আসতে দাও
ওরা আসুক
বারণ কোরো না
জানলার পর্দা সরিয়ে দাও
হাওয়া আসুক, রোদ আসুক
ফিরিয়ে দিও না
দরজাটা পুরো খুলে রাখো
কাদের যেন আসার কথা আজ!
আম্বেদকরজী
ডিসেম্বরের 9 তারিখ, 1946, বি আর আম্বেদকরজী একটা বক্তব্য রাখেন আসন্ন গণতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক সূচনার উপর। তা পড়তে পড়তে বেশ কিছু জায়গায় চমকে উঠতে হল। মনে হল প্রতিটা কথা কি সাংঘাতিক রকম প্রাসঙ্গিক আজও। অতবড় ভাষণটা তো আর দেওয়া যায় না, তার কিছু কিছু অংশ, যা আমাকে ভাবালো, তা তুলে দিলাম আম্বেদকরজীর ভাষাতেই।
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
আবছা অন্ধকার হয়ে আসছে
বৃষ্টির একটানা শব্দমালা স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে
তোমার না থাকাটাও....
আত্মহনন আর না
আনন্দ সংবাদ
আনন্দ সংবাদ! আনন্দ সংবাদ! আনন্দ সংবাদ!
বেলুড় মঠে একটি প্রকাণ্ড কনভেনশান হল গঠিত হইতেছে।
খরচ?
মাত্র কুড়ি কোটি..২০ কোটি...20 crore....
উপযোগিতা?
উহাতে : -
১) অ্যাট্রিয়াম থাকিবেক ( atrium is a part of building such as hotel or shopping centre that extends up through several floors of the building and often has a glass roof.....ডিক্সনারি মতে)
আপনার খাতাটা দেখাবেন?
লেখক তো স্রষ্টা। কবি স্রষ্টা নন, সাক্ষী। একটা সৃষ্টির সাক্ষী।
সব শেষে বড়জোর চুলটা একটু ঠিক করে দেওয়া, টিপটা মাঝখানে কিনা দেখে নেওয়া কিম্বা জুতোর ফিতেটা একটু আঁট করে বেঁধে দেওয়া।
আমার শিক্ষক আর ছাত্রছাত্রীরা
আমার শিক্ষক আর ছাত্রছাত্রীরা..
আসলে তো ভাল নেই
১
===
মেয়ে তুমি নিরাপদ নও
ঘরে বাইরে দেবালয়ে
কোথাও নিরাপদ নও
আসলে তো প্রেমহীনতা
আসলে তো প্রেমহীনতা
প্রেম প্রেম কোথা পাই
প্রেম কোথা পাই
ঘরে - বাইরে আত্মদীনতা
আমি জানি
উঠে আসছিলাম
সবার অলক্ষ্যেই
ভাবছিলাম খেয়াল করোনি হয়ত
দরজা অবধি এসে মনে হল
ডাকলে?
আমি
আমার ভয় করে
আমি নিজে তো কিছু স্থির নির্দিষ্ট নই
এক বিন্দু জলের মত
মেঘ পিছলে আকাশ থেকে পড়ছি
পড়ছি পড়ছি পড়ছি
আমার কোনো আকার নেই গন্তব্য নেই
আচার
১৮৯৫ সালে তারিখহীন একটি চিঠিতে বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণানন্দকে লিখছেন, "এক্ষণে দেখিতেছি যে, ওই ঘন্টাপত্র লইয়া রামকৃষ্ণ অবতারের দল বাঁধিবে এবং তাহার শিক্ষায় ধূলিনিক্ষেপ হইবে...
আন্তর্জাতিকবোধসম্পন্ন জাত
বাঙালী বরাবরই আন্তর্জাতিকবোধসম্পন্ন জাত। এ জানতে ওসব পুরোনো সেকেলে আঁতেল মার্কা নোবেল, অস্কার খুঁজতে হয় না। মোড়ে মোড়ে ইঞ্জিরি গানের জগঝম্প নেত্য আর গান বুঝিয়ে দিচ্ছে হাড়ে হাড়ে। খালি ভাবনা হচ্চে যখন ভোর হবে ক'জন সেই নতুন বছরের ভোর দেখার অবস্থায় সুস্থ থাকবেন, কিম্বা ক'জনকে থাকতে দেবেন...
আবার ঘরদোর সব গুছিয়ে ফেলেছি
...
আমিও এলাম
বহুদিন পর আজ অপ্রয়োজনীয় হওয়ার সাহস পেলাম
বোঁটা ছিঁড়ে মাটিতে পড়া শুকনো পাতাটা তুলে -
নিঃসঙ্কোচে বললাম,
আমিও এলাম
আমার সান্টা
ছোটোবেলায় আমি সান্টার গল্প শুনেছি। কিন্তু সে গল্প বলেই শুনেছি। যেমন প্রাণভোমরা রাক্ষসীর বুকে থাকে তেমন। যেমন লালকমল, নীলকমলের জন্য কোনোদিন অপেক্ষায় থাকিনি, তেমনই সান্টার জন্য কোনোদিন অপেক্ষায় থাকিনি। আজ অনেক বাচ্চাকে দেখি তারা রাতের ঘুমে, নির্দিষ্ট দিনে সান্টা
আব্বাজান
একটা গোলাপী শাড়ি। মাথায় দুটো ক্লিপ। অনেক দিন হেলায় পড়ে থাকা, ঝড়ে ভাঙা গাছের ডালের মত শরীর। জোর বলতে --- গলা আর চোখ। বিরক্তিকর ফ্যাসফ্যাসে গলা, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ জ্বালা ধরানো দৃষ্টি।
আমার বোধহয় চোখটা আবার দেখাতে হবে
আমার বোধহয় চোখটা আবার দেখাতে হবে। লেখা আছে 'Marking 10yrs of 26/11', আমি পড়লাম, 'Marketing 10yrs of... "..
কাছের জিনিস বড় অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে..বুঝলে হে বাঙালি সেন্টিনালি...উফ আবার ভুল লিখলাম..বাঙালি সেন্টিমেন্টালি...!!
আমি তো...
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় চলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে পারি না
অবাক হয়ে দেখছি তোমরা কি অনায়াসে পারো
আমার অস্তিত্বের কি কোনো সংজ্ঞা হয় ?
...
আমার লাইব্রেরি বিরহ
আজ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বিবেক দেবরায় মহাশয় খুব আক্ষেপ করে লিখেছেন যে কলকাতার প্রধান গ্রন্থাগারেও আধুনিক বইয়ের সংযোজনের হার খুব কম। এবং কি কি আইনে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধের মধ্যে পড়ে, তাও লিখেছেন। তা অতবড় মানুষটা যখন বলছেন, তখন অমন একটা আইন নিশ্চয় থাকবে। কিন্তু যে দেশে লাইব্রেরিতে সেই কালিদাসের পর
আলোকে ভরা উদার ত্রিভুবন
আগ্রা-দিল্লী-হরিদ্বার-হৃষীকেশ
আকাশ তো আছে একটাই
রাস্তার পাশে দোকান ছিল
দোকান আছে
তার পাশে একটা পুকুর ছিল
পুকুর আছে
সেই পুকুরের পাশে ওদের বাড়ি ছিল
বাড়িটা আছে
আমগাছ
মানুষটা আমগাছের চারাটা লাগিয়ে, কয়েকদিন মাত্র নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিল, গাছটা না হলেই ভালো। কিন্তু একদিন ভোর সাড়ে চারটে উঠে বাগানে এসে যেই দাঁড়িয়েছে, তার চোখ ঠোক্কর খেল দুটো সবুজ পাতায়, একটা চারাগাছ জন্মিয়েছে।
আজ তৃতীয়া
শুচি আগরওয়াল
বয়েস পঁয়তাল্লিশ
আড়াই মাসের গর্ভ সাবধানে বাঁহাতে ধরে
অত্যাধুনিক গাড়ির দরজা খুলে,
নীচে কাদা আছে কিনা দেখে
মাটিতে পা দিল
আপনি প্রচুর বেড়ান, না?
- আপনি প্রচুর বেড়ান, না? ( বয়েস পঁয়ত্রিশের নীচেই হবে, মহিলা, লেখকের সামনের চেয়ারে বসে, ছাত্রের মা)
- ওই একটু আধটু
- উনিও খুব বেড়ান জানেন তো...ভীষ....ণ নেশা...( মুখটা ঊর্ধ্বমুখে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে উঠে গেল, ঠোঁটটা আগেকার দিনের পাঁচ পয়সার মত হাঁ হয়ে রইল)
- বাহ্, ভালো তো
আগুন
সময় ফুটল মনের মধ্যে
ঘুম ছাড়া চোখ ভোমরা
ঝড় ঠেকাচ্ছি ভাঙা শিকলেতে
নিলামেতে হৃদি পসরা
পরিযায়ী পাখি, মধুর ঠোকর
প্রাণে বিষাক্ত রঙ ফাগুন
যার ভুলের ঘরে বসতি পাতা
তারই চুম্বনে চিতা, আগুন
আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো
আকাশ তুমি দাঁড়িয়ে থেকো
বাতাস তুমি ফিরে যেও না
মাটি তুমি ধৈর্য ধরো
আগুন তুমি নিভে যেও না
জল তুমি মিলিয়ে যেও না
মানুষ আবার ফিরবে
এদিকেই ফিরবে
ভালোবাসা তুমি হলুদ হোয়ো না
আমার অধিকার আছে
আমার অধিকার আছে,
বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিয়ে
না ভালোবাসার
আমার অধিকার আছে,
উঠোনটায় একটাও ফুলগাছ না লাগিয়ে
সম্পূর্ণ ন্যাড়া করে রাখার
আজকের ভারতবর্ষের মেয়েদের অবস্থান
আসলে সব কিছু এখন চন্দ্রিল জানে
আসলে সব কিছু এখন চন্দ্রিল জানে
ভালো-খারাপ মিশেল লেখা চালাতেন যে কবিগুরু,
সে কথাটাও সে-ই জানে
মস্তিষ্কহীন রাক্ষুসে জনতার হাততালি -
কাকে যে কখন কোন তালে নাচায়
সেই কথাটা কে-ই বা জানে!
আমি কারোর কথা বলছি না, নিজের কথা বলছি
মেয়েটার মুখে হাঁটুর গুঁতো, চড়, কিল, লাথি। দেখলাম। তাজা খবর, লাইভের মত, দেখতেই হয়।
এখনও ধর্ষণগুলো লাইভ হয়ে ওঠেনি সামাজিক মাধ্যমে। হয়ত আগামী দিনে তাও দেখব।
আপনি সরে দাঁড়ান রবীন্দ্রনাথ
আমার চোখের সামনে থেকে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে নাও
আমি একটা ভাঙনের সামনে দাঁড়িয়ে
আমার সর্বোত্তম শিক্ষক
যখন খুব পিঠ চুলকায়, চুলকানোর উৎসমুখটা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়, তখন তাকে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে পেলে ভীষণ আনন্দ, আরাম।