Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

অন্যরকম

অন্য কোনো একটা হাওয়া এসেছিল
অন্য কোনো দিক থেকেই এসেছিল

কিছু একটা বলতে চেয়ে
সব কিছুকে অন্যরকম করে 
       ভ্রুকুটিতে বড় নিষ্ঠুর হেসেছিল

অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ


অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ

ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসা প্রদীপের বুক

শিউলির হাতছানিতে স্মৃতির ব্যথার অভিসার

পূর্ব আকাশে খোলা জানলার

      প্রাগৈতিহাসিক প্রতীক্ষা

অষ্টমী

        মণ্ডপে আমাদের দাঁড়ানোর লাইন দেখেছেন? পুরুষের লাইন দেখেছেন, মহিলার লাইন দেখেছেন। আমাদের? আমরা ওই মহিলাদের লাইনেই দাঁড়াই। আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত বুঝলেন তো। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত।

অবশেষে আর যুক্তি না খুঁজে


অবশেষে আর যুক্তি না খুঁজে, সান্ত্বনা না খুঁজে,
             হেসে উড়িয়ে দিতে শিখলাম
ব্যস, পাথর কই আর? 
           এ যে পাথুরে পথ শুধু

অনেক মানুষকে পাশ কাটিয়ে এগোতে এগোতে


অনেক মানুষকে পাশ কাটিয়ে এগোতে এগোতে
     অনেকটা এগিয়ে এসে, খানিক থেমে
প্রথম কাটিয়ে আসা মানুষটার কাছে
       আবার ফিরে যেতে ইচ্ছা করে,
তাকে যেন কি একটা বলা হয়নি

অনুরোধ


তোমাকে আমায় কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে না

শুধু দিনের শেষে, 
   যেখানে আমি দাঁড়িয়ে
         সেখানে ফিরে এসো

যদি না ফেরো,
       জানি হারিয়ে যাবে না

আমার নিজেকে অপরিচিত লাগবে

অভয়

        ভয় আমার আত্মীয় না। ভয় আমার প্রতিবেশী না। ভয় আমার পরিচিতও না। ভয় আমার কে?

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।

অটো ইম্যুউন

        রুচির বৈষম্যতা আর রুচির মান এক কথা কি? খাদ্যে রুচির পার্থক্য হয়েই থাকে। টক, ঝাল, মিষ্টি, অম্ল ইত্যাদি নানা স্বাদের বৈষম্য থাকে। তাতে কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে কোনো তথ্য কোথাও লিপিবদ্ধও নেই। কিন্তু খাদ্য-অখাদ্যের বিচার যখন আসে তখন যদি কেউ সেই বিচারের ক্ষেত্রকে রুচির বিচারের ক্ষেত্রর মধ্যে নিয়ে আসে? অখাদ্যকে রুচির তারতম্য বলে চালাতে চায়?

অকারণ


আজ পূর্ণিমা না
তবু আধফালি চাঁদই যেন সারা আকাশ জুড়ে

ঢেউয়ের পাড় ভাঙার শব্দ শুনেছি
     গভীর রাতে পুরীর বিচে বসে

অস্তরাগ

        বিকালের দিকটায় এই রাস্তাটায় ভীষণ যানজট লেগে যায়। খুব চওড়া না রাস্তাটা। একদিকে রেললাইন আর আরেকদিকে পর পর দোকান। দুপুরটা যা একটু কম ভিড় থাকে, সকাল থেকেই প্রচুর লোকের যাতায়াত। স্টেশান, হাস্পাতাল, স্কুল, বাজার সবই তো এই একটা রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। 

অনশন


ওদের বোকা বোকা জেদ 
হারতে লজ্জা লাগছে, ইগোতে লাগছে
   জানি তো!
সুক্ষ্ম কঠোর অতিমানবিক নজর তোমার
দেখে নিতে চাইছ, মতলবটা কি?

তবু একটা কথা থেকেই যাবে জানো

অনিবার্য যেটা


বাকযুদ্ধে হেরে গেছি দু'জনেই

আমি ভাষা হারিয়েছি
সে হারিয়েছে উদ্দেশ্য

নির্বাক অপলক তাকিয়ে 
ঝুলন্ত পাহাড়ের কোলে

একটা একটা পাথর খসিয়ে যাচ্ছি খাদে
    সরে সরে দাঁড়াচ্ছি পরের পাথরটায়
নৈসর্গিক মাধুর্য মৌমাছির গুঞ্জনের মত

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম। একাই দৌড় লাগিয়েছিলাম। সবার আগে শেষ প্রান্ত পৌঁছানোর নেশা আমাকেও পেয়ে বসেছিল। ছুটতে ছুটতে আমিও সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালাম। বালিতে অনেক পায়ের ছাপ, যারা আমার আগে এসেছিল, নানা যুগে, নানা কালে। অনেকের মত আমিও বুঝলাম, আর যাওয়ার নেই কোথাও। কেউ কেউ সব যুগের কিছু নির্বোধের মত সাঁতরাতে লাগল, কেউ ওপারে নিয়ে যাওয়ার নাবিকের অপেক্ষায় রইল। আমি ফেরার পথ ধরলাম, অনেকের মত। আমার আগে অনেক

অভিসার

        অবশেষে বর্ষা এলো। আজ থেকে যাও। আমায় একবার আজ ছাদে নিয়ে যাও। সিঁড়ির ঘরের দরজার সামনে আমার হুইলচেয়ারটা রেখো। হাত বাড়িয়ে সিঁড়ির ঘরের কার্ণিশ চোঁয়ানো জল এসে পড়ুক আমার হাতের তালুতে। হাতের তালুর ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টির জলের নদী।

        আমি জানি আকাশটায় আজ কাল পরশু মেঘ থাকবে। আমি জানি সারা সপ্তাহ মেঘ থাকবে। আমি জানি সারা মাস মেঘ থাকবে, যতদিন না কাশ এসে বলে, এবার তোমার ছুটি। মিনতি বৌদি আবার চীৎকার শুরু করবে কাল থেকে, “কাচা জামাকাপড়গুলো কোথায় মেলব? আমার মাথায়?... কি গন্ধ হয়েছে... একটাও শুকালো না... কবে যে সুয্‌যের মুখ দেখব?”... সেই মিনতি বৌদিই দুপুরবেলা “শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা” গাইবে... ছায়া ঘনাইছে বনে বনে... গাইতে গাইতে কাঁদবে... তুমি রাতে কান পাতলে শুনবে আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার..... আসলে সব মানুষই তো অভিসারে যেতে চায়... ক'জন যেতে পারে বলো?... আমার সন্দেহ হয় রাধাও কি পেরেছিল... একটা মেয়ে এত ভালোবাসা সারাজীবন কোনো পুরুষের পায়?... রাধা পেয়েছিল?... ওই মেঘ সেই পুরুষ... রাধা কি তবে ওই সবুজ মাঠ?... এই কি অভিসার!
...

অ-সামাজিক


       (সেই সব তথাকথিত প্রান্তিক মানুষদের জন্য, যাদের কথা শুনলে মনে হয়েছে কত সমান্তরাল জগতের পাশাপাশি হেঁটে চলেছি)

অপেক্ষায় থাকছি

আমি কখনও ত্রিভুজ
       কখনও চতুর্ভুজ
       কখনও বৃত্তের
           ভিতর দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি

অন্তরীপ

আমি এখন বার্ন ওয়ার্ডে বসে আছি। সকাল থেকে বসে আছি। বাচ্চাটা বাজিতে পুড়ে গেছে। সারা গা দগদগে পোড়া দাগ। শুকাচ্ছে। টান লাগছে। বাচ্চাটা এবার মারা যাবে। হয়ত আজকে রাতেই, কিম্বা কাল।
...

অসংজ্ঞ


চেয়েছিলাম বনানী বীথিকা
হল কই?
একটা গাছের সব কটা পাতা গোনার ধৈর্য নেই
তুমি আমায় জীবনের মানে জিজ্ঞাসা করো? 
শরীর মনের স্রোতে জাল ফেলেছি মাঝে মাঝে
পাঁক উঠেছে, শূন্য খোল ঝিনুক উঠেছে
  কখনও কয়েকটা সাধারণ মুক্তোও উঠেছে হয় তো
আবার ভাসিয়ে দিয়েছি স্রোতে,

অবিরাম

 অনিকেতবাবু ঝাঁট দিতে দিতে শ্যামাসঙ্গীত গাইছেন। ব্যাঙ্কে ক্লার্ক ছিলেন। বয়েস আটাত্তর। শক্ত-সমর্থ চেহারা। পাড়ার কচি-কাঁচাদের সাথে বেশ বন্ধুত্ব, বলেন, আমি খাঁটি খেয়েছি তাই এ্যাদ্দিন এইভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, তোরা পারবি নাকি?

অদৃশ্য বাড়ি

আমি একটা অদৃশ্য ঘর বানিয়েছি। তার চারদিকে ঘন জঙ্গল। কেউ পথ চিনে আসতে পারে না আমি চিনিয়ে না আনলে। সেই জঙ্গলের বাইরে, বড় রাস্তার ধারে কয়েকটা মিছিমিছি ঘরও বানিয়েছি। যেই কেউ প্রশ্ন করে কোথায় থাকো? আমি ওই মিছিমিছি ঘরগুলোকে দেখিয়ে বলি, এই তো, সোমবার এটায়, মঙ্গলবার ওটায়...

অন্ধকারে যতি


আমিও ভেবেছিলাম
  জীবন মানে
এক ঝুড়ি নানা ফলের মত বিকল্প
  এক সাজি নানা ফুলের মত অনেক

অনুষ্টুপ - বইমেলা সংখ্যা

মস্তিষ্কের রসদ আনার জন্য, 'অনুষ্টুপ' এর পরিচয়ও তাই - 'মননশীল পাঠকের পত্রিকা ও প্রকাশন'। শ্রদ্ধেয় অরিন্দম চক্রবর্তী, শ্রদ্ধেয়া গায়ত্রী স্পিভাক প্রমুখ মানুষদের লেখা সংগ্রহর তাগিদ টেনে নিয়ে যায়।
...

অতল অসীম অবশ্যম্ভাবী


দুঃখের আত্মসম্মান বোধ আছে। ক্ষোভ অভিমানী। শোক মাটির কাছাকাছি, নিরহংকারী, বৈরাগী।

অভৌগলিক শান্তিনিকেতন

   শান্ত থাকা মানে কি নিষ্ক্রিয় থাকা? স্থির থাকা মানে কি উদাসীনতা?
   জড়তা কি শান্তি দিতে পারে? বিহ্বল হয়ে পড়া, অস্থির হয়ে পড়াই কি বিপ্লব? ধৈর্যচ্যুতি ঘটাই কি আন্দোলন? সহ্যের সীমারেখা ছাড়ালে যে চীৎকার, সেইটাই কি প্রতিবাদ?
...

অবরুদ্ধ তপস্যা

হঠাৎ গুরু বললেন, কাল থেকে বৃক্ষ শ্বাসবায়ু দেবে না, জল তৃষ্ণা নিবারণ করবে না, অগ্নি খাদ্যপাক করবে না, খাদ্য ক্ষুধা নিবৃত্তি করবে না।
...

অতৃপ্তি

অতৃপ্তিকে যদি বলো, তুমি আবার কেন?
অতৃপ্তি হবে অসন্তোষ
বরং যদি বলো
...

অলস মস্তিষ্ক

অভ্যাসের জড়ত্বে টিপ ছাপ দিয়ে অলস মস্তিষ্ক ঘুমাচ্ছিল। জগতে যা কিছু পরিবর্তন তাকে তার বাড়াবাড়ি মনে হয়। যা আছে সেই ঢের। আবার এত কিসের নড়চড়া, পরীক্ষানিরীক্ষা।
...

অর্থ

মানুষটার একটাও সুখ পালকের মত হল না
একটা দুঃখও সাগরের মত হল না।
সে অভিমানী হল তাই।
...

অরূপকথা

জিভ আর কলম ভ্রমণে বেরিয়েছে,
সামনে চলেছে দরদী পেয়াদা
      রক্ষাকবচ,
...

অর্থহীন বুলি

আমিও ছিলাম
  পিছনে
    অনুরাগী অনুসরণকারী
...

অ্যান্টাসিড

পুরো সংসারটা ছেদরে যাচ্ছে। কিচ্ছু মনের মত হচ্ছে না। কিচ্ছু না। বাঁচাটা কেমন যেন প্ল্যাটফর্মের শেডের মত হয়ে গেছে। এ সে এসে দাঁড়াচ্ছে, চলে যাচ্ছে। সবাই ঠকাচ্ছে। কেউ নেই এমন একজন যে ক'টা মনের কথা খুলে বলা যায়।
...

অবলুপ্ত পক্ষী

ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, একটা অবলুপ্ত পক্ষীর নাম বলো।
...

অক্ষর

ছাপার অক্ষর, উচ্চারিত অক্ষর আর চিন্তার অক্ষরের কি করে কি করে জানি একদিন দেখা হয়ে গেল তেমাথার মোড়ে।
       তিনজনেই অপ্রস্তুত।
...

অ্যাকোরিয়াম

অ্যাকোরিয়াম স্বপ্ন দেখছে। সে সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে। তার বুকের মধ্যে মাছগুলো বিস্ফারিত চোখে, কাঁচের দেওয়ালে মুখ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে। তারা অ্যাকোরিয়ামকে বলছে, মিথ্যুক। তার কাঁচের দেওয়ালে ব্যথা, যেন চিড় ধরবে এখনই।
...