Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

ভুল চাওয়া

চাইলে শান্তি
অথচ শান্ত থাকতে শিখলে না
চাইলে প্রেম
অথচ ভালোবাসাকে শর্তমুক্তি করলে না
চাইলে জীবন
...

ভারতবর্ষ - তিন জনের চোখে, তিন কালে, তিন ভাবে

নিজের দেশকে চেনা দুটো পথে হতে পারে, এক তথ্যে, দুই আত্মায়। বেশ কয়েকদিন যাবৎ কয়েকজন মানুষ মাথার মধ্যে যেন মেলা বসিয়েছিলেন। ম্যাক্স মুলার, কার্ল ইয়ুং আর উইলিয়াম ডালরিম্পল। ম্যাক্স মুলার ভারতে আসেননি। কার্ল ইয়ুং ভারতে এসেছেন। আর উলিয়াম ডালরিম্পলকে তো ভারতের স্থায়ী বাসিন্দাই বলা চলে এখন। তিনজন মানুষের সময় আলাদা। কাজের ধারা আলাদা।
...

ভালোবাসা আর ভার

ভালোবাসা আর ভার ব্যস্তানুপাতিক। শিশির আর সূর্যের মত। একজন বাড়লে আরেকজন কমেই যায়।

   ভালোবাসা আমার ইচ্ছানুগামী নয়। ভারও নয়। ভালোবাসা মরণশীল। ভার বড় জেদি। ভালোবাসার আধিক্যে ভার শূন্যমাত্র বোধ হবে তোমার, ভালোবাসা যত কমে ততই ভারের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
...

ভোরের আহ্বান

আমার সমস্ত ধর্মগ্রন্থ, নীতিমালা পড়া হয়ে গেছে। এখন খোঁড়া কবরের পাশে শুয়ে। এখনও বেঁচে যদিও। ভিজে মাটির গন্ধ। পাখির ডাক। প্রশান্ত নীলাকাশ। এর বেশি বেঁচে থাকার উপাদান সংগ্রহ হয়নি কিছু। লাল পিঁপড়ের সারি এই যে সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কোনো জটিল ধাঁধা সমাধান না করে
...

ভ্রমারাম

গোঁসাইকে জিজ্ঞাসা করলাম,
   "গোঁসাই গেলে না সেখানে?"

গোঁসাই বলল, "না গো, তিনি তো আছেন সর্বত্র,
    প্রকাশ শুধু সত্য করুণা যেখানে"

গোঁসাইকে বললাম, "তবে কি সিংহাসনে এখনও রাখা খড়ম?"
...

ভুল ভিত

স্বামীজী যে ভারতবর্ষ চেয়েছিলেন, মহাত্মা গান্ধী যে ভারতবর্ষ চেয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথ যে ভারতবর্ষ চেয়েছিলেন, তার কোনোটাই হয়নি। তাদের চাওয়াতে ভুল ছিল। তারা মানুষের দিকে যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন, সম্পদের দিকে ততটা নয়। মানুষ আগে, সম্পদ পরে। তিনজনেই শিক্ষা বলতে বুঝেছিলেন, চরিত্র।
...

ভিজে

মৃত্যু
  একা একা
   হাঁটতে হাঁটতে
    ঘুরতে ঘুরতে

  কখন যে কাকে বলে
...

ভুলভুলাইয়া

প্রশ্নটা হল, মানুষের স্বভাবের কি রূপান্তর ঘটানো সম্ভব?

   মানুষের স্বভাবকে দুইভাগে ভাগ করা যায় – এক, জন্মগত – যা ইনস্টিংক্ট; আর দুই, শিক্ষার দ্বারা অর্জিত বা অভ্যাসের দ্বারা অর্জিত। জিজ্ঞাসা হল, জন্মগত যে স্বভাব তার রূপান্তর ঘটানো যায়? মানুষের জন্মগত স্বভাব দীর্ঘকালের অভিব্যক্তির সমষ্টিগত রূপ।
...

ভিক্ষা নিতে যাই

একবার মা’কে নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছি ডাক্তার দেখাতে। এমন রোগ যার চিকিৎসাশাস্ত্রে নিরাময়ের পথ নেই, চরম পরিণতিকে ঠেকিয়ে রাখার ব্যবস্থা আছে। তবু সেইটুকুই আশার আলো।
   গাড়ি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ছুটছে। আমার একটা কথাই মনে হয়েছিল সেদিন, যে কথাটা আজও কোথাও খুঁটিটাকে শক্ত করে বেঁধে রাখে আমার, সে কথাটি হল – দুঃখ আছে।
...

ভগবতীদেবী

বাংলায় নারীশক্তি বললে প্রথমেই যার কথা মাথায় আসে আমার, তিনি হলেন মা কালী। কোনো
আধ্যাত্মিক বা শাস্ত্রীয় বা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বলছি না। একদম খাঁটি বিশুদ্ধ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে
বলছি। আমার বোধবুদ্ধির বয়েস হল বাম শাসনের যুগে। ...

ভক্ত মশা ভগবান

মশারির বাইরে অনেকক্ষণ ধরেই ঘুরছে। ইচ্ছা ভিতরে আসে। গায়ে বসে।

কিন্তু কেন? কারণ খিদে। আমি আছি বলেই ও বেঁচে। আমার রক্তের জন্যেই ওর জন্ম। ..

ভিড়

মহাপুরুষের আশ্রমের প্রাঙ্গণে বিশাল ভিড়। লাইনের শেষ দেখা যাচ্ছে না।

ভোরের সূর্যের মুখোমুখি

যদি দৈন্যই সত্যি হত অবশেষে
তবে দিগন্তলীন সমুদ্রের সামনে
  কি ভোরের সূর্যের মুখোমুখি
                  দাঁড়াই কি করে?

ভালোবাসায় পাঁক জমেছে

কুয়ো ঝালাতে লোক এলো। বলল, কদ্দিন পরিষ্কার করা হয় না, এত পাঁক! তাই তো এত গন্ধ!

ভুলেই গেল

অমলেশ বলেছিল, যেখানে সকালে পাখির ডাক শোনা যায় না, সেখানে সে কোনোদিন থাকবে না। থাকেওনি অমলেশ। বৈঁচি থেকে আরো ভিতরে একটা গ্রামে অমলেশ সারাটা জীবন কাটিয়ে দিল।

ভুল হয় না জোনাকিদের

মা আড়চোখে দেখছে মাঝে মাঝে। বারণ করছে না। ধীরে ধীরে বুঝে যাবে। জোনাকিরা ধরা দেয় না। তামাকের উগ্র গন্ধ সহ্য করা অভ্যাস এখন। যে নাক আগে যোজন দূরের হাসনুহানার অস্তিত্বে সাড়া দিত।
          বাচ্চাটা কোলের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল। তার ছেঁড়া প্যান্টের উপর বসে একটা জোনাকি এখনও দব দব করে জ্বলছে।
....

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে বুঝতে গেলে
রাতের অন্ধকারে এসে দাঁড়াও
হাস্পাতালের সামনে
দেখো
ভালোবাসা মানে উদভ্রান্ত চোখ
....

ভ্রষ্ট তোতা কাহিনী

রাজা পাখিটিকে আনাইলেন। সঙ্গে কোতোয়াল আসিল, পাইক আসিল, ঘোড়সওয়ার আসিল। রাজা পাখিটিকে টিপিলেন, সে বলিল, জয় রাজামহারাজের জয়। তাহার পেটের মধ্যে পুঁথির কাগজগুলি পরমোল্লাসে নাচিয়া নাচিয়া বলিল, আমি সব জানি, সব জানি মহারাজ। আপনার কৃপা রাজা। আপনিই সব।

    রাজা কহিলেন, আর গান গাহিবে?

ভিক্ষাপাত্র

মন প্রসন্ন হল না। জগন্নাথ মন্দির থেকে বেরিয়ে বড়দাণ্ডতে পা দিয়েছেন, এক ভিখারির ভিক্ষাপাত্রে লাগল পা। ছিটকে গেল পাত্র। মাথা হল আগুন। "তোমরা বসার জায়গা পাওনা আর, ছোটোলোকের দল…"।

    প্রধান পুরোহিতকে রাস্তা ছেড়ে দিল সবাই। 

ভ্রম রে ভ্রমিত মন

যত্ন করে মাদুরটা পেতে বলল, বসো। মাদুরটা পাততে পাততে লতার নিজেরই মনে হল শেষ কবে এত যত্ন করে কিছু করেছে? যত্ন করতে ভুলে যাওয়া মানুষ হারিয়ে যায় হঠাৎ। লতা যেমন যাচ্ছিল।

    লতার শ্বশুরবাড়ির বাজির ব্যবসা। বাড়ির সামনেই দোকান। লতা বসে, অভিজিৎ বসে, শাশুড়ী বসে। লতা কিছু সেলাইয়ের কাজ করে। সে তেমন বড়সড় কিছু নয়।

ভুল্টুর তর্পণ

মানে একটা মানুষ একটু শান্তিতে তর্পণও করতে পারবে না? ভুল্টু জোয়ারের জলে পা ডুবিয়ে হাতে কুশ, গঙ্গার জল আর তিল নিয়ে সবে পুরুত মশায়ের নকল করে প্রথম শব্দটা উচ্চারণ করেছে কি করেনি, অমনি মাথায় গাঁট্টা... বলে, এই ব্যাটা আমাদের গোত্র ভুল বলছিস কেন?

ভবিষ্যৎ কি বলে

প্রভাব কার বেশি? শক্তির, না নীতির? এর কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। নীতি আলোচনার। কূটনীতি, উদারনীতি ইত্যাদি। কিন্তু সেই নীতিকে বাস্তবে আনবে কে? শক্তি। কোন শক্তি? প্রশাসনিক শক্তি। তবে নীতি কার উপর নির্ভর করছে? প্রশাসকের উপর।

ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়

গল্পটা পুরুষতন্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, কুসংস্কার, আবেগ, দুর্নীতি ইত্যাদি যাই বলো না কেন, ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। মোদ্দা কথাটা হল, কে ডমিনেট করবে আর কে ডমিনেটেড হবে। যে ডমিনেট করবে, সে দুষ্টু, খারাপ, লোভী, অবিবেচক ইত্যাদি তকমা পাবে। আর যে ডমিনেটেড হবে সে বেচারা, নিরীহ, নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ইত্যাদি তকমা পাবে। যে ডমিনেট করে, মানুষ তাকে মনে মনে ফুলচন্দন দিয়ে, যে ডমিনেটেড হচ্ছ

ভাল্লুকটা আর বন্ধুত্ব দিবস

তো হল কি, দুই বন্ধু জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি চলে এলো? ভাল্লুক চলে এলো। অমনি একজন বন্ধু হুড়মুড় করে গাছে উঠে পড়ল। আরেকজন কি করবে, সে মড়ার মত পড়ে থাকল। সে তো জানে একটু পর ভাল্লুকটা এসে তাকে শুঁকে চলে যাবে। তারপর গাছ থেকে বন্ধুটা নেমে জিজ্ঞাসা করবে, ভাল্লুকটা তোর কানে কানে কি বলছিল রে?

ভ্যাক্সিনরূপেণ সংস্থিতা

প্রায়ই দেখছি নানা হাউজিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই কাজটা আরেকটু বৃহৎ পরিসরে ভাবা যায় না?

ভালো

যে ভালো শুধু তোমার ভালো বলেই ভালো,
    সে আদৌ নয় ভালো। 

যে ভালো কেবল তোমার আমার ভালো বলেই ভালো।
    সে হয় তো অল্প অল্প ভালো। 

যে ভালোতে হয় অনেক মানুষের ভালো,
    সে বটে তবে বেশ কিছুটা ভালো। 

ভয়টুকু তো বোঝো

আমার ভয়টুকু তো বোঝো

ওটুকুই সব

ভালোবাসা তো
   না-মানুষেও বোঝে

(Samiran-দা এভাবে ভাষাকে মূর্ত করে তুলতে অনায়াসে পারেন। প্রণাম দাদা।)

ভ্যাক্সিন পর্ব

আমি যখন ভ্যাক্সিন নিচ্ছি তখন জানলার বাইরে বসন্ত ফাইল হ্যাণ্ডওভার করছে গ্রীষ্মের কাছে। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় পর্বের দামামা বেজে গেছে। রবীন্দ্রনাথ গ্রীষ্মকে মৌনতাপস বলেছেন, মানে বৈশাখকে। আমাদেরও তপস্যার সময় এসেছে। গতকালই একটা তিরিশ বছরের ছেলে হাস্পাতালে বেড না পেয়ে মুম্বাইতে মারা গেছে, অবশেষে কয়েক ঘন্টার জন্য পেয়েছিল যদিও। আমাদের আরো সাবধান হতে হবে। এই যুদ্ধে যার যতট

ভালো - খারাপ

ভালো দু’প্রকার। 

    এক, সোজা ভালো। যেমন ফুল, সুস্বাদু খাবার, মিষ্টি কথা, সুগন্ধ, শ্রুতিমধুর সঙ্গীত ইত্যাদি। 

ভুলতে গেলে যত্ন করতে হয়

..এমন জায়গায় রেখে দিতে হয়
সহজে যাতে চোখে না পড়ে
আবার খুঁজতে চাইলেই যেন
ধরা দেয় হাতের নাগালে
...

ভালোবাসি

ভালোবাসি

তোমার ইচ্ছার পাশে
     নিজের ইচ্ছা সাজিয়ে যেতে
...

ভয়

বন্ধ দরজার বাইরে নেই
না তো খোলা দরজার দিয়ে এসেছে
কোনোদিন 

অথচ একঘর আধজাগা মানুষ
বিশ্বাস করেছে
সে বন্ধ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে
... 

ভবিতব্য

আগুন আলো দেবে বলে জ্বলে না। তার না জ্বলে উপায় নেই বলেই জ্বলে। সে জ্বলনে যদি আমি তাপ পেয়ে থাকি, আলো পেয়ে থাকি, সে নেহাতই একটা বাড়তি ঘটনা মাত্র। মূল ঘটনা না। মূল ঘটনাটা ওই জ্বলন। আগুন নিভলে তাই যতই অভিমান করি না কেন, আগুনের কাছে তা মূল্যহীন। সে জানেই না তার জ্বলে থাকার মূল্য আমার কাছে অন্যরকম ছিল। আমার ব্যবহারের ছিল সে।