আশা
যা গিয়েছে যাক
যেটুকু ক্ষতি হওয়ার আছে হোক
ঝড় উঠেছে উঠুক
বাঁধ ভাঙা বন্যা আসার আছে আসুক
তবু মিথ্যা অলসতার আবিলতা নয়
জয়-পরাজয় ক্ষণিক স্থায়ী
আবারও একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করা হল
আবারও একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করা হল। বৌদ্ধ একজনকেও। নৃশংস হত্যা। মৃত্যু, হত্যা - এর কোনো জাত, সম্প্রদায় হয় না। রক্ত গড়ালে সেটা মানুষেরই রক্ত গড়ায়। মৃত্যুর তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে যে মারা যায় সে আদতে রক্তমাংসে গড়া একটা মানুষই তো। স্নায়ুগুলো সুতীক্ষ্ণ অত্যাচারের নির্মম যন্ত্রণা নিয়ে যায়। এ সবই অবশ্য আমাদের কল্পনা। টিভিতে, পেপারে দেখা ছবিতে যা অনুভূত হয়, তার সাথে নিজেদের অ্যাক্সিডেন্ট,
আধুনিকতা ও সাহিত্য
আদিগন্ত আকাশ
আকাশের মত
দুটো বিস্তীর্ণ ক্ষেতের মাঝে যে বাঁকাপথ
সেখানে সাইকেলে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে
আরো প্রেমে
রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘যদি বলি মানুষ মুক্তি পেতে চায়, তবে মিথ্যা কথা বলা হয়। মানুষ মুক্তির চেয়ে ঢের বেশি চায়, মানুষ অধীন হতেই চায়... সে বলছে, হে প্রেম, তুমি যে আমার অধীন, আমি কবে তোমার অধীন হব!’
আমার একটা ছোট্ট ভুবন আছে
আমার একটা ছোট্ট ভুবন আছে,
সাতসাগর আর লক্ষতারার মাঝে,
নিবিড় করে ধরা বুকের কাছে---
আপন, বড় আপন ভুবন আছে।
নগণ্য সেই পথের ধূলিকণা,
সবুজ পাতায় বৃষ্টিরই আলপনা-
রামধনুরঙ কাঁচপোকাদের ডানা--
সবাই আমার মনের বাসায় থাকে,
নীরব সুরের হাতছানিতে আমায় তারা ডাকে।
তাদের গহিন গোপন খেলাঘরের লুকোচুরির ছবি,
যত্ন করে আমার চোখে আঁকে।
আমি ফুলমুন
মামুর সাথে তেপান্তরে হঠাৎ হলাম একা
তরমুজ কাটা একফালি চাঁদ করতে এল দেখা
বললাম আয় সেল্ফি তুলি আমরা মিলে তিনজন
চাঁদ বলল আজ মোটে নয়! আজ কি আমি ফুলমুন?
আশ্চর্য উপাখ্যান
আপন
রঙ তো কতই আছে
সে রঙই তোমার মনে ধরে
যে রঙ তোমার চোখের কোণায়
কথা তো কতই আছে
সে কথাই তোমার মনে বেঁধে
যে কথা তোমার বুকের তলায়
সুর তো কতই আছে
সে সুরই তোমায় কাঁদিয়ে ছাড়ে
যে সুর তোমার গভীর ব্যথায়
আমি ত্যাগ করিনি কোনোদিন
আমি ত্যাগ করিনি কোনোদিন
ত্যাগ মহতেরা করেন
আমি বেছে নিয়েছি আজীবন
মন্দের মধ্যে ভালো
অন্ধকারের মধ্যে আলো
অসতের মধ্যে সৎ
আমার মধ্যে তোমায়
তোমার মধ্যে আমায়
আলো
১
----
আলো নেভালেও যে আলো থাকে
সে আলো চোখের বাইরে না
সে ভিতর পথে ডাকে
২----
সাচ্চা হৃদয় খুঁজছি
নিশ্চই সে আছে
না হলে রোজ সকালে এত আলো
কারই বা খোঁজে আসে?
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
হিসাবি আলমারির চাবি হেরে গেল
ধুলোর পরে ধুলো জমে থাকা আলপনাও
উড়িয়ে নিয়ে গেল দমকা হাওয়া
অথচ আমি ভেবেছিলাম,
আমি তৈরী ছিলাম
আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী
আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী একসাথেই চলেছিল। প্রথমজন রেখেছিল পা মাটিতে। দ্বিতীয়জন রেখেছিল মাটিতে পা।
মাটি যখন কাঁপল, আত্মাশ্রয়ী পা তুলল মাটি থেকে, নিজেকে রাখল স্থির। আত্মহননকারী মাটির সাথে পড়ল মুখ থুবড়িয়ে, পায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।
আর ডেকো না
আত্মপ্রকাশ
আত্মপ্রকাশ কিসে ঘটবে? বেলুচিস্তান না কাশ্মীরে?
পদাদা রোজ ব্রাশ করতে করতে এটা ভাবে। হনলুলু না গোবরডাঙা? কিম্বা বনগাঁ না ক্রৌঞ্চদ্বীপ?
পদাদা এমনিতে হাসিখুশী মানুষ। রাগিয়ে দিলে তুবড়ি। হাসিয়ে দিলে চরকী। ভাবিয়ে দিলে রকেট। বয়েস পঞ্চান্ন। দুই ছেলের বাপ। এক স্ত্রী'র স্বামী।
আমার কবিতা
আমার কবিতার পায়ে কাদা লাগে
পুরোনো ঘরে মাথা নীচু করে ঢুকতে গিয়ে
আমার কবিতার মাথায় ঝুলও লাগে
আমার কবিতার জ্বর হয়
মন খারাপ হয়
আমার কবিতা শুধু ভাসে না, হাঁটেও
হাঁটতে না পেলে হামাগুড়িও দেয়
তোমায় একটু ছুঁয়ে দেখে আসে
তোমার কি জ্বর? না মন খারাপ?
ভাল আছো কি?
আচ্ছন্ন আকাশ
ভোর নয়, ভোর নয়
সন্ধ্যে
স্থির জলে অস্তরবির সাক্ষর
কিছুটা দ্বিধান্বিত
আকাশ ঢাকছে ধোঁয়ায়
আচ্ছন্ন আকাশ
পাখিগুলো অন্যপথে ফিরে গেছে
সকালের মুখ চেয়ে তবু কোনো প্রাণ
এরই মধ্যে সবুজ স্বপ্ন বুনবে
আকাশে হবে স্বচ্ছ
ভোর হবে, ভোর হবে
সন্ধ্যে প্রসন্ন আকাশে নামবে
পথ না পাল্টে
পাখি এ পথেই নীড়ে ফিরবে
(ছবিঃ দেবাশীষ)
আচমকা
হঠাৎ করেই কি ছেদ পড়ল?
হ্যাঁচকা টান লাগল বুকের পাঁজরে?
আলোর পর্দা সরিয়ে
অন্ধকার কড়া নেড়ে গেল দরজায়?
এমনি হয়
যে দিকের আকাশে আশঙ্কা করেছিলে সিঁদুরে মেঘ,
সে মেঘ জমে থাকে অন্য আকাশে অলক্ষ্যে
(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)
আগন্তুক
আগন্তুক
তুমি গান থামিও না
সব বাঁকা হাসি
ম্লান হয়ে আসে ধার হারিয়ে
পাতা হাত
গুটিয়ে আসার শক্তি পায়
শূন্য হয়েও
আত্মদানে
বিনা অভিযোগে পুড়লাম
অবহেলায়, স্বেচ্ছায়
সমস্ত ছাই হল
তবু সবটুকু ছাইও যখন তোমার দিকেই উড়তে চাইল,
তখন
আমার কাছে থাকো
রাত্রির গভীর অন্ধকারের বিষাদে আমার কাছে থাকো
ওগো আমার ঘাতক, ওগো আমার বঁধু
আমার কাছে থাকো
~ ফৈয়জ আহমেদ ফৈয়জ
আলোর সাগরে
সিদ্ধেশ্বরবাবু এমনিতে বেশ খোলা মনের মানুষ। কিন্তু নিজের নামটা নিয়ে ওনার খুব আক্ষেপ। এখনও সিদ্ধিলাভ বলতে যা বোঝায় তা হল না। অবশ্য ঠিক কি বোঝায় তাও সঠিকভাবে কোনো ধারণা নেই ওনার। তবু খুব ইচ্ছা, সিদ্ধিলাভ হোক। বয়েস চুয়ান্ন। সরকারি অফিসে
আলো ছায়া
আসবে বলো?
মন খারাপের অন্ধকারে
অন্ধ বাউল একতারাতে
কি বাজালো?
সিঁড়ি গিয়েছে তেপান্তরে
মেঘের মধ্যে বসত করে
চিনতে পারো?
আচমকা
স্মৃতিরা আসা যাওয়া করছে
উদ্বিগ্ন
মুখ চাইছে এর-ওর
কারোর কারোর ঠোঁটও কাঁপছে
আবরণ
সকালে বসলে সূর্যের ধ্যানে
বললাম চোখ খোলো,
সূর্য পূর্ব দিগন্তে,
দেখো, কি তার রঙ, কি তার রূপ!
আম্বেদকর
"Cultivation of mind should be the ultimate aim of human existence."
আসলে তো
আসলে তো আমি তাড়াতাড়ি হাঁটছি না
মৃত্যুও শুনেছি এদিকেই আসছে
দুজনেই তাড়াতাড়ি হাঁটলে
বড্ড তাড়াতাড়ি দেখা হয়ে যাবে
আটকে
জোয়ারের জলে কোথা থেকে রাশ রাশ কচুরিপানা ভেসে এলো গঙ্গার বুকে
ভাঁটায় ফিরে গেল না ওরা
পাড়ে পাড়ে বেধে থেকে গেল
ফিরে গেল জোয়ারের জল
আমের বোল
আকাশটা ছোট হয়ে যায় নি
আবার তো নামতে হবে
আমের বোল
আঃ
...
আম্লিক - ভালোবাসা
অ্যাসিড ছোঁড়াটা আটকাতাম কি করে তোমার?
ওটা তো তোমার রুচি