একটা পুতুল যেন তোলা হল না
একটু হাত পা ছড়িয়ে বসি
মানুষের কিছু উৎসব আছে
মানুষ নিয়ে,
...
এ বাস্তব
যে অশান্ত তার সুখ কই?
এ বাণী
কিন্তু যারা সুখে আছে, তারাই বা শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে কই?
এ বাস্তব
একটা কাজের কথা
একটা কাজের কথা। একবার ভেবে দেখবেন তো, যতগুলো অনুতাপ, অপরাধীভাব কিম্বা দোষীভাব নিজের ভিতরে, নিজের অজান্তে পুষে রেখেছেন, তার কতগুলোর সত্যিই কোনো মানে হয়?
এত সাজসজ্জা
এত সাজসজ্জা
এত নির্ভুল উচ্চারণ
এত নিখুঁত পদক্ষেপ
হাসি পায়
কবরের উপর এত নক্সা কেন?
একটা দেশ আর একটা মশা
একটা দমকা হাওয়ায়
রোদে পোড়া ঝরে পড়া পাতাগুলো
ডাঁই করা রাস্তার ধারে
দশদিক থেকে বাতাস পোড়া পাতার গন্ধ নিয়ে খেলছে দামাল ছেলের মত
সূর্যাস্তের আয়োজন হচ্ছে পশ্চিম আকাশে
সিঁদুর রঙ লেপে
এমন নয়
এমন নয়
তবে?
জানি না। তবে এমন নয়।
চেনা?
না, তবে অচেনাও তো নয়
তবে কেমন?
জানি না। তবে এমন তো নয়!
এত কথা কেন?
কখনও কখনও সম্পূর্ণ লিখতে পড়তে না জানা মানুষদের, যাদের আমরা চলতি কথায় 'অশিক্ষিত' আর তার সাথে গরীব হলে, অবতার-সাধু না হলে 'ছোটোলোক' বলি, তাদের মুখে এক একটা কথা শুনে মনে হয় কবিতা জিনিসটা যত বেশি হৃদয়ের কাছে থাকা যায় তত বেশি শুদ্ধ হয়। লেখাপড়া না জানা মানুষ কথা বলে
এমন দৃষ্টি
কুকুরটা একটা একটা করে সাতটা বাচ্চা জন্ম দিল
তার গোঙানি, তার অসহায় অসহ্য চীৎকারের সাক্ষী থাকল
কার্তিক মাসের তারা ভরা নির্মল আকাশ
বাগানের কয়েকটা আধফোটা জবা, আর কয়েকটা ঘাসফুল
এখনই না
পুকুরপাড়ে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দিয়ে পা ছড়িয়ে ছাতিম গাছটার তলায় বসল বিহান। নীল আকাশ, সাদা সাদা কয়েক টুকরো মেঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বিহানের শাড়ির উপর উড়ে এলো কয়েকটা কাশফুলের রোঁয়া। বিহান নিজের পায়ের দিকে তাকালো। কড়া পড়েছে, আঙুলে ফাঁকে ফাঁকে হাজাও আছে। এই শাড়িটা চার বছর আগে
এখনই যাব না সেখানে
এই তো শ্রদ্ধা ছিল। গেল কোথায়? এই তো ভক্তি ছিল। গেল কোথায়? একটা পাখি সকাল থেকে ডাকছে, তোর নাম কি? থাক, নাম জেনেই বা কি হবে! কটা নামই আর মনে থাকল সারা জীবন?
এবছরের মত খেলাটা শেষ হল
এবছরের মত খেলাটা শেষ হল। বড়দের খেলা। চালাকদের খেলা। ধনীদের আমোদ। নেতাদের শক্তি প্রদর্শন। বোকাদের আবেগের তুবড়ি, জ্বলে ধাঁধাঁ লাগিয়ে চোখে, ফুরালো এ বছরের মত। কাছের সব কিছু ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল, এত আলো। এবার শ্লথ পায়ে আসবে অবসাদ। উত্তেজনার পর যা অবধারিত। কাজের গতি বেগ ফিরে পেতে নেবে আর
এতটা অস্বস্তি ছিল তবে
এতটা অস্বস্তি ছিল তবে
এতগুলো দীর্ঘশ্বাস
একলা ছন্দে তাল কাটছিল বারবার
যেন সমর্পিত অপেক্ষার রুদ্ধশ্বাস
একজন অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল বাচ্চা মেয়ে আমাদের কলকাতার বুকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে
একজন অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল বাচ্চা মেয়ে আমাদের কলকাতার বুকে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। বাবা মা তার গলার নলি কেটে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিজেরাও সরে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নিজেরা এখন বিপদসীমার বাইরে। বাচ্চাটা ঘোর সংকটে। সে সংকটে তো তার শরীরটা। তার যদি চিন্তা করার ক্ষমতা থাকত
এক বিন্দু জল
এক বিন্দু জল
না হয় হারালোই
হয় মিশল সাগরে
নয় মিলালো শূন্যে
না হয় তাই হলই
একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে
একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে
পক্ষ বোঝা যাচ্ছে না
তবু জানা যাচ্ছে,
একটা লাগাতার আন্দোলন চলছে
এক কোপে নাশে
নিদ্রামগ্ন তীর্থযাত্রীগণ
নিদ্রাহারা তারকামালা রহিয়াছে চাহি, যেন সশস্ত্র প্রহরী ওরা
বিস্তীর্ণ মরুভূমি মাঝে,
এখনও গুনতি চলছে
ঈশ্বর, আপনার মাথায় যত না শপথের বোঝা
তার চাইতে লক্ষগুণ বেশি ভাঙা শপথের ভার
আপনি একটু জিরিয়ে নিন ঈশ্বর
এখনও গুনতি চলছে
এরা কোন দেশের ঠাকুমা?
পাখিটা ডাকতেই ছেলেটা ঘরের বাইরে এসে দাঁড়ালো। এক হাতে একটা আধ খাওয়া পেয়ারা। ছুঁড়ে ফেলে দিল পুকুরের জলে। ধুপ্ করে আওয়াজ করে, একটা গোল চাকতি ঢেউ তুলে পেয়ারাটা ডুবে গেল। পুকুরের জলে ভাসা নারকেল গাছের ছায়াগুলো উড়ন্ত কাপড়ের মত দুলে উঠল। ছেলেটা ভালো করে খেয়াল করল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। দাঁতের ফাঁকে একটা বিচ
একাকীত্বের ভার
মাঝে মাঝে ঈশ্বরের মত সব কিছু জেনে যেতে ইচ্ছা করে
পরক্ষণেই মনে হয়, থাক।
এতবড় একাকীত্বের ভার কে নেবে?
এখনই
এখনই না
এখনও অনেকে বসে আছে
অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ভাবছে এখনও
এখনও অনেকে বাথরুমের আলো নিভিয়ে
বাথরুমকে অস্তিত্বহীন করে
শোয়ার ঘরে শুয়ে টিভিতে রান্না শিখছে
এখনও অনেকের চোখে-মুখে জরায়ুস্থ শিশুর সরলতার ভান
এমনভাবে হাত দুটো বাড়াও
এমনভাবে হাত দুটো বাড়াও
যাতে আকাশকে সঙ্কুচিত হতে না হয়
এমনভাবে দুটো চোখ মেলো
যাতে হৃদয়ের এককণাও শূন্য না রয়
( Debasish এর ছবিটা মন কাড়লো)
একারই
দ্বিধা ছিল
আছে
থাকবেও
চলা ছিল
আছে
থাকবেও
রঙ হল পাকা
মুছে দিলাম
নির্মম
পথ একাই ছিল
একারই ছিল
আছে
থাকবেও
একটানা
প্রসঙ্গ বদলাও
চাঁদ তারা সূর্য ঋতু
কেউ থাকতে পারে না ঠায়ে একটানা
ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ এরাও পারে না,
হৃদয় পারে
সে তো দিগন্ত
জাগরণ আর বিস্মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে
এযাবৎ জীবনে অনেক সান্ত্বনাবাক্য শুনেছি
এককালে আমার ছাত্র ছিল
একটু সরে দাঁড়াও
...
এই তো কবিতা
পদ্মপাতার উপর এক বিন্দু জল
টলোমল
তার অবয়ব ঘিরে নীলাকাশের ছবি
ছলছল
শান্ত মন, আত্মগত প্রাণ
দূরে, বহুদূরে সব কোলাহল
এক ছটাক ভালোবাসা পেয়েছ বলে
রোদ্দুরের সাথে আড়ি কোরো না
শ্যাওলা ধরা পথে
ভালোবাসাও আত্মঘাতী হয়
একদিন
সব জানাশোনারা
পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে
আগাম জানাশোনারা
গুহাপথের মত সামনে
একদিন এই জানাশোনার বাইরে যার পা পড়বে
সে আমি না
জানাশোনার বাইরে কেউ
এমন যদি হয়
এমন যদি হয়
বাজারে আনকোরা কিছু নেই আর তোমার জন্য
এমন কোনো
পাহাড়, নদী, ঝরণা, জঙ্গল, সমুদ্র নেই যা তুমি দেখোনি
অথবা এমন কোনো রতিসুখ নেই
যা তোমার অভিজ্ঞতার বাইরে
কি করবে সেদিন?
এ পরবাসে রবে কে
https://www.youtube.com/watch?v=j_9HkGOXNd0&t=32s
এ পরবাসে রবে কে হায়!
কে রবে এ সংশয়ে সন্তাপে শোকে ॥
হেথা কে রাখিবে দুখভয়সঙ্কটে--
তেমন আপন কেহ নাহি এ প্রান্তরে হায় রে ॥
একাকীত্ব
তুমি নির্মল একাকীত্ব চেয়েছিলে
পেলে
একটি সংবাদ পাইলাম
...
এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা
এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা
ডুব সাঁতারে শামুকে কাটা পা
চাতক তৃষ্ণা
এক পশলা তুমি
ঘুণ লেগেছে সুখের সারা গা