আদিম কৃতজ্ঞতায়
তুমি এতদিনেও বুঝলে না
কেউ ভালো নেই
আশ্রয়
আশি ছুঁই ছুঁই মানুষকেও দেখেছি মাকে খুঁজতে। মায়ের অভাবকে অনুভব করতে। মামু ছোটোবেলায় একটা কার্টুন দেখত, ডোরেমন। মাঝে মাঝে আমিও দেখতাম। সেখানে একটা এপিসোডে দেখেছিলাম, ডোরেমন টাইম মেশিনে বা ওরকম কিছু একটা করে নোবিতার ঠাকুমাকে এনে দিয়েছে। নোবিতার বাবা অফিস থেকে ফিরে মাকে দেখতে পেয়ে কি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে উঠল। অফিসের জামা পরেই মাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কত সুখদুঃখের কথা বলতে শুরু
আশা
আপনজন
আসল তর্পণ
ধ্যানেশ ভটচায্যি মশায় তামার বাটিতে গঙ্গাজল দিয়ে, দু ফোঁটা জিওলিন দ
আমরা যখন গল্প করি
আমি সত্য বলে
আধখানা
রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে ট্রেনের হলুদ কামরাগুলো গেল দৌড়ে
পিছনে পিছনে দৌড়ালো আমার মন
সবটা না। কিছুটা মন থেকে গেল ওভারব্রিজের উপর।
সবটুকু মন নিয়ে হারিয়ে যেতে পেরেছে কে কবে চিরটাকালের জন্য?
থেকে যাওয়া মন ডাক পাঠালো, বলল,
"ফিরে আয়। পাপোশে পা মুছে ঘরে ঢোক"।
আমার ভূত
আছি
এক বুদ্ধিহীন বোধের খুব প্রয়োজন
অনেকটা ঘুড়ির মত
যে লাটাইয়ে বাঁধা আছে জেনেও
সে বাঁধন কেটে গেলে মাটিতে
আছড়ে পড়বে জেনেও
আকাশে, বাতাসে, আলোতে
লুটোপুটি খেতে খেতে বলবে
এই তো
তবুও আমি আছি
আমিও
১
==
আমি তো বলিনি
প্রদীপখানা নিখুঁত আমার
আমি, আরাধ্যা পাল বলছি
আজীবন
পরাশরবাবু সুখী হতে শিখেছিলেন। আজীবন।
কেউ নতুন ফ্রীজ কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।
কেউ নতুন বাড়ি কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।
কেউ নতুন চাকরি পেয়েছে শুনলে খুশী হতেন।
পরাশরবাবু খুশী হতে হতে সুখী হতেন। সুখী হতে হতে শান্ত হতেন।
প্রতিদিন একটা করে খুশীর খবরের অপেক্ষা করতেন।
যেদিন ছেলেটা জলে ডুবে মারা গেল
আধখানা চাঁদ
আসবেন, কাজ আছে
অনবরত কড়া নাড়ল, ফিরে যাবে ভাবল। ভিতরে কেউ ছিল? নাকি ছিল না। কাঁচে নাক ঠেকালো। শ্বাসের বাতাস কাঁচে ঘুরে, সব ঝাপসা করে বলল, নেই।
দূরে কুকুর ডাকছে। জঙ্গলের ভিতর থেকে। এত গভীর জঙ্গলে একা একা দাঁড়িয়ে কেন? রাস্তায় পায়ের ছাপ নেই। চলাফেরার নিশানা নেই। হাতলে ধুলো জমে আছে। তবু মনে হচ্ছে কেউ আছে।
আছেও, নেইও
তো সে কি করল, একটা মন্দির বানালো। কিন্তু মন্দিরে কোনো মূর্তি, বা ঘট কিছুই রাখল না।
আকাশ
খাঁচা যদি না খুলে দাও
আমাদের এখন বইপক্ষ
আঁচ
রুক্মিণী আঠারো বছর রুটি বানালো, বিক্রি করল, মেয়েদুটোকে মানুষ করল, কেউ জানলই না যে তার বর এই দোকানের নীচেই চাপা পড়ে আছে, বিষাক্ত তরকারি আর রুটি খেয়ে, যে রুটি
আমারও মন বলছে
দড়িটায় ফাঁসও লাগানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পেটটায় এমন মোচড় দিল আর গাছে ওঠা হল না। অথচ এই পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে দেখতে হরেনের টুক করে ঝুলে পড়ার কথা ছিল।
আয়না আজ যমুনাতীর
পোষা বেড়াল নয়
আনন্দ
আলেখ্য বোস
আরাম
একজন মানুষ সুখ রান্না করত। তার সুখের সুবাস ছড়িয়ে পড়ত দশদিকে। দশদিক থেকে মানুষ আসত, পাত পেড়ে বসত, সে সুখ পরিবেশন করত। সবাই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে সুখে মাখামাখি হয়
আর এসো না
নেই রে…পড়তে গেছে…..,
আম জাম কাঁঠাল নিম আর কাস্তে
সে মেলা বছর আগের গপ্পো। তখন আমাদের দেশ পরাধীন। একজন বাবু আপিস থেকে টমটম চড়ে বাড়ি ফিরছে। বিকেলের ফুরফুরে হাওয়ায় দু একটা সদ্য শেখা বিদেশী গানের সুরও
আদিতত্ত্ব
তুমি আদিকবি কবিগুরু তুমি হে....
আড়াল করো
এক বুক নিংড়ানো সুখ। সাবধানে রাখা। জীবনটা বড় বেশি তো নয়। ভুস করে শেষ হয়ে গেলেই হয়। কিন্তু সব তো হল
আষাঢ়.. রবীন্দ্রনাথ... বাসন মাজার আওয়াজ
তখন বৃষ্টি। প্রচণ্ড মেঘের ডাক। তখন খাপছাড়া হাওয়া। তখন আষাঢ় মাসের প্রথম রাত।
আরাধ্যা পাল
আকাশবাণী... ঘাওড়া আমি
আবেগের কর্তাটি কে?
আচরণের স্বর্ণময় নিয়ম
আমারও কাজ ছিল রে
পুজোর মন্ত্র কি?
আফগানিস্তান!
ইভি রামস্বামী পেরিয়ার, ১৯২৮ সালে ভারতীয় নারীদের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে লিখছেন,
আত্মকেন্দ্রিকতার ডিটক্সিফিকেশান
"ঠাকুর মোরে ক্ষীর দিল সর্বলোকে শুনি।
আলপনা আর চালের গুঁড়ো
সত্য, সত্যের প্রলেপ?