Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

বই দিবস

আজ বই দিবস। আগের বছরও ছিল। সামনের বছরও হবে। আগের বছর অনেক মানুষ চলে গেছেন। এ বছরও অনেক অনেক মানুষ চলে যাচ্ছেন। অক্সিজেন, ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে না। বইতে অক্সিজেন বানানোর পদ্ধতি লেখা আছে। বইতে ওষুধ বানানোর পদ্ধতিও লেখা আছে। এও পড়ানো হয়, demand and supply theory মানে কি। এ সব তত্ত্ব বইতে লেখা আছে। কিন্তু এখন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। 

বড় অভিমানী

পাতা ঝরা নেড়া গাছটার
একদম মগডালে

বিন্দু

চিঠি হাতে আসার আগেই বৃষ্টির জলে ভিজে গেল। সব লেখা মুছে গেছে। পোস্টকার্ডের হলুদ রঙটা পর্যন্ত বদলে গেছে। ঠিকানা লিখে পাঠিয়েছিল। যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাবার কথা ছিল তার। সে ঠিকানাই গেল হারিয়ে।

বাবা কি হিজবিজবিজ?

লালটু মিত্র ওরফে বুকাই, কালো হাফপ্যাণ্ট আর সবুজ টিশার্ট পরে ফ্ল্যাটের দরজায় দাঁড়িয়ে। গ্রাউণ্ডফ্লোরে ফ্ল্যাট। বাবা মা ঠাম্মিকে প্রণাম করতে ওল্ডেজ হোমে গেছে। সেও য

বিষফল

গভীর জঙ্গল। ভাঙা মন্দির। ক্লান্ত মানুষ। আদতে প্রেমিক। আদতে সে পালাতে চায়। আদতে সে হারাতে চায়। আদতে সে.... ভাঙা মন্দিরে পড়ল ঘুমিয়ে। তখন রাত। আকাশে তারা। ধরিত্রীতে অন্ধকার। দূরে কাছে, ইতিউতি পশুপাখির ডাক। ভয়। ভোর হল। মন্ত্রোচ্চারণ শুনে ঘুম ভাঙল। একমুখ দাড়ি, কয়েকদিন না খাওয়া ক্লান্ত অবসন্ন শরীর। কোনো রকমে চোখ তুলে তাকাতেই হাতে এলো চারটে বাতাসা।

বাঁচতে গেলে একটা সুতো লাগে

যার কোনো কূলে কেউ নেই, সেও চায় তার যাওয়ার পথ কেউ অন্তত আটকাক। কেউ দাঁড়িয়ে বলুক, তুমি চলে গেলে আমার অসুবিধা হবে। তোমার থাকাটার একটা মানে আছে আমার কাছে। যার কেউ নেই। তারও অভিমান হয়। কার উপর সে স্পষ্ট জানে না। কিন্তু হয়। কেউ চোখ মোছানোর নেই জেনেও সে চোখের জল ফেলে। সে রাগে। ভালোবাসে। কাকে সে নিজেও জানে না।

বই

তো হল কি, একদিন সব বই অক্ষরহীন ছাপা হল। বাজারেও এলো। কেউ কিনল। আর কেউ কিনল না।
যারা কিনল না, তারা জিজ্ঞাসা করল, কি লেখা আছে বইতে?
যারা বই কিনেছিল তারা বলল, আরে দারুণ লেখা। কি ভাষা। কি বর্ণনা। কি ভাব। কি ভয়। কি কান্না। কি জ্ঞান। কি পরিণতি।

বিন্দু

চিঠি হাতে আসার আগেই বৃষ্টির জলে ভিজে গেল। সব লেখা মুছে গেছে। পোস্টকার্ডের হলুদ রঙটা পর্যন্ত বদলে গেছে। ঠিকানা লিখে পাঠিয়েছিল। যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাবার কথা ছিল তার। সে ঠিকানাই গেল হারিয়ে।

বোকা উইয়ের ঢিবি

মানিয়ে তো নিতেই হবে। চ্যালেঞ্জটা হল নিজস্বতাকে হারাতে দেওয়া যাবে না। সেকি সম্ভব? নিজেকে না বদলে বদলকে মেনে নেওয়া যায়?
    দর্জির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই সব ভাবছিল জনাই। তার ছিটটা আস্ত জামা হয়ে গেল। অথচ তার জীবনটা… নাহ্, ভালো দর্জি সে হতে পারল না। এখন আশা ছেলেটাকে নিয়ে। স্বপ্ন। ছেলেটা অঙ্ক করতে এসেছে। ক্লাস নাইনে পড়ে। রাত দশটায় ছাড়বেন স্যার। অর্ধেক মাইনে নেন। 
    নিজের টোটোটার দিকে তাকালো। মানুষ কত কি বানায়! লোহা পিটে, টিন পিটে, কাপড় কেটে। সামনের বড় বড় ফ্ল্যাটগুলোর দিকে তাকালো। সিমেন্ট, ইট দিয়েই তো বানিয়েছে। মানুষের মাথায় কত কি ভাবনা! অথচ জীবনটা যেমন চায় বানাতে পারে না। কেন? 
...

বিদ্যাবধূ

মহাপ্রভু বললেন, কি চাই জানো? প্রেম। ভালোবাসা। অহংকারের মেঘ যদি সরে গেল, অমনি দেখো, ভালোবাসার চাঁদ উঁকি দিল। তোমায় শান্ত করবে, শীতল করে আনন্দিত করবে, পূর্ণ করবে। 
    কিন্তু কাকে ভালোবাসবো?
...

বুকে চন্দনের গন্ধ

​​​​​​​রথ এগোয়। জগন্নাথ টাল সামলে বসেন। রথ যে টানে সেও টাল সামলে সামলে চলে। থেকে থেকেই বড়রা দৌড়ে আসে, গেল গেল… জগন্নাথ আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ল রে…
সন্ধ্যে হল। জগন্নাথ ভাবলেন, এইবার খানিক বিশ্রাম পাবেন। আর বিশ্রাম। ভক্ত থেকে থেকেই ঠাকুরঘরে ঢোকে। রথের রশি ধরে টান মারে। রথ বাঁ বাঁ করে ঘোরে। সঙ্গে ঘোরে ভাইবোন সহ জগন্নাথদেব। আবার বাড়ির লোক ধেয়ে আসে… ওরে রাখ্ রাখ্…
...

বাসা

পাখি চারদিক থেকে যা পায়, খড়কুটো, একটা প্লাস্টিকের সুতো, একটা দড়ি... সব জমিয়ে সে আবর্জনার স্তূপ বানায় না, বাসা বানায়। সেখানে সে ডিম পাড়ে। বাচ্চাদের বড় করে। তারপর সব ছেড়ে চলে যায়। 

    সেটাই বলছিলাম, মনের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে লাভ কি? অভিমানের পাহাড় বানিয়েই বা কি লাভ? 
...

বাকি

কোনো পাখিই গোটা আকাশ জুড়ে উড়তে পারে না

কোনো বসন্তই সব ফুল ফোটাতে পারে না

কোনো শোকই সবটুকু অশ্রুর দাবী জানায় না

বিছানার চাদর

".. মৃত্যুর জন্য তো পথ" ~ রবীন্দ্রনাথ

 

     এমনকি বিছানার চাদরেও তোমার না থাকার গন্ধ লেগেছিল, তুমি কি মেখে এসেছিলে? 

বাইশে শ্রাবণ

বাইশে শ্রাবণ মানে
নিভু নিভু মনুষ্যত্বের শিখাকে
আরেকবার দু'হাতে 
   আগলে রাখতে চেষ্টা করা
সব তাপ সহ্য করেও

বৃন্ত ও কয়েকটা ঘটমান ঘটনা

যদি বৃন্তের সৌন্দর্য না বুঝি তবে পাপড়ির সৌন্দর্যকে বুঝি কি করে? ফুল মানে কি কেবল পাপড়ির রঙ, রূপ, সজ্জা? 

     ওই যে মালা গাঁথা হচ্ছে, বৃন্তের বুকের মধ্যে সূঁচ বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে, সুতো পরিয়ে। বৃন্ত নির্বিকার। বৃন্ত জানে মালা গাঁথতে হলে এ তাকে সহ্য করতেই হবে, পাপড়ি সহ্য করতে পারবে না, ছিঁড়ে যাবে সে! 

বোঝেই না কিছু

সে সদ্য স্কুলে যাচ্ছে। তার নাম অজন্তা সরকার। তার বাবার লটারির দোকান। লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে টিকিটের নাম্বার মিলে গেলে। তার বাবা ইচ্ছা করে কাটে না। অত

বাবা ম্যাজিক জানতেন

বাবা ম্যাজিক জানতেন। নইলে এত কিছুর পরেও মা সারাজীবন জলের গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন, খাবার বেড়ে দিলেন!

ব্যথাই যখন হৃদয়

সুখের সময় মনের খোঁজ কোথায়? যেমন দাঁতে ব্যথা না হলে দাঁত কোথায়?

বসুক, দোল খাক

তারের উপর বসে আছে একটা নীলকন্ঠ পাখি। ট্রেনটা দাঁড়িয়ে। জানলা দিয়ে তাকিয়ে বসে শীলা। ভেলোর থেকে ফিরছে। ডাক্তারের জবাব নিয়ে।

    খামতি যা থেকে গেল সে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা নেই। যা পাওয়া গেল সে নিয়েও গর্ব করতে সাধ নেই। এখন ফিরলেই হয়। ক্লান্তি।

বিভাজিকা

ঢুকতেই বিপুদা বলল, বাইকটা এনেছিস?

বাঁশি

- বাঁশিটা দেবে?

বৈষ্ণবী

কাজ করতে করতে শুনতে পেলাম দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে বৈষ্ণবী ভিক্ষুণী। গান গাইছে খঞ্জনি বাজিয়ে। নামগান।

বিরতি

গলায় আঙুল দিল, কিচ্ছু হল না। জল খেল ঢকঢক করে, অতিরিক্ত, হল না। নুন নিল মুঠোয়, গিলে ফেলল, গা গুলালো, হল না।

বাঙালির দর্শন

অবশেষে এক দীর্ঘকালীন মাইক উৎসব শেষ হল। দেবী কখনও দশভূজা, কখনও চতুর

বেড়াতে যাওয়া

রাণাঘাট থেকে শিয়ালদা, আর শিয়ালদা থেকে রাণাঘাট। চল্লিশটা বছর কেটে গ

বীজ

বড় অসময়ে চলে যাওয়ার ধুম উঠেছে। কেউ নিজেই দরজা ভেজিয়ে চলে যাচ্ছে। কেউ নাচতে, নাচতে, ব্যায়াম করতে করতে, হাঁটতে, বসতে চলে যাচ্ছে। রিলে ভিডিও দেখা যাচ্ছে। লক্ষ ল

ব্যবসার ফিকির

অ্যালজাইমার্স রোগটা কি মজার না? দারুণ মজার। এটা নিয়ে কি দারুণ সব সিন বানানো যায় না সিনেমায়?

বাংলা

যখন বৃষ্টি শুরু হয়, মেঘ নেমে আসে মাঠের উপর দিগন্ত ছুঁয়ে, মনে হয়, য

বিষখাগী

"হতে পারে আমি শুরু থেকেই কোনো মানুষের উপর, কি কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর, কি ব্যবস্থার উপর শ্রদ্ধাহীন। আরেক হয় এক সময়ে শ্রদ্ধা ছিল, এখন বয়ে বেড়াচ্ছি নিহত শ্রদ্ধা।

বাবার চটি

বাবার চটি মানে মেঝের উপর রাখা নৌকা যেন। সামনের দিকে বুড়ো আঙুলটা ঢোকানোর জায়গা

ব্রত

জীবনে একটা ব্রত থাকা দরকার। এমন একটা চেষ্টা থাকা দরকার যা আমার সব স্বার্থের উর্দ্ধে। সেখান থেকে আমি কিছু চাই না। সেখানে আমি নিত্য কিছু দিই। যেমন নি