একটা কবিতায় তিনটে কবিতা থাকে
একটা কবির
একটা পাঠকের
...
এলোমেলো হোক
পরে গুছিয়ো
আজ থাক অন্যরকম
অকপট
...
একটি আবেদন
...
এমনই তো
উদার
ফুল মৌমাছিকে বলেছিল
অকৃতজ্ঞ
...
এবার?
চলতে গেলে বিঁধছে কোথায় কাঁটাটা।
খালি পায়ে এ দেশের মাটিতে হেঁটে হেঁটে
...
এমনই
এমনই ভাবে অকারণ
...
এমন কোনো
যার জন্ম পূর্বদিকে নয়
...
এতো আশ্বিন
এতো আশ্বিন!
...
এই ঝুলন্ত সেতুতে
দুঃখে উদ্বিগ্নতা থাকবে না। সুখের প্রতি স্পৃহা না।
স্যার, হেব্বি কঠিন।
...
এ মাটি
বদলে যাওয়া মুখ
বদলে যাওয়া স্লোগান
...
এ আমারও ব্যর্থতা
কোনো মানুষের শেষ বয়ান নিতে পারব না
...
এই তো সভ্যতা
উত্তর প্রদেশের বাচ্চাটার ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে
...
এক বুক আশ্বাস
এক বুক আশ্বাস।
বেশি আশাবাদী হচ্ছি?
...
একা
সব কটা পাতা গুনে
ঘুমিয়ে পড়ব
...
একা হয়ে যাচ্ছে
তারা গ্রহ নক্ষত্র
পাহাড় নদী জঙ্গল
...
এখন থেকে
এখন থেকে
অল্প অল্প করে আঁশ ছাড়িয়ে নাও
...
একাদশীতে ওড়ানো রকেটগুলো
...
একটু সরে শো
...
এক সময়
ঘাস আগাছা ঝোপঝাড়ে ঢাকা থাকে প্রান্তর
জলগর্ভ মেঘেরা পথ বদলিয়ে অন্য আকাশে যায়
...
এত ভয়!
সংশয় কিন্তু যুক্তি নয়
...
একইরকম
...
একটা নীল ডানা চিল
ট্রাপিজটা দুলছে
হয়ত ছিঁড়ে পড়বে
...
এখনই... এমনিই
গুরু বেণারস যাওয়ার টিকিট কেটে, খাটে বসে, পা দুলিয়ে দুলিয়ে, দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুড়ি চিবাচ্ছিলেন।
এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?
এই যে মাঝে মাঝে
যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
নাকি হিমালয়ের কোল
কারা এত ডাকে তোমায়?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে
এটাই রীতি
পাখিরালয়ের ভেতরের দিকে এক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। মাটির বাড়ি। সামনে কয়েকটা ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। মানুষটার বয়েস আন্দাজ ষাটের উপর। একটা চেক চেক লুঙ্গি পরা, ফুলহাতা সোয়েটারের উপর একটা চাদর জড়ানো গায়ে। মাথায় উলের টুপি। হাতে বোনা মনে হল। সবগুলোর অবস্থাই জীর্ণ।
একটা মরুভূমি দাও
আমায় শুধু একটা বিস্তীর্ণ মরুভূমি দাও
যেখানে কোনো ফুলের যত্ন নিতে হয় না
যেখানে কোনো নদীর জোয়ারভাটার হিসাব রাখতে হয় না
যেখানে হঠাৎ হারিয়ে যাই যদি
কোনো নাম ঠিকানা লেখা কাগজ
হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় না
এই মুক্তি
আমার খুব কাছের এক বন্ধু তার জগন্নাথ দর্শনের গল্প বলছিল। আমি না হয় তার ভারসানেই লিখিঃ
একগ্লাস জল
- আজ বহুদিন পর একগ্লাস জল খেলাম
- পুরো গ্লাস?!!
একদেশী ভাব এখানকার নয়
একটু সজাগ থাকতে শিখুন
আপনারা আমায় চেনেন, খেয়াল করেন না। আমি করি। কারণ আপনাদের গতিবিধি খেয়াল না রাখলে আবার আমার চলে না। কখন কি ছুঁড়বেন। কখন আপনার চোখে আমার জন্য স্নেহ, কখন রাগ, কখন ঘেন্না, কখন ভয়, সব খেয়াল রাখতে হয়।
...
এক পেয়ালা চা
জীবন বলিতে যা বুঝি
এক পেয়ালা চায়ের কাছে
...
এক সমুদ্র চোখের জল
এইভাবেই তার অহং সারাটা জীবন বেঁচে গেল।
...
একমাত্রিক জানা
...
এগারোটা রুটি
দুটো ঘর। চার-পা বেশি হাঁটলেই দেওয়াল। বারান্দা মানে সরু গলি। খোলা হাওয়া বলতে বড় রাস্তায় খেলে বেড়ানো হাওয়া সরু গলিতে ঢোকে যেটুকু, সেটুকুই। কালো-নীল ছাপ ছাপ একটা নাইটি আর লালে কালো ফুল আঁকা একটা নাইটি - এই দুটোতেই নিজেকে দেখতে দেখতে চোখে অন্য রঙ যেন আর সহ্য হয় না রাখির।
...
একটিই প্রার্থনা
একটিই শুভেচ্ছা
মনে বারবার আসে
...
এখনও জানি না
আমি এখনও জানি না।
যেমন মানুষ বাস্তবে চূড়ান্ত কতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে
সেও আমি এখনও জানি না।
...