Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

এলোমেলো হোক

এলোমেলো হোক
পরে গুছিয়ো 
আজ থাক অন্যরকম
      অকপট
...

একটি আবেদন

জানি অরণ্যে রোদন, তবু বলি, ওহে ভক্তকূলগণ, আপনাদের কীর্তন, ভাবগ্রাহী ভাষণ, সব অমায়িক করলে হয় না? আপনারা বৈতরণী পার হয় তো হয়ে যাবেন ভক্তির জোরে, কিন্তু বাচ্চাগুলো মাধ্যমিক
...

এমনই তো

আকাশ মৌমাছিকে বলেছিল
উদার
ফুল মৌমাছিকে বলেছিল
অকৃতজ্ঞ
...

এবার?

সেদিন সে মানুষটা বুঝেছিল
    চলতে গেলে বিঁধছে কোথায় কাঁটাটা।
   খালি পায়ে এ দেশের মাটিতে হেঁটে হেঁটে
...

এমনই

এমনই ভাবে ভীষণ
এমনই ভাবে অকারণ
...

এমন কোনো

এমন কোনো ভালোবাসা নেই
যার জন্ম পূর্বদিকে নয়
...

এতো আশ্বিন

কাশ বলল,
    এতো আশ্বিন!
...

এই ঝুলন্ত সেতুতে

যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে স্যার বলছেন, দুঃখেষু অনুদ্বিগ্নমনা হতে, সুখেষু বিগতস্পৃহ।
       দুঃখে উদ্বিগ্নতা থাকবে না। সুখের প্রতি স্পৃহা না।
       স্যার, হেব্বি কঠিন।
...

এ মাটি

তোমার মত আমিও দেখছি

বদলে যাওয়া মুখ
বদলে যাওয়া স্লোগান
...

এ আমারও ব্যর্থতা

আসন্ন মৃত্যুর কাছে দাঁড়ানো
    কোনো মানুষের শেষ বয়ান নিতে পারব না
...

এই তো সভ্যতা

পরিবহের মাথার ছবিটা ফেসবুক খুললেই ঘুরেছিল লাগাতার। বলেছিলাম, মর্মান্তিক। 
           উত্তর প্রদেশের বাচ্চাটার ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে
...

এক বুক আশ্বাস

শান্তি। 
এক বুক আশ্বাস।
বেশি আশাবাদী হচ্ছি?
...

একা

আমি একটা বৃক্ষের
সব কটা পাতা গুনে 
ঘুমিয়ে পড়ব
...

একা হয়ে যাচ্ছে

কেউ বুঝতে পারে না
তারা গ্রহ নক্ষত্র 
পাহাড় নদী জঙ্গল
...

এখন থেকে

এবার থেকে
এখন থেকে
অল্প অল্প করে আঁশ ছাড়িয়ে নাও
...

একাদশীতে ওড়ানো রকেটগুলো

       লোকটার গ্রামটা ছিল সমুদ্রমুখী। তার একটা কারখানা ছিল। তার তিনটে শোয়ার ঘর, দুটো রান্নাঘর আর চারটে বসার ঘরওয়ালা বাড়ি ছিল। উঠোনে মুরগী ঘুরত। ছাগল ঘুরত। গরু ঘুরত। কিন্তু লোকটা নিরামিষাশী ছিল। লোকটার একটাই সাধ রকেট বানানো।
...

এক সময়

এক একটা সময় আসে যখন আর মহীরুহরা জন্মায় না
ঘাস আগাছা ঝোপঝাড়ে ঢাকা থাকে প্রান্তর
জলগর্ভ মেঘেরা পথ বদলিয়ে অন্য আকাশে যায়
...

এত ভয়!

তুমি বুঝলে না,
   সংশয় কিন্তু যুক্তি নয়
...

একইরকম

শহরের শেষ পাঁচিলটাও লাফিয়ে পড়ল ওপারে। একই দারোয়ান। একই মালী। একই ফুলের সারি।  রাস্তা পার হয়ে একটা মাঠে এসে বসল। সব পাঁচিল লাফ দেওয়া হয়ে গেছে। সব একইরকম দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দেওয়া হয়ে গেছে। এবার? 
...

একটা নীল ডানা চিল

এবার নেমে পড়ো
   ট্রাপিজটা দুলছে
      হয়ত ছিঁড়ে পড়বে
...

এখনই... এমনিই

গুরু বেণারস যাওয়ার টিকিট কেটে, খাটে বসে, পা দুলিয়ে দুলিয়ে, দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুড়ি চিবাচ্ছিলেন।

এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?

এই যে মাঝে মাঝে
   যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
     যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
   নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
       নাকি হিমালয়ের কোল 
কারা এত ডাকে তোমায়? 
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
      সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে

এটাই রীতি

পাখিরালয়ের ভেতরের দিকে এক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। মাটির বাড়ি। সামনে কয়েকটা ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। মানুষটার বয়েস আন্দাজ ষাটের উপর। একটা চেক চেক লুঙ্গি পরা, ফুলহাতা সোয়েটারের উপর একটা চাদর জড়ানো গায়ে। মাথায় উলের টুপি। হাতে বোনা মনে হল। সবগুলোর অবস্থাই জীর্ণ।

একটা মরুভূমি দাও

আমায় শুধু একটা বিস্তীর্ণ মরুভূমি দাও

যেখানে কোনো ফুলের যত্ন নিতে হয় না

যেখানে কোনো নদীর জোয়ারভাটার হিসাব রাখতে হয় না

যেখানে হঠাৎ হারিয়ে যাই যদি
কোনো নাম ঠিকানা লেখা কাগজ 
      হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় না

এই মুক্তি

আমার খুব কাছের এক বন্ধু তার জগন্নাথ দর্শনের গল্প বলছিল। আমি না হয় তার ভারসানেই লিখিঃ 

একগ্লাস জল

- আজ বহুদিন পর একগ্লাস জল খেলাম

- পুরো গ্লাস?!!

একদেশী ভাব এখানকার নয়

তখন অর্জুন ভয়ংকর কনফিউজড। পারিবারিক সংকট। চিত্তের সংকট। কর্তব্য স্থির করা দায়। এ গল্প তো আমরা জানি। তখন কত কথা হল দুজনের। সে তত্ত্বকথা নিয়ে কত আলোচনাও হল। মোদ্দা কথা, সে সবকে ধর্মের কথা বলে কত নিয়মকানুন গড়ে আলোচনাও করা হয়ে গেল।

একটু সজাগ থাকতে শিখুন

আজ ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২০. আকাশে বিস্কুটের কোনা খাওয়া গত পূর্ণিমার চাঁদ।

   আপনারা আমায় চেনেন, খেয়াল করেন না। আমি করি। কারণ আপনাদের গতিবিধি খেয়াল না রাখলে আবার আমার চলে না। কখন কি ছুঁড়বেন। কখন আপনার চোখে আমার জন্য স্নেহ, কখন রাগ, কখন ঘেন্না, কখন ভয়, সব খেয়াল রাখতে হয়।
...

এক পেয়ালা চা

অর্থ বলিতে তেমন কিছু নাই

জীবন বলিতে যা বুঝি

এক পেয়ালা চায়ের কাছে
...

এক সমুদ্র চোখের জল

একজন মানুষ সারাটা জীবন নিরহংকারী হওয়ার চেষ্টা করে গেল।
এইভাবেই তার অহং সারাটা জীবন বেঁচে গেল।
...

একমাত্রিক জানা

যা কিছু জেনেছি, সে আমার বাস্তব। যা জানি না, সে আমার অনুমান। হাসপাতালে যখন যাই, নানা রোগে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট আমার জানার মধ্যে পড়ে না, কারণ আমি চিকিৎসক নই, তাদের কষ্ট আমার জানার মধ্যে পড়ে না, কারণ আমি সে রোগে আক্রান্ত নই। রুগীর প্রতি আমার সহানুভূতি জন্মাতে পারে, আবার না-ও পারে। আবার ভয়ও জন্মায় – আমার যদি হয়?
...

এগারোটা রুটি

"আজ রুটি করতে ইচ্ছা করছে না... তরকারি সকালের যা আছে হয়ে যাবে... বাজার থেকে একটু রুটিটা নিয়ে চলে আসবে?....."

দুটো ঘর। চার-পা বেশি হাঁটলেই দেওয়াল। বারান্দা মানে সরু গলি। খোলা হাওয়া বলতে বড় রাস্তায় খেলে বেড়ানো হাওয়া সরু গলিতে ঢোকে যেটুকু, সেটুকুই। কালো-নীল ছাপ ছাপ একটা নাইটি আর লালে কালো ফুল আঁকা একটা নাইটি - এই দুটোতেই নিজেকে দেখতে দেখতে চোখে অন্য রঙ যেন আর সহ্য হয় না রাখির।
...

একটিই প্রার্থনা

একটিই প্রার্থনা,

একটিই শুভেচ্ছা

  মনে বারবার আসে
...

এখনও জানি না

মানুষ আসলে চূড়ান্ত কতটা নৃশংস হতে পারে

আমি এখনও জানি না।


যেমন মানুষ বাস্তবে চূড়ান্ত কতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে

সেও আমি এখনও জানি না।
...