Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

আশ্রয় 

আশি ছুঁই ছুঁই মানুষকেও দেখেছি মাকে খুঁজতে। মায়ের অভাবকে অনুভব করতে। মামু ছোটোবেলায় একটা কার্টুন দেখত, ডোরেমন। মাঝে মাঝে আমিও দেখতাম। সেখানে একটা এপিসোডে দেখেছিলাম, ডোরেমন টাইম মেশিনে বা ওরকম কিছু একটা করে নোবিতার ঠাকুমাকে এনে দিয়েছে। নোবিতার বাবা অফিস থেকে ফিরে মাকে দেখতে পেয়ে কি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে উঠল। অফিসের জামা পরেই মাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কত সুখদুঃখের কথা বলতে শুরু

আশা

আমার ভালোবাসা, স্বপ্ন, আশা সব ব্যর্থ হয়েছে। তবু কেন নিজেকে সার্থক ভাবি জানো?

আপনজন

কথাটা ঠিক মাছ ধরা না। কথাটা হল সময় কাটানো। নইলে এই পুকুরে কি এমন মাছ হয় যে সকাল আটটা থেকে বেলা দুটো অবধি বসে থাকা যায়

আসল তর্পণ

ধ্যানেশ ভটচায্যি মশায় তামার বাটিতে গঙ্গাজল দিয়ে, দু ফোঁটা জিওলিন দ

আমরা যখন গল্প করি

আমরা যখন গল্প করতে বসি, পাশে ফেভিকুইক, ব্যাণ্ডেজ, ফেভিকল, গঁদের আঠা আরো কি কি যে লাগে! হাসতে হাসতে আমাদের কতবার যে পেট ফাটল, আবার আমরা ফেভিকুইক দিয়ে টিয়ে জোড়া লাগালাম সে আর কি বলব। মিথ্যা বলব না একবার সিমেন্টও করতে হয়েছিল।

আমি সত্য বলে

বীজ জানে 
   তাকে অঙ্কুরিত হতে হবে

অঙ্কুর জানে
   তাকে ডালপালা মেলতে হবে 

ডালপালা জানে
   তাকে ফুল-ফল ধরাতে হবে 

শিকড় জানে
   যে করেই হোক 
     তাকে মাটি আঁকড়ে থাকতেই হবে

আধখানা 

রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে ট্রেনের হলুদ কামরাগুলো গেল দৌড়ে

পিছনে পিছনে দৌড়ালো আমার মন

সবটা না। কিছুটা মন থেকে গেল ওভারব্রিজের উপর।

সবটুকু মন নিয়ে হারিয়ে যেতে পেরেছে কে কবে চিরটাকালের জন্য?

থেকে যাওয়া মন ডাক পাঠালো, বলল,

 "ফিরে আয়। পাপোশে পা মুছে ঘরে ঢোক"। 

আমার ভূত

ভালো ভূতের ছবি কই পাই? সবাই কি সুন্দর সুন্দর ভূতের ছবি দিচ্ছে। আমি কই পাই? শেষে খুঁজতে খুঁজতে দেখলাম, হায় আমার পোড়া কপাল!

আছি

এক বুদ্ধিহীন বোধের খুব প্রয়োজন

অনেকটা ঘুড়ির মত

যে লাটাইয়ে বাঁধা আছে জেনেও
সে বাঁধন কেটে গেলে মাটিতে
   আছড়ে পড়বে জেনেও

আকাশে, বাতাসে, আলোতে
  লুটোপুটি খেতে খেতে বলবে

   এই তো
      তবুও আমি আছি

আমিও


==
আমি তো বলিনি
    প্রদীপখানা নিখুঁত আমার 

আজীবন

পরাশরবাবু সুখী হতে শিখেছিলেন। আজীবন।


কেউ নতুন ফ্রীজ কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।


কেউ নতুন বাড়ি কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।


কেউ নতুন চাকরি পেয়েছে শুনলে খুশী হতেন।


পরাশরবাবু খুশী হতে হতে সুখী হতেন। সুখী হতে হতে শান্ত হতেন।


প্রতিদিন একটা করে খুশীর খবরের অপেক্ষা করতেন।


যেদিন ছেলেটা জলে ডুবে মারা গেল

আধখানা চাঁদ

     জল পড়ছে বিন্দু বিন্দু। চালা চুঁইয়ে। এমন বৃষ্টি, বাড়ি ফেরা হল না। আশ্রমে থেকে গেলাম। গোঁসাই খাটিয়ার উপর বসে একতারায় মাঝে মাঝে ঠুং ঠুং আওয়া

আসবেন, কাজ আছে

অনবরত কড়া নাড়ল, ফিরে যাবে ভাবল। ভিতরে কেউ ছিল? নাকি ছিল না। কাঁচে নাক ঠেকালো। শ্বাসের বাতাস কাঁচে ঘুরে, সব ঝাপসা করে বলল, নেই।

দূরে কুকুর ডাকছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে। এত গভীর জঙ্গলে একা একা দাঁড়িয়ে কেন? রাস্তায় পায়ের ছাপ নেই। চলাফেরার নিশানা নেই। হাতলে ধুলো জমে আছে। তবু মনে হচ্ছে কেউ আছে।

আছেও, নেইও

তো সে কি করল, একটা মন্দির বানালো। কিন্তু মন্দিরে কোনো মূর্তি, বা ঘট কিছুই রাখল না।

আকাশ

খাঁচা যদি না খুলে দাও

আঁচ

রুক্মিণী আঠারো বছর রুটি বানালো, বিক্রি করল, মেয়েদুটোকে মানুষ করল, কেউ জানলই না যে তার বর এই দোকানের নীচেই চাপা পড়ে আছে, বিষাক্ত তরকারি আর রুটি খেয়ে, যে রুটি

আমারও মন বলছে

দড়িটায় ফাঁসও লাগানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পেটটায় এমন মোচড় দিল আর গাছে ওঠা হল না। অথচ এই পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে দেখতে হরেনের টুক করে ঝুলে পড়ার কথা ছিল।

আনন্দ

           জগন্নাথের সামনে বসে সে বলল, তোমায় জানব, না নিজেকে?

আরাম

একজন মানুষ সুখ রান্না করত। তার সুখের সুবাস ছড়িয়ে পড়ত দশদিকে। দশদিক থেকে মানুষ আসত, পাত পেড়ে বসত, সে সুখ পরিবেশন করত। সবাই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে সুখে মাখামাখি হয়

আম জাম কাঁঠাল নিম আর কাস্তে

সে মেলা বছর আগের গপ্পো। তখন আমাদের দেশ পরাধীন। একজন বাবু আপিস থেকে টমটম চড়ে বাড়ি ফিরছে। বিকেলের ফুরফুরে হাওয়ায় দু একটা সদ্য শেখা বিদেশী গানের সুরও

আড়াল করো

এক বুক নিংড়ানো সুখ। সাবধানে রাখা। জীবনটা বড় বেশি তো নয়। ভুস করে শেষ হয়ে গেলেই হয়। কিন্তু সব তো হল

আচরণের স্বর্ণময় নিয়ম

"আচরণের স্বর্ণময় নিয়ম - পারস্পরিক সহিষ্ণুতা, কারণ আমাদের সবার বিচারধারা কখনও একই রকমের হবে না, আর সত্যকে আমরা সব সময়ই খণ্ডিত আর আলাদা আলা

আফগানিস্তান!

ইভি রামস্বামী পেরিয়ার, ১৯২৮ সালে ভারতীয় নারীদের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে লিখছেন,