত বাণী? নাকি আমাদের বলা আর করায় অনেকটা ফাঁক রয়ে গেল, যে ফাঁক দিয়ে ঘোলা জল হুড়হুড় করে ঢুকে পড়ছে।

আস্তিক

যদি সত্যিই হৃদয়ে হাত রেখে সত্যি কথা বলাই ধর্ম হয়,  তবে হে ঈশ্বর আমায় আস্তিক হওয়ার আদেশ দিলে কেন?

আঁধার রাতে একলা পাগল

মানুষের দুটো রূপ আছে। তার ভালোর দিক, আর তার খারাপের দিক। দুটোই অস্তিত্ববান তার চেতনায়। মানুষ যত তার ভিতরের রূপটা চিনতে শিখল তত সে বিচ্ছিন্নভাবে, বিশ্লিষ্ট করে নিজের নানা গুণ আর অবগুণগুলোকে অনুধাবন করতে পারল।
...

আস্থা রাখছি

ফেসবুক জানে ওরা?
মিডিয়া মানে বোঝে?
শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, 
পার্ক, ক্যাফে, নাইটক্লাব? 
...

আবীর

নীল জামাটার দিকে দু'বার তাকিয়ে দেখল। ভাল্লাগে না। এই জামাটা পরে কেউ রঙ খেলতে যায়? কেন তার আর নতুন কোনো জামা নেই? লোকে বলবে না, বাবাটা অত ভালো চাকরী করে অথচ দেখো ছেলেটা সেই গত বছরের জামা পরেই খেলতে এসেছে।
...

আবার শুরু হয় নতুন খেলা

ঈশ্বর আমার যৌনতার মত সত্য নয়
ঈশ্বর আমার খিদের মত সত্য নয়
ঈশ্বর আমার গায়ের রঙের মত সত্য নয়

ঈশ্বর দুটো বিশ্বযুদ্ধের মত বাস্তব ইতিহাস নয়
ঈশ্বর হিমালয়ের সৌন্দর্যের মত ভৌগলিক নয়
ঈশ্বর মহান আত্মাদের মত মরণশীল নয়
...

আমরা সব কিছু দেখি

আমাদের এখন ভীষণ দেখার ইচ্ছা। আমরা সব কিছু দেখি। সিনেমা, সিরিয়াল, নিউজ, গান, নাটক, আত্মহত্যা, ট্রোল ইত্যাদি ইত্যাদি।  
        আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের এই অতি-দিদৃক্ষা কি আমাদের ভাব জাগতিক সাহিত্যের মান কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করছে? শুধু বাংলা ভাষার কথাই বলছি না।
...

আমি

ভালোবেসে খণ্ড খণ্ড করে নিজেকে বিকিয়েছিলাম 
আজ কি মনে হল 
   নিজেকে খুঁজতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম 
...

আবদারোনুরোধ

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা আরো কদিন চলবে। আমার একটা সনির্বন্ধ অনুরোধ আর আন্তরিক আবদার আছে আমার বন্ধুদের কাছে। একটু সময় করে 'সাহিত্য একাদেমি'(স্টল - 394) তে যান। আমাদের দেশের নানান ভাষায় লেখা বইগুলো বেশ কিছু বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে, অন্তত একটা কিনুন। বইগুলোর দাম খুব বেশিও নয়।
...

আমায় কেউ দেখল কি ?

জানলার ধারে সিট নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাইরের প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে দেখতে চলে যাব, আহা! কি আনন্দটাই না হবে।
        কি যে হল, মাঝখান থেকে একটা বিশ্রী মাছির মত ইচ্ছা যে কেন বারবার নাকে-চোখে-মুখে-কানের লতিতে-হাতের আঙুলে বসে বিরক্ত করছে... ওড়াতে চাইলেও উড়ছে না। এক জায়গার থেকে ওড়ালে আরেক জায়গায় গিয়ে বসছে। 'আমায় কেউ দেখল কি?' - এই সেই মাছি।
...

আমার বইমেলা

আমার কবিতা ছেপেছো?
  দোহাই লাগে, 
    ওই পাতাটা মুড়েই রাখো তবে
...

আবাদ

কারা যেন অনেক অনেক কবিতা লিখেছিল
   কারা যেন সেগুলো পড়েওছিলকারা যেন অনেক অনেক কবিতা লিখেছিল    কারা যেন সেগুলো পড়েওছিল...

আগাছা

গাছটার নাম জানি না। এক হাত তার দৈর্ঘ্য হবে। ফুলের বালাই নেই। কয়েকটা শ্রীহীন এবড়ো খেবড়ো সবুজ পাতা আর খয়েরি খয়েরি সরু লিকলিকে কান্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়েক মাস হল মাটির উপরে। মাড়িয়ে গেলেই হয়, এমনই বিপদসঙ্কুল অবস্থান তার। চোখে পড়ার মত কোনো গুণ নেই, কিন্তু পায়ে আটকাবার মত পাতার খোঁচা তার।
...

আধা এবং আধা

মানুষটা একটা ডোবার ধরে থাকত। ডোবার জলে নাইত। তার মাথায় ছিল দিগন্তলীন অসীম এক সমুদ্র স্বপ্ন।
মানুষটা কুঁড়ে ঘরে থাকত। কুঁড়ে ঘরেই ঘুমাতো। বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্মের সাথে কুঁড়ে ঘরে একা একাই কাটত। তার মাথায় ছিল জন-অরণ্যের একটি প্রান্তে মানুষে ঘেরা ঘর বাঁধার স্বপ্ন।
মানুষটা সিদ্ধভাত একা একাই দুপুরে-রাতে খেত। ডোবার জলেই আঁচাতো। তার মাথায় ছিল এক বিরাট দাওয়তের স্বপ্ন। অযুত নিযুত মানুষ বসেছে খেতে, কোলাহলে সে ছুটে ফিরছে এদিক ওদিক সেদিক - চৌদিকে তার আনন্দ আনন্দ আনন্দ।

আলোকবর্ষ

হাত পেতেছিলাম
   কিছুটা সময় চাইব বলে

পেলাম না

শুধু আঙুলগুলো পিছিয়ে গেলো
        কয়েক আলোকবর্ষ

আস্তিক অসম্পূর্ণতা

ভূত বলে কিছু আছে নাকি? আছে তো, খুব আছে। আমি নিজের চোখেই কতবার দেখেছি। প্রত্যেকটা অসময়ের মৃত্যুর একটা অসম্পূর্ণ গল্প রেখে যায়। যায় না? সেই অসম্পূর্ণ গল্পটাই তো ভূত। তাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, কোলে তুলে গল্প করা যায়। হয় না?

আজকের দিনটা নিরাপদ ছিল তো?

এখন রাত গভীর
পাড়ার রাস্তা শুনশান
ঘরে ঘরে জানলা দরজা বন্ধ
স্ট্রীট লাইটের আলো চুপিচুপি কথা বলছে
        গলির ছায়াগুলোর সাথে

আকাশ ভরতি তারা,
        জানি,
    তবু তাকাতে ইচ্ছা নেই
ঘাড়ে অসহ্য ব্যথা,
  শক্ত হয়ে হয়ে আছে কাল থেকে ঘাড়ের পেশি

আবর্ত

প্রতিবার আবর্তটার বুক আঁকড়ে
      চীৎকার করে প্রশ্ন করি -

      "দরজাটা কোথায়? আমি বেরোব তো!"

আবর্তটা ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে

  শুধু আমার প্রশ্নটা
     প্রতিধ্বনিত হয়ে
        আমারই কাছে ফিরে আসে -