Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

শিরদাঁড়া

তবু রাস্তাটা পেরোতেই হবে
অবশেষে মনে পড়বেই
   মানুষের একমাত্র রক্ষাকবচ -
          বলিষ্ঠ একটা শিরদাঁড়া

শুধু আমি শুধু তুমি

শুধু আমিই নই
     তুমিও তো অসহায়ের মত দাঁড়িয়েছো
                     আমার সামনে কতবার

শুভ দীপাবলি

সাজানো কথা আর মিথ্যা কথা এক না। প্রথমটায় খানিক শিল্পীসত্তার দরকার হয়, দ্বিতীয়টায় সে দরকার নেই।
   যেমন সত্যভাষণে আর কটুভাষণে। প্রথমটায় বিবেচনাবোধ জরুরী। দ্বিতীয়টায় নয়।

শরৎ অভিসার

কাশ বর্ষাকে দেখে ইতস্তত করল খানিক
বর্ষা বলল, আমার হল যাওয়ার দেরি, তুমি এসো

কাশ দ্বিধা ভরে আকাশের দিকে চাইল
সেখানে কালো মেঘের ঘনঘটা
দীঘির জলের দিকে চাইল
সেখানেও কালো মেঘের ছায়া

কাশের মুখ হল ম্লান।
তবে কি শরতের সাথে হবে না মিলন?
  ব্যর্থ হবে এবারের আসা?

শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়

শপিংমলে থিকথিক করছে ভিড়। সন্ধ্যেবেলা। পেমেন্টের লাইনই চার পাঁচটা। একটা অবাঙালী পরিবার। হিন্দিভাষী। হিন্দিটা শুনলে ছত্রিশগড়ের মানুষ মনে হয়। ভদ্রলোকের বয়েস চল্লিশের একটু উপরে। ভদ্রমহিলার তিরিশের আশেপাশে। সালোয়ার কামিজ পরা শীর্ণ শরীরটায় যেন ভার বহনের আর শক্তি নেই। চোখ দুটো কোটরে। একটা বিপন্নতা আর উদ্বেগ মিলেমিশে চাহনি।

শহরটা

শহরটা তেমনই জীবন্ত
   স্মৃতি নয়, এই তো দাঁড়িয়ে সামনে
        যে সময় হারানো 
...

শবরীমালা আখ্যান

শবরীমালা মন্দিরে মহিলারা ঢোকার পর মন্দির ধোয়া হল। মন্দির অশুচি হয়েছে। পড়লাম। ক্যালেণ্ডারের দিকে তাকালাম, ২০১৯, জানুয়ারি।
...

শঙ্কা

থর থর শিখা

ওত পেতে বসা
সর্বগ্রাসী অন্ধকার

বাতাসের 
   ফিসফিসানি

শুনেছি নাকি


        শান্তই থাকো। ঝড়ে ঝোড়ো কাক হয়ে লাভ নেই বুঝলে। শুনেছি নাকি বালিঝড় থেকে বাঁচার জন্যেই উটের অমন লম্বা লম্বা পলক।

শীতে এবার মৃত্যু বড় কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে

শীতে এবার মৃত্যু বড় কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। শীতের সাথে বিষণ্নতার বড় মেশামিশি। আমি ভাবছি একটু রোদ্দুরে গিয়ে দাঁড়াই ছাদে, একা। সবাইকে বলে যাই, আমায় ডেকো না কয়েকদিন। কথারা সুতো ছিঁড়ে উড়ে গেছে হিমেল হাওয়ায়। আমি আমার বন্ধুকে বলেছি, বন্ধু দোতারা আনো তো, সুর ছড়িয়ে দাও।
...

শুদ্ধতার মোহ

মানুষের কতগুলো মৌলিক প্রবণতা আছে ব্যক্তিত্বের। সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ, ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণ, সত্য বা জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ, শুদ্ধতার প্রতি আকর্ষণ। খিদে, তেষ্টা, নিরাপত্তা, কাম, অহং-এর তৃপ্তি - এগুলোকে ধরছি না। এ সবার মধ্যেই থাকে, মাত্রার তারতম্যে। এরা প্রবণতা না, এরা চাহিদা।

শোধন

সমস্ত অন্ধকার লুকিয়ে
সূর্যোদয়ের বিপরীতে হাঁটছিলাম

ভোরের শিশিরে পা পিছলালো
  সূর্যাস্তের পোড়া ইটের রঙে
    সূর্যোদয়ের কান্না কাঁদলাম

শিশুদিবস


        আজ এই প্রথম ১৪ই নভেম্বর আমার কাছে শিশুদিবস নয় শুধু। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।

শান্তি

বললাম, শান্তি
ঘুমিয়ে পড়লে
বললাম, শান্তি
চোখে ঠুলি পরলে
অথচ একবারও দুটো বিরুদ্ধ স্রোতের মাঝে
পাটাতনটা খুঁজে দেখলে না

শিশু


হাস্পাতালের কোলাহলে
  বছর তিনেকের বাচ্চা 
  মায়ের কোলের নির্জনতায়
মানুষের বানানো বোমার আঘাতে 
       মানুষের বানানো ব্যথা কমানোর ওষুধে

শুধু যুক্তি না তো


শুধু যুক্তি না তো
সময়ও যে গো লাগে 
ক্যালেণ্ডারের পাতা ওল্টালেই বসন্ত আসে না
      শীতের কুয়াশা মিলিয়ে যাক আগে

শবরীমালা

        শবরীমালাতে রজঃস্বলা নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যিনি একমাত্র বিরোধীতা করলেন সুপ্রিম কোর্টে রায়দানের সময়, তিনি একজন মহিলা বিচারপতি। তার বক্তব্য - ধর্ম আর প্রথার সাথে যুক্তির কোনো সম্পর্ক থাকা উচিৎ নয়। 

শান্তি

        হাতটা ঠাণ্ডা বস্তুতে লাগলে ঠাণ্ডা অনুভব হয়, গরম বস্তুতে লাগলে অবশ্যই গরম অনুভব হয়। আবার দুঃখ অনুভব হয়, আনন্দ অনুভব হয়, ফ্রেশ অনুভব হয়, কুল অনুভব হয়। কথা হচ্ছে, এই অনুভবটা কি তবে? অনুভব কি অভিজ্ঞতা, না কোনো অভিজ্ঞতার দরজা?

শোধন

        মহিলাকে ক্লাবের ছেলেরা রাতে ডেকে নিয়ে যেত। ভোরে ছেড়ে দিত। উনি ভোরে আবার যে কটা বাড়ি কাজ করেন, পর পর করে বাড়ি ফিরতেন। স্বামী নেই। দুই মেয়ে, এক ছেলে। ছেলেটা বড়, কুড়ি বছর, বেকার। বড় মেয়েটা অন্যরকম। কেউ বলে পাগলী, কেউ বলে সাধিকা। তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও বড় মেয়েটাকে প

শিবনারায়ণ রায়

শিবনারায়ণ রায়কে বাঙালি বোধকরি সে ভাবে নেয়নি। অন্তত আমার পাঠ অভিজ্ঞতা তো তাই বলে। আমি ওনার নাম প্রায় বহু বছর জানতাম না। এ লজ্জা আমার ব্যক্তিগত না সমষ্টিগত বলতে পারি না। সে প্রসঙ্গ থাক। অকারণ স্বঘোষিত জ্ঞানীগুণীদের চটিয়ে লাভ নেই। মজার কথা হচ্ছে, মানুষটাকে পড়া মানে নিজের মুখোমুখি বাবু হয়ে বসা। মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমতা সে চিন্তা করতে পারে।
...

শঙ্কা

        রমজানের হাতে কড়া। তাও মাথায় বিলি কেটে দিলে ভালোই লাগে পরাশরবাবুর। রমজান বছর দশেক আগে পরাশরবাবুর বাগানের কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল কেউ জানে না। সে অকৃতদার ছিল। গরীব মানুষ, পরাশরবাবুদের বাড়িতেই ফাইফরমাশ খেটে দিন চলে যেত। তাকে অবশ্য হাসতে দেখেনি কেউ কোনোদিন। গায়ের রঙ তামাটে, রোগা-বেঁটেখাটো শরীর, তবে খাটতে পারত। পরাশরবাবুর স্ত্রী বেঁচে

শাসিত


এত অবাধ্য বলেই
ঘাসের শিকড়ে জমে রক্ত
নত হও
শান্ত রাখো দেশ
স্বাধীনতা মানে অধীনতা প্রসাদ
লাগাম টানো, হয়ে ওঠো রাজভক্ত

শালুক

ঈশ্বর বড় একা। সারাটা আকাশ গেরুয়া রঙ করে বসেছিলেন সূর্যাস্তের পর গঙ্গায় পা ডুবিয়ে। বাতাস পঞ্চপ্রদীপের শিখার মত ঈশ্বরকে ঘুরে ঘুরে আরতি করছিল। ঈশ্বর গম্ভীর। গঙ্গার জলের কুলকুল শব্দে ঘন্টার আওয়াজ। ঈশ্বর অন্যমনস্ক। 

শব্দ

শব্দ মারা যায়
কখন মারা গেল
     কেউ টের পায় না
শূন্য শামুকের খোলকের মত পড়ে থাকে
          একা - অবদ্য

শান্ত হব বলে


সব ক'টা তারাতেই
চন্দ্র, সূর্য- 
   এমনকি গনগনে চিতার আগুনেও
ঠোঁট ছুঁইয়ে এসেছি

পুড়িয়ে এসেছি

শুধু একবার তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো বলে
শান্ত হব বলে
বৃষ্টি ভেজা পালকগুলো শুকিয়ে নেব

তাই
 

শান্তিজল

সারাদিনের শেষে
   একবার তাকিয়ো

বুঝে নেব
...

শেষ নাহি যে

সেদিন থেকে তিনটে বুলেট উপড়ানোর কাজ শুরু হল। কেউ করল স্তব, কেউ করল সমালোচনা। কেউ মাথা নীচু করল কৃতজ্ঞতায়, কেউ করল অভিযোগের পর অভিযোগ। কিন্তু এরা কেউ বুলেট উপড়ানোর কাজ থামায়নি। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে, হেঁটে বলতে লাগল, বুলেট তুলে ফেলো... বুলেট.... শান্তি প্রতিষ্ঠা করো.... সাম্য....
...

শিখাটার ছুটি

বাবার সারাদিনের জুতো সারানোর কাজ শেষ। রাত আটটা দশ-টশ হবে। প্রচণ্ড শীত। লম্ফটা শীতের বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে, যেন সেও ছুটি চাইছে। বাবা সারাদিনের পয়সাগুলো চটের ভাঁজ থেকে বার করে গুনছে, এগারো-বারো বছরের মেয়েটা
...

শিখা যখন জ্বলে উঠল

যে কবিতাটা লেখা শুরু হয়েছিল দিনের মধ্যভাগে, সে কবিতার শেষ ছত্রের কয়েকটা শব্দ কবিকে এমন নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল যে, ভাবতে ভাবতে সূর্য গেল পাটে।
...

শনিবারের সৌন্দর্য

বাচ্চাগুলোকে প্রতি শনিবার দেখি শনিমন্দিরের সামনে ভিড় করে। ওরা রেলকারখানার আশেপাশে ঝুপড়িতে, ভাঙা কোয়াটার্সে থাকে। কারোর বাবা রিকশা চালায়, কারোর বাবা জুতো সেলাই করে, কেউ দোকানে কাজ করে। অবাঙালিই বেশি।
...

শ্রী

উঁচু পাতা থেকে বৃষ্টির জল বিন্দু বিন্দু নীচু পাতার বুকে এসে পড়ছে। নীচু পাতা একটু কেঁপে উঠে সে জলকে বুকে জায়গা দিয়ে স্থির হতে চাইছে। খানিক পরেই সে জল গড়িয়ে মাটিতে পড়ছে - বিন্দু বিন্দু। পাতা আটকাচ্ছে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে সে, সেখানে মেঘের ঘনঘটা।
...

শূন্য পোস্টবক্স

    চিঠি লেখা হয় না আজকাল ইত্যাদি কথা না। যে কথাটা রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্রগুলো পড়তে পড়তে বারবার মনের কোণায় এসে দাঁড়ায়, প্রশ্ন করে, তা হল এই কথাগুলো চিঠিগুলো না লেখা হলে কলমের মুখ অবধি আদৌ কি আসত?
...

শিক্ষক আর সংস্কার

শিক্ষক আর সংস্কারকের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের দুই প্রয়োজন আছে। আগের যুগে মহাপুরুষের উদ্যোগে সংস্কার হত, এখন রাজনীতির নেতামন্ত্রীদের মাধ্যমে সংস্কার হচ্ছে।
...

শেষ আরতি

বাইশে শ্রাবণ তো ইতিহাসের

  আমি তো শুনি

চিরনূতনের ডাক
        পঁচিশে বৈশাখ
...

শুভ রাত্রি

কড়া নাড়া শুনে বাইরে এলাম। কেউ নেই কোত্থাও। দরজাটা বন্ধ করে পাপোশটায় চোখ পড়ল। ধুলোয় ধুলো। এত ধুলো তো ছিল না। আবার কড়া নাড়ার শব্দ। খুললাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার। দরজা বন্ধ করলাম। পাপোশটা নেই। ধুলোও নেই। আবার কড়া নাড়ার আওয়াজ।
...

শুনছেন

- নাচছে না কেন?
- কেন নাচব?
- বা রে, এতবড় মিউজিক সিস্টেম চলছে শুনছেন না?... কালা?
...