চাতুরী
কোনো অনুকম্পায় না
বড় কাঙালপনায় আমার শালটা
তোমায় গায়ে জড়াতে দিয়েছিলাম
মহত্ব না,
এ চাতুরী
শুধু সুবাসটুকু চুরির আছিলায়
ভাগ্য বরাদ্দ সময় পেরিয়ে
আরেকটু কাছে চেয়েছিলাম
চিন্তাজাল
ভিত গেঁথেছি ভাই রে
ভিত ঘিরে হল চিন্তাজাল
সব জট পাকিয়ে যায় রে
...
চর্চা
...
চিত্ত - জ্ঞান - শিক্ষা
অতএব লিখেই ফেললাম। লিখবার ধারাটি সম্পূর্ণ আমার মত করে বানিয়ে নিয়েছি, যে ভাবে বলতে আমার সুবিধা হবে সেইভাবে।)
...
চেতনা জড়ায়ে রহে ভাবনার স্বপ্নজালে
বলা হয় আমি যা তা হলাম আমার
...
চিত্তের চির বসতি
...
চুপ!
লক ডাউন। অনলাইন ক্লাস। ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কোভিড। ভেন্টিলেশন। মহামারী। কোয়ারেন্টাইন। বেড নেই।
...
চুতিয়া
সিঙ্গাড়ায় পুর পুরতে পুরতে একবার মালিকের দিকে তাকিয়ে কর্মচারী বলল, তা আর বলতে। মনে মনে নিজের 'চুতিয়া' উপাধি পাওয়ার যোগ্য কাজগুলো ভেবে একটু হাসল।
ঠিক তক্ষুণি একটা টিকটিকি ছাদের থেকে টপাক করে
...
চিকিৎসকের জন্য
...
চেতনা নির্মম
সংখ্যার সাথে সম্পর্ক হয় না। মানুষের সাথে হয়। চোখ, হাসি, কথার সাথে হয়। সংখ্যার সাথে বাস বিস্ময়ের। সংখ্যার সাথে বাস আতঙ্কের।
...
চোখের বালি ও কোভিড-১৯
চায়ের ভাঁড়
ডাক শুনতে শুনতে, হাঁসেদের জলে নামা প্যাঁক প্যাঁক ডাক শুনতে শুনতে, গরুদের মাঠে চরা দেখতে
দেখতে চা খেত। ভাঁড়ে করে চা খেত।
চলো কবাডি খেলি
মিঠেরোদে গা এলিয়ে বসে থাকতে থাকতে টুক করে মারা গেল নরহরি।
চিহিরো
জিভের ফোঁড়া নিয়ে
ডাক্তার দিল ফোঁড়া কেটে
লেজার কাঁচি দিয়ে
হেঁটে হেঁটেই ওটিতে ঢুকল
সব্বাই দেখে অবাক
এত সাহস চিহিরো পালের
সবাই বলে, কেয়া বাত!
...
চোদ্দোশাক
আজ সকালে ঝুলবারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশে থাকা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছেন, আকাশের দিকে তাকিয়ে, হঠাৎ চোখ গেল সামনের ফ্ল্যাটের ঝুলবারান্দায়, এক কিশোর টুনি লাগাচ্ছে। কি নাম? জানেন না। কারোরই নাম জানেন না। ইলেকট্রিসিটি বোর্ড থেকে রিট্যায়ার করার পর থেকে কাউকে চিনতে ইচ্ছা করে না। কারোর নাম জানতে ইচ্ছা করে না।
...
চাঁদের উদয়
গোঁসাই বলল, শরীরের পিছনে মন হাঁটে, না মনের পিছনে শরীর?
রতন বিড়ি ফেলে বলল, ওই হল। দুই আছে। কখনও এ আগে, কখনও সে।
গোঁসাই বলল, আজ থাকবি?
রতন বলল, টোটো দাঁড় করিয়ে রেখে এসেছি। এই যে কমলা। প্রণাম কর।
চলো প্যাঁদাই, কিছু করে দেখাই
ধইঞ্চা গাছের ঝাড়ের নীচে চুল্লু খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে শিবে।
নক্ষত্র টলতে টলতে তার পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞাসা করল, বাড়ি যাবি না?
শিবে বলল, নাহ্, মনটা বিষিয়ে গেছে....
নক্ষত্র বলল, ক্যানো রে?
চলো
শান্তি ছিল
আত্মসম্মানহীন
প্রেম ছিল
দখল করে বসে
নিরাপত্তা ছিল
শুষ্ক নদীতে
নোঙর ফেলা নৌকার মত
মৃত্যু এলো যখন
সবাই ভাবল সে বলবে -
"এখন না, এত সুখ!"
চুপ
এত কোলাহল
এও তো চুপ করে থাকা
চাঁদ না মেঘ
মন্দিরের দরজায় তালা লাগিয়ে, মঠের দরজায় তালা লাগিয়ে সাধু নিজের ঘরে গিয়ে বসলেন। একাই বসে। কোনো ভক্ত সমাগম নেই। খাঁ খাঁ করছে মন্দির প্রাঙ্গণ। কি এক রোগ এলো!
চাঁদের টানে
চেতনা মানে
চেতনা মানে গুচ্ছের তথ্য মুখস্থ করে পরীক্ষা পাশ দেওয়াও নয়। চেতনা মানে জেগে থাকা, তাকিয়ে দেখা, কানে শোনা, চেখে দেখা, ছুঁয়ে বোঝাও শুধু নয়।
চেতনা মানে অনুকম্পাও। চেতনা মানে সহমর্মিতাও। ...
চাঁদের আলো আর গীতবিতান
ঝুলবারান্দায় বসে বসেই বেলা এগারোটা বেজে গেল। সকাল থেকে খাওয়া বলতে এক কাপ করে চা।
চোখ
যে ডোবে
সে-ই ডোবে
কেউ দোষ দেয় না
দীঘির কালো জলের
আমিও দিইনি
তোমার চোখের
চাতাল
নিভা তার কাঁচাপাকা চুলগুলো গামছায় মুছছিল। হাত থেমে গেল। পরেশের নাতিটা স্নান করে বাঁধানো পুকুরঘাটে ছোটো ছোটো পায়ের ছাপ ফেলে এক দৌড়ে উঠে চলে গেল। নিভ
চেতনার আমেজ
যা আছে, তা-ই আছে। নতুন যা, সে যে দেখছে তার কাছেই নতুন। যেমন ধরো তুমি চোদ্দোবার পুরী এসেছো। তোমার কাছে এই সমুদ্র পুরোনো। আমেজটা হয় তো প্রতিবার নতুন। কিন্তু দে
চিনি ঠিক আছে?
ঘড়িটা খুলে পকেটে ঢোকালো। ফোনটা ব্যাগে নিয়ে নিল। ফোন আর ঘড়ি, দুটোই চুরি হয়েছে দমদম থেকে বেলঘরিয়ার মধ্যে আগে বেশ কয়েকবার। অফিস টাইমে বিধাননগর থেকে ট্রেনে ওঠা এ
চাঁদ আর প্লেন
চাঁদের পাশ দিয়ে প্লেনটা গেল। বাচ্চাটা দাদুকে জিজ্ঞাসা করল, দাঁড়ালো না যে, দিদু উঠবে না? বেড়াতে যাবে না আজ?
চা
চটি
বাচ্চাটার জুতো দুটো মা বাবার সঙ্গেই জড়ো করে রাখা। মন্দিরের সামনে। মা বাবা পুজো দিচ্ছে। বাচ্চাটা গুটিগুটি পায়ে মন্দিরের সামনে এসে দাঁড়ালো।
চুপ করে থাকবি
মা পা'টা ডলে ডলে ধুচ্ছে পুকুরঘাটের শেষের আগের সিঁড়িতে বসে। আলতাগুল
চায়ের কাপ
হাতপাখার হাওয়া খেতে খেতে নিরাবরণ স্তনের দিকে আঙুল দেখিয়ে শৈব্যা বলল, তোর বাবা… এই খেয়ে বড় হয়েছে….
চাতাল, সাত সকাল
এত সকালে জলখাবার করলে দিদি?
চা দিবস
অনেকদিন ধরে ভুগছিলেন। শয্যাশায়ী ছিলেন একপ্রকার। মারা গেলেন হাসপাতালে। সা
চারদিক শান্ত হল
কাশতে কাশতে রক্ত উঠে এলো। ধুতির পকেট থেকে টাওয়েল বার করে মুছে, কল
চিরনিশীথতিমির গহনে, আছে মোর পূজাবেদী