অনেকদিন ধরে ভুগছিলেন। শয্যাশায়ী ছিলেন একপ্রকার। মারা গেলেন হাসপাতালে। সাজিয়ে শীর্ণ, বৃদ্ধ, নিষ্প্রাণ শরীরটা আনা হল। বাইরে শোয়ানো হল। ওঁর স্ত্রী, বয়েস হয়েছে তাঁরও, অশক্ত শরীরে একটুক্ষণ বসলেন পাশে। তাকালেন, চিন্তাহীন, উদ্বেগহীন, উদাসীন। ঘরে এলেন। খাটে বসলেন। বাইরে হরিধ্বনি শোনা গেল, ম্যাটাডোরের আওয়াজ হল। আর অল্প কিছু কান্নার।
উনি জানলার ধারে খাটে বসে। পা দুটো ঝোলানো। ভীষণ সুগার। একজন এসে বলল, মাসিমা কিছু না খেলে শরীর খারাপ করবে।
উনি তাকালেন মেয়েটার মুখের দিকে। শান্ত দৃঢ় গলায় বললেন, এক কাপ চা আর দুটো ক্রিম কেকার দিস.... দুধ-চা করবি হ্যাঁ... লাল চা আমি খেতে পারি না.... উনিও পারতেন না....
সবার মুখের দিকে তাকালেন। দাবীহীন শোকের সলজ্জ ম্লান হাসি। আবার জানলার দিকে তাকালেন।
আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। চা আসলে একটা আবেগ। একটা অবকাশ। একটা সান্ত্বনা। কোথায় নেই সে তাই, এমনকি শ্মশানের বাইরেও....