Skip to main content
 
 
 

২০১৪ সাল, ফেসবুকে নিয়মিত লেখা শুরু করেছি, 'স্বপ্নবিভ্রাট' বলে একটা রম্যরচনা ধারাবাহিকভাবে লিখছি। কি করে যেন ওনার চোখে পড়ে গেল। ওনার মানে রঞ্জন ঘোষাল মহাশয়ের। যাকে আমি তার আগে টিভিতে দেখেছি, পেপারে পড়েছি। উনি নিম্নোক্ত মন্তব্যটি করলেন। তার খানিক বাদেই মেসেঞ্জারে টুং করে শব্দ, উনি লিখে পাঠালেন, বাকিটা নিশ্চয়ই লেখা হয়ে গিয়ে থাকবে, পাঠাও তো ছোকরা.... দেখি কি করেছ....
       পাঠালাম। দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করলাম। পাস করলাম। আশীর্বাদ শুভেচ্ছা পেলাম। কিন্তু আমি কোনোদিন সংকোচে ওনাকে ফ্রেণ্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠাতে পারলাম না। অথচ মেসেঞ্জারে কথা হচ্ছে। মাঝে চোখ নিয়ে খুব সমস্যা হল, সে সব কথাও জানাচ্ছেন। কিন্তু তাও আমি ওনাকে বন্ধুত্বের জন্য ডাক পাঠাতে পারলাম না। তারপর নানা কাজে ব্যস্ততায় যোগাযোগ কমে গেল। হঠাৎ করে জানলাম উনি নেই। মনটা ধুপ করে অন্ধকার হয়ে গেল। কিন্তু অন্ধকার বিষন্নতা রঞ্জনদার ভালো লাগে না, মানায় না ওনাকে। তাই গতকাল 'ন্যায় বিচার' বলে আরেকটি রম্যরচনা লিখলাম ওনার প্রতি শ্রদ্ধায়। যদিও কারণটা অনুচ্চারিত রেখে দিলাম। ভেবেছিলাম কাউকে জানাব না আমার সেই মহার্ঘ্য প্রাপ্তিটির কথা, আমার সাথে ওনার পরিচয়ের কথা, কেউ যদি ভাবে আত্মবিজ্ঞাপন করছি, সেই সঙ্কোচে। কিন্তু বারবার নানা মানুষের লেখায় ওনাকে দেখতে দেখতে অস্থির হচ্ছি, স্মৃতিপীড়িত হচ্ছি। তাই দিয়েই দিলাম। আরেকটা কথা, বকাও খেয়েছি বেশ কয়েকবার। সে শাসনেও বড় আন্তরিকতা।
       আমি আত্মার অবিনশ্বরতা সম্বন্ধে নিশ্চিত নই। তাই এই কথাই বলা, আপনি যে জীবনটা রেখে গেলেন সেই জীবনটাই একটা দৃষ্টান্ত - সাহসিকতার, ভালোবাসার, উদারতার। প্রণাম জানবেন। অনেক ভালোবাসা জানবেন।

 

 
লেখাটার লিঙ্ক দিয়ে রাখলাম: