Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

হও জড়প্রায়, অতি নীচ, মুখে মধু, অন্তরে গরল

রামকৃষ্ণদেব বললেন, মন আর মুখ এক করাই হল আসল তপস্যা।

এখন কথাটার মানে হল কি? আমার এক রসিক বন্ধু এক পাগলকে রাস্তায় অনর্গল কথা বলতে দেখে বলেছিলেন, এই এক মানুষ দেখলাম যার মন আর মুখ এক হয়েছে।

স্বামীজি কি মন আর মুখ এক করার কথা বললেন?
...

হাঁটো পথিকবর

সেদিন যে মৃত্যুগুলো একের পর এক ঘটে যাচ্ছিল, চুপ করে ছিলাম। রেললাইনে ছিন্নভিন্ন শরীরে রুটির টুকরো পড়ে এদিকে ওদিকে। চুপ করে ছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে, ফিরতে ফিরতে যখন অনেক মানুষ রাস্তায় অনাহারে, ডিহাইড্রেশানে, দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছিল চুপ করে ছিলাম। সারা পৃথিবী
...

হরিহর

সব ক’টা উনুনের তাপ শীতল

দোকানের বাইরে এসে দাঁড়ালো হরিহর

মাথার উপরে গনগনে চাঁদ

চাঁদের নীচে কৃষ্ণচূড়া
...

হামিটামি বন্ধ

কাল ছিল ভরা মাথা
  আজ কোথা গেল ওরে
বল দেখি তোরা ব্যাটা
  চুল কই গেল
...

হারাইনি কিছু

আমি হারাইনি কিছু
  রেখেছি মরমে যতনে
   প্রকাশ্যে কিছু
    কিছু গোপনে

কিছু রেখেছি আমার
...

হয় তো লজ্জা লাগছিল

অবশেষে লোকটা মারা গেল

একদল বলল
  লোকটা তেষ্টায় মারা গেল

আরেকদল বলল
  তা তো না,
  লোকটা জল না
...

হঠাৎ যেন এই সময়ে

দাদাঠাকুর এসে দাঁড়ালেন, আর ফকির। মুখে মাস্ক। কাছে গেলেই বললেন একগাল হেসে, নিকট হতে চাইলে কাছেই আসতে হয় বুঝি? যাও যাও দূরে দাঁড়াও। গান কথা ওই অবধিও পৌঁছাবে। আমাদের হাসিও।

বললাম, ভয় করছে দাদাঠাকুর।

ফকির অমনি পাশ থেকে হেসে বললেন, ধৈর্য ধর বাবা।

বলতাম, আরো কদ্দিন?
...

হেলিকপ্টার

এক মুখ দীর্ঘদিনের কাঁচাপাকা দাড়ি, গালে হাত দিয়ে হেসে বলে, আলসেমি।
  মুদির দোকান। সামনে একটা চাপাকল। দোকানের পাশ দিয়ে গলি। দোকানের সামনে রাস্তা। গাড়িটাড়ি যায় না বড় একটা। সাইকেল, বাইক, রিকশা, হাঁটা মানুষ - তাও
...

হে মহাজীবন

হে মহাজীবন

আমার ঈশ্বর, বিজ্ঞান, উন্নত সভ্যতা

সব নিয়ে নাও

শুধু বলে যাও
      মানুষ তবু কেন শান্তি চায় না? 

হয়ে ওঠা

মানুষের সঙ্কীর্ণতার বিশ্বে কোথাও কোনোদিন পাকাপাকি জায়গা হয় না, এটা মানুষ বুঝতে কতদিন সময় নেয় কে জানে। এটা বুঝে গেলেই যে কত ঝক্কি, কত চালাকি আপনি খসে পড়ে, সে যদি আগে জানতে পারে তবে সংসারে রাতদিন সে নিজের পায়ে নিজে এভাবে কুড়ুল মেরে চলতে পারে না।

হ্যাপি জার্নি

তুমি যা বলছ সে অতীতের কথা। অতীতের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে তো বেঁচে থাকা যায় না, এটা আমরা দু'জনেই বুঝতে পারছি, না কি? খারাপ দু'জনেরই লাগছে। ভবিষ্যতেও লাগবে। কিন্তু অতীতটা অতীতই, তাকে জাগিয়ে রেখে বর্তমান চলে না, এটা কি সত্যি নয়? 
 

হনুমান আর দুষ্টু

দুপুরবেলা। সবাই ঘুমাচ্ছে। তার বয়েস কত হবে? হয় তো দশ কি এগারো। তার মনে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন। তার ঠাকুমা, ঠাকুর্দা, দাদু, দিদিমা, মা, বাবা --- এরা সবাই ঠাকুরের সামনে বসে কি ভাষায় যেন কথা বলে। ওটা নাকি সংস্কৃত। এমনকি স্কুলে সরস্বতী পুজোর সময়, সেখানেও পুরোহিত ঠাকুর, মানে তার স্কুলের ভূগোলের স্যার সংস্কৃত বলে বলে পুষ্পাঞ্জলি দিতে বলেন। কেন ঠাকুর কি বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি বোঝেন না? সে তো সবক'টা ভাষাই বলতে পারে, বুঝতে পারে। ঠাকুর যখন ছোটো ছিল তখন কি তবে কার্টুন সব সংস্কৃতে হত? তবে ঠাকুর বড় হয়ে বাকি ভাষাগুলো শেখেননি কেন?

হাস্পাতাল

সারা পৃথিবীতে একটা জায়গাতেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক হয় না, সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেবলমাত্র মানুষের মঙ্গল নিয়েই এই নিয়ে আলোচনা, ব্যস্ততা - সে হল হাস্পাতাল।

হংসবলাকা

দূরত্ব মাপো তুমি। আমিও মাপি। একটা নদীও যেন বাঁশডোবা জল পেল না। চরায় ঠেকে যাওয়ার ভয় দাঁড় বাইতে বাইতে ক্লান্ত মাঝি ঘুমিয়ে পড়ে। জ্যোৎস্নায় শরীর ভেসে যায়। জানতে পারে না। ঘুমের মধ্যেও ডোবা চরের আতঙ্ক।
জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে কে ও? যেন শতাব্দী আগে দাঁড়িয়ে ছিল এখানে। অবচেতন মনে পূর্বজন্মের হাজারও জিজ্ঞাসার ভিড়। জিজ্ঞাসা করলাম, আমায় চেনো? উত্তর দিল না। মিলিয়ে গেল। এখন জঙ্গলজুড়ে পাখির ডাক। ঘুমন্ত মাঝি। জ্যোৎস্নায় ভাসা নদী।

হে সরীসৃপ

দেওয়াল জুড়িয়া দুইখানি টিকটিকি ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়ায়। ঝগড়া, ভালোবাসা লইয়া উহাদের সংসার। সারাদিন কয়েকটি পতঙ্গের খোঁজ পাইলে তাহাদের আমোদে-প্রমোদে দিন কাটিয়া যায়। আমার ঘর ভর্তি এত এত মূল্যবান বই, এত গভীর আলোচনা, কিছুতেই তাহাদের কোনো আগ্রহ দেখি না। তাহারা সুখে শান্তিতে আছে বলিয়াই বোধ হয়।

হালখাতা

বাবার লটারীর দোকানে বসে আছে তিন্নি। সে ক্লাস টু-তে পড়ে। বাবার দোকানে হালখাতা করতে কেউ আসে না। রাস্তায় প্রচুর ভিড়। সবাই কি সুন্দর সুন্দর সেজে রাস্তায় বেরিয়েছে। বাচ্চুকাকার সোনার দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। সরবত,

হাতের কাছেই...

বুদ্ধিমান মানুষ মিথ্যুক হয় না, কপট হয়। মিথ্যা সত্যকে অস্বীকার করে। কপটতা সত্যকে গ্রাস করে। দ্বিতীয়টা তাই বেশি ভয়ংকর। অপ্রিয় তেতো সত্যকে প্রিয় মধুর কপটতা ঢেকে রাখতে দেখেছি। সে মধুরকে বিশ্বাস করতেও ইচ্ছা করেছে। ঠকছি জেনেও ঠকেছি।
একজনকে গোলাপ আনতে বললে। সে বাগানে গেলই না, এসে বলল বাগানে গোলাপ নেই। সে একবারই আঘাত করবে, যখন জানবে সে মিথ্যা বলেছিল।
...

হাজা উপাখ্যান 

গুরুদেব দরজা খুলেই দেখেন শিষ্য বসে, দোরগোড়ায়। 

     গুরুদেব একরাশ বিরক্তি গীতার শ্লোক স্মরণে শান্ত করে বললেন, এত ভোরে বৎস?

হাম্বা হাম্ বা!

তুমি সান্ত্বনা পেতে চাও? যে কোনো কিছুর সহজ ব্যাখ্যা পেতে চাও? জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে চাও? জীবনের অর্থ পেতে চাও?

হারিয়ে

মানুষটা হাতের উপর রাখল জিভ, কান, চোখ, হৃদয় সাজিয়ে। বলল, নাও। আজ থেকে আমি তোমার।

হিমালয়ে গুহা চাইলেন না

রামকৃষ্ণদেব কোনো বিশেষ ধ্যানকক্ষ চাইলেন না। কিম্বা মথুরকে বললেন না, 'ওহে সেজোবাবু, হরিদ্বারে কি হিমালয়ের গুহায় আমার জন্য একটা সাধন কুটি বানিয়ে দাও তো হে!

হাসতে হাসতে

হরেনের শাড়ির দোকানের সামনে দু'জন পাগল, আর একজন ভীষণ বোকা লোক বসে থ

হ্যাঁ গা, জিরাফে এত ভয়!

কোভিডের কারণে যখন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হল তখনও অভিব্যক্তি বাদ গিয়েছিল। আমি হাউমাউ করে এটা সেটা লিখেছিলাম। যা হোক

হিরি

সেদিনও এরকম মেঘলা ছিল…. হয় তো বর্ষাকাল হবে… আমি পড়ে ফিরছি… রেলের হাস্পাতালটা পেরিয়েই বিরাট কৃষ্ণচূড়া গাছ… তার মাথার উপর কালো মেঘের ছায়া..গাছটা ফুলে ভর্তি….

হৃদয় তো দশপ্রহরণধারিণী

শীতকাল। তিনি ছাদে বসে। স্নান সেরে রোদে এসে বসেছেন। বাড়ির সামনে জমে জল। সদ্য পেরিয়েছে বর্ষা। জল নামেনি এখনও। সাদা শাড়িটায় এসে পড়েছে শরতের আলো। দূরে কোথাও চণ্ডীপাঠ হচ্ছে, দুর্গাপুজোর প্য

হাতটা

করোনার বছর দুই আগের ঘটনা হবে। দার্জিলিঙে একটা অফিশিয়াল কাজে গেছি। দুদিনের ট্যুর। প্রায়ই যেতে হয়। কিন্তু এবারে একটা সমস্যা হয়েছে। যে হোটেলে প্রতিবার উঠি, সেটা

হাঁফ

            ওই ইকোপার্কে নাকি শীতকালে হেব্বি ভিড় হয়…. কত টাকা ঢুকতে নেয়?