আঁধারে মিলিবে তার স্পর্শ
রাতের বুকের কোটরে একরকমের স্নিগ্ধতা আছে। শান্ত মসৃণ স্নিগ্ধতা। বাতাসের ভাষায় ভর করে আসে। যদি হাত পাতি, কিছু এসে জমে হাতে। যদি হাত উপুড় করি, হাতের থেকে কিছু নিয়ে যায়। কি নিয়ে যায় জানি না। যেন এই রাতের অন্ধকারের আড়ালে কেউ আছে। সে আমার খুব পরিচিত, খুব আপন। এতটাই পরিচিত যেন পরিচয় দেবার ভাষারাই অপরিচিত সে পরিচিতির কাছে। শিশু যেমন মায়ের পরিচয় দিতে পারে না, প্রেমিক যেমন প্রেমের পরিচয় দিতে পারে না, তথ্
আকাশের চোখে তারার নতুন গল্প
আমার প্রেম
আপন দুটো চরণ ঢাকো
আসলে মেটে না কোনোদিন
তাই ভাবতাম প্রথম প্রথম
যখন নিজেকে মনে হত – আমি।
আমি
আমি
অস্তিত্ব
নিরবচ্ছিন্ন অব্যক্ত যন্ত্রণা
মাঝে মাঝে ভুলে থাকার চেষ্টা
জীবন
আজীবন
নিজের থেকে পালাবে বলে ঈশ্বরকে খুঁজলে আজীবন
ঈশ্বরের মুখোশের আড়ালে কে যেন ভয় দেখিয়ে গেল তোমায় আজীবন
কলঙ্কে তোমার ভয়
তাই কলঙ্ক সৃষ্টি করলে মনের আনাচেকানাচে
ওদের ধুয়ে ধুয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আজীবন
আনন্দলহরী
আমার মালিকানা
সময়, আলো, মাটি সব মিলিয়ে
তখন তোমায় পুরোটা পাই না। ...
আজকের বিশেষ বিশেষ খবর হল...
খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে
কখনো মৃদু হেসে
আসল কেউ নয়
সাজঘর বদলে যায়
মঞ্চ বদলে যায়
আনা কারেনিনা
আসিফা
আমি কোনোদিন জম্মু কাশ্মীর আসব না বেড়াতে
আমি কোনোদিন কাশ্মীরের ছবি দেখে বলব না - আহা, কি সুন্দর!
আমি কোনোদিন কোনো বাচ্চাকে বলব না, ভগবানকে প্রণাম করো
...
আস্তিক হও
কোনো চিন্তা নাই
...
আশঙ্কা
আস্তিক
আঁধার রাতে একলা পাগল
...
আস্থা রাখছি
মিডিয়া মানে বোঝে?
শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স,
পার্ক, ক্যাফে, নাইটক্লাব?
...
আমায় রাস্তা বলতে হবে না
তুমি শুধু আমার কড়া নাড়ার শব্দটা চিনে রেখো
...
আবীর
...
আবার শুরু হয় নতুন খেলা
ঈশ্বর আমার খিদের মত সত্য নয়
ঈশ্বর আমার গায়ের রঙের মত সত্য নয়
ঈশ্বর দুটো বিশ্বযুদ্ধের মত বাস্তব ইতিহাস নয়
ঈশ্বর হিমালয়ের সৌন্দর্যের মত ভৌগলিক নয়
ঈশ্বর মহান আত্মাদের মত মরণশীল নয়
...
আবহাওয়ার হাবভাব - অনুবাদ
যেন তোমার সাথে দেখা করে এলো
আমরা সব কিছু দেখি
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের এই অতি-দিদৃক্ষা কি আমাদের ভাব জাগতিক সাহিত্যের মান কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করছে? শুধু বাংলা ভাষার কথাই বলছি না।
...
আমি
আজ কি মনে হল
নিজেকে খুঁজতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম
...
আবদারোনুরোধ
...
আমায় কেউ দেখল কি ?
কি যে হল, মাঝখান থেকে একটা বিশ্রী মাছির মত ইচ্ছা যে কেন বারবার নাকে-চোখে-মুখে-কানের লতিতে-হাতের আঙুলে বসে বিরক্ত করছে... ওড়াতে চাইলেও উড়ছে না। এক জায়গার থেকে ওড়ালে আরেক জায়গায় গিয়ে বসছে। 'আমায় কেউ দেখল কি?' - এই সেই মাছি।
...
আকাশকে সাক্ষী রেখে
পার্টি অফিস
মন্দির
রেসের মাঠ
গ্রন্থাগার
...
আমার বইমেলা
দোহাই লাগে,
ওই পাতাটা মুড়েই রাখো তবে
...
আবাদ
কারা যেন সেগুলো পড়েওছিলকারা যেন অনেক অনেক কবিতা লিখেছিল কারা যেন সেগুলো পড়েওছিল...
আগাছা
...
আমার ছিল অসঙ্গতা
আধা এবং আধা
মানুষটা কুঁড়ে ঘরে থাকত। কুঁড়ে ঘরেই ঘুমাতো। বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্মের সাথে কুঁড়ে ঘরে একা একাই কাটত। তার মাথায় ছিল জন-অরণ্যের একটি প্রান্তে মানুষে ঘেরা ঘর বাঁধার স্বপ্ন।
মানুষটা সিদ্ধভাত একা একাই দুপুরে-রাতে খেত। ডোবার জলেই আঁচাতো। তার মাথায় ছিল এক বিরাট দাওয়তের স্বপ্ন। অযুত নিযুত মানুষ বসেছে খেতে, কোলাহলে সে ছুটে ফিরছে এদিক ওদিক সেদিক - চৌদিকে তার আনন্দ আনন্দ আনন্দ।
আলোকবর্ষ
হাত পেতেছিলাম
কিছুটা সময় চাইব বলে
পেলাম না
শুধু আঙুলগুলো পিছিয়ে গেলো
কয়েক আলোকবর্ষ
আস্তিক অসম্পূর্ণতা
ভূত বলে কিছু আছে নাকি? আছে তো, খুব আছে। আমি নিজের চোখেই কতবার দেখেছি। প্রত্যেকটা অসময়ের মৃত্যুর একটা অসম্পূর্ণ গল্প রেখে যায়। যায় না? সেই অসম্পূর্ণ গল্পটাই তো ভূত। তাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায়, কোলে তুলে গল্প করা যায়। হয় না?
আজকের দিনটা নিরাপদ ছিল তো?
এখন রাত গভীর
পাড়ার রাস্তা শুনশান
ঘরে ঘরে জানলা দরজা বন্ধ
স্ট্রীট লাইটের আলো চুপিচুপি কথা বলছে
গলির ছায়াগুলোর সাথে
আকাশ ভরতি তারা,
জানি,
তবু তাকাতে ইচ্ছা নেই
ঘাড়ে অসহ্য ব্যথা,
শক্ত হয়ে হয়ে আছে কাল থেকে ঘাড়ের পেশি
আবর্ত
প্রতিবার আবর্তটার বুক আঁকড়ে
চীৎকার করে প্রশ্ন করি -
"দরজাটা কোথায়? আমি বেরোব তো!"
আবর্তটা ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে
শুধু আমার প্রশ্নটা
প্রতিধ্বনিত হয়ে
আমারই কাছে ফিরে আসে -