Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

রঞ্জন ঘোষাল

২০১৪ সাল, ফেসবুকে নিয়মিত লেখা শুরু করেছি, 'স্বপ্নবিভ্রাট' বলে একটা রম্যরচনা ধারাবাহিকভাবে লিখছি। কি করে যেন ওনার চোখে পড়ে গেল। ওনার মানে রঞ্জন ঘোষাল মহাশয়ের। যাকে আমি তার আগে
...

রামদাসী মল্লার

ট্যাক্সিটা দাঁড়ালো। হলুদ ছাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির ছাঁট স্ট্রিট লাইটের হলুদ আলোয় ঝরণার মত লাগছে। গাড়িটার মেশিন বন্ধ করল ড্রাইভার। পিছনের দিকে ফিরে বলল, বেশি দেরি করবেন না।
বাঁদিকের দরজাটা একটু খুলে গেল। সাদা শাড়ি পরা একজন মহিলা নামল। ছাতাটা এক হাতে শক্ত করে ধরা, সাথে ফুলের তোড়া। আরেক হাতে শাড়িটা উঁচু করে ধরে
...

রেডজোন

আমার বাড়ি থেকে মিনিট তিনেকের হাঁটাপথেই দু'জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। না, তাতে ভয় পাওয়ার মত কিছু অনুভব করছি না। কারণ এটা হওয়ারই আছে। সারা বিশ্ব তথা ভারত তথা বঙ্গ থেকে তো
...

রেললাইনেরও মন খারাপ

চকচক করত। রোদের আলো ঠিকরে পড়ত গায়ে। মনে হত মুক্ত। জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলোয় তীক্ষ্ম দ্যুতি। চলন্ত ট্রেনের জানলায় বসে দেখা, চাঁদ চলেছে পাশের লাইন ধরে
...

রাধাচূড়া

বুবুন স্কুল থেকে ফেরার সময় আজ আবার রেল কলোনীর থার্ড এভিনিউটা ধরল। এই রাস্তাটা তার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে এই দুপুরের সময়টায়। আজ ক্লাস ফিফ্‌থ পিরিয়ডেই শেষ হয়ে গেল। ক্লাস নাইনে পড়ে বুবুন। সাদা জামা, সবুজ প্যান্ট, পিঠে ব্যাগ
...

রুমির ভালোবাসায়

তুমি যখন থাকো,
  তখন সারারাত আমরা ঘুমাই না
তুমি যখন না থাকো
...

রাজঘাট আর চিলেরা

স্থান - পুরোনো দিল্লী। অসম্পূর্ণ বানানো একটা বহুতল আবাসন। তার একেবারে উপরের তলা। একটা কোণের দিকে তিরপল লাগানো, নীচ থেকে যাতে খেয়াল করা না যায় এমনভাবে।
  শওকত আলী ডানচোখের কোণের পিচুটিটা কিছুতেই বার করতে পারছিল না। জল নেই। একটা বোতল ভর্তি
...

রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি

আজ ঠাকুরের জন্মতিথি। রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি। আমি ঠাকুরকে নিয়ে কি লিখব?
ঠাকুরকে নিয়ে লেখার যোগ্যতা কই আমার? অভিমানের পাহাড় যে সামনে।
বিদ্যা বিনয় দেয়। ...

রাতের দোকান

এত রাতে দোকান খোলা রাখেন?

রাখতেই হয়। ওই যে মোড়টা দেখছেন, বড় লাইটটা জ্বলছে, ওর থেকে কয়েক মিটার গেলেই শ্মশান। রাতে কোনো দোকান খোলা থাকে না। শ্মশানযাত্রীরা চা'টা খেতে সব এখানে। সবাই জানে বলাইদার দোকান সারারাত খোলা। বাইকে বসেই চা খাবেন? ভিতরে আসুন।

রোদ স্বপ্ন

সাধারণত এরকম স্বপ্ন দেখি না। কি জানি কেন দেখলুম। ফ্রয়েড বলবে, ওই যে তুমি শোয়ার আগে রমিলা দিদির মহাভারতের কথা পড়ছিলে তাই হয় তো হবে।
          সে হবে।
          কিন্তু স্বপ্নটা হল, আমি দেখলাম, ভীষ্ম, মানে আমাদের মহাভারতের ভীষ্ম গো, স্টেশানের পাশে যে কচুরীর দোকানটা আছে না, সেই দোকানের বেঞ্চে বসে, কচুরী খাচ্ছেন, বেঞ্চে পাশেই এক গ্লাস দুধ চা রাখা।
...

রাতের পড়ুয়া

সব জিনিসের একটা সীমা থাকে তো। গোপাল সামন্ত রোজ কলকাতা ঠেঙিয়ে অফিস করে এসে চাট্টি ডালভাত খেয়ে রাতে শোবে, অমনি রাত একটা বাজলেই পড়ার ঘরে টুক করে টেবিল টানার শব্দ। মানে উনি এলেন। তারপর ঘস ঘস করে বইয়ের পাতা উল্টানোর শব্দ। মানে উনি পড়ছেন। আলো জ্বালতে লাগে না। এমনিই অন্ধকারে পাতার পর পাতা পড়ে যান। গোপাল সামন্তের মাথাটা গরম হয়ে যায়। মাঝে মাঝে আবার খুক খুক করে হাসে। 'বিন্দুর ছেলে' পড়ে তো ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে কান্নার শব্দও পেয়েছে গোপাল সামন্ত বিছানায় কোলবালিশে ঠ্যাঙ তুলে শুয়ে শুয়ে।
...

রত্নামাসি

রত্নামাসির যা ছিল অন্তর জুড়েই ছিল। রত্নামাসির দুটো ছোটোঘর জোড়া সংসার, স্বামী, দুটো বাচ্চা ছেলে, একটা খাট, একটা আলমারি, গ্যাসওভেন, একটা ড্রেসিংটেবিল, দুটো সাইকেল, একটা লেডিস, একটা জেন্টস - সব রত্নামাসির অন্তর জুড়েই ছিল। দুটো কি তিনটে বাড়ি কাজ করত রত্নামাসি। হাসিমুখ, বারবার পরা শাড়ি, মাটি ছুঁয়ে যাওয়া ঢালু হয়ে আসা চটি, একটা কালো ছাতা, কি একটা তেলের গন্ধ - এই তো রত্না মাসি।
          শীতেরবেলা গেছি কয়েকবার। খোঁজ নিতে - কাজে এলে না কেন?
...

রাধা-গোবিন্দ

রাধা বলল, হ্যাঁ গো, এ যে পুজো সম্পূর্ণ না করেই গেল চলে!
          গোবিন্দ বলল, ওই যে দেখো, একটা পাখির শাবক পড়েছে মাটিতে। নীড় ছেড়ে। বেড়ালে খাবে যে ওকে। তাই সে দৌড়ালো পুজো ছেড়ে।
          রাধা বলল, তুমি সে পাখিকে পড়তে দিলে কেন?
....

রাখী

"প্রভু,      আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখো না ঢাকি।

   এসেছি তোমারে, হে নাথ, পরাতে রাখী॥

যদি বাঁধি তোমার হাতে    পড়ব বাঁধা সবার সাথে,

    যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি॥"

রবি ঠাকুর ও লোকনাথ সংবাদ

কহিলেন লোকনাথ
     রবি ঠাকুরেরে
তোমাতে আমাতে মিল
    বেশ দেখি যে হে
তিরোধান দিবস স্মরি
     বাঙালির প্রাণ
কিবা যোগে করে সবে উৎসব মহান

রাস্তা

যে রাস্তা কোথাও নিয়ে যায়নি
    তার কাছে হতে চাইলাম বাধ্য

যে রাস্তা 
 নিজেকে ফুরিয়ে 
     আমায় পৌঁছে দিল
          তার কাছে হলাম অকৃতজ্ঞ

রবীন্দ্রনাথ

চন্দ্রিলের একটা ভিডিও খুব ভাইরাল এখন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বলা কিছু কথা। একটা বিশেষ দিনের ঘটনার কথা বলেছেন চন্দ্রিল। কিভাবে একটা অত্যন্ত ক্লেশদায়ক, দুঃসহ, অসফল যাত্রার মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ কিভাবে পাঁচটা গান লিখে গেছেন। অনেকেই দেখে থাকবেন ভিডিওটা। যারা দেখননি স্ক্রোল করতে করতেই পেয়ে যাবেন, এ তো ভ্যাক্সিন না যে আপনাকে আপাতত ষোলো হপ্তা অপেক্ষা করতে হবে প্রথম ডোজ নিয়ে।

রবীন্দ্রনাথ ও স্প্যানিশ ফ্লু

রবি ঠাকুরের সময় এসেছিল স্প্যানিশ ফ্লু, ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। ১৮ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল শুধুমাত্র ভারতেই নাকি। রবীন্দ্রনাথ কিভাবে সামলেছিলেন? বিশ্বভারতী গড়ে উঠছে, হাজার একটা সমস্যা তো আছেই, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি। তার মধ্যে এই অতিমারী। 

রঙের বালতিটা

রঙের বালতিটা উল্টে গেল। গায়ে ছিটে লাগল কয়েক ফোঁটা। রাস্তায় রঙ লাগল। চাকার পর চাকা গড়িয়ে গেল।
এরপর থেকে সে যতবার রাস্তা দিয়ে যায় ততবার রাস্তায় রঙের ছাপটা দেখে। অল্প অল্প করে মিলিয়ে যাচ্ছে। নোংরা হয়ে যাচ্ছে।
...

রক্তমণি

মোবাইলটা অফ্ করে চার্জে বসিয়ে, এসিটা অফ্ করে ঝুল বারান্দায় এসে বসল মল্লিকা। আঁচলে মুখটা মুছে বলল, উফ্...। 
    রাত এগারোটা। সারাদিন বৃষ্টি। কেটেছে খানিক আগে। গোটা আকাশ যেন মুছে গেছে কেউ ন্যাতা দিয়ে, যত্ন করে। সবক'টা তারা বসার ঘরের শৌখিন সাজানো জিনিসের মত জ্বলজ্বল করছে। 
    তারা দেখলেই এই তিয়াত্তর বছর বয়সটা একটা বাইরের ঘটনা মনে হয়। সমস্ত ছেলেবেলা যেন বুক আঁকড়ে বসে আছে। লুকিয়ে। তারারা ওদের বাসা জানে। ঠিক বার করে আনে। স্কুলের ব্যাগ, ভাত মেখে খাওয়ানোর সময় মায়ের চুড়ির আওয়াজ, বাড়ির সামনের পুকুর, রাস্তা... সব মনে পড়ে যায়। 
...

রথ

স্থির রোদ। গাছের ছায়া লুটোপুটি খাচ্ছে মাটিতে। রোদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা। মাটি কোল পেতে বসে। 

     মাটি জানে খানিকবাদে রোদ থাকবে না, ছায়া থাকবে না। গাছটাও একদিন থাকবে না। সে থেকে যাবে। 

     গোঁসাই বসে গাছের তলায়। চাঁদের আলোয় ছায়ারা খেলছে। গোঁসাই এ ছায়া রোদের আলোতেও দেখেছে। চাঁদের আলোয় মায়া বেশি। সত্যে আর কল্পনায় মেশানো যে! রোদের আলো বড্ড স্পষ্ট। জ্ঞানের অহংকারের মত। জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানী বাজে বেশি। চাঁদের আলো অনুভবীর। সে অনুভবী জ্ঞানী রসের খবর জানে না শুধু, সে জ্ঞানী রসিকও। রসের সমঝদার!
...

রামকৃষ্ণ ঠাকুর আর ঘুঁটে

নিজের জন্য মন খারাপ হল সরস্বতীর। কার্তিক মাসের সকাল। শীত আলতো হাতে বাচ্চাদের মত ছুঁচ্ছে। ফুটছে না। পুকুরের উপর অল্প অল্প ঢেউ। ছেলেবেলা, যৌবনবেলা, সোহাগবেলা,

রামকৃষ্ণদেব ধর্মসমন্বয় করেননি

সারদাদেবী বরাবরই আমাকে বিস্মিত করেন তাঁর সাধারণ অথচ গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং তাৎক্ষণিক সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়।<

রাইকিশোরী

আমি রোজ ভাবছি পলাশ নিয়ে আর গল্প নয়। কিন্তু রঙটাই এমন। দুটো বাচ্চা,

রাজার কবিতা দিবস

তো রাজা মশায় সক্কালবেলা দূতের মাধ্যমে জানলেন আজ কবিতা দিবস। তিনি সভাকবি আর নির্দিষ্ট কয়েকজন রাজ কর্মচারীদের বললেন কবিতা লেখ। যার কবিতা ভালো হবে তাক

রথ, তারা আর মাটি

লক্ষ্মী হাঁ করে জোড়হাতে প্রভুর রথের দিকে তাকিয়ে। লক্ষ্মীর কোল ঘেঁষে তার ছেলে বলরাম

রুমির বর্ণনাতীত ভালোবাসা

স্ত্রী জানে তার স্বামীর সঙ্গে তার বাড়ির পরিচারিকার প্রণয় আছে। স্ত্রী সারাদিন কড়া নজরে রাখে স্বামীকে

রাধে রাধে

নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আছি বৃন্দাবনে। খুঁজে বেড়াচ্ছি মহাপ্রভুর হেঁটে যাওয়া পথের ধুলো। রূপ-সনাতন প্রমুখ মহাপ্রভু পথগামীদের, পথ নির্মাতাদের বাসস্থান, স

রম্ভা ও কৃত্তিবাস

রাবণ রম্ভাকে ধর্ষণ করেছিল। বাল্মিকী সে কথা লিখেছেন রম্ভার প্রতি দরদ নিয়ে। কিন্তু কৃত্তিবাস তা করলেন না। অগস্ত্য মুনি রামকে বলছেন