Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

জ্যোৎস্না-চন্দন

নীল শাড়িটা লোহার বাক্স থেকে বার করে চাঁদের আলোয় বিছানার উপর মেলে ধরল। বাচ্চাটা ঘুমাচ্ছে মেঝেতে মাদুর পেতে। প্রচণ্ড গরম। হোক আশ্বিন, তবু প্যাচপ্যাচে গরম।
...

জল না আকাশ

নৌকা বলল,
    আমি কোথায় ভাসছি?
       একি জল না আকাশ!
...

জলের অপচয়

জলের অপচয় বন্ধ করা নিয়ে পাঠ দিচ্ছি। সবাই গম্ভীরমুখে শুনছে। এমন সময় একজন অতি উৎসাহী ছাত্র প্রশ্ন করল, আচ্ছা স্যার, তাই কি বিদেশে কাগজের রোল রাখা থাকে কমোডের পাশে?
...

জীবনের সাধ

অনেক ভেবে দেখলাম জীবনে সাধ বলতে তিনটে,

এক, 
জীবনের সুখগুলোর মান pH 7 এর আশেপাশে থাকুক, খুব বেশি হলে 6 থেকে 8 এ-র মধ্যে।
দুই, 
...

জীবন তো

জীবন তো

আশ্বাস তাই

এমন কিছু নিখুঁত চালচিত্র তো নয়
...

জয় শ্রীরাম

ছেলেটার গায়ে বেত পড়ছে সপাৎ সপাৎ..ছেলেটা বাঁচতে গিয়ে বলতে চাইছে জয় শ্রীরাম..জয় হনুমান...

বাধ্য ছেলে। তবু তো সে বাইকচোর। ধর্মের শাসন। রাজার শাসন। এতগুলো সৎমানুষের ভীষণ যে রাগ, তারও শাসন। যাবে কোথায়?
...

জয়তু বাবা নীলকণ্ঠ

আমার গল্পটা ঠিক সেরকম না। আমি গল্পটা জানি। আবার জানিও না। যেমন ধরো আমি। আমার মতামত। আমার ইচ্ছা। আমার রাগ। এরা কি আমি পুরোটা? না। আবার এরাও আমি।
...

জীবনের অঙ্ক

একটা গাছে দশটা পাখি বসে। একটা ঢিল মারা হল। তাতে দুটো পাখি উড়ে গেল। কটা থাকল?
       উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। কারণ সত্যিটা আমরা জানি। প্রশ্নটাই মিথ্যা।
...

জ্যাম

 গাড়িটা সিগন্যালে আটকে। কাঁচ তোলা। এসি চলছে। অলোক ICU -তে।
   বৃষ্টি হয়ে গেছে সকাল থেকে খেপে খেপে। মঞ্জুলা অন্যমনস্ক। জমা জলে দোকানের হোর্ডিং-এর আলোর প্রতিফলন দেখছে।
...

জিলিপি ভাণ্ড

আনিলাম জিলিপি ভাণ্ড
মধুসূদন দাদা হতে মাগি
...

জয়দেব ও যশোধরা

বুদ্ধ ধ্যানমগ্ন। শিষ্যেরা ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বসে, ধ্যানমগ্ন। চতুর্মাস্যের কাল। সদ্য শ্রাবণের মেঘরাজি সপ্তসাগর সংগৃহীত জলরাশিপূর্ণ ঘট উপুড় করে ধরিত্রীকে ভাসিয়ে গেল।
...

জানি পলাশ এসেছে

জানি পলাশ এসেছে

জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ

কিন্তু বলো তো প্রেমিক
    এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
       হৃদয়ের, না পকেটের? 

কে বেশি যাতনাময় 
   বসন্তের কোকিল? 
       নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল? 

"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....

জীবনে চাই কি?

শোনো, কত মানুষের অভিযোগের উত্তর দেবে? কত? তুমি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু মানুষের অভিযোগ শেষ হবে না। দেখো না মৃত মানুষদের নিয়েও মানুষের কত অভিযোগ। যার নাভি ভেসে গেছে কত শতাব্দী আগে জলে, যে মানুষ মাটিতে মিশতে মিশতে শত শতাব্দী পার হয়ে গেল, তাকে নিয়েও মানুষের অভিযোগ। অভিযোগ শেষ হয় না। সে যেন রক্তবীজ। 

জানতে পারে না

নার্সিংহোমের বিলের
     ম্যারাথন রেস
          কোনো রকমে থামিয়ে,
সরকারি হাসপাতালে শিফট করা হয়েছিল,
তারপর বার্নিংঘাটে
         ওয়ালেট থেকে
     ওই ক’টা মাত্র টাকা বার করার সময়

জেগে থাকো

সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম


যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম 

বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব

ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল

ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা 

জগতে আনন্দযজ্ঞে

রামকৃষ্ণদেবের মিশন কি ছিল? তিনি কি সত্যিই সর্বধর্মসমন্বয় বেশ পরিকল্পনা করে করেছিলেন? সে সব আলোচনা থাক।

   আমাদের আজকের জীবনে কি সেদিনের সংশয় আছে? অবশ্যম্ভাবীভাবেই নেই। সেদিন ক্রিশ্চান মিশনারী, ব্রাহ্মধর্ম ইত্যাদির সংঘাতে ঈশ্বরের সাকার নিরাকার নিয়ে দোলাচাল আজকের দিনে আছে? মূর্তিপুজো ঠিক কি ঠিক নয়, এইসব নিয়ে ভাবনা আজকের মানুষের কই? দরকার নেই। সে তো ভালো কথা।
...

জন ড্রাইডেন আর রবীন্দ্রনাথ

জন ড্রাইডেন আর রবীন্দ্রনাথ। কত বছরের পার্থক্য? জন ড্রাইডেনের জন্ম ১৯শে অগস্ট ১৬৩১ সাল। রবীন্দ্রনাথ, ১৮৬১। মোটামুটি দুশো বছরের বেশি।

জন ড্রাইডেনের সম্বন্ধে আর নতুন করে কি বলা। কেউ কেউ বলেন শেক্ষকবির পরে নাকি উনিই যে উচ্চমানের নাটক লিখেছিলেন।
...

জঙ্গলরাজ

জিম করবেট কোনো অব্যবস্থা বা অরাজকতা বোঝাতে যদি কেউ 'জঙ্গলরাজ" শব্দটা উপমা হিসাবে ব্যবহার করত, তবে উনি বিরক্ত হতেন। ওনার আজীবন জঙ্গলে ঘুরে মনে হয়েছে জঙ্গলের আইন মানুষের আইন থেকে অনেক বেশি সহনশীল, বোধগম্য। মানুষের সভ্যতা তা নয়। বড় বেশি নিষ্ঠুর আমাদের সভ্যতা।
...

জানতে চাই না

কি দল তোমার

   জানতে চাই না


কি ধর্ম তোমার

   জানতে চাই না
...

জাগো

তোমাতে আমাতে

  পাশাপাশি দাঁড়ানোতে

এখনও অনেক ফাঁক


সে ফাঁক দিয়ে
...

জল্পনা

যারা বলে গেলেন
  সর্বভূতে ঈশ্বর আছেন

তারা অসম্পূর্ণ কথা বলে গেলেন

সম্পূর্ণ কথাটা হল -
  সর্বভূতে ঈশ্বর থাকলেও
...

জীবিকা রক্ষা

কঠোর লকডাউন নিয়ে প্রচুর ধোঁয়াশা। লকডাউনে কি সত্যিই আর আস্থা আছে? বলা শক্ত। মার্চ থেকে জুনের শেষ অবধি লকডাউন শব্দটার উপর থেকে আস্থা কমতে শুরু করল। আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ল আতঙ্ক তত কমল। কারণ জীবিকাকে স্তব্ধ রেখে জীবন বাঁচিয়ে রাখা যায় কি করে
...

জি এন দাস

জি এন দাস। পুরো নামটা মনে নেই। রামকৃষ্ণ মিশনের এককালীন অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দজীর মন্ত্রশিষ্য ছিলেন। সেই দাস মহাশয়ের জীবনে তখন তুমুল দুর্যোগ। ব্যবসায়, ব্যক্তিগত জীবনে, বন্ধুবান্ধব মহলে, এমনকি নিজের স্বাস্থ্যের দিক থেকেও। চিঠি লিখলেন
...

জালিয়ানওয়ালাবাগ ২০২০

রাস্তায় ঘাটে কি বানিয়েছ?

জালিয়ানওয়ালাবাগ

রাস্তাঘাটে মরছে কারা?

ঘরে ফিরছে
...

জগন্নাথের বাঁশি

সমুদ্রের জলটা এক এক সময় মনে হয় অনেক বেশি। তাদের পুরো গ্রামটাকে ডুবিয়েও যেন কিচ্ছু উপচাবে না, আজ যেমন মনে হচ্ছে বেলিয়ার, সে যদি ডুবে যায়?
...

জাগা ঘুম

সব ঠিক চলছিল
একদম ঠিক
যেমন অন্যান্য সাধারণ ব্যস্ত বসন্তের বিকেলগুলো হয়,
আমি চায়ের কাপ হাতে
...

জাগতে রহো

গন্তব্যে যেতে হবে। নদী উত্তাল। তায় রাতের অন্ধকার। নৌকায় ছয়জন যাত্রী।
          ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
          ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।

জয় মা

নতুন বউকে নিয়ে মায়ের মন্দিরে ঢুকল নতুন বর। নতুন বউ হাঁটু মুড়ে বসে মাকে অনেকক্ষণ ধরে প্রণাম করল। বর আড়চোখে ভুরু কুঁচকে দেখতে দেখতে ভাবল, এত ভক্তি! বাহ্।
             ফুলশয্যার রাত। বউকে বর গদগদ স্বরে জিজ্ঞাসা করল, হ্যাঁ গো, জানো তো, মা ভীষণ জাগ্রত আমাদের! পটলাদার ছেলে হচ্ছিল না। খালি মেয়ে, খালি মেয়ে। শেষে মায়ের কৃপায় ছেলে হল। নাম রেখেছে কালীচরণ। সেকেলে নাম। কিন্তু ভীষণ আধুনিক ওরা।
             বউ বলল, সে তো বুঝতেই পারছি।
...

জাগ্রত

“আমার জীবন থেকে সব ভালোবাসা সরিয়ে নাও।”

    জৈন সাধক ভাস্কর এই কথাটা তিনবার উচ্চারণ করল। অনেক উঁচু পাহাড়ের মাথায় এই মন্দির। চারদিক জঙ্গল। দিনের উজ্জ্বল আলোয় স্নিগ্ধ শান্ত দশদিক।

জীবন

এতবার জীবন আমার থেকে বিমুখ হতে চাইল

এতবার আমি চাইলাম বিমুখ হতে জীবন থেকে 

তবু ভীষণ ঝড়ে
জানলার পাল্লা দিতে দিতে দেখেছি
প্রদীপের শিখা সামলাতে ব্যস্ত সে-ও

জন্মদিন

এখন থেকে আর বাড়তি না, এবার কমতি। খালি খালি বয়েস বাড়িয়ে বাড়িয়ে শেষে বুড়ো হয়ে মরি আর কি! আমি যেন সুকুমার রায়ের পাঠাশালায় পড়িনি! সেই কবে আমাদের উনি শিখিয়ে গেছেন বয়েস বাড়তে দিলেই হল? তাই আমিও এই কমতির দিকে নামলুম। এখন থেকে আমার বয়েস নামবে ৪৪, ৪৩, ৪২... হুম। যতক্ষণ না এই এদের বয়সে পৌঁছাচ্ছি। মানে যাদের সঙ্গে আমার ছবিগুলো।

জয়দেব ও বর্ষা

জয়দেব ভিজছেন। আষাঢ়ের প্রথম বর্ষা। চারদিক ঝাপসা হয়ে আছে। জয়দেব স্থির দাঁড়িয়ে। হাতদুটো বুকের কাছে জড়ো করা। জয়দেব তাকিয়ে শ্রীমন্দিরের দিকে। পতাকাটা আষাঢ়ের সজল বাতাসের দাপটে যেন সব ছিন্ন করে উড়ে যেতে চাইছে। জয়দেবের বুকের মধ্যেও যেন এক অবস্থা। জয়দেবের চোখের জল বর্ষার জলের সঙ্গে মিশে একাকার। যেমন নীলাচলে গলছে আষাঢ়ের আকাশ।

জীবনশৈলী

একটা সময় ছিল কুঁজো, ওয়াটার বোতল নিয়ে ট্রেনে উঠতাম। স্টেশান এলেই দৌড়ে গিয়ে জলের বোতল ভরে নিতে হত। বা অনেকক্ষণ ট্রেন থামার থাকলে কুঁজো নিয়েও দৌড়াতে হত। এ স্মৃতি অনেকেরই থাকবে। 

    একটা সময় ছিল যখন চাপাকলের জল ভারী এসে ড্রামে ঢেলে দিয়ে যেত। সেই ছিল কলের জল, রান্নার জল। 

জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে

এপিকটেটাস খুব বড় একজন দার্শনিক ছিলেন। খুব কঠিন জীবন ছিল। এক ধনীর বাড়ি দাসত্ব করতেন। মালিকের খুব সুনজরে ছিলেন না। এত মার খেতেন, এত মার খেতেন যে অনেকে বলেন তিনি নাকি প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। ওনার সম্বন্ধে এই কথাটা শুনেই আমার আমাদের অষ্টাবক্র মুনির কথা মনে পড়ে। তারও দেহের আকার নাকি এমনই ছিল। সবাই তো রাম ঠাকুর বা রামপ্রসাদের মালিকের মত মালিক পান না, যারা গুণের কদর করে তাদের মান দিয়ে মুক্তি দেবেন, অগত্যা এপেক্টেটাসও পাননি।