Skip to main content
chandaner gandho

রথ এগোয়। জগন্নাথ টাল সামলে বসেন। রথ যে টানে সেও টাল সামলে সামলে চলে। থেকে থেকেই বড়রা দৌড়ে আসে, গেল গেল… জগন্নাথ আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ল রে…

  সন্ধ্যে হল। জগন্নাথ ভাবলেন, এইবার খানিক বিশ্রাম পাবেন। আর বিশ্রাম। ভক্ত থেকে থেকেই ঠাকুরঘরে ঢোকে। রথের রশি ধরে টান মারে। রথ বাঁ বাঁ করে ঘোরে। সঙ্গে ঘোরে ভাইবোন সহ জগন্নাথদেব। আবার বাড়ির লোক ধেয়ে আসে… ওরে রাখ্ রাখ্…

  অগত্যা জগন্নাথের জন্য বিছানা পাতা হল। তার থেকে একটু দূরে বালিশ পেতে। সে ঘুমালো।

  হঠাৎ টুক্ করে শব্দ। বাবা-মা উঠে বসল। ছেলে বসে আছে খাটে। বাবা বলল, কি হল রে?

  ছেলে আধো আধো ভাষায় বলল…. বায়িশ… মানে বালিশ..

  মা বলল, কই?

  ছেলে খাটের নীচে আঙুল দিয়ে দেখালো… ওই…

  তাই তো…! জগন্নাথের মাথার কাছে রাখা বালিশ পড়ে আছে মাটিতে….

  বাবা উঠে তুলে আবার জগন্নাথের মাথার কাছে রাখল…

  মা জিজ্ঞাসা করল, তুই দেখলি কি করে?

  ছেলে আঙুল দেখিয়ে দিল জগন্নাথের দিকে… বলল, ও বল্লো…. দাকলো তো… (ডাকল তো)...

  ছেলে বুকে হাত দিয়ে দেখালো। মা বুকের কাছে মাথা এনে বলল, এখানে?

  ছেলে মাথা নেড়ে বলল, হ্যাঁ…

  মা আরো কাছে গিয়ে বুকে মাথা দিল.. বুকে চন্দনের গন্ধ…..


(ছবি নেট থেকে পাওয়া। ছ'বছরের আদ্যাশা মহাপাত্রের আঁকা।)